মানব সেবা
আল-কুরআনুল কারীম :
1- يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا ارْكَعُوا وَاسْجُدُوا وَاعْبُدُوا رَبَّكُمْ وَافْعَلُوا الْخَيْرَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ-
(১) ‘হে মুমিনগণ! তোমরা রুকু কর, সিজদা কর ও তোমাদের পালনকর্তার ইবাদত কর। আর তোমরা সৎকর্ম সম্পাদন কর যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার’ (হাজ্জ ২২/৭৭)।
2- يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَيَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَيُسَارِعُونَ فِي الْخَيْرَاتِ وَأُولَئِكَ مِنَ الصَّالِحِينَ- وَمَا يَفْعَلُوا مِنْ خَيْرٍ فَلَنْ يُكْفَرُوهُ وَاللَّهُ عَلِيمٌ بِالْمُتَّقِينَ-
(২) ‘তারা আল্লাহ ও ক্বিয়ামত দিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখে। তারা সৎকাজের আদেশ দেয় ও মন্দকাজে নিষেধ করে এবং কল্যাণকর্ম সমূহের প্রতি দ্রুত ধাবিত হয়। আর তারা হ’ল সৎকর্মশীলগণের অন্তর্ভুক্ত। আর তারা যে সৎকর্মসমূহ করবে, তা কখনোই অস্বীকার করা হবে না। বস্ত্ততঃ আল্লাহ ভীরুদের সম্পর্কে সম্যক অবহিত’(আলে ইমরান ৩/১৪-১৫)।
3- لِكُلٍّ جَعَلْنَا مِنْكُمْ شِرْعَةً وَمِنْهَاجًا وَلَوْ شَاءَ اللَّهُ لَجَعَلَكُمْ أُمَّةً وَاحِدَةً وَلَكِنْ لِيَبْلُوَكُمْ فِي مَا آتَاكُمْ فَاسْتَبِقُوا الْخَيْرَاتِ إِلَى اللَّهِ مَرْجِعُكُمْ جَمِيعًا فَيُنَبِّئُكُمْ بِمَا كُنْتُمْ فِيهِ تَخْتَلِفُونَ-
(৩) ‘প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য আমরা পৃথক বিধান ও পন্থা নির্ধারণ করেছি। আল্লাহ চাইলে তোমাদের সবাইকে এক দলভুক্ত করে দিতেন। কিন্তু তিনি চান তোমাদেরকে যে বিধানসমূহ দিয়েছেন, তাতে তোমাদের পরীক্ষা নিতে। অতএব তোমরা আল্লাহর আনুগত্যপূর্ণ কর্মসমূহে প্রতিযোগিতা কর। (মনে রেখ) আল্লাহর নিকটে তোমাদের সকলের প্রত্যাবর্তন স্থল। অতঃপর তিনি তোমাদেরকে অবহিত করবেন যেসব বিষয়ে তোমরা মতভেদ করতে’ (মায়েদাহ ৫/৪৮)।
4- هَا أَنْتُمْ هَؤُلَاءِ تُدْعَوْنَ لِتُنْفِقُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَمِنْكُمْ مَنْ يَبْخَلُ وَمَنْ يَبْخَلْ فَإِنَّمَا يَبْخَلُ عَنْ نَفْسِهِ وَاللَّهُ الْغَنِيُّ وَأَنْتُمُ الْفُقَرَاءُ وَإِنْ تَتَوَلَّوْا يَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَيْرَكُمْ ثُمَّ لَا يَكُونُوا أَمْثَالَكُمْ-
(৪) ‘তোমরাই তো তারা, তোমাদের আহবান করা হচ্ছে যে তোমরা আল্লাহর পথে ব্যয় করবে। অথচ তোমাদের কেউ কেউ কার্পন্য করছে। তবে যে কার্পন্য করছে সে তো নিজের প্রতিই কার্পন্য করছে। আর আল্লাহ অভাবমুক্ত এবং তোমরা অভাবগ্রস্থ। যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে তিনি তোমাদের ছাড়া অন্য কোন সম্প্রদায়কে স্থলাভিষিক্ত করবেন, এরপর তারা তোমাদের অনুরূপ হবে না’ (মুহাম্মাদ ৪৭/৩৮) ।
