আল্লাহ্ নিকট ক্ষমা প্রার্থনা
তাওহীদের ডাক ডেস্ক
তাওহীদের ডাক ডেস্ক 416 বার পঠিত
আল-কুরআনুল কারীম :
১- ثُمَّ أَنْزَلَ اللهُ سَكِينَتَهُ عَلَى رَسُولِهِ وَعَلَى الْمُؤْمِنِينَ وَأَنْزَلَ جُنُودًا لَمْ تَرَوْهَا وَعَذَّبَ الَّذِينَ كَفَرُوا وَذَلِكَ جَزَاءُ الْكَافِرِينَ-
(১) ‘অতঃপর আল্লাহ তাঁর রাসূল ও বিশ্বাসীগণের প্রতি তাঁর বিশেষ প্রশান্তি নাযিল করলেন এবং এমন সেনাবাহিনী নাযিল করলেন, যাদেরকে তোমরা দেখোনি আর অবিশ্বাসীদের শাস্তি দিলেন। আর এটাই হ’ল অবিশ্বাসীদের কর্মফল’ (তওবা ৯/২৬)।
২- هُوَ الَّذِي أَنْزَلَ السَّكِينَةَ فِي قُلُوبِ الْمُؤْمِنِينَ لِيَزْدَادُوا إِيمَانًا مَعَ إِيمَانِهِمْ وَلِلَّهِ جُنُودُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَكَانَ اللهُ عَلِيمًا حَكِيمًا-
(২) ‘তিনিই মুমিনদের অন্তরে প্রশান্তি নাযিল করেন। যাতে তাদের ঈমানের সাথে আরও ঈমান বেড়ে যায়। বস্ত্ততঃ নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের বাহিনীসমূহ আল্লাহরই। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞ প্রজ্ঞাময়’ (ফাৎহ ৪৮/৪)।
৩- لَقَدْ رَضِيَ اللهُ عَنِ الْمُؤْمِنِينَ إِذْ يُبَايِعُونَكَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ فَعَلِمَ مَا فِي قُلُوبِهِمْ فَأَنْزَلَ السَّكِينَةَ عَلَيْهِمْ وَأَثَابَهُمْ فَتْحًا قَرِيبًا-
(৩) ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ সন্তুষ্ট হয়েছেন মুমিনদের প্রতি, যখন তারা বৃক্ষের নীচে তোমার নিকট বায়‘আত করেছে। এর মাধ্যমে তিনি তাদের অন্তরে যা ছিল তা জেনে নিলেন। ফলে তিনি তাদের উপর প্রশান্তি নাযিল করলেন এবং তাদেরকে পুরস্কার দিলেন আসন্ন বিজয়’ (ফাৎহ ৪৮/১৮)।
৪- إِذْ جَعَلَ الَّذِينَ كَفَرُوا فِي قُلُوبِهِمُ الْحَمِيَّةَ حَمِيَّةَ الْجَاهِلِيَّةِ فَأَنْزَلَ اللهُ سَكِينَتَهُ عَلَى رَسُولِهِ وَعَلَى الْمُؤْمِنِينَ وَأَلْزَمَهُمْ كَلِمَةَ التَّقْوَى وَكَانُوا أَحَقَّ بِهَا وَأَهْلَهَا وَكَانَ اللهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا-
(৪) ‘যখন কাফেরদের অন্তরে ছিল জাহেলিয়াতের উত্তেজনা, তখন আল্লাহ তাঁর রাসূল ও মুমিনদের উপর স্বীয় প্রশান্তি নাযিল করলেন এবং তাদের জন্য তাক্বওয়ার কালেমা আবশ্যিক করে দিলেন। আর এজন্য তারাই ছিল অধিকতর যোগ্য ও উপযুক্ত। বস্ত্ততঃ আল্লাহ সকল বিষয়ে জ্ঞাত’(ফাৎহ ৪৮/২৬)।
৫- الَّذِينَ آمَنُوا وَتَطْمَئِنُّ قُلُوبُهُمْ بِذِكْرِ اللَّهِ أَلَا بِذِكْرِ اللَّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ-
(৫) ‘যারা আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং আল্লাহ্কে স্মরণ করলে যাদের অন্তরে প্রশান্তি আসে। মনে রেখ, আল্লাহর স্মরণেই কেবল হৃদয় প্রশান্ত হয়’ (রা’দ ১৩/১৮)।
