• free web stats
  • At-Tahreek
    সাধারণ জ্ঞান (ইসলাম)

    সাধারণ জ্ঞান (ইসলাম)

     

    ১. আদম (আঃ) থেকে নূহ (আঃ) পর্যন্ত কত শতাব্দীর ব্যবধান? উত্তর : দশ শতাব্দী।

    ২. মানবজাতির দ্বিতীয় নবী কে?

    উত্তর : হযরত নূহ (আঃ)।

    ৩. দুনিয়াতে প্রথম রাসূল কে?  উত্তর : হযরত নূহ (আঃ)।

    ৪. নূহ (আঃ)-এর এর কয়টি পুত্র ও তাদের নাম কি?

    উত্তর : সাম, ইয়াফিছ ও ইয়াম বা কেন‘আন।

    ৫. নূহ (আঃ)-এর কোন পুত্র ঈমান আনেনি?

    উত্তর : ইয়াম বা কেন‘আন।

    ৬. নূহ (আঃ) পিতা (আদম (আঃ)-এর কততম অধঃস্তন পুরুষ ছিলেন?  উত্তর : দশম অথবা অষ্টম অধঃস্তন।

    ৭. নূহ (আঃ) কতদিন জীবিত ছিলেন?

    উত্তর : ৯৫০ বছর (সূরা আনকাবুত ১৪)।

    ৮. তিনি মহা প্লাবনের পর কতদিন বেঁচে ছিলেন?

    উত্তর : ৬০ বছর।

    ৯. আবুল আরব বা আরব জাতির পিতা বলা হয় কাকে?

    উত্তর : নূহের বড় পুত্র সামকে।

    ১০. পৃথিবীর প্রথম মূর্তি কোনটি?  উত্তর : ‘ওয়াদ।

    ১১. নূহ কোথায় বসবাস করতেন? উত্তর : ইরাকের মূছলে।

    ১২. নূহ (আঃ) সম্পর্কে কতটি আয়াত বর্ণিত হয়েছে?

    উত্তর : ৮১টি।

    ১৩. নূহ (আঃ) সম্পর্কে কতটি সূরায় বর্ণিত হয়েছে?

    উত্তর : ২৮টি।

    ১৪. পৃথিবীর প্রাচীনতম শিরক কি?

    উত্তর : নেককার মানুষের কবর অথবা তাদের মূর্তিপূজা।

    ১৫. ওয়াদ, সুওয়া‘, ইয়াগূছ, ইয়াঊক্ব ও নাসর কে ছিল?

    উত্তর : আদম ও নূহ (আঃ)-এর মধ্যবর্তী সময়কালের পাঁচজন ব্যক্তি, যারা নেককার ও সৎকর্মশীল বান্দা হিসাবে প্রসিদ্ধ ছিলেন। এইসব নেককার লোকের মুত্যুর পর শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে তাদের পরবর্তীগণ মূর্তি বানিয়ে সরাসরি উপাস্য হিসাবে পূজা শুরু করে দেয়।

    ১৬. কিভাবে ও কোথায় ঐ মূর্তিগুলি ছিল?

    উত্তর : ‘ওয়াদ’ ছিল বনু কালবের জন্য দূমাতুল জান্দালে, সুওয়া‘ ছিল বনু হোযায়েলের জন্য, ইয়াগূছ ছিল বনু গুত্বায়েফ-এর জন্য জুরুফ নামক স্থানে, ইয়া‘ঊক্ব ছিল বনু হামদানের জন্য এবং নাসর ছিল হিমইয়ার গোত্রের বনু যি-কালা এর জন্য’।

    ১৭. নূহ (আঃ)-এর নৌকার আরোহী কারা ছিল?

    উত্তর : জোড় বিশিষ্ট প্রত্যেক প্রাণীর এক এক জোড় করে (হূদ ১১/৪০; মুমিনূন ২৩/২৭)

    ১৮. নূহ (আঃ)-এর জাতি তাঁর বিরুদ্ধে কয়টি আপত্তি তুলেছিল?

