• free web stats
  • At-Tahreek
    আহলেহাদীছ আন্দোলন

    দক্ষিণ এশিয়ায় আহলেহাদীছ আন্দোলন

     

    ৪- জমঈয়াতুল ইত্তিহাদিল ইসলামী (কেরালা, ভারত)(প্রতিষ্ঠাকালঃ ১৯২২ খৃষ্টাব্দ)

    দক্ষিণ ভারতের মালাবার উপকূলীয় রাজ্য কেরালাতে আহলেহাদীছ আন্দোলন বর্তমানে খুবই জোরদার। ১৯২২ সাল থেকে সেখানে সাংগঠনিকভাবে আন্দোলন চলছে। প্রথম শতাব্দী হিজরীতে ইসলামের আগমনকাল থেকেই এখানে মুসলিম-অমুসলিম স্ব স্ব ধর্মীয় স্বাধীনতা ও পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ নিয়েই বসবাস করে আসছিল। কিন্তু বৃটিশ আমলে রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হিন্দু ও খৃষ্টানী তৎপরতা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। এদের প্রতিষ্ঠিত সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সমূহ এবং রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ এদের প্রচারকেন্দ্র হয়ে ওঠে। অফিস-আদালত সব কিছু এদেরই সক্রিয় পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। এই সময় শিরক ও বিদ‘আতপন্থী মুসলমানেরাও তাদের প্রচারণা বৃদ্ধি করে। ফলে মুসলিম জনগণ কুরআন-হাদীছের প্রকৃত ইল্ম থেকে দূরে চলে যায়। হাদীছপন্থী মুসলমানগণ জীবনের প্রায় সকল গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র থেকে পিছিয়ে পড়ে। এই অবস্থায় অনেকদিন অতিবাহিত হয়।

    আল্লাহর মেহেরবাণীতে এই সময় সাইয়েদ ছানাউল্লাহ মাক্বদা ছাক্বাফাহ (১৮৪৬-১৯১২ খৃঃ) নামক জনৈক সংস্কারকের জন্ম হয়। তিনি খৃষ্টানী তৎপরতার বিরুদ্ধে উন্মুক্ত তরবারির ন্যায় ঝাঁপিয়ে পড়েন। বক্তৃতা ও লেখনীর মাধ্যমে তিনি এদের গোপন ষড়যন্ত্রের মুখোশ উন্মোচন করতে থাকেন। এমনিভাবে মৌলবী আবদুল কাদের ওয়াক্কামী (১৮৭৩-১৯৩২), আল্লামা গঞ্জ আহমাদ জালিয়াতী (মৃঃ ১৯১৯), শায়খ মুহাম্মাদ মাহীন হামাদানী (মৃঃ ১৯২২), শায়খ গঞ্জ বকর মাসলিয়ার, শায়খ আবদুর রহমান হাদীরূস, কবি সাঈদ আলী মাষ্টার, মৌলবী আবদুল করীম প্রমুখ আহলেহাদীছ ওলামায়ে কেরাম তাঁর সাথী হয়ে আন্দোলন শুরু করলেন। আল্লামা গঞ্জ আহমাদ জালিয়াতী ‘ওয়াযকাদ’ (وازكاد) নামক স্থানে মাদরাসা দারুল উলূম কায়েম করেন ও সেখান থেকে আন্দোলন শুরু করেন।

    উপরোক্ত আহলেহাদীছ ওলামায়ে কেরামের আন্দোলনের ফলে ১৯২২ খৃষ্টাব্দে ‘জমঈয়তুল ইত্তিহাদিল ইসলামী’ বা ‘ইসলামী ঐক্য সংস্থা’ নামে কেরালাতে সর্বপ্রথম আহলেহাদীছদের সংগঠন কায়েম হয়। এই সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিল পারস্পারিক ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা এবং আদালত ও প্রশাসনের নিকটে না গিয়ে নিজেদের সমস্যাবলী শরীয়তের বিধান মোতাবেক নিজেরাই সমাধান করা।[1] এজন্য তাঁরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ও গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিতে সভা, সম্মেলন ও সেমিনারের মাধ্যমে গণজাগরণ সৃষ্টি করেন এবং সর্বত্র কুরআন-হাদীছ অনুযায়ী বিশুদ্ধ আক্বীদা ও আমলের প্রচার ও প্রসার ঘটান।

    ৫-জমঈয়াতুল ওলামা (কেরালা, ভারত) (প্রতিষ্ঠাকালঃ ১৯৩২ খৃঃ)

