সাকীনা বা আত্মিক প্রশান্তি
তাওহীদের ডাক ডেস্ক
তাওহীদের ডাক ডেস্ক 1794 বার পঠিত
আল-কুরআনুল কারীম :
১- وَالْمُؤْمِنُونَ وَالْمُؤْمِنَاتُ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ يَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَيُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَيُطِيعُونَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ أُولَئِكَ سَيَرْحَمُهُمُ اللَّهُ إِنَّ اللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ-
(১) ‘আর মুমিন পুরুষ ও নারী পরস্পরের বন্ধু। তারা সৎ কাজের আদেশ করে ও অসৎ কাজে নিষেধ করে। তারা ছালাত কায়েম করে ও যাকাত আদায় করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে। এসব লোকের প্রতি আল্লাহ অবশ্যই অনুগ্রহ বর্ষণ করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাবান’ (তওবা ৯/৭১)।
২- لَا يَتَّخِذِ الْمُؤْمِنُونَ الْكَافِرِينَ أَوْلِيَاءَ مِنْ دُونِ الْمُؤْمِنِينَ وَمَنْ يَفْعَلْ ذَلِكَ فَلَيْسَ مِنَ اللَّهِ فِي شَيْءٍ إِلَّا أَنْ تَتَّقُوا مِنْهُمْ تُقَاةً وَيُحَذِّرُكُمُ اللَّهُ نَفْسَهُ وَإِلَى اللَّهِ الْمَصِيرُ-
(২) মুমিনগণ যেন মুমিনদের ছেড়ে কাফিরদের বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে, আল্লাহর সাথে তাদের কোন সম্পর্ক থাকবে না। তবে তোমরা যদি তাদের থেকে কোন অনিষ্টের আশংকা কর। আল্লাহ তোমাদেরকে তাঁর (প্রতিশোধ গ্রহণ) সম্পর্কে সতর্ক করে দিচ্ছেন। আর আল্লাহর কাছেই সবাইকে ফিরে যেতে হবে’ (আলে ইমরান ৩/২৮)।
৩- يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى أَوْلِيَاءَ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ مِنْكُمْ فَإِنَّهُ مِنْهُمْ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ-
(৩) হে মুমিনগণ! তোমরা ইহূদী-নাছারাদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, তারা তাদের মধ্যে গণ্য হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়কে সুপথ প্রদর্শন করেন না’ (মায়েদাহ ৫/৫১)।
৪- وَالَّذِينَ كَفَرُوا بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ إِلَّا تَفْعَلُوهُ تَكُنْ فِتْنَةٌ فِي الْأَرْضِ وَفَسَادٌ كَبِيرٌ-
(৪) ‘আর যারা অবিশ্বাসী তারা পরস্পরে বন্ধু। এক্ষণে তোমরা যদি (মুমিনদের মধ্যে বন্ধুত্বের) বিধান কার্যকর না কর, তাহ’লে যমীনে ব্যাপকভাবে বিশৃংখলা ও বিপর্য ছড়িয়ে পড়বে’ (আনফাল ৮/৭৩)।
৫- يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا عَدُوِّي وَعَدُوَّكُمْ أَوْلِيَاءَ تُلْقُونَ إِلَيْهِمْ بِالْمَوَدَّةِ-
(৫) ‘হে মুমিনগণ! তোমরা আমার ও তোমাদের শত্রুকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করো না। তাদের নিকট তোমরা বন্ধুত্ব পেশ করছ, অথচ তারা তোমাদের নিকট আগত সত্যকে অস্বীকার করছে’ (মুমতাহিনা ৬০/১)।
৬- يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا آبَاءَكُمْ وَإِخْوَانَكُمْ أَوْلِيَاءَ إِنِ اسْتَحَبُّوا الْكُفْرَ عَلَى الْإِيمَانِ وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ مِنْكُمْ فَأُولَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ-
(৬) ‘হে মুমিনগণ! তোমরা তোমাদের পিতা ও ভাইদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যদি তারা ঈমানের মুকাবিলায় কুফরকে প্রিয় মনে করে। তোমাদের মধ্যে যারা তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, তারাই সীমালংঘনকারী’ (তওবা ৯/২৩)।
৭- الَّذِينَ يَتَّخِذُونَ الْكَافِرِينَ أَوْلِيَاءَ مِنْ دُونِ الْمُؤْمِنِينَ أَيَبْتَغُونَ عِنْدَهُمُ الْعِزَّةَ فَإِنَّ الْعِزَّةَ لِلَّهِ جَمِيعًا-
(৭) ‘যারা মুমিনদের ছেড়ে কাফিরদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, তারা কি তাদের কাছে সম্মান প্রত্যাশা করে? অথচ যাবতীয় সম্মান কেবল আল্লাহর জন্য’ (নিসা ৪/১৩৯)।
হাদীছের বাণী :
