সাধারণ জ্ঞান (ইসলাম)
১. ইদরীস (আঃ) সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে কোথায় কোথায় বর্ণিত হয়েছে?
উত্তর : পবিত্র কুরআনে হযরত ইদরীস (আঃ) সম্পর্কে সূরা মারিয়াম ৫৬, ৫৭ এবং সূরা আম্বিয়া ৮৫ আয়াতে বর্ণিত হয়েছ।
২. আল্লাহ কাকে প্রথম মানব হিসাবে জ্যোতির্বিজ্ঞান ও অংকবিজ্ঞান দান করা হয়েছিল?
উত্তর : হযরত ইদরীস (আঃ) হলেন প্রথম মানব, যাঁকে মু‘জেযা হিসাব জ্যোতির্বিজ্ঞান ও অংকবিজ্ঞান দান করা হয়েছিল।
৩. তিনি কিভাবে লিখন পদ্ধতি ও সেলাই শিল্পের সূচনা করেন?
উত্তর : তিনিই সর্ব প্রথম মানব, যিনি আল্লাহর ইলহাম মতে কলমের সাহায্যে লিখন পদ্ধতি ও বস্ত্র সেলাই শিল্পের সূচনা করেন।
৪. কোন নবীর আমলে ওযন ও পরিমাপের পদ্ধতি আবিষ্কার হয়?
উত্তর : হযরত ইদরীস (আঃ)-এর আমলে।
৫. ‘আদ সম্প্রদায়ের কতটি পরিবার বো গোত্র ছিল?
উত্তর : ১৩টি।
৬. কোন জাতি ‘আমাদের চেয়ে বড় শক্তিধর (এ পৃথিবীতে) আর কে আছে’ বলে অহংকার করেছিল?
উত্তর : ‘আদ জাতি।
৭. ‘আদ জাতির অমার্জনীয় হঠকারিতার ফলে প্রাথমিক গযব কি ছিল?
উত্তর : উপর্যপরি তিন বছর বৃষ্টিপাত বন্ধ ছিল?
৮. কওমে ‘আদ আল্লাহর কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করলে আসমান কয় ধরণের মেঘ দেখা দিয়েছিল?
উত্তর : ৩ ধরণের; সাদা, কালো ও লাল মেঘ।
৯. তারা কোন ধরণের মেঘ পসন্দ করেছিল?
উত্তর : কালো মেঘ।
১০. ‘আদ জাতির উপর কতদিন ঝড়-তুফান বইতে থাকে?
উত্তর : সাত রাত্রি ও আট দিন ব্যাপী অনবরত ঝড়-তুফান বইতে থাকে।
১১. হযরত ছালেহ (আঃ) কোন কওমের উপর প্রেরিত হন?
উত্তর : ছামূদ জাতির উপর।
১২. কওমে ছামূদ কোন জাতির পর পৃথিবীতে আসে?
উত্তর : ‘আদ জাতির ধ্বংসের প্রায় ৫০০ বছর পরে।
১৩. কওমে ‘আদ ও কওমে ছামূদের বংশধারা কি?
উত্তর : তারা একই দাদা ‘ইরাম’-এর দু’টি বংশ ধারা ছিল।
১৪. কওমে ছামূদ কোথায় বসবাস করত?
উত্তর : আরবের উত্তর-পশ্চিম এলাকায়।
১৫. তাদের প্রধান শহরর নাম কি?
উত্তর : ‘হিজর’ যা শামদেশ অর্থাৎ সিরিয়অর অন্তর্ভুক্ত ছিল।
১৬. বর্তমান একে কী বলা হয়ে থাকে?
উত্তর : ‘মাদায়েনে ছালেহ’।
১৭. তারা কোন বিষয়ে পারদর্শী ছিল?
উত্তর : তারা প্রস্তর খোদায় ও স্থাপত্য বিদ্যায় খুবই পারদর্শী ছিল। সমতল ভূমিতে বিশালকায় অট্টলিকা নির্মাণ ছাড়াও পর্বতগাত্র খোদায় করে তারা নানা রূপ প্রকোষ্ঠ নির্মাণ করত।
১৮. পবিত্র কুরআনের কতটি সূরায় ছালেহ (আঃ) সম্পর্কে আয়াত নাযিল হয়েছে?
উত্তর : ২২টি সূরায়।
১৯. পবিত্র কুরআনে ছালেহ (আঃ) সম্পর্কে কতটি আয়াত নাযিল হয়?
উত্তর : ৮৭টি আয়াত।
২০. ছালেহ (আঃ)-এর উপর কোন শ্রেণীর লোক ঈমান এনেছিল?
উত্তর : কওমের দুর্বল ও দরিদ্র শ্রেণীর লোক।
২১. ছালেহ (আঃ)-এর জাতিরা তাঁর দাওয়াত বন্ধ করার জন্য কী দাবি করেছিল?
উত্তর : আপনি যদি আল্লাহর সত্যিকারের নবী হন, তাহলে আমাদেরকে নিকটবর্তী ‘কাতেবা’ পাহাড়ের ভিতর থেক একটি দশ মাসের গর্ভবতী সবল ও স্বাস্থ্যবতী উষ্টী বের করে এনে দেখান।
২২. ছালেহ (আঃ) আল্লাহর নিকট দো‘আ করায় কি হয়েছিল?
উত্তর : কিছুক্ষণের মধ্যেই পাহাড়ের গায়ে কম্পন দেখা দিল এবং একটি বিরাট প্রস্তর খন্ড বিস্ফোরিত হয়ে তার ভিতর থেকে কওমের নেতাদের দাবীর অনুরূপ একটি গর্ভবতী ও লাবণ্যবতী তরতাযা উষ্ট্রী বেরিয়ে এল।
২৩. আল্লাহ উষ্ট্রীর জন্য এবং লোকদের জন্য কিভাবে পানি বন্টন করেছিলেন?
উত্তর : একদিন উষ্ট্রীর ও পরের দিন লোকদের জন্য। অবশ্য ঐ দিন লোকেরা উষ্ট্রীর দুধ পান করত এবং বাকী দুধ দ্বারা তাদের সব পাত্র ভরে নিত।
২৪. কিভাবে উষ্ট্রীকে হত্যা করা হয়েছিল?
উত্তর : ছামূদ গোত্রের দু’জন পরমা সুন্দরী মহিলা, যারা ছালেহ (আঃ)-এর প্রতি দারণ বিদ্বেষী ছিল, তাদের রূপ-যেীবন দেখিয়ে দু’জন পথভ্রষ্ট যুবককে উষ্ট্রকে হত্যায় রাযী করালো। তারা তীর ও তরাবিরর আঘাত উষ্ট্রীকে পা কেটে হত্যা করে ফেলল।
২৫. কয়জন লোক ছালেহ (আঃ)-কে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল?
উত্তর : কওমের নয়জন নেতা।
২৬. তাদের শাস্তি ধরণ কেমন ছিল?
উত্তর : কওমে ছামূদের অবিশ্বাসী সকলের মুখমন্ডল প্রথম দিন বৃহস্পতিবার হলুদ বর্ণ, পরের দিন শুক্রবার লালবর্ণ তৃতীয় দিন শনিবার ঘোর কৃষ্ণবর্ণ হয়ে গেল। চতুর্থ দিন রবিবার আল্লাহর পক্ষ থেকে ভূমিকম্প শুরু হ’ল এবং উপর থেকে বিকট ও ভয়াবহ এক গর্জন শোনা গেল। তাতেই তারা শুষ্ক খড়কুটোর মত হয়ে গেল।