    জমঈয়তে ইত্তেহাদের ব্যাপক প্রচারণার ফলে আহলেহাদীছ ওলামায়ে কেরামের মধ্যে ব্যাপক জাগরণ সূচিত হয়। শিরক ও বিদ‘আত দূরীকরণ ও সালাফে ছালেহীনের আদর্শকে পুনরায় সমাজে প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁরা এগিয়ে আসেন এবং আলেমদেরকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলনকে সমন্বিত করার জন্য ‘জমঈয়তুল ওলামা’ নামক একটি পৃথক ওলামা সংগঠন কায়েম করেন। ‘আল-মুরশিদ’ নামে তাঁরা একটি মুখপত্র প্রকাশ করেন। এর মাধ্যমে তাঁরা খৃষ্ঠানী, কাদিয়ানী ও অন্যান্য বিদ‘আতী ফিৎনাসমূহের রদ করতে থাকেন। এছাড়া অন্যান্য প্রচার কৌশল অবলম্বন করেন। এই জমঈয়ত রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপে অংশগ্রহণ করেনি-যাতে নিজেদের মধ্যে অহেতুক মতবিরোধ ও ফিৎনা-ফাসাদ সৃষ্টি না হয়। জমঈয়তে ওলামার প্রচেষ্টায় রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে মাদরাসা, মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়, বই ও পত্র-পত্রিকা প্রকাশিত হয়, বিভিন্ন মাহফিল-মজলিসে ওয়ায-নছীহতের মাধ্যমে ব্যাপক গণজাগরণ সৃষ্টি হয়। মৌলবী যায়েদ ও মৌলবী মুহাম্মাদ ইবরাহীম বর্তমানে এই সংগঠনের যথাক্রমে সভাপতি ও সম্পাদক।[2]

    ৬-নাদ্ওয়াতুল মুজাহেদীন (কেরালা, ভারত) (প্রতিষ্ঠাকালঃ ১৯৫০খৃঃ)

    মাওলানা মুহিউদ্দীন আল-কাতেব (মৃঃ ১৯৭১ খৃঃ)-এর নেতৃত্বে কেরালায় যখন আহলেহদীছ আন্দোলন তুঙ্গে, তখন তিনি আন্দোলনে সকল স্তরের আহলেহাদীছ জনগণকে যাঁরা দ্বীনের পথে জানমাল দিয়ে জিহাদ করতে আগ্রহী, তাদেরকে শামিল করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন ও প্রধানতঃ তাঁরাই পরামর্শক্রমে ১৯৫০ সালে ‘নাদওয়াতুল মুজাহেদীন’ নামে এক ব্যাপকভিত্তিক আহলেহাদীছ সংগঠন কায়েম হয় এবং ইতিপূর্বে প্রতিষ্ঠিত সকল সংগঠন নবপ্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনের সদস্য হন। মাওলানা মুহীউদ্দীন ও মাওলানা আব্দুস সালাম এর প্রথম সভাপতি ও সম্পাদক হন। বর্তমানে ডঃ ওছমান বিন মুহাম্মাদ মুরকান ও কে, বি, মুহাম্মাদ বিন আহমাদ উক্ত দায়িত্ব পালন করছেন।[3]

    ‘নাদ্ওয়াতুল মুজাহেদীন’ কায়েম হওয়ার পর তাঁকে যুবক, ছাত্র ও মহিলাদেরকে পৃথকভাবে তাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে সংগঠিত করার প্রয়োজন বোধ করেন। এতদুদ্দেশ্যে নাদ্ওয়াতুল মুজাহেদীন যুব, ছাত্র ও মহিলা বিভাগের অধীনে বিভিন্ন সময়ে ‘ইত্তেহাদুশ শুববানিল মুজাহেদীন’ (১৯৬৭ সাল), ‘হারাকাতুত্ তালাবাতিল মুজাহেদীন’ (১৯৭১ সাল) ও ‘হারাকাতুন্ নেসাইল মুসলিমাত’ (১৯৮৭ সাল) কায়েম হয়। বর্তমানে প্রথমোক্তটির সভাপতি ও সম্পাদক হলেন হুসাইন বিন আবুবকর ও সালাহুদ্দীন মাদানী, দ্বিতীয়টির মোস্তফা ফারূকী ও মুহাম্মাদ আলী এবং তৃতীয়টির সভানেত্রী ও সম্পাদিকা হ’লেন আমীনা আম্বারিয়াহ ও খাদীজা নার্গিস।[4] সকল শাখা সংগঠনের যোগাযোগের ঠিকানা হ’ল- মুজাহিদ সেন্টার, কালিকট-২, কেরালা, ভারত। নিম্নে ‘নাদ্ওয়াতুল মুজাহেদীন’-এর বর্তমান তৎপরতার সংক্ষিপ্ত রিপোর্ট প্রদত্ত হ’ল।