৬- يَاأَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ- ارْجِعِي إِلَى رَبِّكِ رَاضِيَةً مَرْضِيَّةً- فَادْخُلِي فِي عِبَادِي- وَادْخُلِي جَنَّتِي-
(৬) ‘হে প্রশান্ত আত্মা! ফিরে চলো তোমার প্রভুর পানে, সন্তুষ্ট চিত্তে ও সন্তোষভাজন অবস্থায়। অতঃপর প্রবেশ কর আমার বান্দাদের মধ্যে। এবং প্রবেশ কর আমার জান্নাতে’ (ফজর ৮৯/২৭-৩০)।
৭- إِلَّا تَنْصُرُوهُ فَقَدْ نَصَرَهُ اللهُ إِذْ أَخْرَجَهُ الَّذِينَ كَفَرُوا ثَانِيَ اثْنَيْنِ إِذْ هُمَا فِي الْغَارِ إِذْ يَقُولُ لِصَاحِبِهِ لَا تَحْزَنْ إِنَّ اللهَ مَعَنَا فَأَنْزَلَ اللهُ سَكِينَتَهُ عَلَيْهِ وَأَيَّدَهُ بِجُنُودٍ لَمْ تَرَوْهَا وَجَعَلَ كَلِمَةَ الَّذِينَ كَفَرُوا السُّفْلَى وَكَلِمَةُ اللهِ هِيَ الْعُلْيَا وَاللهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ-
(৭) ‘যদি তোমরা তাকে (রাসূলকে) সাহায্য না কর, তবে মনে রেখ আল্লাহ তাকে সাহায্য করেছিলেন যখন তাকে কাফেররা (মক্কা থেকে) বের করে দিয়েছিল এবং সে ছিল (ছওর) গিরিগুহার মধ্যে দু’জনের একজন। যখন সে তার সাথীকে বলল, চিন্তিত না। আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন। অতঃপর আল্লাহ তার উপর স্বীয় প্রশান্তি নাযিল করলেন ও তাকে এমন সেনাদল দিয়ে সাহায্য করলেন, যাদেরকে তোমরা দেখেনি। আর তিনি কাফেরদের (শিরকের) ঝান্ডা অবনত করে দিলেন ও আল্লাহর (তাওহীদের) ঝান্ডা উন্নীত রাখলেন। বস্ত্ততঃ আল্লাহ মহা পরাক্রান্ত ও প্রজ্ঞাময়’ (তওবা ৯/৪০)।
৮- عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ كَانَ رَجُلٌ يَقْرَأُ سُورَةَ الْكَهْفِ وَعِنْدَهُ فَرَسٌ مَرْبُوطٌ بِشَطَنَيْنِ، فَتَغَشَّتْهُ سَحَابَةٌ فَجَعَلَتْ تَدُورُ وَتَدْنُو، وَجَعَلَ فَرَسُهُ يَنْفِرُ مِنْهَا، فَلَمَّا أَصْبَحَ أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ، فَقَالَ: تِلْكَ السَّكِينَةُ تَنَزَّلَتْ لِلْقُرْآنِ-
(৮) বারা ইবনু আযেব (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘জনৈক ব্যক্তি সূরা কাহফ পড়ছিল। সে সময় তার কাছে মযবুত লম্বা দু’টি রশি দিয়ে একটি ঘোড়া বাঁধা ছিল। এ সময়ে একখন্ড মেঘ তার মাথার উপরে এসে হাযির হ’ল। মেঘ খন্ডটি ঘুরছিল এবং নিকটবর্তী হচ্ছিল। এ দেখে তার ঘোড়াটি ছুটে পালাচ্ছিল। সকালে সে নবী করীম (ছাঃ)-এর কাছে এসে ঐ বিষয়টি বর্ণনা করল। এসব কথা শুনে তিনি বললেন, এটি ছিল আল্লাহর পক্ষ হ’তে প্রশান্তি যা কুরআন পাঠের কারণে অবতীর্ণ হয়েছিল’।[1]
৯- عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْفَخْرُ وَالْخُيَلاَءُ فِى الْفَدَّادِينَ مِنْ أَهْلِ الْوَبَرِ وَالسَّكِينَةُ فِى أَهْلِ الْغَنَمِ وَالإِيمَانُ يَمَانٍ وَالْحِكْمَةُ يَمَانِيَةٌ-
