আল্লাহর পথে দাওয়াত
তাওহীদের ডাক ডেস্ক
1- يا أَيُّهَا
الرَّسُولُ بَلِّغْ ما أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ وَإِنْ لَمْ
تَفْعَلْ فَما بَلَّغْتَ رِسالَتَهُ وَاللَّهُ يَعْصِمُكَ مِنَ النَّاسِ
إِنَّ اللَّهَ لا يَهْدِي الْقَوْمَ الْكافِرِين-َوَأَطِيعُوا اللَّهَ
وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَاحْذَرُوا فَإِنْ تَوَلَّيْتُمْ فَاعْلَمُوا
أَنَّما عَلى رَسُولِنَا الْبَلاغُ الْمُبِينُ-
(১) ‘হে রাসূল! তোমার প্রতি তোমার প্রভুর পক্ষ হ’তে যা নাযিল হয়েছে (অর্থাৎ কুরআন), তা মানুষের কাছে পৌঁছে দাও। যদি না দাও, তাহ’লে তুমি তাঁর রিসালাত পৌঁছে দিলে না। আল্লাহ তোমাকে শত্রুদের হামলা থেকে রক্ষা করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ কাফির সম্প্রদায়কে সুপথ প্রদর্শন করেন না তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর ও রাসূলের আনুগত্য কর এবং (হারাম থেকে) সাবধান থাক। অতঃপর যদি মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে জেনে রেখ আমাদের রাসূলের দায়িত্ব কেবল স্পষ্টভাবে পৌঁছে দেওয়া’ (মায়েদাহ ৫/৬৭,৯২)।
2- الَّذِينَ يُبَلِّغُونَ رِسَالَاتِ اللَّهِ وَيَخْشَوْنَهُ وَلَا يَخْشَوْنَ أَحَدًا إِلَّا اللَّهَ وَكَفَى بِاللَّهِ حَسِيبًا-مَا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِنْ رِجَالِكُمْ وَلَكِنْ رَسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا-
(২) ‘যারা আল্লাহর রিসালাত প্রচার করত ও তাঁকে ভয় করত। আল্লাহ ব্যতীত তারা অন্য কাউকে ভয় করত না। আর হিসাব গ্রহণের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। মুহাম্মাদ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল ও শেষনবী। বস্ত্ততঃ আল্লাহ সকল বিষয়ে সম্যক অবগত’ (আহযাব ৩৩/৩৯)।
3- إِلَّا بَلَاغًا مِنَ اللَّهِ وَرِسَالَاتِهِ وَمَنْ يَعْصِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَإِنَّ لَهُ نَارَ جَهَنَّمَ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا-
(৩) ‘কেবল আল্লাহর পক্ষ হ’তে তাঁর বাণী ও রিসালাত পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমেই আমি বাঁচতে পারি। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অবাধ্যতা করে, তার জন্য রয়েছে জাহান্নামের আগুন। সেখানে সে চিরকাল থাকবে’ (জিন ৭২/২৩)।
4- فَإِنْ أَعْرَضُوا فَمَا أَرْسَلْنَاكَ عَلَيْهِمْ حَفِيظًا إِنْ عَلَيْكَ إِلَّا الْبَلَاغُ وَإِنَّا إِذَا أَذَقْنَا الْإِنْسَانَ مِنَّا رَحْمَةً فَرِحَ بِهَا وَإِنْ تُصِبْهُمْ سَيِّئَةٌ بِمَا قَدَّمَتْ أَيْدِيهِمْ فَإِنَّ الْإِنْسَانَ كَفُورٌ-
