কৃতজ্ঞতা
তাওহীদের ডাক ডেস্ক
তাওহীদের ডাক ডেস্ক 435 বার পঠিত
আল-কুরআনুল কারীম :
১- الَّذِينَ يَبْخَلُونَ وَيَأْمُرُونَ النَّاسَ بِالْبُخْلِ وَيَكْتُمُونَ مَا آتَاهُمُ اللهُ مِنْ فَضْلِهِ وَأَعْتَدْنَا لِلْكَافِرِينَ عَذَابًا مُهِينًا-
(১) ‘যারা কৃপণতা করে ও লোকদের কৃপণতার নির্দেশ দেয় এবং আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের যা সম্পদ দিয়েছেন, তা গোপন করে। বস্ত্ততঃ আমরা অকৃতজ্ঞদের জন্য হীনকর শাস্তি প্রস্ত্তত করে রেখেছি’ (নিসা ৪/৩৭)।
২- هَاأَنْتُمْ هَؤُلَاءِ تُدْعَوْنَ لِتُنْفِقُوا فِي سَبِيلِ اللهِ فَمِنْكُمْ مَنْ يَبْخَلُ وَمَنْ يَبْخَلْ فَإِنَّمَا يَبْخَلُ عَنْ نَفْسِهِ وَاللهُ الْغَنِيُّ وَأَنْتُمُ الْفُقَرَاءُ وَإِنْ تَتَوَلَّوْا يَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَيْرَكُمْ ثُمَّ لَا يَكُونُوا أَمْثَالَكُمْ-
(২) ‘দেখ, তোমরাই তো তারা যাদেরকে আল্লাহর পথে ব্যয় করার আহবান জানানো হচ্ছে। অথচ তোমাদের মধ্যে অনেকে কৃপণতা করছে। বস্ত্ততঃ যারা কৃপণতা করে, তারা তো নিজেদের প্রতিই কৃপণতা করে। আল্লাহ অভাবমুক্ত এবং তোমরা অভাবী। এক্ষণে যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তাহ’লে তিনি তোমাদের পরিবর্তে অন্য জাতিকে স্থলাভিষিক্ত করবেন। অতঃপর তারা তোমাদের মত হবে না’ (মুহাম্মাদ ৪৭/৩৮)।
৩- وَلَا يَحْسَبَنَّ الَّذِينَ يَبْخَلُونَ بِمَا آتَاهُمُ اللَّهُ مِنْ فَضْلِهِ هُوَ خَيْرًا لَهُمْ بَلْ هُوَ شَرٌّ لَهُمْ سَيُطَوَّقُونَ مَا بَخِلُوا بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ-
(৩) ‘আল্লাহ যাদেরকে স্বীয় অনুগ্রহ থেকে কিছু দান করেছেন, তাতে যারা কার্পণ্য করে, তারা যেন এটাকে তাদের জন্য কল্যাণকর মনে না করে। বরং এটা তাদের জন্য ক্ষতিকর। যেসব সম্পদে তারা কার্পণ্য করে, সেগুলিকে ক্বিয়ামতের দিন তাদের গলায় বেড়ীবদ্ধ করা হবে’ (আলে ইমরান ৩/১৮০)।
৪- وَأَمَّا مَنْ بَخِلَ وَاسْتَغْنَى- وَكَذَّبَ بِالْحُسْنَى- فَسَنُيَسِّرُهُ لِلْعُسْرَى- وَمَا يُغْنِي عَنْهُ مَالُهُ إِذَا تَرَدَّى-
(৪) ‘পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি কৃপণতা করে ও বেপরওয়া হয়। ‘এবং উত্তম বিষয়কে মিথ্যা মনে করে। ‘অচিরেই আমরা তাকে কঠিন পথের জন্য সহজ করে দেব’। ‘তার ধন-সম্পদ তার কোন কাজে আসবে না, যখন সে ধ্বংস হবে’ (লায়ল ৯২/৮-১১)।
৫- وَمَنْ يُوقَ شُحَّ نَفْسِهِ فَأُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ-
(৫) ‘যারা হৃদয়ের কার্পণ্য হ’তে মুক্ত, তারাই সফলকাম’ (হাশর ৫৯/৯)।