    উত্তর : ৫টি; (১) আপনি তো আমাদের মতই একজন মানুষ। নবী হ’লে তো ফেরেশতা হতেন। (২) আপনার অনুসারী হ’ল আমাদের মধ্যকার হীন ও কম বুদ্ধিসম্পন্ন লোকেরা। (৩) কওমের উপরে আপনাদের কোন প্রাধান্য পরিদৃষ্ট হয় না (হূদ ১১/২৭)। (৪) আপনার দাওয়াত আমাদের বাপ-দাদাদের রীতি বিরোধী। (৫) আপনি আসলে নেতৃত্বের অভিলাষী (মুমিনূন ২৩/২৪-২৫)।

    ১৯. নূহ (আঃ) চূড়ান্তভাবে কি বদ দো‘আ করেছিলেন?

    উত্তর : হে প্রভু! পৃথিবীতে একজন কাফের গৃহবাসীকেও তুমি ছেড়ে দিয়ো না’। যদি তুমি ওদের রেহাই দাও, তাহ’লে ওরা তোমার বান্দাদের পথভ্রষ্ট করবে এবং ওরা কোন সন্তান জন্ম দিবে না পাপাচারী ও কাফের ব্যতীত (নূহ ৭১/২৬-২৭)

    ২০. নৌকা ও জাহাজ নির্মাণ শিল্পের গোড়াপত্তন হয় কিভাবে?

    উত্তর : নৌকা তৈরীর জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ ও নির্মাণ কৌশল জিবরীল (আঃ) নূহ (আঃ)-কে শিক্ষা দিয়েছিলেন। এভাবে সরাসরি অহির মাধ্যমে নূহ (আঃ)-এর হাতে নৌকা ও জাহাজ নির্মাণ শিল্পের গোড়াপত্তন হয়।

    ২১. তান্নূর ও তুফান কী?

    উত্তর : ‘তান্নুর’ বলা হয় মূলত উনুন বা চুলাকে। এটি অনারব শব্দ, যাকে আরবী করা হয়েছে। ‘তুফান’ অর্থ যেকোন বস্ত্তর অত্যাধিক্য।

    ২২. নৌকার আরোহী ব্যক্তির সংখ্যা কত ছিল?

    উত্তর : অতীব নগণ্য (হূদ ১১/৪০)। তবে আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত হয়েছে যে, তাদের সংখ্যা ছিল চল্লিশ জন করে পুরুষ ও নারী মোট আশি জন। প্লাবনের পর তারা ইরাকের মূছেল নগরীর যে স্থানটিতে বসতি স্থাপন করেন, তা ‘ছামানূন’ বা আশি নামে খ্যাত হয়ে যায় (কুরতুবী, ইবনু কাছীর; হূদ ৪০ আয়াতের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)

    ২৩. নূহের নৌকাটি কোথায় নোঙর করেছিল?

    উত্তর : ‘জুদী’ পাহাড়ে।

    ২৪. কোন কোন নবীর স্ত্রী জাহান্নামী?

    উত্তর : নূহ ও লূত্ব (আঃ)-এর স্ত্রীদ্বয় (তাহরীম ৬০/১০)

    ২৫. নূহ (আঃ)-এর পুত্র কোন পাহাড়ে আশ্রয় নিয়েছিল?

    উত্তর : ‘ইয়াম’ পাহাড়ে।

    ২৬. নূহের নৌকা কিভাবে চলছিল?

    উত্তর : বিধ্বংসীরূপী প্লাবন এবং পাহাড়ের মত ঢেউয়ের মধ্য দিয়ে নৌকা চলছিল (হূদ ১১/৪০)

    ২৭. নূহের তুফানের সূচনা কোথা শুরু হয়েছিল?

    উত্তর : ইরাকের মূছেল নগরীতে অবস্থিত নূহ (আঃ)-এর পারিবারিক চুলা থেকে পানি উথলে বের হওয়ার আলামতের মাধ্যমেই নূহের তুফানের সূচনা হয়েছিল। এটি প্লাবনের প্রাথমিক আলামত মাত্র।

    ২৮. কোন সূরায় ঐতিহাসিক তুফানের আলোচনা এসেছে?

    উত্তর : সূরা হুদের বারোটি আয়াতে।

    ২৯. ‘আরারাত’ কি?  উত্তর : একটি পর্বতের নাম। 

    ৩০. নূহ (আঃ)-এর তুফানের সাথে সাম্প্রতিককালে ইন্দোনেশিয়ায় ঘটে যাওয়া কোন তুফানের কথা মনে পড়ে?

    উত্তর : ২০০৪ সালে ২৬ শে ডিসেম্বরের ‘সুনামির’ কথা।

     

     


    HTML Comment Box is loading comments...