৮- عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ثَلاَثٌ أَحْلِفُ عَلَيْهِنَّ لاَ يَجْعَلُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ مَنْ لَهُ سَهْمٌ فِى الإِسْلاَمِ كَمَنْ لاَ سَهْمَ لَهُ فَأَسْهُمُ الإِسْلاَمِ ثَلاَثَةٌ الصَّلاَةُ وَالصَّوْمُ وَالزَّكَاةُ وَلاَ يَتَوَلَّى اللهُ عَزَّ وَجَلَّ عَبْداً فِى الدُّنْيَا فَيُوَلِّيهِ غَيْرَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلاَ يُحِبُّ رَجُلٌ قَوْماً إِلاَّ جَعَلَهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ مَعَهُمْ وَالرَّابِعَةُ لَوْ حَلَفْتُ عَلَيْهَا رَجَوْتُ أَنْ لاَ آثَمَ لاَ يَسْتُرُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ عَبْداً فِى الدُّنْيَا إِلاَّ سَتَرَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ-
(৮) আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তিনটি বিষয়ের উপর আমি শপথ করতে পারি। (১) যে ব্যক্তির মধ্যে ইসলামের অংশ রয়েছে আল্লাহ তা‘আলা তাকে ঐ লোক বরাবর করেন না যার মধ্যে ইসলামের কোন অংশ নেই। আর ইসলামের অংশ হচ্ছে তিনটি ক. ছালাত খ. ছিয়াম গ. যাকাত। (২) কোন বান্দাকে যখন আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়াতে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেন, তখন ক্বিয়ামতের দিন তাকে অন্য কারো বন্ধু বানিয়ে দিবেন না। (৩) আর কোন ব্যক্তি যদি কোন জাতিকে ভালবাসে তাহ’লে আল্লাহ তাকে তাদের মধ্যে শামিল করবেন। চতুর্থ আরেকটি বিষয় রয়েছে যদি তার জন্য শপথ করি তাহ’লে আশা করি আমি গুনাহগার হব না। আর তা হচ্ছে দুনিয়াতে আল্লাহ তা‘আলা কোন বান্দার দোষ-ত্রুটি যদি গোপন রাখেন তাহ’লে ক্বিয়ামতের দিনও আল্লাহ তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন’।[1]
৯- عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَبِي ذَرٍّ يَا أَبَا ذَرٍّ! أَيُّ عُرَى الْإِيمَانِ أَوْثَقُ؟ قَالَ اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. قَالَ الْمُوَالَاةُ فِي اللهِ، وَالْحُبُّ فِي اللهِ، وَالْبُغْضُ فِي اللهِ-
(৯) আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আবু যর (রাঃ)-কে বললেন, হে আবু যর! ঈমানের কোন শাখাটি অধিক মযবুত? তিনি বললেন, আল্লাহ ও তার রাসূলই অধিক অবগত। তিনি বললেন, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশে পরস্পর বন্ধত্ব স্থাপন করা এবং শুধুমাত্র আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টির জন্য কাউকে ভালবাসা ও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কাউকে ঘৃণা করা’।[2]
১০- عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رضى الله عنه قَالَ قَالَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لاَ يَجِدُ أَحَدٌ حَلاَوَةَ الإِيمَانِ حَتَّى يُحِبَّ الْمَرْءَ، لاَ يُحِبُّهُ إِلاَّ لِلَّهِ، وَحَتَّى أَنْ يُقْذَفَ فِى النَّارِ أَحَبُّ إِلَيْهِ مِنْ أَنْ يَرْجِعَ إِلَى الْكُفْرِ، بَعْدَ إِذْ أَنْقَذَهُ اللهُ، وَحَتَّى يَكُونَ اللهُ وَرَسُولُهُ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا-
(১০) আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, কোন ব্যক্তি ঈমানের স্বাদ পাবে না, যতক্ষণ না সে কোন মানুষকে একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশে ভালবাসবে, আর যতক্ষণ না সে যে কুফরী থেকে আল্লাহ তাকে উদ্ধার করেছেন, তার দিকে ফিরে যাবার চেয়ে আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়াকে অধিক প্রিয় মনে না করবে এবং যতক্ষণ না আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তার কাছে অন্য সব কিছুর চেয়ে অধিক প্রিয় না হবে’।[3]
১১- عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: سَبْعَةٌ يُظِلُّهُمُ اللهُ تَعَالَى فِي ظِلِّهِ يَوْمَ لَا ظِلَّ إِلَّا ظِلُّهُ ...وَرَجُلَانِ تَحَابَّا فِي اللهِ اجْتَمَعَا عَلَيْهِ وَتَفَرَّقَا عَلَيْهِ ...