    ১। মুজাহেদীনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত জামে মসজিদের সংখ্যা ৪০০ শত।

    ২। দ্বীনী মাদরাসার সংখ্যা প্রায় অনুরূপ।

    ৩। কলেজের সংখ্যা ১৯টি (কলেজগুলির সমবায়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার জন্য কালিকট বিমানবন্দরের পাঁচ কিলোমিটারে দূরে ২৫ বিঘা জমি খরিদ করা হয়েছে)।

    ৪। সংগঠন ৪টিঃ (ক) ওলামা (খ) যুব (গ) ছাত্র (ঘ) মহিলা।

    ৫। পত্রিকা ৩টি। (ক) আল-মানার (মাসিক) নাদ্ওয়াতুল মুজাহেদীনের মুখপত্র। (খ) আশ-শাবান (সাপ্তাহিক) যুবসংগঠনের মুখপত্র। (গ) ইক্রা (মাসিক) ছাত্রসংগঠনের মুখপত্র।

    সবগুলি পত্রিকা কেরালার আঞ্চলিক ‘মালয়ালম’ ভাষায় প্রকাশিত হয়। ‘মাতবা‘আতুল মুজাহেদীন’ ও ‘মাতবা‘আতুশ শাবাব’ নামে দু’টি পৃথক প্রেস রয়েছে।

    ৬। ‘সালাফী সমাজ কল্যাণ সংস্থা  (الجمعية السلفية الخيرية)

    নামে একটি স্ব-শাসিত সমাজকল্যাণ সংস্থা আছে। যার অধীনে একটি আরবী কলেজ, ১টি ইয়াতীমখানা, ১টি দ্বীনী মাদরাসা ও মসজিদ পরিচালিত হয়। কেরালার পালঘাট জেলার অন্তর্গত করিংগানাদ (পোঃ ভিলাইয়ূর) নামক স্থানে এটি অবস্থিত। আবদুল হক সুল্লামী বর্তমানে এই সংস্থার সেক্রেটারী।[5]

    অন্যান্য তথ্যঃ

    ক- কেরালায় আহেলহাদীছ আন্দোলন ও সংগঠনের মূলে যাঁদের অবদান সর্বাধিক তাঁরা হলেন-

    ১। মৌলবী মুহাম্মাদ মাক্বদা ছাক্বাফাহ (مقدي ثقافة) (১৮৪২-১৯১২ খৃঃ) ২। শায়খ মুহাম্মাদ মাহীন হামাদানী (মৃঃ ১৯২২ খৃঃ) ৩। মৌলবী আবদুল করীম ৪। গঞ্জী বকর মাসলিয়ার ৫। কবি সাঈদ আলী কাত্তী মাষ্টার ৬। গঞ্জী আহমাদ আল-জালিয়াতী (মৃঃ ১৯১৯ খৃৎ) ৭। মৌলবী আবদুল কাদের ওয়াক্কামী (১৮৭৩-১৯৩২) ৮। মৌলবী মুহাম্মাদ আল-কাতেব (মৃঃ ১৯৬৭) ৯। শায়খ মুহাম্মাদ (মৃঃ ১৯৭০) ১০। মৌলবী মুহিউদ্দীন (মৃঃ ১৯৭১) ১১। মৌলবী আবদুর রহমান (মৃঃ ১৯৬৪) ১২। এন, এম মৌলবী (মৃঃ ১৯৩৪) ১৩। আনীস মাওলা মানগাদী (মৃঃ ১৯৫৩) ১৪। ওমর আহমাদ মালাবারী ১৫। বী যায়েদ আল-মৌলবী ১৬। মৌলবী আবদুস সালাম ১৭। মৌলবী এ. কে. আবদুল লতীফ ১৮। মৌলবী সাইয়িদ আবদুল ওয়াহ্হাব বুখারী (মৃঃ ১৯৪৫)।

    খ- লেখকবৃন্দ : আহলেহাদীছ আন্দোলনের বিভিন্ন বিষয়ের উপরে কেরালার মত একটি ছোট্ট রাজ্যে আমরা এযাবত (২৩-১-৮৯ ইং পর্যন্ত)  ৯৭ জন লেখকের নাম ও তাদের প্রকাশিত ৩৮২-এর অধিক কিছু বইয়ের তালিকা সংগ্রহ করতে পেরেছি। যাঁদের মধ্যে ১টি হ'তে সর্বোচ্চ ৩৩টি প্রকাশিত বইয়ের লেখকের নাম রয়েছে। আমরা তাঁদের কয়েকজনের নাম উল্লেখ করলাম।[6]