(৪) ‘আর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে আমি তো তোমাকে তাদের রক্ষক হিসাবে পাঠাইনি। বাণী পৌঁছে দেয়াই তোমার দায়িত্ব। আর আমি যখন মানুষকে আমার রহমত আস্বাদন করাই তখন সে খুশি হয়। আর যখন তাদের কৃতকর্মের জন্য তাদের ওপর কোন বিপদ আসে তখন মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ হয়’ (শূরা ৪২/৪৮)।
হাদীছে নববী :
1- عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ: خَطَبَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي وَسَطِ أَيَّامِ التَّشْرِيقِ خُطْبَةَ الْوَدَاعِ، فَقَالَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ رَبَّكُمْ وَاحِدٌ، وَإِنَّ أَبَاكُمْ وَاحِدٌ، أَلاَ لاَ فَضْلَ لِعَرَبِيٍّ عَلَى عَجَمِيٍّ، وَلاَ لِعَجَمِيٍّ عَلَى عَرَبِيٍّ، وَلاَ لِأَحْمَرَ عَلَى أَسْوَدَ، وَلاَ أَسْوَدَ عَلَى أَحْمَرَ، إِلاَّ بِالتَّقْوَى، إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللهِ أَتْقَاكُمْ، أَلاَ هَلْ بَلَّغْتُ؟ قَالُوا: بَلَى يَا رَسُولَ اللهِ، قَالَ: فَلْيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ-
(১) জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাদেরকে আইয়ামে তাশরীক্বের মধ্যবর্তী দিনে আমাদের উদ্দেশ্যে বিদায়ী ভাষণ দিয়ে বলেন, (ক) ‘হে জনগণ! নিশ্চয় তোমাদের পালনকর্তা মাত্র একজন। তোমাদের পিতাও মাত্র একজন। (খ) মনে রেখ! আরবের জন্য অনারবের উপর, অনারবের জন্য আরবের উপর, লালের জন্য কালোর উপর এবং কালোর জন্য লালের উপর কোনরূপ প্রাধান্য নেই আল্লাহভীরুতা ব্যতীত’। (গ) নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে আল্লাহর নিকট সর্বাধিক সম্মানিত সেই ব্যক্তি, যে তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক আল্লাহভীরু। তিনি বলেন, (ঘ) আমি কি তোমাদের নিকট পৌঁছে দিলাম? লোকেরা বলল, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেন, অতএব উপস্থিতগণ যেন অনুপস্থিতদের নিকট পৌঁছে দেয়’।[1]
2- عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ لَمَّا بَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْيَمَنِ خَرَجَ مَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُوصِيهِ وَمُعَاذٌ رَاكِبٌ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَمْشِى تَحْتَ رَاحِلَتِهِ فَلَمَّا فَرَغَ قَالَ يَا مُعَاذُ إِنَّكَ عَسَى أَنْ لاَ تَلْقَانِى بَعْدَ عَامِى هَذَا أَوْ لَعَلَّكَ أَنْ تَمُرَّ بِمَسْجِدِى هَذَا أَوْ قَبْرِى. فَبَكَى مُعَاذٌ جَشَعاً لِفِرَاقِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ الْتَفَتَ فَأَقْبَلَ بِوَجْهِهِ نَحْوَ الْمَدِينَةِ فَقَالَ إِنَّ أَوْلَى النَّاسِ بِىَ الْمُتَّقُونَ مَنْ كَانُوا وَحَيْثُ كَانُوا-