(১১) আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, সাত ধরনের মানুষকে আল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামতের দিন তাঁর ছায়ার নীচে আশ্রয় দিবেন যেদিন আল্লাহর ছায়া ছাড়া আর কারো ছায়া থাকবে না। (তন্মন্ধে) ...(৪) সেই দুই ব্যক্তি, যারা পরস্পরকে আল্লাহর জন্য ভালবাসে। যদি তারা একত্রিত হয় আল্লাহর জন্য হয়, আর যদি পৃথক হয় তাও আল্লাহর জন্যই হয়’।[4]
১২- عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَرَى الْمُؤْمِنِينَ فِي تَرَاحُمِهِمْ وَتَوَادِّهِمْ وَتَعَاطُفِهِمْ كَمَثَلِ الْجَسَدِ الْوَاحِدِ إِذَا اشْتَكِي عُضْوٌ تَدَاعَى لَهُ سَائِرُ الْجَسَدِ بِالسَّهَرِ وَالْحُمَّى-
(১২) নু’মান ইবনে বাশীর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেছেন, ‘তুমি মুমিনদেরকে পারস্পরিক সহানুভূতি, বন্ধুত্ব ও দয়া-অনুগ্রহের ক্ষেত্রে একটি দেহের মত দেখবে। যখন দেহের কোন অংশ অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন সমস্ত শরীর তজ্জন্য বিনিদ্র ও জ্বরে আক্রান্ত হয়’।[5]
১৩- عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: الرَّجُلُ عَلَى دِينِ خَلِيلِهِ، فَلْيَنْظُرْ أَحَدُكُمْ مَنْ يُخَالِلُ-
(১৩) আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, ‘মানুষ তার বন্ধুর রীতি-নীতির অনুসারী হয়। কাজেই তোমাদের প্রত্যেকেই যেন লক্ষ্য করে যে, সে কার সঙ্গে বন্ধুত্ব করছে’।[6]
মনীষীদের বক্তব্য :
১. ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য কাউকে ভালবাসলো বা কাউকে ঘৃণা করল, আল্লাহর জন্য কারও সাথে বন্ধুত্ব করল বা কারও সাথে শত্রুতা করল, এগুলো দ্বারা সে আল্লাহর বন্ধুত্ব অর্জন করবে’।[7]
২. আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, ‘আল্লাহকে স্মরণ করার ব্যাপারে যে তোমাকে সহযোগিতা করে, সে ব্যতীত অন্য কারো সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করা তোমার জন্য আবশ্যক নয়’।[8]
৩. শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, বন্ধুত্বের ভিত্তি হ’ল ভালবাসা এবং শত্রুতার ভিত্তি ঘৃণা করা। সুতরাং পারস্পরিক ভালবাসা একে অপরকে ঘনিষ্ঠ করে এবং পারস্পরিক ঘৃণা একে অপরকে দূরে ঠেলে দেয়’।[9]
সারবস্ত্ত :
১. মুমিনরা মুমিনের বন্ধু এবং কাফেররা কাফেরের বন্ধু। আর তারা প্রত্যেকে একে অপরের শত্রু।
২. মুমিনদের পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক শত্রুতা হবে একমাত্র আল্লাহর জন্য এবং দ্বীনের স্বার্থে।
৩. আমাদের বন্ধুত্ব ও শত্রুতা যেন ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন চূড়ান্ত সফলতার পাথেয় হয়।
৪. জীবন চলার ক্ষেত্রে সাহচর্যের গুরুত্ব অত্যাধিক। তাই সফল হ’তে হলে ভাল ব্যক্তিকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করতে হবে এবং মন্দ ব্যক্তি থেকে দূরে থাকতে হবে।
[1]. হাকেম হা/৪৯; আহমাদ হা/২৫১৬৪; ছহীহাহ হা/১৩৮৭।
[2]. হাকেম হা/৩৭৯০; মিশকাত হা/৫০১৪।
[3]. বুখারী হা/৬০৪১।
[4]. বুখারী হা/৬৬০; মুসলিম হা/১০৩১; মিশকাত হা/৭০১।
[5]. বুখারী হা/৬০১১; ছহীহ ইবনু হিববান হা/২৯৭; মিশকাত হা/৪৯৫৩।
[6]. আবূদাঊদ হা/৪৮৩৩; তিরমিযী হা/২৩৭৮; মিশকাত হা/৫০১৯।
[7]. আব্দুল্লাহ বিন মুবারক, আয-যুহদ, ১২০ পৃ.।
[8]. আবূদাঊদ, আয-যুহদ, ১৪৩ পৃ.।
[9]. ক্বায়েদাতুল মুহাববাহ ১৯৮ পৃ.।