    ১। মৌলবী ছানাউল্লাহ মাক্বদা ছাক্বাফাহ (১৮৪২-১৯১২) ৩৩ খানা ২। কোয়া কূতী তাংগাল আল-বাদূরী ৩৩ খানা

    ৩। মৌলবী এম, সি, সি, আহমাদ ৮ খানা ৪। মৌলবী আবদুল কাদের ওয়াক্কামী ৫ খানা ৫। তৎপুত্র আবদুল কাদের ছানী ৭ খানা ৬। মৌলবী মুহাম্মাদ মুহিউদ্দীন ১৫ খান

    ৭। মৌলবী মুহাম্মা আমানী ১২ খানা ৮। মৌলবী আবদুল কাদের ৮ খানা ৯। মৌলবী ওমর ৭ খানা ১০। আবদুল হক সুল্লামী ৬ খানা ১১। গঞ্জী মুহাম্মাদ ১২ খানা ১২। কে. এম. মৌলবী ১১ খানা ১৩। মাহিন কোতী আলবেযী ৯ খানা ১৪। সি. ভি. এম. হীদরূস ৬ খানা ১৫। কে. কে. মুহাম্মাদ আবদুল করীম ১০ খানা

    গ- গত ১৯৮৭ ১-৪ঠা জানুয়ারী কেরালার কুটিপুরাম শহরে জমঈয়তুল ওলামা, নাদওয়াতুল মুজাহেদীন, ইত্তেহাদুশ শুববান ও হারাকাতুত্ তালাবার সম্মিলিত উদ্যোগে চারদিন ব্যাপী ৩য় আন্তর্তাতিক ‘সালাফী সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে দেশ-বিদেশের ৪০,০০০ ডেলিগেট ও ৫ লক্ষ লোকের মহাসমাবেশ হয় বলে অনুমান করা হয়।[7]

    ঘ-‘মারকাযী জমঈয়তে আহলেহাদীছ হিন্দ’-এর সঙ্গে এখানকার যৎসামান্য সাংগঠনিক সম্পর্ক আছে বলে মনে হয়। কেননা কেরালা জমঈয়তের ওলামার সেক্রেটারী মুহিউদ্দীন মুহাম্মাদ আল-কাতিব ১৯৮৭ সালে মারকাযী জমঈয়তে নায়েবে আমীর ছিলেন।[8]

    বর্তমান ভারতে কেরালা আহলেহাদীছ আন্দোলনের একটি অন্যতম প্রধান কেন্দ্র, যা বিগতযুগে ৮ম ও ৯ম শতাব্দী হিজরীতে বাহমনী (৭৮০-৮৮৬হিঃ/ ১৩৭৮-১৪৭২ খৃঃ) ও মুযাফ্ফরশাহী (৮৬৩-৯৮০/১৪৫৮-১৫৭২) যুগে দক্ষিণ ভারতে জোরদার আহলেহাদীছ আন্দোলনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

    [বিস্তারিত দ্রষ্টব্য : মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব প্রণীত ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন : উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ, দক্ষিণ এশিয়ার  প্রেক্ষিতসহ (পি এইচ.ডি থিসিস) শীর্ষক গ্রন্থ পৃঃ ৩৭১-৩৭৮]

     

    [1]. কে. বি মুহাম্মাদ বিন আহমাদ, ‘আল-হারাকাতুস সালাফিইয়াহ বে-কেরালা’ (তিরূর-কেরালাঃ ইন্দো-আরব প্রেস, ১৯৮২) পৃঃ ১৩; ঐ, ‘নাদ্ওয়াতুল মুজাহিদীন ওয়া আহদাফুহা’ (প্রেস ও সালাবিহীন) পৃঃ ৩-৪।

    [2]. তথ্যঃ আব্দুল হক সুল্লামী, সেক্রেটারী ‘সালাফী সমাজকল্যাণ সংস্থা (الجمعية السلفية الخيرية) কারিংগাদার পোঃ ভিলাইয়ুর, জেলা-পালঘাট, কেরালা, ভারত।-তাং ১৪.৫. ১৯৮৯ খৃঃ।

    [3]. তথ্যঃ প্রাগুক্ত।

    [4]. তথ্যঃ প্রাগুক্ত।

    [5]. তথ্যঃ প্রাগুক্ত, তাং ২৩.১. ১৯৮৯ খৃঃ।

    [6]. তথ্যঃ প্রাগুক্ত।

    [7]. তথ্যঃ সম্মেলনের প্রচারপত্র হ'তে প্রাপ্ত।

    [8]. তথ্যঃ প্রাগুক্ত।

     


    HTML Comment Box is loading comments...