সত্যবাদিতা
তাওহীদের ডাক ডেস্ক
তাওহীদের ডাক ডেস্ক 385 বার পঠিত
আল-কুরআনুল কারীম :
1-قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّونَ اللهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ-
(১) বল, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাসো, তবে আমার অনুসরণ কর। তাহ’লে আল্লাহ তোমাদের ভালবাসবেন ও তোমাদের গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দিবেন। বস্ত্ততঃ আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াবান’ (আলে ইমরান ৩/৩১)।
2-قُلْ إِنْ كَانَ آبَاؤُكُمْ وَأَبْنَاؤُكُمْ وَإِخْوَانُكُمْ وَأَزْوَاجُكُمْ وَعَشِيرَتُكُمْ وَأَمْوَالٌ اقْتَرَفْتُمُوهَا وَتِجَارَةٌ تَخْشَوْنَ كَسَادَهَا وَمَسَاكِنُ تَرْضَوْنَهَا أَحَبَّ إِلَيْكُمْ مِنَ اللهِ وَرَسُولِهِ وَجِهَادٍ فِي سَبِيلِهِ فَتَرَبَّصُوا حَتَّى يَأْتِيَ اللهُ بِأَمْرِهِ وَاللهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ-
(২) ‘তুমি বলে দাও, তোমাদের নিকট যদি তোমাদের পিতা, পুত্র, ভাই, স্ত্রী, স্বগোত্র ও ধন-সম্পদ যা তোমরা অর্জন কর, ব্যবসা যা তোমরা বন্ধ হবার আশংকা কর এবং বাড়ী-ঘর যা তোমরা পসন্দ কর আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও তাঁর রাস্তায় জিহাদ করা হ’তে অধিক প্রিয় হয়। তাহ’লে তোমরা অপেক্ষা কর আল্লাহর নির্দেশ (আযাব) আসা পর্যন্ত। বস্ত্ততঃ আল্লাহ পাপাচারী সম্প্রদায়কে সুপথ প্রদর্শন করেন না’ (তাওবাহ ৯/২৪)।
3- مَا كَانَ لِأَهْلِ الْمَدِينَةِ وَمَنْ حَوْلَهُمْ مِنَ الْأَعْرَابِ أَنْ يَتَخَلَّفُوا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ وَلَا يَرْغَبُوا بِأَنْفُسِهِمْ عَنْ نَفْسِهِ ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ لَا يُصِيبُهُمْ ظَمَأٌ وَلَا نَصَبٌ وَلَا مَخْمَصَةٌ فِي سَبِيلِ اللهِ وَلَا يَطَئُونَ مَوْطِئًا يَغِيظُ الْكُفَّارَ وَلَا يَنَالُونَ مِنْ عَدُوٍّ نَيْلًا إِلَّا كُتِبَ لَهُمْ بِهِ عَمَلٌ صَالِحٌ إِنَّ اللهَ لَا يُضِيعُ أَجْرَ الْمُحْسِنِينَ-
(৩) মদীনাবাসী ও পার্শ্ববর্তী পল্লীবাসী বেদুঈনদের উচিত নয় আল্লাহর রাসূল থেকে পিছিয়ে থাকা এবং তাঁর জীবন থেকে নিজেদের জীবনকে অধিক প্রিয় মনে করা। কারণ আল্লাহর পথে যে তৃষ্ণা, ক্লান্তি ও ক্ষুধা তাদের স্পর্শ করে এবং তাদের যেসব পদক্ষেপ কাফেরদের ক্রোধান্বিত করে ও শত্রুদের পক্ষ হতে তারা যা কিছু প্রাপ্ত হয়, তার বিনিময়ে তাদের জন্য সৎকর্ম লিপিবদ্ধ হয়। নিশ্চয়ই আল্লাহ সৎকর্মশীলদের পুরস্কার বিনষ্ট করবেন না’ (তাওবাহ ৯/১২০)।
4- النَّبِيُّ أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنْفُسِهِمْ وَأَزْوَاجُهُ أُمَّهَاتُهُمْ-
(৪) নবী (মুহাম্মাদ) মুমিনদের নিকট তাদের নিজেদের অপেক্ষা অধিক ঘনিষ্ঠ এবং তাঁর স্ত্রীগণ তাদের মা (আহযাব ৩৩/৬)।
5-وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَلَا مُؤْمِنَةٍ إِذَا قَضَى اللهُ وَرَسُولُهُ أَمْرًا أَنْ يَكُونَ لَهُمُ الْخِيَرَةُ مِنْ أَمْرِهِمْ-
(৫) আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোন বিষয়ে ফায়ছালা দিলে কোন মুমিন পুরুষ বা নারীর সে বিষয়ে নিজস্ব কোন ফায়ছালা দেওয়ার এখতিয়ার নেই (আহযাব-মাক্কী ৩৩/৩৬)।
হাদীছে নববী :
6- عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لاَ يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ وَلَدِهِ وَوَالِدِهِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ-
(৬) আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, তোমাদের কেউই ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হ’তে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমি তার কাছে তার সন্তান-সন্ততি, পিতামাতা এবং অন্য লোকদের চাইতে অধিক প্রিয় না হব’।[1]
7- عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ هِشَامٍ قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهْوَ آخِذٌ بِيَدِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ يَا رَسُولَ اللهِ لأَنْتَ أَحَبُّ إِلَىَّ مِنْ كُلِّ شَىْءٍ إِلاَّ مِنْ نَفْسِى. فَقَالَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لاَ وَالَّذِى نَفْسِى بِيَدِهِ حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْكَ مِنْ نَفْسِكَ. فَقَالَ لَهُ عُمَرُ فَإِنَّهُ الآنَ وَاللهِ لأَنْتَ أَحَبُّ إِلَىَّ مِنْ نَفْسِى. فَقَالَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الآنَ يَا عُمَرُ-
(৭) আব্দুল্লাহ ইবনু হিশাম (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, আমরা একদা নবী (ছাঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি যখন ওমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ)-এর হাত ধরেছিলেন। ওমর (রাঃ) তাকে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আমার প্রাণ ব্যতীত আপনি আমার নিকট সর্বাধিক প্রিয়। তখন নবী (ছাঃ) বললেন, না। ঐ মহান সত্তার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ! এমন কি তোমার কাছে তোমার প্রাণের চেয়েও আমাকে অধিক প্রিয় হ’তে হবে। তখন ওমর (রাঃ) তাকে বললেন, আল্লাহর কসম! এখন আপনি আমার কাছে আমার প্রাণের চেয়ে অধিক প্রিয়। নবী (ছাঃ) বললেন, হে উমর! এখন (তোমার ঈমান পূর্ণ হয়েছে)।[2]
8- عَنْ أَنَسٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلاَثٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ وَجَدَ حَلاَوَةَ الإِيمَانِ أَنْ يَكُونَ اللهُ وَرَسُولُهُ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا، وَأَنْ يُحِبَّ الْمَرْءَ لاَ يُحِبُّهُ إِلاَّ لِلَّهِ، وَأَنْ يَكْرَهَ أَنْ يَعُودَ فِى الْكُفْرِ، كَمَا يَكْرَهُ أَنْ يُقْذَفَ فِى النَّارِ-
(৮) আনাস ইবন মালিক (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, তিনটি জিনিস এমন যার মধ্যে সেগুলো পাওয়া যাবে, সে ঈমানের স্বাদ পাবে। ১. আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তার কাছে অন্য সবকিছু থেকে প্রিয় হওয়া। ২. কাউকে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য ভালবাসা। ৩. জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হওয়াকে যেভাবে অপছন্দ করা, তেমনি পুনরায় কুফরির দিকে প্রত্যাবর্তন করাকে অপছন্দ করা’।[3]
9- عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ رَجُلاً سَأَلَ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَتَّى السَّاعَةُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ مَا أَعْدَدْتَ لَهَا قَالَ مَا أَعْدَدْتُ لَهَا مِنْ كَثِيرِ صَلاَةٍ وَلاَ صَوْمٍ وَلاَ صَدَقَةٍ، وَلَكِنِّى أُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ قَالَ أَنْتَ مَعَ مَنْ أَحْبَبْتَ-
(৯) আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবী (ছাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করল, হে আল্লাহর রাসূল! ক্বিয়ামত কবে হবে? তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি এর জন্য কী প্রস্ত্ততি গ্রহণ করেছ? সে বলল, আমি এর জন্য তো অধিক কিছু ছালাত, ছিয়াম এবং ছাদাক্বা আদায় করতে পারিনি। কিন্তু আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে ভালবাসি। তিনি বললেন, তুমি যাকে ভালবাস তারই সাথী হবে’।[4]
10- عَنْ أَبِى ذَرٍّ أَنَّهُ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ الرَّجُلُ يُحِبُّ الْقَوْمَ وَلاَ يَسْتَطِيعُ أَنْ يَعْمَلَ كَعَمَلِهِمْ قَالَ أَنْتَ يَا أَبَا ذَرٍّ مَعَ مَنْ أَحْبَبْتَ قَالَ فَإِنِّى أُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ قَالَ فَإِنَّكَ مَعَ مَنْ أَحْبَبْتَ قَالَ فَأَعَادَهَا أَبُو ذَرٍّ فَأَعَادَهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ-
