ইবনে তায়মিয়া (রহ.)-এর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
তাওহীদের ডাক ডেস্ক
তাওহীদের ডাক ডেস্ক 248 বার পঠিত
ইমাম ইবনু কাছীর (রহঃ) উল্লেখ করেছেন যে, যখন শায়খুল ইসলাম الاستغاثة (সাহায্য প্রার্থনা) গ্রন্থটি রচনা করেন ঠিক তখনই অন্যতম ছূফী নেতা ইবনু বাকরী স্বীয় দলবলসহ রাস্তায় নযর রাখা শুরু করল। অতঃপর একদিন শায়খুল ইসলামকে তারা বেদম প্রহার করে মাটিতে ফেলে রেখে পালিয়ে গেল। অতঃপর সাধারণ মানুষ ও প্রশাসনের দায়িত্বশীলরা একত্রিত হয়ে ইবনু বাকরীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য শাইখুল ইসলামের কাছ থেকে অনুমতি প্রার্থনা করল। তিনি প্রতিশোধ নেওয়ার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করলেন এবং বললেন, (প্রতিশোধ গ্রহণ) বিষয়টি হয় আমার জন্য, আপনার জন্য অথবা আল্লাহর জন্য হবে। অতএব যদি বিষয়টি আমার অধিকার সংশ্লিষ্ট হয় তাহ’লে সেটার সমাধান আমার কাছেই আছে! আর যদি আপনাদের কোন অধিকার সংশ্লিষ্ট হয় তাহ’লে আমি যেটা সমাধান দিব, সেটা যদি মেনে না নেন তাহ’লে আমার কাছে ফৎওয়া জিজ্ঞাসা করবেন না। আপনারা যা ইচ্ছা তাই করুন! আর বিষয়টি যদি আল্লাহর হক সংশ্লিষ্ট হয় তাহ’লে আল্লাহ্ই তাদেরকে পাকড়াও করবেন, তিনি যখন যেভাবে চান।
কিন্তু জনগণ ইমামের কথা না শুনে ইবনে বাকরীকে খুঁজতে লাগল। ইবনু বাকরী পালানোর কোন জায়গা খুঁজে না পেয়ে গোপনে শায়খুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় চাইলেন। ইবনু তায়মিয়া (রহ.)ু তাকে নিজের কাছে আশ্রয় দিলেন এবং সযত্নে লুকিয়ে রাখলেন। তারপর বাদশাহর কাছে তার ব্যাপারে ক্ষমার সুফারিশ করলেন। ফলে বাদশা তাকে ক্ষমা করে দিলেন। এই বিস্ময়কর ঘটনা ঘটার পর কিছু আশ‘আরী আলেম শায়খুল ইসলামের ব্যাপারে মন্তব্য করেছেন যে, তিনি এমন চরিত্রগুণ অর্জন করেছিলেন, যা মানুষের মধ্যে বিশেষ ব্যক্তি ও আল্লাহর নবীগণ ছাড়া অর্জন করা অসম্ভব। আল্লাহ তঁার উপর রহম করুন।-আমীন! (আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ১৪/৮৭)।