(৯) আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘কুফরীর মূল পূর্বদিকে, গর্ব এবং অহংকার ঘোড়া এবং উটের মালিকদের মধ্যে এবং বেদুইনদের মধ্যে যারা তাদের উটের পাল নিয়ে ব্যস্ত থাকে, আর প্রশান্তি বকরির পালের মালিকদের মধ্যে’। ঈমান আছে ইয়ামানীদের মধ্যে এবং প্রজ্ঞাও রয়েছে ইয়ামানীয়দের মধ্যে।[2]
১০- عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ... وَمَا اجْتَمَعَ قَوْمٌ فِي بَيْتٍ مِنْ بُيُوتِ اللهِ، يَتْلُونَ كِتَابَ اللهِ، وَيَتَدَارَسُونَهُ بَيْنَهُمْ، إِلَّا نَزَلَتْ عَلَيْهِمِ السَّكِينَةُ، وَغَشِيَتْهُمُ الرَّحْمَةُ وَحَفَّتْهُمُ الْمَلَائِكَةُ، وَذَكَرَهُمُ اللهُ فِيمَنْ عِنْدَهُ، وَمَنْ بَطَّأَ بِهِ عَمَلُهُ، لَمْ يُسْرِعْ بِهِ نَسَبُهُ-
(১০) আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,...‘যখন কোন সম্প্রদায় আল্লাহর ঘর সমূহের কোন একটিতে সমবেত হয়ে অল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করে এবং পরস্পরে তার পর্যালোচনায় নিয়োজিত থাকে তখন তাদের উপর প্রশান্তি অবতীর্ণ হয়। রহমত তাদেরকে আচ্ছাদিত করে এবং ফেরেশতাগণ তাদের পরিবেষ্টন করে রাখেন। আর আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নৈকট্যধারীদের (ফেরেশতাগণের) মাঝে তাদের স্মরণ (আলোচনা) করেন। আর যে ব্যক্তির আমল তাকে পিছিয়ে দেবে তার বংশ মর্যাদা তাকে এগিয়ে নিতে পারবেনা’।[3]
১১- عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسِّرُوا وَلَا تُعَسِّرُوا وَسَكِّنُوا وَلَا تُنَفِّرُوا -
(১১) আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা নম্র ব্যবহার কর এবং কঠোর ব্যবহার কর না। আর মানুষকে শান্তি দাও এবং মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টি কর না’।[4]
১২- عَنْ وَابِصَةَ بْنِ مَعْبَدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: يَا وَابِصَةُ جِئْتَ تَسْأَلُ عَنِ الْبِرِّ وَالْإِثْمِ؟ قُلْتُ: نَعَمْ قَالَ: فَجَمَعَ أَصَابِعَهُ، فَضَرَبَ بِهَا صَدْرَهُ وَقَالَ: (اسْتَفْتِ نَفْسَكَ، اسْتَفْتِ قَلْبَكَ) ثَلَاثًا. الْبِرُّ مَا اطْمَأَنَّتْ إِلَيْهِ النَّفْسُ، وَاطْمَأَنَّ إِلَيْهِ الْقَلْبُ، وَالْإِثْمُ مَا حَاكَ فِي النَّفْسِ وَتَرَدَّدَ فِي الصَّدْرِ وَإِنْ أَفْتَاكَ النَّاسُ-
