• free web stats
  • At-Tahreek
    সাধারণ জ্ঞান (ইসলাম)

    সাধারণ জ্ঞান (ইসলাম)

     

    ১. প্রশ্ন : নবীগণের মধ্যে কে একমাত্র নবী যার পুরো কাহিনী একটি সূরায় বর্ণিত হয়েছে?

    উত্তর :  হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর কাহিনী সূরা ইউসুফে।

    ২. প্রশ্ন :  হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর তথ্যাদি নিয়ে হযরত মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর উপর কারা সবচেয়ে বেশী কষ্ট দিয়েছিল?

    উত্তর: ইহুদীরা।

    ৩. প্রশ্ন : ইয়াকূব তার সন্তানদের বলল, আমার মৃত্যর পর তোমারা কার ইবাদত করবে?

    উত্তর: উত্তরে তারা বলেছিল,  আমার আপনার উপাস্য এবং আপনার পিতৃ পুরুষ ইব্রাহীম, ইসমাঈল ও ইসহাকের উপাস্যের ইবাদত করব।

    ৪. প্রশ্ন : পবিত্র কুরআনে কোন নবীর কাহিনীকে ‘সুন্দরতম কাহিনী’ বলা হয়? উত্তর : ইউসুফ (আঃ)-এর কাহিনীকে ।

    ৫. প্রশ্ন : ইউসুফ (আঃ)-কে কারা কুয়াতে ফেলে দিয়েছিল ?

    উত্তর : তাঁর ভাইয়েরা ।

    ৬. প্রশ্ন : তারা ইউসুফ (আঃ)-কে কি করতে চেয়েছিল ?

    উত্তর: মেরে ফেলতে চেয়েছিল।

    ৭. প্রশ্ন : তিনি কিভাবে বেঁচে যান?

    উত্তর :  তিনদিন ধরে পথহারা এক ব্যবসায়ী কাফেলা বালতিতে করে কুয়া থেকে তুলে তাকে বাঁচিয়েছিল।

    ৮. প্রশ্ন : ব্যবসায়ীরা তাকে কোথায় কার কাছে বিত্রিু করেছিল?

    উত্তর : ব্যবসায়ীরা তাকে মিসরের রাজধানীতে মিসরের অর্থ ও রাজস্ব মন্ত্রী ক্বিৎফীর কাছে বিত্রিু করে দিয়েছিল।

    ৯. প্রশ্ন: ইউসুফ (আঃ) কোন এলাকার বাসিন্দা ছিলেন?

    উত্তর : কেন‘আন বা ফিলিস্তীনের।

    ১০. প্রশ্ন: ইয়াকুব (আঃ) কত বছর বেছেছিলেন?

    উত্তর : ১৪৭ বছর।

    ১১: ইয়াকুব (আঃ)-কে যেখানে সমাস্থিত করা হয় সে জায়গাটা এখন কি নামে খ্যাত?

    উত্তর : ‘খলীল মহল্লা’ নামে খ্যাত ।

    ১২. প্রশ্ন : রাসূল (ছাঃ) কখন ইউসুফ (আঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করেন ? উত্তর : মি‘রাজের রজনীতে।

    ১৩. প্রশ্ন : ইউসুফ (আঃ)-এর কয়টি সন্তান ছিল এবং তাদের নাম কি? উত্তর : ২টি।১.ইফরাঈম ২.মানশা।

    ১৪. প্রশ্ন : আল্লাহ তা‘য়ালা কাকে বিশ্বের অর্ধেক সৌন্দর্য দান করেছেন ? উত্তর : ইউসুফ (আঃ)-কে।

    ১৫. প্রশ্ন : ইউসুফ (আঃ)-মিসরের সর্বময় ক্ষমতায় বসে সম্রাটকে কি বললেন?

    উত্তর : ইউসুফ (আঃ)-কে মিসরের সর্বময় ক্ষমতায় বসিয়ে বললেন আমি আপনার চাইতে বড় নই, সিংহাসন ব্যতীত।

    ১৬. প্রশ্ন : যখন ইউসুফ (আঃ) বললেন, আমি আপনার চাইতে বড় নই, সিংহাসন ব্যতীত তখন তাঁর বয়স কত ছিল?

