• free web stats
  • At-Tahreek
    সাধারণ জ্ঞান (ইসলাম)

    শী‘আ মতবাদ

    ১. শী‘আ শব্দের অর্থ কি?

    উত্তর : অনুসারী, গোষ্ঠী, সাহায্যকারী ইত্যাদি।

    ২. কিভাবে শী‘আ মতবাদের সৃষ্টি হয়?

    উত্তর : আলী (রাঃ) ও মু‘আবিয়া (রাঃ)-এর দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্ত শী‘আ মতবাদের জন্ম হয়।

    ৩. শী‘আরা প্রথমত কি নিয়ে বাড়াবাড়ি করে?

    উত্তর : রাষ্ট্রীয় ইমাম বা নেতা নিযুক্তির ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করে।

    ৪. শী‘আরা কাকে অছী বলে দাবী করে?

    উত্তর : আলী (রাঃ)-কে তারা অছী বলে দাবি করে।

    ৫. শী‘আরা  রাষ্ট্র ক্ষমতাকে কি মনে করে?

    উত্তর : ইসলামের রুকন সমূহের একটি রুকন মনে করে (আল-ফারকু বায়নাল ফিরাক পৃঃ ৩৫৯)। 

    ৬. শী‘আদের  ফেৎনা কোত্থেকে প্রকাশিত হয়েছিল?

    উত্তর : ইরাকের কূফা থেকে।

    ৭. শী‘আ মতবাদের সূচনা হয়েছিল কি দিয়ে?

    উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-এর পরিবারের উপর মিথ্যা অপবাদ ও কটূক্তির মাধ্যমে (বুখারী হা/ ৩৭৫৩)

    ৮. কে বলেছেন শী‘আরা মুসলমান নয়?

    উত্তর : আব্দুল করীম শহরাস্তানী (৪৭৯-৫৪৮ হিঃ) । 

    ৯. তিনি তাদের সম্পর্কে কি বলেছেন?

    উত্তর : ‘শী‘আদের দাবী সমূহ কুরআনের উপর দলীল নয়, মুসলিমদের উপরও নয়। কারণ শী‘আরা মুসলিমদের অর্ন্তভুক্ত নয়’ (আল-মিলাল ওয়ান নিহাল ২/৭৮)

    ১০. ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) (৬৬১-৭২৮ হিঃ) শী‘আ রাফেযীদের সম্পর্কে কি বলেছেন?

    উত্তর : ‘রাফেযী ফের্কা মানুষের মধ্যে বড় মিথ্যাবাদী। আর  এটা তাদের প্রাচীন অভ্যাস’ (মিনহাজুস সুন্নাহ, ১ম খন্ড, পৃঃ ২৫)

    ১১. এদের ব্যাপারে ইমাম ইবনু হাযম  আন্দালুসী (৩৮৪-৪৫৬ হিঃ) কি বলেছেন?

    উত্তর : ‘রাফেযীদের দাবী সমূহের অন্যতম হ’ল, কুরআনের ইবারতের পরিবর্তন। কারণ তারা  ইসলামের অন্তর্ভুক্ত নয়; বরং তারা  নতুন একটি ফের্কা। এটি এমন একটি দল যারা মিথ্যাচার ও কুফরীর দিক থেকে ইহুদী-খ্রীষ্টানদের স্রোতে পরিচালিত হয়’ (আল-ফিছাল ফিল মিলাল ২য় খন্ড, পৃঃ ৬৫)

    ১২. আলী (রাঃ)-কে তারা কি মনে করে?

    উত্তর : তারা আলী (রাঃ)-কে প্রথম

    খলীফা হিসাবে বিশ্বাস করে।

    ১৩. আল্লাহর ব্যাপারে শী‘আরা কি ধরনের বিশ্বাস পোষণ করেন? 

    উত্তর : (ক) আল্লাহ কখনো কখনো ভুলও করেন মিথ্যাও বলেন (ইয়াকূব কুলায়নী, উছূল-ই-কাফী, পৃঃ ৩২৮)।

    (খ) আমরা আল্লাহকে বিশ্বাস করি না (আনওয়ারুন নুমানিয়্যাহ, পৃঃ ২৭৮)।

    ১৪.  সম্মানিত ছাহাবীদের ব্যাপারে তাদের আক্বীদা কি?

    উত্তর : ছাহাবীরা মুনাফিক (ইহতিযাযে তিবরী, পৃঃ ৩৮২)। সমস্ত ছাহাবার মৃত্যুর পর  সবাই মুরতাদ হয়ে যাবে শুধুমাত্র তিন জন ব্যতীত (রওযায়ে কাফী, পৃঃ ২৪৫)

    বিশেষ করে আনাস  বিন মালেক (রাঃ), আবু হুরায়রা (রাঃ), আমর বিন আ‘ছ (রাঃ), আমীর মু‘আবিয়া (রাঃ),ও আয়েশা (রাঃ) সৃষ্টির সেরা নিকৃষ্ট মানুষ (মাকামাতে হুসাইনী, পৃঃ ৫৯)।

    ১৫. কুরআন সম্পর্কে তাদের  আক্বীদা কি?