৬- وَالَّذِينَ إِذَآ أَنْفَقُوا لَمْ يُسْرِفُوا وَلَمْ يَقْتُرُوا وَكَانَ بَيْنَ ذَالِكَ قَوَامًا-
(৬) ‘আর যখন তারা ব্যয় করে, তখন অপব্যয় করেনা বা কৃপণতা করেনা। বরং এ দু’য়ের মধ্যবর্তী পথ অবলম্বন করে’ (ফুরক্বান ২৫/৬৭)।
হাদীছের বাণী :
৭- عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا مِنْ يَوْمٍ يُصْبِحُ الْعِبَادُ فِيهِ إِلَّا مَلَكَانِ يَنْزِلَانِ فَيَقُولُ أَحَدُهُمَا: اللَّهُمَّ أَعْطِ مُنْفِقًا خَلَفًا، وَيَقُولُ الْآخَرُ: اللَّهُمَّ أَعْطِ مُمْسِكًا تَلَفًا -
(৭) আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘প্রতিদিন সকালে দু’জন ফেরেশতা অবতরণ করে। তাদের একজন বলেন, হে আল্লাহ! দাতাকে তার দানের উত্তম প্রতিদান দিন। অপরজন বলেন, হে আল্লাহ! কৃপণকে ধ্বংস করে দিন’।[1]
৮- عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: صَلَاحُ أَوَّلِ هَذِهِ الأُمَّةِ بِالزُّهْدِ وَالْيَقِينِ، وَهَلَاكُ آخِرُهَا بِالْبُخْلِ وَالْأَمَلِ-
(৮) আব্দুল্ললাহ বিন আমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘এই জাতির প্রথম কল্যাণ রয়েছে দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি ও (তাকদীরের প্রতি) দৃঢ়বিশ্বাসী থাকার মধ্যে। আর এই জাতির পরবর্তীদের ধ্বংস রয়েছে কৃপণতা ও অধিক আকাঙ্ক্ষার মধ্যে’।[2]
৯- عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِيَّاكُمْ وَالشُّحَّ، فَإِنَّمَا هَلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ بِالشُّحِّ، أَمَرَهُمْ بِالْبُخْلِ فَبَخِلُوا، وَأَمَرَهُمْ بِالْقَطِيعَةِ فَقَطَعُوا، وَأَمَرَهُمْ بِالْفُجُورِ فَفَجَرُو-
(৯) আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা কৃপণতা হ’তে বেঁচে থাক। কেননা কৃপণতা তোমাদের পূর্বেকার লোকদের ধ্বংস করেছে। এ বস্ত্ত তাদের আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলেছে, তখন সে তা করেছে। তাদের কার্পণ্য করার নির্দেশ দিয়েছে, তখন সে তা করেছে। তাদের পাপ করার নির্দেশ দিয়েছে, তখন সে তা করেছে’।[3]
১০- عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: .... وَاتَّقُوا الشُّحَّ، فَإِنَّ الشُّحَّ أَهْلَكَ مَنْ كَانَ
قَبْلَكُمْ، حَمَلَهُمْ عَلَى أَنْ سَفَكُوا دِمَاءَهُمْ وَاسْتَحَلُّوا مَحَارِمَهُمْ-
(১০) জাবির (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা কৃপণতা থেকে বেঁচে থাক, কারণ কৃপণতা তোমাদের পূর্ববর্তীদেরকে ধ্বংস করেছে। এ কৃপণতাই তাদেরকে প্ররোচিত করেছে রক্তপাত এবং হারাম কাজকে হালাল করার দিকে’।[4]