    উত্তর: তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ৩০ বছর।

     ১৭.প্রশ্ন: ইউসুফ (আঃ)-এর সময় কাল ছিল ঈসা (আঃ)-আগমনের কত বছর পূর্বে? উত্তর: ১৮ শ’বছর।

    ১৮. প্রশ্ন : সুলায়মান মানছূরপুরী আনুমানিক কত বছরের কথা বলেন? উত্তর: ১৬৮৬ বছর পূর্বেকার।

    ১৯. প্রশ্ন: ইউসুফ (আঃ)-এর সময় থেকেই কোন জাতি  মিসরে বসবাস শুরু করে?

    উত্তর: ইস্রাঈলগণ।

    ২০. প্রশ্ন : পক্ষান্তরে ‘তারীখুল আম্বিয়ার’ লেখক কী বলেন?

    উত্তর: পক্ষান্তরে ‘তারীখুল আম্বিয়ার’ লেখক বলেন, ইউসুফ (আঃ)-এর কাহিনীতে মিসরে যুগ যুগ ধরে রাজত্বকারী ফেরাঊন রাজাদের কোন উল্লেখ না থাকায় অনেকে প্রমাণ করেন যে, ঐ সময় হাকসূস রাজারা ফেরাঊনদের হটিয়ে মিসর দখল করেন এবং দু’শো বছর যাবত তারা সেখানে রাজত্ব করেন । যা ছিল ঈসা (আঃ) এর আবির্ভাবের প্রায় দু’হাযার বছর পূর্বের ঘটনা।

    ২১. প্রশ্ন : হাফেয ইবনু কাছীর বেনিয়ামীন সর্ম্পকে কী বর্ণনা করেন ?

    উত্তর: হাফেয ইবনু কাছীর বর্ণনা করেন যে, ইউসুফ (আঃ) এর জন্মের কিছুকাল পরেই বেনিয়ামীন জন্মগ্রহন করেন।

    ২২. প্রশ্ন : আল্লাহ তা’আলা কাকে এত বেশী রুপ-লাবণ্য দান করেছিলন যে, যেই-ই তাকে দেখত, সেই-ই তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ত ?  উত্তর:  ইউসুফ (আঃ)-কে ।

    ২৩. প্রশ্ন : ইউসুফ (আঃ) বালক বয়সে স্বপ্নে কি দেখেছিল ?

    উত্তর: ইউসুফ (আঃ) বালক বয়সে স্বপ্নে নক্ষত্র ও সূর্য দেখেছিল ।

    ২৪. প্রশ্ন : ইউসুফ (আঃ) স্বপ্নে কতটি নক্ষত্র দেখেছিল ?

    উত্তর: ১১টি।

    ২৫. প্রশ্ন : ইউসুফ (আঃ)-এর স্বপ্নে নক্ষত্র ও সূর্য, তাকে কি করেছিল ?  উত্তর: তাকে সিজদা করেছিল।

    ২৬. প্রশ্ন : স্বপ্নটি দেখার পর ইউসুফ (আঃ)-কে তার পিতা কি বলেছিল ?

    উত্তর: স্বপ্নটি দেখার পর ইউসুফ (আঃ)-কে তাঁর পিতা বলেছিল, বৎস! তোমার ভাইদের সামনে এ স্বপ্ন  বর্ণনা করো না । তাহ’লে ওরা তোমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করবে। নিশ্চই শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু।

    ২৭. প্রশ্ন : ইবনু আববাস (রাঃ) ও ক্বাতাদাহ কী বলেন?

    উত্তর: ইবনু আববাস (রাঃ) ও ক্বাতাদাহ বলেন, এগারোটি নক্ষত্রের অর্থ হচ্ছে ইউসুফ (আঃ)-এর এগারো ভাই এবং সূর্য ও চন্দের অর্থ পিতা ও মাতা বা খালা।

    ২৮. প্রশ্ন : এ স্বপের ব্যাখ্যা কখন প্রকাশ পায়?

    উত্তর: এ স্বপের ব্যাখ্যা প্রকাশ পায় যখন মিসরে পিতা-পুত্রের মিলন হয়।

    ২৯. প্রশ্ন: ইউসুফ (আঃ) কত বছর বয়সে মারা গিয়েছিল?

    উত্তর: ১১০ বছর বয়সে।

    ৩০. প্রশ্ন : তিনি কোথায় সমাধিস্থ হন?

    উত্তর: তিনি হেবরনে সমাধিস্থ হওয়ার জন্য সন্তানদেরকে অছিয়ত করে যান।

     


    HTML Comment Box is loading comments...