আল্লাহর ফরমান
-মুহাম্মাদ শাহজাহান আলী
মহেস্বরপাশা বাযার, বিআইটি, দৌলতপুর,খুলনা।
আমার দেশের এই মাটি, বায়ু
সকল দেশের সেরা
দামে যেন হীরা।
জন্মের পর আল্লাহর রহমে
পেয়েছি খাঁটি এ মাটি
প্রথম চরণ রেখে এ মাটিতে
হামাগুড়ি হাটাহাটি।
এ মাটিতে গোড়া ফল, ফুল, পানি
আমার শরীরে বহমান
খেদমাতে তার পেয়ে যাব আমি
দেশ প্রেমের সম্মান।
এ মাটি আমার মাতৃভূমি
হাযার বছর ধরে
এ মাটির বুকে দেহ রেখে আমি
যেতে চাই পরপারে।
সে আদি পুরুষ আদবের সাথে
জানাই সালাম বারংবার
যাঁর অসীলায় পেয়েছি এ দেশ
খলজী বীর সে বখতিয়ার।
এই মাটিতে সৃষ্টি সবার
এ মাটিতে হবে শেষ শয়ন
এই মাটিতে থেকে উঠতে হবে
এটাই আল্লাহর ফরমান।
শেষ রজনীর মিলন
-আতিয়ার রহমান
মাদরা, সোনাবাড়িয়া, কলারোয়া, সাতক্ষীরা।
অসীমের এক চুম্বক আকষর্ণে
টুটে যায় সুখের নিদ্রা।
প্রিয়তমর সমধুর সম্ভাষণ
প্রবেশ করে কর্ণ কূহরে,
আর নয় নিদ্রা এবার উঠো,
অলসতা ঝেড়ে ফেলো।
মিলনের এটাই তো সুবর্ণ সময়
সারা দিবস কর্ম ক্লান ব্যস্ততায়
হৃদয়ের অভিব্যক্তিগুলো
প্রকাশের সুযোগ মেলেনা একটুও
নিরিবিলি নিস্তব্ধ নিশিথে
প্রাণ খুলে কথা বলো আমার সাথে।
তোমার কথাগুলো সব শুনবো,
শুনতেও আমার ভালো লাগে খুব,
চিন্তা করছো? কিসের চিন্তা?
শক্তি আর ভক্তি যার বাহুর হাতিয়ার
পৃথিবী তার পদতলে থাকবেই।
মায়াবী আহবান প্রত্যাখ্যাত হয়না মোটেও
সূচী সুদ্ধ দেহ ও মন নিয়ে
একান্তে নিমগ্ন হয় বন্ধুর ধ্যানে,
এক মুহুর্তে উবে যায় মনের বিহবলতা,
দূরে যায় দুশ্চিন্তা কঠিন পাহাড়,
অফুরান-অনাবিল তৃপ্তিতে ভরে যায় মন
খরস্রোতা নদীর মিলন অথই সাগরে।
ন্যায্য অধিকারের দাবী
- এফ.এম নাছরুল্লাহ
কাঠিগ্রাম, কোটালীপাড়া গোপালগঞ্জ।
ওরা বাঁচতে চায় ওরা মরতে চায়না
ওরা অন্ন চায় ওরা বস্ত্র চায়না।
ওরা কর্ম চায় ওরা সুখ চায়না
ওরা দুখের সাগরে আর ভাসতে চায়না।
ওদের ন্যায্য অধিকার এ দেশের মানুষ
কেন আজও দেয়না।
চারদিকে এ কোন অত্যাচারী হায়না।
ওরা একটু শান্তি চায় যা কখনো পায়না।
ওরা অনাহারী থেকেও কভু কারো কাছে
হাত পাততে চায়না।
ওরা দেশকে ভালবাসে কখনো অভিশাপ দেয়না
ওরা প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে বাঁচে
কখনো পরাজিত হয়না।
ওদের কষ্ট ব্যথা কাউকে সহজে কয়না
ওরা দারিদ্রতার মাঝে থেকেও কভু
ধৈর্য হারা হয়না।
ওরা পরিশ্রম করে দিন-রাত
কখনো ন্যায্য পারিশ্রামিক পায়না।
ওদের ন্যায্য অধিকার কেন এই দেশ জাতি
আজও বুঝে দেয়না।