(১১) আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, ‘কৃপণ ও দানশীলের দৃষ্টান্ত এমন দুই ব্যক্তির মত যাদের পরিধানের দু’টি লোহার বর্ম রয়েছে। যা তাদের বুক থেকে টুটি পর্যন্ত বিস্তৃত। সুতরাং দানশীল যখন দান করে তখনই সেই বর্ম তার সারা দেহে বিস্তৃত হয়ে যায়। এমনকি তা তার আঙ্গুলগুলোকেও ঢেকে ফেলে এবং তার পদচিহ্ন (পাপ) মুছে দেয়। পক্ষান্তরে কৃপণ যখনই কিছু দান করার ইচ্ছা করে, তখনই বর্মের প্রতিটি আংটা যথাস্থানে এঁটে যায়। সে তা প্রশস্ত করতে চাইলেও তা প্রশস্ত হয় না’ (وَأَمَّا الْبَخِيلُ فَلاَ يُرِيدُ أَنْ يُنْفِقَ شَيْئًا إِلاَّ لَزِقَتْ كُلُّ حَلْقَةٍ مَكَانَهَا ، فَهُوَ يُوَسِّعُهَا وَلاَ تَتَّسِعُ)।[5]
১২- عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لاَ يَجْتَمِعُ الشُّحُّ وَالإِيمَانُ فِى جَوْفِ رَجُلٍ مُسْلِمٍ وَلاَ يَجْتَمِعُ غُبَارٌ فِى سَبِيلِ اللهِ وَدُخَانُ جَهَنَّمَ فِى جَوْفِ رَجُلٍ مُسْلِمٍ-
(১২) আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘কৃপণতা ও ঈমান কোন বান্দার অন্তরে কখনই জমা হ’তে পারে না। আর কোন বান্দার অন্তরে আল্লাহর রাস্তার ধুলা ও দোযখের ধোঁয়া একত্রিত হবে না’।[6]
১৩- عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يَتَقَارَبُ الزَّمَانُ، وَيَنْقُصُ الْعَمَلُ، وَيُلْقَى الشُّحُّ، وَتَظْهَرُ الْفِتَنُ، وَيَكْثُرُ الْهَرْجُ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيُّمَ هُوَ قَالَ الْقَتْلُ الْقَتْلُ-
(১৩) আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, ‘সময় নিকটতর হ’তে থাকবে, আর আমল কমে যাবে, কৃপণতার বিস্তার ঘটবে, ফিৎনার বিকাশ ঘটবে, হারজের (হত্যা) আধিক্য হবে[7]
১৪- عَنِ الْمُغِيرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللهَ حَرَّمَ عَلَيْكُمْ عُقُوقَ الأُمَّهَاتِ، وَوَأْدَ الْبَنَاتِ، وَمَنعَ وَهَاتٍ، وَكَرِهَ لَكُمْ قِيلَ وَقَالَ، وَكَثْرَةَ السُّؤَالِ، وَإِضَاعَةَ الْمَالِ-
(১৪) মুগীরাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের উপর মাতাদের অবাধ্যতা, কন্যাদের জীবন্ত প্রোথিতকরণ, কৃপণতা ও ভিক্ষাবৃত্তি হারাম করেছেন। আর তোমাদের জন্য বৃথা তর্ক-বিতর্ক, অধিক জিজ্ঞাসাবাদ ও সম্পদ বিনষ্টকরণ মাকরূহ করেছেন’।[8]
১৫- عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ شَرُّ مَا فِى رَجُلٍ شُحٌّ هَالِعٌ وَجُبْنٌ خَالِعٌ-