    উত্তর : যে ব্যক্তি বলবে বর্তমান  কুরআন পরিপূর্ণ সে একজন মিথ্যুক। কেননা পূর্ণাঙ্গ কুরআন হ’ল আলীর কুরআন আর তা ইমাম মাহদী নিয়ে আসবে (নূরী তিবরী, ফাছলুফীল কিতাব তাহরীফ কিতাব রাবউল আরবাব, পৃঃ ৪)

    ১৬. আবুবকর (রাঃ) সম্পর্কে তাদের আক্বীদা সমূহ বর্ণনা কর।

    উত্তর : (ক) আবু বকর (রাঃ) কাফির এবং যে ব্যক্তি আবু বকর (রাঃ)-কে ভালবাসে সেও কাফের (ফিক্বহুল ইয়াক্বীন, বাকের মাজলিসি পৃঃ ৬৯০) (খ) আবু বকর (রাঃ) কাফির এবং যিন্দীক (কাশফুল আসরার, খামিনী পৃঃ ৬৯) (গ) আবু বকর (রাঃ) ও মির্যা গোলাম আহমাদ কাদিয়ানী মধ্যে কোন তফাৎ নেই (গোলাম হুসাইন নাজফী, লাজির ফিদক, পৃঃ ৬৯০) (ঘ) আবু বকর (রাঃ)  ইবলীসের এজেন্ট (হুলইয়াতুল মাতিন, মোল্লা বাকের মাজলিসী)। (ঙ) ইমাম মাহদী ফিরে আসলে আবু বকর (রাঃ)-কে ফাঁসিতে ঝুলাবে (মাযমাউল মা‘রিফ পৃঃ ৪৯)। (চ) যদি জিবরাঈল (আঃ) এবং মিকাঈল (আঃ) আবু বকর (রাঃ)-কে ভালবাসে তাহ’লে তারাও জাহান্নামে যাবে (আমীর মুখতার, পৃঃ ৮, মির্জা বাসরাত হুসাইন) (ছ) আমরা আল্লাহ, তাঁর নবী ও খলীফা আবু বকর (রাঃ)-কে বিশ্বাস করি না  (আনওয়ারুন নুমানিয়্যাহ, পৃঃ ২৭৮)।

    ১৭. ওমর (রাঃ) সম্পর্কে তাদের আক্বীদা সমূহ বর্ণনা কর।    উত্তর : (ক) ওমর (রাঃ) প্রকৃত কাফির এবং যিন্দীক (খামিনী,  কাশফুল আসরার, পৃঃ ১১৯)। (খ) ওমর (রাঃ) ইবলীসের এজেন্ট (হুলইয়াতুল মাতিন, মোল্লা বাকের মাজলিসী)। (গ) ইমাম মাহদী ফিরে আসলে ওমর (রাঃ)-কে ফাঁসিতে ঝুলাবে (মাজমাঊল মা‘আরিফ পৃঃ ৪৯)।

    ১৮. রাসূল (ছাঃ)-এর মৃত্যুর ব্যাপারে তারা কাদেরকে দোষারোপ করেন?

    উত্তর : আয়েশা ও হাফছা রাসূল (ছাঃ)-কে বিষ প্রয়োগে হত্যা করেছে (হায়াতুল ক্বুলুব পৃঃ ৮৭০, বাকের মাজলিসী)। দু’জন পুরুষ মুনাফিক (আবুবকর, ওমর), আর দু’জন মহিলা মুনাফিক  (আয়েশা, হাফছা) তারা সকলে মিলে রাসূল (ছাঃ)-কে বিষ প্রয়োগে হত্যা করেছে’ (হায়াতুল ক্বুলুব পৃঃ ৭৪৫ বাকের মাজলিসী)

    ১৯. নবীদের সম্পর্কে শী‘আদের আক্বীদা কি?

    উত্তর : সমস্ত নবী, ফেরেশতা বার ইমামের দাস শুধুমাত্র মুহাম্মাদ (ছাঃ) ব্যতীত (খালিদ মানেযরা পৃঃ ৩৫, বারাকাতে আলী) সমস্ত নবীদের শিক্ষক হ’ল বার ইমাম শুধুমাত্র মুহাম্মাদ (ছাঃ) ব্যতীত (মাজমুয়ায়ে মাজলিসী পৃঃ ২৯)। সমস্ত নবী মৃত থেকে জীবিত হয়ে আলীর নেতৃত্বে জিহাদ করবে (তাফসীরে আয়াশী, পৃঃ ১৮১)।

    ২০. খালিদ বিন ওয়ালিদ সম্পর্কে তাদের ধারণা কি?

    উত্তর : খালিদ বিন ওয়ালিদ সাইফুল্লাহ নয় বরং সাইফুশ-শয়তান (মানাযিরু বাগদাদ, পৃঃ ১০০)

    ২১. কারা তাদের ইমাম তথা নেতাকে নবীদের মত মা‘ছূম বা নিষ্পাপ মনে করে?

    উত্তর : শী‘আরা তাদের ইমাম তথা নেতাকে নবীদের মত মা‘ছূম বা নিষ্পাপ মনে করে।

     

     


    HTML Comment Box is loading comments...