(২) মু‘য়ায ইবনে জাবাল (রাঃ) বলেন, যখন রাসূল (ছাঃ) তাঁকে (শাসক নিযুক্ত করিয়া) ইয়ামান পাঠালেন, তখন রাসূল (ছাঃ) তাঁকে নছীহত ও উপদেশ দিতে তাঁর সঙ্গে বের হলেন। এই সময় মু‘য়ায ছিলেন সওয়ারীতে আর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) চললেন পদব্রজে, সওয়ারী হতে নীচে। (উপদেশবলী হতে) অবসর হয়ে তিনি বললেন, হে মু‘য়ায! সম্ভবত, এই বৎসরের পর তুমি আর আমার সাক্ষাৎ পাবে না। এমনও হতে পারে তুমি আমার মসজিদ ও কবরের পার্শ্ব দিয়ে অতিক্রম করবে। এতদ্শ্রবণে হযরত মু‘য়ায রাসূলুল্লাহর বিচ্ছেদ চিন্তায় ভারাক্রান্ত হয়ে কাঁদতে লাগলেন। অতঃপর তিনি মদীনার দিকে তাকালেন এবং উহাকে সম্মুখে রেখে বললেন, নিশ্চয় ঐ সমস্ত লোকেরাই আমার নিকটতম যারা আল্লাহভীরু, পরহেযগার। চাই তারা যে কেউই হোক এবং যে কোথাও থাকুক না কেন?।[2]
3- عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ عَنْ أَبِيهِ : أَنَّهُ شَهِدَ خُطْبَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِى يَوْمِ عَرَفَةَ فِى حَجَّةِ الْوَدَاعِ قَالَ : أَيُّهَا النَّاسُ، فَإِنِّى وَاللهِ لاَ أَدْرِى لَعَلِّى لاَ أَلْقَاكُمْ بَعْدَ يَوْمِى هَذَا بِمَكَانِى هَذَا، فَرَحِمَ اللهُ مَنْ سَمِعَ مَقَالَتِى الْيَوْمَ فَوَعَاهَا، فَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ وَلاَ فِقْهَ لَهُ، وَلَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ إِلَى مَنْ هُوَ أَفْقَهُ مِنْهُ، وَاعْلَمُوا أَنَّ أَمْوَالَكُمْ وَدِمَاءَكُمْ حَرَامٌ عَلَيْكُمْ كَحُرْمَةِ هَذَا الْيَوْمِ فِى هَذَا الشَّهْرِ فِى هَذَا الْبَلَدِ، وَاعْلَمُوا أَنَّ الْقُلُوبَ لاَ تَغِلُّ عَلَى ثَلاَثٍ: إِخْلاَصِ الْعَمَلِ للهِ، وَمُنَاصَحَةِ أُولِى الأَمْرِ، وَعَلَى لُزُومِ جَمَاعَةِ الْمُسْلِمِينَ، فَإِنَّ دَعْوَتَهُمْ تُحِيطُ مِنْ وَرَائِهِمْ-
(৩) মুহাম্মাদ বিন জুবায়ের বিন মুত্ব‘ইম (রাঃ) তাঁর পিতা হতে বলেন, আরাফার দিন বিদায় হজ্জের ভাষণে সমবেত জনগণের উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘হে জনগণ! আল্লাহর কসম, আমি জানিনা আজকের পরে আর কোনদিন তোমাদের সঙ্গে এই স্থানে মিলিত হ’তে পারব কি-না। অতএব আল্লাহ রহম করুন ঐ ব্যক্তির উপরে যে ব্যক্তি আজকে আমার কথা শুনবে ও তা স্মরণ রাখবে। কেননা অনেক জ্ঞানের বাহক নিজে জ্ঞানী নয় (সে অন্যের নিকট জ্ঞান বহন করে নিয়ে যায়) এবং অনেক জ্ঞানের বাহক তার চাইতে অধিকতর জ্ঞানীর নিকটে জ্ঞান বহন করে নিয়ে যায়। জেনে রেখ, নিশ্চয়ই তোমাদের মাল-সম্পদ ও তোমাদের রক্ত তোমাদের পরস্পরের উপরে হারাম, যেমন আজকের এই দিন, এই মাস, এই শহর তোমাদের জন্য হারাম’ (অর্থাৎ এর সম্মান বিনষ্ট করা হারাম)। জেনে রেখ, তিনটি বিষয়ে মুমিনের অন্তর খিয়ানত করে না : (ক) আল্লাহর উদ্দেশ্যে এখলাছের সাথে কাজ করা। (খ) শাসকদের জন্য কল্যাণ কামনা করা এবং (গ) মুসলমানদের জামা‘আতকে অাঁকড়ে ধরা। কেননা তাদের দো‘আ তাদেরকে পিছন থেকে (শয়তানের প্রতারণা হ’তে) রক্ষা করে’।[3]
4- عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو أَنَّ النَّبِىَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ بَلِّغُوا عَنِّى وَلَوْ آيَةً، وَحَدِّثُوا عَنْ بَنِى إِسْرَائِيلَ وَلاَ حَرَجَ، وَمَنْ كَذَبَ عَلَىَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ-
(৪) আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) বলেন, আমার কথা পৌঁছে দাও, যদি তা এক আয়াতও হয়। আর বনী ইস্রাঈলের ঘটনাবলী বর্ণনা কর। এতে কোন দোষ নেই। কিন্তু যে কেউ ইচ্ছা করে আমার উপর মিথ্যারোপ করল, সে যেন জাহান্নামকেই তার ঠিকানা নিদিষ্ট করে নিল’।[4]
মনীষীদের বক্তব্য :
১. ইবনু হাযার আসক্বালানী (রহঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট থেকে যে দ্বীন এসেছে তা দু’টি বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট। একটি হলো জিব্রাঈল (আঃ)-এর মাধ্যমে তা গ্রহণ আর অন্যটি হলো উম্মতে মুহাম্মাদীর মাধ্যমে দ্বীনের প্রচার-প্রসার করা যাকে ‘তাবলীগ’ বলা হয়’।[5]
২. ইবনু বাত্তার (রহঃ) ইমাম বুখারীর দিকে ইঙ্গিত করে وَاتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ نُوحٍ আয়াতটি উল্লেখ করে বলেন, আল্লাহ তা‘আলা এর মাধ্যমে নূহ (আঃ)-এর দাওয়াতী মিশনকে বুঝিয়েছেন। আর যার ফলে প্রত্যেক নবীর উপর তাঁর কিতাব ও শরী‘আতের তাবলীগকে ফরয করেছেন’।[6]
৩. হুমাইদী (রহঃ) বলেন, একজন ব্যক্তি যহুরীকে বলল, হে আবু বকর! যে ব্যক্তি (মৃত্যু শোকে) জামার পকেট ছেঁড়ে সে আমাদের দলভুক্ত নয় এর ব্যাখ্যা কি? তিনি বললেন, আল্লাহই ভাল জানেন। তবে রাসূল (ছাঃ)-এর কাজ আল্লাহর বাণী পৌঁছে দেয়া আর আমাদের কাজ হলো তা গ্রহণ করা’।[7]
৪. ‘وَأُوحِيَ إِلَيَّ هذَا الْقُرْآنُ لِأُنْذِرَكُمْ بِهِ وَمَنْ بَلَغَ’ অত্র আয়াতের ব্যাখ্যায় কুরতুবী (রহঃ) বলেন, কুরআনের বাণীর প্রচার-প্রসার করা অথবা কুরআনের জ্ঞানকে পৌঁছে দেয়া। আর এটার মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, যে ব্যক্তি কুরআনের প্রচার-প্রসার করে না সে বক্তা বা ইবাদতকারী কোনটিই নয়’।[8]
সারবস্ত্ত :
১. পুরো দুনিয়াব্যাপী ইসলাম ছড়িয়ে পড়ার মূল চালিকা শক্তি হলো তাবলীগ।
২. মুবাল্লিগগণ রাসূল (ছাঃ)-এর বরকতময় দো‘আ লাভে ধন্য।
৩. তাবলীগ উপস্থিত অনুপস্থিত সকলকে একই সফলতার সিঁড়িতে দাঁড় করাতে সক্ষম।
৪. হঠকারী কাফের সম্প্রদায়ের জন্য ইসলামে না প্রবেশের খোঁড়া অজুহাতের বিরুদ্ধে এক বজ্রনিনাদ।
৫. তাবলীগ ভ্রাম্যমান ফেরেশতাদের দো‘আ ও শান্তির জান্নাতী সুবাতাস পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম ।
[1]. আহমাদ হা/২৩৫৩৬; ছহীহাহ হা/২৭০০।
[2]. আহমাদ হা/২২১০৫; ছহীহাহ হা/২৪৯৭; মিশকাত হা/৫২২৭।
[3]. দারেমী হা/২৩৩, সনদ ছহীহ।
[4]. বুখারী হা/৩৪৬১; মিশকাত হা/১৯৮।
[5]. ফাৎহুল বারী ১৩/৫১৬ পৃঃ।
[6] . ঐ, ১৩/৪৯৮ পৃঃ।
[7] . ঐ, ১৩/৫১৩ পৃঃ)।
[8] . তাফসীরে কুরতুবী ৬/৩৯৯ পৃঃ ।