(১৫) আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তির চরিত্রে কাতরতাপূর্ণ কার্পণ্য এবং সীমাহীন ভীরুতা রয়েছে সে খুবই নিকৃষ্ট’।[9]
(১৬) আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ)-এর কাছে এসে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল কোন ছাদাক্বার ছওয়াব বেশী? তিনি বললেন, সুস্থ ও কৃপণ অবস্থায় ছাদাক্বাহ করা যখন তুমি দারিদ্রে্যর আশঙ্কা করবে ও ধনী হওয়ার আশা রাখবে। ছাদাক্বা করতে এ পর্যন্ত বিলম্ব করবে না যখন প্রাণবায়ু কণ্ঠাগত হবে, আর তুমি বলতে থাকবে, অমুকের জন্য এতটুকু, অমুকের জন্য এতটুকু, অথচ তা অমুকের জন্য হয়ে গেছে’।[10]
মনীষীদের বক্তব্য :
১. ইমাম মাওয়ার্দী (রহঃ) বলেন, লোভ ও কৃপণতা সকল নিন্দা ও নীচতার মূল কারণ। কেননা কৃপণতা মানুষকে বান্দার হক আদায়ে বাধা প্রদান করে এবং সম্পর্কছেদ ও আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করার প্রতি উৎসাহিত করে’।[11]
২. ইয়াহইয়া ইবনু মু‘আয (রহঃ) বলেন, ‘দানশীল ব্যক্তিরা পাপী হ’লেও মানুষের হৃদয়ে তাদের জন্য ভালোবাসা জাগরুক থাকে। আর কৃপণ ব্যক্তিরা সৎকর্মশীল হ’লেও মানুষের হৃদয়ে তাদের জন্য ঘৃণা বৈ অন্য কিছুই থাকে না’।[12]
৩. কাযী ইয়ায (রহঃ) বলেন, কৃপণ ব্যক্তি তার কৃপণতার কারণে দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জগতে ধ্বংসপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে’।[13]
সারবস্ত্ত :
১. কৃপণতা হ’ল অকৃতজ্ঞতা, কেননা তা আল্লাহর নেআমতকে অস্বীকার করার শামিল। ২. কৃপণতা এমন মারাত্মক রোগ যা মানুষকে সফল করে না; বরং ধ্বংস ডেকে আনে। ৩. কৃপণতার কারণে পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্ক বিনষ্ট হয় এবং কৃপণকে কেউ ভালো চোখে দেখে না। আল্লাহ সুবহানাহু তা‘আলা সকলকেই কৃপণতা থেকে বেঁচে থাকার তাওফীক দান করুন।- আমীন!
[1]. বুখারী হা/১৪৪২; মুসলিম হা/১০১০; মিশকাত হা/১৮৬০।
[2]. তাবারাণী হা/৭৬৫০; ছহীহাহ হা/৩৪২৭; ছহীহুত তারগীব হা/৩২১৫।
[3]. আবুদাঊদ হা/১৬৯৮।
[4]. মুসলিম হা/২৫৭৮; মিশকাত হা/১৮৬৫।
[5]. বুখারী হা/১৪৪৩, ২৯১৭; মুসলিম হা/১০২১; নাসাঈ হা/২৫৪৭।
[6]. আহমাদ হা/৯৬৯১; নাসাঈ হা/৩১১১; মিশকাত হা/৩৮২৮।
[7]. বুখারী হা/৭০৬১; মুসলিম হা/১৫৭; মিশকাত হা/৫৩৮৯।
[8]. বুখারী হা/১৪৭৭, ৫৯৭৫; মুসলিম হা/৫৯৩; মিশকাত হা/৪৯১৫।
[9]. আবু দাঊদ হা/২৫১১।
[10]. বুখারী হা/১৪১৯; মুসলিম হা/১০৩২; মিশকাত হা/১৮৬৭।
[11]. আদাবুদ দ্বীন ওয়াদ্দুনয়া, পৃ. ২২৪।
[12]. এহয়াউ উলূমিদ্দীন ৩/২৫৬।
[13]. নববী, শরহ মুসলিম ১৬/১৩৪।