5- وَجَعَلْنَاهُمْ أَئِمَّةً يَهْدُونَ بِأَمْرِنَا وَأَوْحَيْنَا إِلَيْهِمْ فِعْلَ الْخَيْرَاتِ وَإِقَامَ الصَّلَاةِ وَإِيتَاءَ الزَّكَاةِ وَكَانُوا لَنَا عَابِدِينَ-
(৫) ‘আর আমরা তাদেরকে নেতা করেছিলাম। যারা আমাদের নির্দেশ অনুযায়ী মানুষকে পথ প্রদর্শন করত। আমরা তাদেরকে প্রত্যাদেশ করেছিলাম সৎকর্ম করতে, ছালাত করতে এবং যাকাত প্রদান করতে। আর তারা আমাদেরই ইবাদত করত’(আম্বিয়া ২১/৭৩)।
হাদীছে নববী :
6- أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ رضى الله عنهما أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ الْمُسْلِمُ أَخُو الْمُسْلِمِ، لاَ يَظْلِمُهُ وَلاَ يُسْلِمُهُ، وَمَنْ كَانَ فِى حَاجَةِ أَخِيهِ كَانَ اللَّهُ فِى حَاجَتِهِ، وَمَنْ فَرَّجَ عَنْ مُسْلِمٍ كُرْبَةً فَرَّجَ اللَّهُ عَنْهُ كُرْبَةً مِنْ كُرُبَاتِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ، وَمَنْ سَتَرَ مُسْلِمًا سَتَرَهُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ-
(৬) আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তার উপর যুলুম করবে না এবং তাকে যালিমের হাতে সোপর্দ করবে না। যে কেউ তার মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজনে যতক্ষণ থাকবে আল্লাহ তার প্রয়োজনে ততক্ষণ থাকবেন। যে কেউ তার ভাইয়ের অভাব পূরণ করবে, আল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামতের দিন তার বিপদসমূহ দূর করবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দোষ ঢেকে রাখবে, আল্লাহ ক্বিয়ামতের দিন তার দোষ ঢেকে রাখবেন’।[1]
7- عَنْ أَبِي أُمَامَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَنَائِعُ الْمَعْرُوفِ تَقِي مَصَارِعَ السُّوءِ، وَصَدَقَةُ السِّرِّ تُطْفِئُ غَضَبَ الرَّبِّ، وَصِلَةُ الرَّحِمِ تَزِيدُ فِي الْعُمُرِ-
(৭) আবু উমামা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বললেন, রাসূল (ছাঃ) বলেন, মানব-কল্যাণমুখী কর্ম বিপদাপদ ও অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে, গোপন দান আল্লাহর ক্রোধ নির্বাপিত করে, রক্তসম্পর্কীয় আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা আয়ু বৃদ্ধি করে’।[2]
8- عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَجُلًا جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ, فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ أَيُّ النَّاسِ أَحَبُّ إِلَى اللهِ؟ وَأَيُّ الْأَعْمَالِ أَحَبُّ إِلَى اللهِ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَحَبُّ النَّاسِ إِلَى اللهِ تَعَالَى أَنْفَعُهُمْ لِلنَّاسِ، وَأَحَبُّ الْأَعْمَالِ إِلَى اللهِ تَعَالَى سُرُورٌ تُدْخِلُهُ عَلَى مُسْلِمٍ، أَوْ تَكَشِفُ عَنْهُ كُرْبَةً، أَوْ تَقْضِي عَنْهُ دَيْنًا، أَوْ تَطْرُدُ عَنْهُ جُوعًا، وَلَأَنْ أَمْشِيَ مَعَ أَخِي فِي