(১০) আবু যার (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি একদিন বললেন, হে আললাহর রাসূল (ছাঃ)! এক ব্যক্তি কোন জাতিকে ভালবাসে, কিন্তু তাদের অনুরূপ আমল করে না। তখন তিনি বললেন, হে আবু যার! তুমি তাদের সাথী হবে, যাদেরকে তুমি ভালবাসো। তখন আবু যার (রাঃ) বলেন, আমি তো আল্লাহ এবং তার রাসূলকে ভালবাসি। নবী করীম (ছাঃ) বললেন, তুমি তার সাথী হবে, যাকে তুমি ভালবাসো। রাবী বলেন, আবু যার (রাঃ) পুনরায় এরূপ বললে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একইরূপ জবাব দেন’।[5]
11- عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ رَجُلاً قَالَ يَا مُحَمَّدُ يَا سَيِّدَنَا وَابْنَ سَيِّدِنَا وَخَيْرَنَا وَابْنَ خَيْرِنَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَيُّهَا النَّاسُ عَلَيْكُمْ بِتَقْوَاكُمْ وَلاَ يَسْتَهْوِيَنَّكمُ الشَّيْطَانُ أَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ عَبْدُ اللهِ وَرَسُولُهُ وَاللهِ مَا أُحِبُّ أَنْ تَرْفَعُونِى فَوْقَ مَنْزِلَتِى الَّتِى أَنْزَلَنِى اللهُ عَزَّ وَجَلَّ
(১১) আনাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, একজন ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) আপনি আমাদের নেতা, আমাদের নেতার সন্তান, আমাদের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি, আমাদের মধ্যে উত্তম ব্যক্তির সন্তান। অতঃপর রাসূল (ছাঃ) বললেন, হে মানবমন্ডলী! তোমাদের উপর তাক্বওয়া অবলম্বন করা আবশ্যক। শয়তান যেন তোমাদেরকে উদাসীন করতে না। আমি আব্দুল্লাহর ছেলে মুহাম্মাদ এবং আল্লাহর বান্দা ও তার রাসূল। আল্লাহর কসম! আল্লাহ আমাকে যে মর্যাদা দিয়েছেন তার উপর অতিরঞ্জিত করা আমি পসন্দ করি না’।[6]
মনীষীদের বক্তব্য :
১. ইবনু কুদামা (রহঃ) বলেন, ‘জেনে রাখ! এ মর্মে ইজমা হয়েছে যে, আল্লাহ ও তার রাসূলকে ভালবাসা ফরয’।[7]
২. ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, আল্লাহর ভালবাসার প্রকৃত অর্থ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে ভালবাসা। এটা ঈমানের ওয়াজিব বিষয় সমূহের মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং বৃহত্তম মূলনীতি’।[8]
৩. ইবনুল কাইয়িম (রহঃ) বলেন, যে ব্যক্তি নিজেকে প্রাধান্য দেয়, সে তার সম্পদকে বেশী প্রাধান্য দেয়। আর একজন মুমিন পূর্ণ ঈমানদার হ’তে পারবে না যতক্ষণ না সে নিজের চেয়ে রাসূল (ছাঃ)-কে বেশী ভালবাসবে’।[9]
৪. ইবনু হাজার (রহঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ)-কে ভালবাসার চিহ্ন হ’ল কথা ও কর্মের মাধ্যমে তার আনীত দ্বীনকে সাহায্য করা এবং তাঁর শরী‘আতকে রক্ষা করা। আর রাসূল (ছাঃ)-এর চরিত্রে চরিত্রবান হওয়া’।[10]
সারবস্ত্ত :
১. ভালবাসা আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা এক বিশেষ নে’মত। এ নে’মতের সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিতে হবে রাসূল (ছাঃ)-কে।
২. রাসূল (ছাঃ)-কে ভালবাসতে হবে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহর মূলনীতির আলোকে।
৩. রাসূল (ছাঃ)-এর প্রতি ভালোবাসার সর্বোচ্চ নিদর্শন হ’ল তার আনুগত্য করা।
৪. আল্লাহর জন্য কোন মুসলিম ভাইকে ভালবাসা, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ভালবাসাই অনুরূপ।
৫. আমাদেরকে সর্বদা রাসূল (ছাঃ)-এর প্রতি প্রগাঢ় ভালবাসা রাখতে হবে এবং তাঁর আদর্শকে সর্বাবস্থায় অনুসরণ করে চলতে হবে। আল্লাহ আমাদের তাওফীক দান করুন। আমীন!
[1]. মুসলিম হা/৪৪; ইবনু মাজাহ হা/৬৭; নাসাঈ হা/৫০১৩; আহমাদ হা/১৩৯৩৯; ছহীহ ইবনু হিববান হা/১৭৯।
[2]. বুখারী হা/৬৬৩২।
[3]. বুখারী হা/১৬; ৬০৪১; আহমাদ হা/১৪১০২।
[4]. বুখারী হা/৬১৭১; আদাবুল মুফরাদ হা/৩৫২; দারাকুৎণী হা/৪৮৯।
[5]. আবু দাঊদ হা/৫১২৬।
[6]. আহমাদ হা/১৩৬২১; ছহীহাহ হা/১০৯৭।
[7]. মুখতাছারুল মিনহায ৩৩৮ পৃ.।
[8]. মাজমু‘ ফাতাওয়া ৪৮ পৃ.।
[9]. রওযাতুল মুহাদ্দিছিন ৯২ পৃ.।
[10]. রিসালাতুশ শিরক ও মাযাহিরুহী ২৬৪ পৃ.।