(১২) ওয়াবেছা ইবনু মা‘বাদ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘একদিন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমার উদ্দেশ্যে বললেন, হে ওয়াবেছা! তুমি তো আমাকে ভাল ও মন্দ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে এসেছো? আমি বললাম, জী হ্যাঁ। তিনি বললেন, তুমি তোমার অন্তরকে জিজ্ঞাসা কর। এ কথাগুলো তিনি তিনবার বললেন। পুণ্য হ’ল তা, যার প্রতি তোমার মন প্রশান্ত হয় এবং অন্তর পরিতৃপ্ত হয়। আর পাপ হ’ল তা, যা মনে খটকা সৃষ্টি করে এবং অন্তর সন্দিহান হয়; যদিও লোকেরা তোমাকে তা বৈধ হওয়ার ব্যাপারে ফাতাওয়া দিয়ে থাকে’।[5]
১৩- عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ حَفِظْتُ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَعْ مَا يَرِيبُكَ إِلَى مَا لَا يُرِيبُكَ، فَإِنَّ الصِّدْقَ طُمَأْنِينَةٌ، وَإِنَّ الْكَذِبَ رِيبَةٌ-
(১৩) হাসান ইবনে আলী (রাঃ) বলেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) থেকে এই শব্দগুলি স্মরণ রেখেছি যে, তুমি ঐ জিনিস পরিত্যাগ কর, যে জিনিস তোমাকে সন্দেহে ফেলে এবং তা গ্রহণ কর যাতে তোমার সন্দেহ নেই। কেননা সত্য প্রশান্তির কারণ এবং মিথ্যা সন্দেহের কারণ’।[6]
মনীষীদের বক্তব্য :
১. ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) বলেন, ‘দেহ ও মনের প্রশান্তির উপায় হচ্ছে দুনিয়াবিমুখ হয়ে সাধা-সিধে আখেরাতমুখী জীবন-যাপন করা’।[7]
২. শায়খুল ইসলাম ইবনে তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, ‘ঈমানের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হচ্ছে স্বীকারোক্তি এবং আত্মার প্রশান্তি। আর সেটা অর্জিত হবে অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস পোষণ ও আমলের মাধ্যমে’।[8]
৩. ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, ‘আত্মিক প্রশান্তিই সবচেয়ে বড় প্রশান্তি এবং মানসিক শাস্তিই সবচেয়ে বড় শাস্তি’।[9]
সারবস্ত্ত :
১. আত্মিক প্রশান্তি আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিশেষ অনুগ্রহ যা তিনি মুমিন বান্দার অন্তরে ঢেলে দেন।
২. আত্মার প্রশান্তিতে মুমিনদের অন্তর দৃঢ় হয়। তাদের ঈমান বৃদ্ধি পায় ও অস্থিরতা, হতাশা-দুশ্চিন্তা, কষ্ট-ক্লেশ দূর হয়।
৩. আল্লাহর রহমত ছাড়া প্রশান্তি অর্জন সম্ভব নয়। সে কারণেই তাঁর নিকট প্রার্থনা করা, কুরআন তেলাওয়াত করা কিংবা তাঁর বিধানসমূহ মেনে চলা আবশ্যক।
[1]. বুখারী হা/৬৬০; মুসলিম হা/১০৩১; মিশকাত হা/৭০১।
[2]. বুখারী হা/৩৪৯৯; মুসলিম হা/৫২; মিশকাত হা/৭৬৩৯।
[3]. মুসলিম হা/২৬৯৯; ইবনু মাজাহ হা/২২৫; মিশকাত হা/২০৪।
[4]. বুখারী হা/৬১২৫; মুসলিম হা/১৭৩৪; মিশকাত হা/৩৭২৩।
[5]. আহমাদ হা/১৮০৩৫; মিশকাত হা/২০৪; ছহীহুত তারগীব হা/১৭৩৪ সনদ হাসান।
[6]. তিরমিযী হা/২৫১৮; নাসাঈ হা/৫৭১১; মিশকাত হা/২৭৭৩।
[7]. ইবনুল মুবারক, আয-যুহদু ওয়ার রাক্বায়েক্ব, পৃ. ২১০; ইবনু আবীদ্দুনইয়া, আয-যুহদ, পৃ. ১০৭।
[8]. আছ-ছারেম আল-মাসলূল, পৃ. ৫১৯।
[9]. আল-জাওয়াবুল কাফী, পৃ. ১০৬।