حَاجَةٍ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَعْتَكِفَ فِي هَذَا الْمَسْجِدِ يَعْنِي مَسْجِدَ الْمَدِينَةِ شَهْرًا وَمَنَ كَفَّ غَضَبَهُ سَتَرَ اللهُ عَوْرَتَهُ، وَمَنْ كَظَمَ غَيْظَهُ، وَلَوْ شَاءَ أَنْ يُمْضِيَهُ أَمْضَاهُ مَلَأَ اللهُ قَلْبَهُ رَجَاءً يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَمَنْ مَشَى مَعَ أَخِيهِ فِي حَاجَةٍ حَتَّى يَتَهَيَّأَ لَهُ أَثْبَتَ اللهُ قَدَمَهُ يَوْمَ تَزُولُ الْأَقْدَامِ وَإِنَّ الْخُلُقَ السَّيِّئَ يُفْسِدُ الْأَعْمَالَ كَمَا يُفْسِدُ الْخَلُّ الْعَسَلَ-
(৮) আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, একজন ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! কোন মানুষ আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় এবং কোন আমল আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয়? তিনি বললেন, আল্লাহর নিকট সেই ব্যক্তিই সবচেয়ে প্রিয় যে মানুষের সবচেয়ে বেশী উপকার করে। আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় নেক আমল হলো কোন মুসলমান ভাইয়ের হৃদয়ে আনন্দ প্রবেশ করানো, অথবা তার বিপদ, কষ্ট বা উৎকন্ঠা দূর করা, অথবা তার ঋণ আদায় করে দেওয়া, অথবা তার ক্ষুধা মিটিয়ে দেয়া। আমার কোন ভাইয়ের কাজে তার সাথে একটু হেঁটে যাওয়া আমরা কাছে এই মসজিদে অর্থাৎ মসজিদে নববীতে একমাস ই‘তিকাফ করার চেয়েও বেশী প্রিয়। যে ব্যক্তি তার ত্রেুাধকে দমন করে রাখবে আল্লাহ তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন। আর নিজের ক্রোধ কার্যকর করার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও যে তার রাগকে সংবরণ করে, ক্বিয়ামতের দিন মহিমাময় আল্লাহ তার অন্তরকে নিরাপত্তা ও সন্তুষ্টি দিয়ে ভরে দিবেন। যে ব্যক্তি তার কোন ভাইয়ের সাথে যেয়ে তার প্রয়োজন মিটিয়ে দেবে কিয়ামতের কঠিন দিনে যেদিন পুল-সিরাতের উপরে সকলের পা পিছলে যাবে সেদিন আল্লাহ তার পা সুদৃঢ় রাখবেন। সিরকা বা ভিনিগার যেমন মধু নষ্ট করে দেয় তেমনিভাবে অসৌজন্যমূলক আচরণ মানুষের নেক কর্ম বিনষ্ট করে দেয়’।[3]
9- عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يَقُولُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَا ابْنَ آدَمَ مَرِضْتُ فَلَمْ تَعُدْنِى. قَالَ يَا رَبِّ كَيْفَ أَعُودُكَ وَأَنْتَ رَبُّ الْعَالَمِينَ. قَالَ أَمَا عَلِمْتَ أَنَّ عَبْدِى فُلاَنًا مَرِضَ فَلَمْ تَعُدْهُ أَمَا عَلِمْتَ أَنَّكَ لَوْ عُدْتَهُ لَوَجَدْتَنِى عِنْدَهُ يَا ابْنَ آدَمَ اسْتَطْعَمْتُكَ فَلَمْ تُطْعِمْنِى. قَالَ يَا رَبِّ وَكَيْفَ أُطْعِمُكَ وَأَنْتَ رَبُّ الْعَالَمِينَ. قَالَ أَمَا عَلِمْتَ أَنَّهُ اسْتَطْعَمَكَ عَبْدِى فُلاَنٌ فَلَمْ تُطْعِمْهُ أَمَا عَلِمْتَ أَنَّكَ لَوْ أَطْعَمْتَهُ لَوَجَدْتَ ذَلِكَ عِنْدِى يَا ابْنَ آدَمَ اسْتَسْقَيْتُكَ فَلَمْ تَسْقِنِى. قَالَ يَا رَبِّ كَيْفَ أَسْقِيكَ وَأَنْتَ رَبُّ الْعَالَمِينَ قَالَ اسْتَسْقَاكَ عَبْدِى فُلاَنٌ فَلَمْ تَسْقِهِ أَمَا إِنَّكَ لَوْ سَقَيْتَهُ وَجَدْتَ ذَلِكَ عِنْدِى-
