• free web stats
  • At-Tahreek
    কবিতা

    তাওহীদের ডাক

    -স্বজন রহমান নয়ন

    গোভীপুর, মেহেরপুর।

    তাওহীদের ঐ ডাক দিয়ে চলো সামনে এগিয়ে,

    পরকালের বীজ বপন করি সকলে মিলে।

    মানব রচিত বিধান বাতিল করে,

    ওহী-র বিধান কায়েম করি  মোরা সবাই মিলে।

    তাওহীদের ঐ ডাক দিয়েছে আসাদুল্লাহ আল-গালিব

    আমীরের আনুগত্য করে আমি চলছি সবদিক।

    পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত আমি ছহীহ পন্থায় পড়ি,

    লোকজনকে ডেকে আমি ছহীহ হাদীছ বলি।

    সাংগঠনিক বই-পুস্তক আমি রাখি সংগ্রহে,

    মাসিক আত-তাহরীক সাগ্রহে নিয়মিত পড়ি।

    এসবগুলির মাধ্যমে আমি জ্ঞান অর্জন করি।

    হক্বের কথা বলতে গেলে বিদ‘আতীরা দেয় বাধা,

    মুচকি হেসে আমায় ওরা বলছে বড় বোকা।

    হক্বের পথে টিকে থাকতে করছি মরণপণ,

    দিশারী আমার আল্লাহর দেয়া পবিত্র কুরআন।

    জামা‘আতবদ্ধ জীবন আমায় দিয়েছে মুক্তির সন্ধান,

    সংঘবদ্ধ থাকব আমি মেনে আল্লাহর বিধান।

    তাইতো আমি যুবকদের নিয়ে হচ্ছি সংঘবদ্ধ।

    চরমপন্থা ত্যাগ করে মধ্য পন্থা ধর।

    যুবকদের মধ্য রাসূল (সাঃ) দেখেছন আহলেহাদীছের চিহ্ন,

    এক শ্রেণীর লোক আহলেহাদীছকে করতে চায় ছিন্ন ভিন্ন।

    ক্বিয়ামত পর্যন্ত হক্বের পথে টিকে থাকবে এক দল,

    ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেছেন আহলেহাদীছ তার নাম।

    তাই তো যুবসংঘ করে যাচ্ছে দীর্ঘ সংগ্রাম

    নিশ্চয় সত্যর কাছে মিথ্যার হবে পরাজয়।

    অছিয়তনামা

    -মুহাম্মদ লাবীবুর রহমান

    হয়বৎপুর, পার্বতীপুর, দিনাজপুর।

    জন্ম যখন নিয়েছি এ ধরায়

    মরণ একদিন হবে নিশ্চয়ই।

    তাই মোর আপনজনদের

    অছিয়ত করে যাই

    মরণ-ক্ষণে বসে শিয়রে

    ‘লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হর

    তালক্বীন দিয়ো মোরে।

    এটা ভিন্ন অন্য কিছু

    করো না আমার তরে।

    ইহজীবন শেষে মৃত্যু ঘটলে

    ‘ইন্না-লিল্লাহ...’ পড়ে নিয়ো সকলে,

    কেঁদো না উচ্চৈঃস্বরে বিলাপ করে

    মুখ-বুক চাপড়িয়ে কাপড় ছিঁড়ে।

    ‘শোক সংবাদ’ প্রচার করো না মাইকে,

    মুখে মুখে বা ফোন মারফতে

    জানিয়ে দিয়ো কেবল স্বজনকে।

     গোসল দিয়ো মোর বদন যারা

    বরই পাতা গরম পানি দ্বারা,

    তিন টুকরো কাফনের কাপড়ে

    জড়িয়ে দিয়ো দেহখানি মোর

    শিগগির সারতে দাফনকার্য

    খাটিয়ায় করে স্কন্ধে তুলে

    কোথাও না দাঁড়িয়ে এক গতিতে

    নিয়ে যেয়ো জানাযাস্থলে।

    উচ্চৈঃস্বরে- যিকির তিলাওয়াত

    করো না জানাযা বহনকালে,

    মরণ-চিন্তা স্মরণে এনে

    গম্ভীরভাবে হেঁটো সকলে।

    জানাযা পড়ে রেখে কবরে

    শুধু তিন মুঠি মাটি দিয়ো

    কবর উপরে ‘বিসমিল্লাহ’ বলে ।

    হাত তুলে সম্মিলিত দো‘আ

    করো না কেউ আমার তরে,

    ‘আল্লা-হুম্মাগ ফিরলাহু ওয়া ছাবিবতহু’

    একাকী সবাই নিয়ো পড়ে।

    কুরআনখানি, কুলখানি, চেহলাম, কালেমাখানি,

    চল্লিশা, মৃত্যুবার্ষিকী, ছওয়াব রেসানী

    এরূপ সকল বিদ‘আত ছেড়ে

    দান-ছাদক্বাহ সাধ্যমত করিও মোর তরে।

    কবর-ঘিরে শিরকী কর্ম যত

    সব হ’তে থেকো বিরত,

    তাই জেনে নিয়ো শিরক-বিদ‘আতগুলো

    হে জাতি! স্মরণে রেখ,ছিয়তগুলো।

    জ্ঞানার্জনে তুমি

    -বযলুর রশীদ

    ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ,  রা. বি.।

    কুরআন বলে জ্ঞানার্জনে, তাক্বওয়ার ভীত গড়ো

    আলীম যিনি শিখিয়ে দিবেন বানিয়ে দিবেন হিরো।

    সফল-বিফল রচনাকারী তিনি মহান আল্লাহ

    সকলকাজে পথপ্রর্দশক শেষনবী রাসূলুল্লাহ।

    সবার আগে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করো

    এবার পড়ায় চেষ্টা চালাও পার বা না পারো

    মুমিন তুমি তোমার মাঝে দৃঢ় প্রত্যয় আছে

    শিখতে গিয়ে ব্যর্থ হ’লেও হয় না সময় মিছে।

    হয়োনা হীন-দুর্বল মনা জাগাও  মনে আশা

    যতই বন্ধুর হৌক না সে পথ দিবেন তিনি দিশা

    মুমিনের কাজ হয় না বৃথা এই নীতিতে চলো

    অন্ধকার পথ ঘুচবে তোমার পাবেই পাবে আলো।

    পড়তে থাকো জানতে থাকো তাঁর নামে রব যিনি

    পড়ার আদেশে অহি-র শুরু করেছেন কুরআনে তিনি।

     

     


    HTML Comment Box is loading comments...