(৯) আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা বলবেন, হে বনী আদম! আমি অসুস্থ হয়েছিলাম, তুমি আমাকে দেখোনি, সে বলবে: হে আল্লাহ আপনাকে কিভাবে দেখব, অথচ আপনি সমস্ত জগতের প্রতিপালক? তিনি বলবেন, তুমি জান না আমার অমুক বান্দা অসুস্থ হয়েছিল তুমি তাকে দেখোনি, তুমি জান না যদি তাকে দেখতে আমাকে তার নিকট পেতে? হে বনী আদম! আমি তোমার নিকট খাদ্য চেয়েছিলাম তুমি আমাকে খাদ্য দাওনি, সে বলবে, হে আমার রব, আমি কিভাবে আপনাকে খাদ্য দিব অথচ আপনি সমস্ত জগতের প্রতিপালক? তিনি বলবেন, তুমি জান না আমার অমুক বান্দা তোমার নিকট খাদ্য চেয়েছিল তুমি তাকে খাদ্য দাওনি, তুমি জান না যদি তাকে খাদ্য দিতে তা আমার নিকট অবশ্যই পেতে। হে বনী আদম! আমি তোমার কাছে পানি চেয়েছিলাম তুমি আমাকে পানি দাওনি, সে বলবে, হে আমার রব কিভাবে আমি আপনাকে পানি দেব অথচ আপনি সমস্ত জগতের প্রতিপালক? তিনি বলবেন, আমার অমুক বান্দা তোমার নিকট পানি চেয়েছিল তুমি তাকে পানি দাওনি, মনে রেখ যদি তাকে পানি দিতে তা আমার নিকট অবশ্যই পেতে’।[4]
মনীষীদের বক্তব্য :
১. ইবনু আছীর (রহঃ) বলেন, ‘আবু বকর (রাঃ) যখন খেলাফতে অধিষ্ঠিত হ’লেন তখন তিনি প্রত্যেক দিন মদীনার অদূরে একটি বাড়িতে আসতেন যে বাড়িতে বৃদ্ধ ও অন্ধরা বসবাস করত। তিনি সেখানে এসে তাদের জন্য খাবার রান্না্ করতেন, ঘরবাড়ি ঝাঁড়ু দিতেন। তারা জানতই না লোকটি কে?’।[5]
২. মুহিবুত তাবারী (রহঃ) বলেন, ‘হযরত ওমর (রাঃ) যখন খলীফা হ’লেন তখন তিনি তাঁর প্রজাদের খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য বের হতেন। একদিন তিনি ইয়াতীম ও বিধবাকে ক্ষুধায় কান্নাকাটি করতে দেখলেন। তিনি নিজে কাঁধে করে বায়তুল মাল নিয়ে আসলেন, রান্না করে খাওয়ালেন ও তাদের হাসালেন’।[6]
৩. শামসুদ্দীন যাহাবী (রহঃ) বলেন, ‘আব্দুল্লাহ ইবনু মুবারক ঋণদাতাকে ঋণগ্রহীতার পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধ করে দিতেন এই শর্তে যে, ঋণগ্রহীতাকে তার নাম সে বলবে না’।[7]
সারবস্ত্ত :
১. মানবসেবার মাধ্যমে পার্থিব বালা-মুছীবত দূরীভূত হয়।
২. মানবসেবায় পাপ মুক্তি ও আখেরাতের বিভীষিকাময় অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় ।
৩. এতে আধ্যত্মিকতায় ও আমলে অসাধারণ ব্যক্তিতে পরিণত হওয়া।
৪. সর্বোপরি মানবসেবা জান্নাত লাভের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাধ্যম।
[1]. বুখারী হা/২৪৪২; মুসলিম হা/৬৭৪৩; মিশকাত হা/৪৯৫৮।
[2]. মু‘জামুল কাবীর হা/৮০১৪; ছহীহুল জামে‘ হা/৭২৪৪।
[3]. মু‘জামুল কাবীর হা/১৩৬৪৬; সিলসিলা ছহীহাহ হা/৯০৬।
[4]. মুসলিম হা/৬৭২১; মিশকাত হা/১৫২৮।
[5]. উসদুল গাবাহ ৩/৩২৭ পৃঃ।
[6]. রিয়াযুন নাযরাহ ১/৩৮৫ পৃঃ।
[7]. সিয়ারু আ‘লামুন নুবালা ৮/৩৮৬ পৃঃ।