সংগঠন সংবাদ
তাওহীদের ডাক ডেস্ক
কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সদস্য প্রশিক্ষণ-২০২৩
নওদাপাড়া, রাজশাহী১৫-১৬ ডিসেম্বর শুক্র ও শনিবার : ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় উদ্যোগে আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহীর পূর্ব পার্শ্বস্থ ভবনের মিলনায়তনে ২দিন ব্যাপী কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সদস্য প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দিন বা‘দ ফজর কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া উক্ত অনুষ্ঠানে ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সভাপতি শরীফুল ইসলাম মাদানী উদ্বোধনী ভাষণ ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আবুল কালাম স্বাগত ভাষণ ও প্রশিক্ষণ নির্দেশনা প্রদান করেন। অতঃপর পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষকবৃন্দ বিষয়ভিত্তিক আলোচনা পেশ করেন। আলোচকবৃন্দ হলেন ‘আন্দোলনে’র কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ড. আব্দুল হালীম (আহলেহাদীছ আন্দোলন কী ও কেন? কী চায়, কেন চায়, কীভাবে চায়?), ‘যুবসংঘে’র সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ‘আন্দোলনে’র কেন্দ্রীয় গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. কাবীরুল ইসলাম (আহলেহাদীছ আন্দোলন ও অন্যান্য মতবাদের বৈশিষ্ট্য ও পার্থক্য : ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, রাজনীতিই ধর্ম, সুফিবাদ), ‘যুবসংঘে’র সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও মারকাযের ভাইস প্রিন্সিপাল ড. নূরুল ইসলাম (ভারতীয় উপমহাদেশে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’-এর গতিধারা ও সাংগঠনিক ইতিহাস), ‘আন্দোলনে’র কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. সাখাওয়াত হোসাইন (ইসলামী নেতৃত্ব নির্বাচন পদ্ধতি : আমাদের রাজনৈতিক দর্শন), ‘আন্দোলনে’র কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব (সাংগঠনিক জীবনে চেইন অফ কমান্ডের গুরুত্ব এবং জামা‘আত ও বায়‘আত), ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক আব্দুন নূর (দক্ষ কর্মী তৈরির উপায়), কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আহমাদুল্লাহ (গঠনতন্ত্র অনুসরণের গুরুত্ব), কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আবুল কালাম (দাওয়াতি কাজে কর্মপদ্ধতির অনুসরণ), কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ (সাংগঠনিক জীবনে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা) ও কেন্দ্রীয় সভাপতি শরীফুল ইসলাম মাদানী (মুসলিম সংহতি দৃঢ়করণ)।
উল্লেখ্য যে, প্রশিক্ষণ উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সদস্যদের জন্য পূর্ব নির্ধারিত ৩টি বই ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন কি ও কেন?’, ‘আক্বীদা ইসলামিয়াহ’ ও ‘ইক্ববামতে দ্বীন : পথ ও পদ্ধতি’-এর উপর গ্রন্থপাঠ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত প্রতিযোগিতায় পুরস্কার প্রাপ্তরা হ’লেন, ১ম স্থান : সাইফুর রহমান (সভাপতি, দিনাজপুর-পূর্ব), দ্বিতীয় স্থান : মুহাম্মাদ আব্দুন নূর (দফতর সম্পাদক, দিনাজপুর-পূর্ব), ৩য় স্থান : সাজেদুর রহমান (প্রশিক্ষণ সম্পাদক, দিনাজপুর-পূর্ব)। দুই দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণে সকলের উদ্দেশ্যে হেদায়াতী ভাষণ প্রদান করেন মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রসেফর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব।
‘তারুণ্যের আত্মপাঠ ও ক্যারিয়ার ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার
কুমিল্লা ৩১শে ডিসেম্বর রবিবার : অদ্য দুপুর ৩-টায় যেলার শাসনগাছাস্থ মারকাযে যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি মুহাম্মাদ রুহুল আমীনের সভাপতিত্বে ‘তারুণ্যের আত্মপাঠ ও ক্যারিয়ার ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে কি-নোট স্পিকার ছিলেন ‘আন্দোলনে’র কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয় সম্পাদক ও ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন শিক্ষাবোর্ড’-এর চেয়ারম্যান ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব, আহলেহাদীছ পেশাজীবী ফোরামের সভাপতি ডা. শওকত হাসান, বুয়েটের সহযোগী অধ্যাপক প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আলী নাঈম, ঢাকা বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ছাবিত বিন হান্নান ও ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আহমাদুল্লাহ। সেমিনারটি উদ্বোধন করেন যেলা ‘আন্দোলনে’র সভাপতি মুহাম্মাদ ছফিউল্লাহ ও প্রবন্ধ পাঠ করেন আব্দুল্লাহ আল-মুছাদ্দিক।
মৃত্যু সংক্রান্ত শিরক-বিদ‘আত প্রতিরোধে ‘যুবসংঘ’
‘যুবসংঘে’র দিনাজপুর-পূর্ব সাংগঠনিক যেলার হাকিমপুর উপযেলার সাতকুড়ি শাখার অর্থ সম্পাদক মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসেন (২৩) দীর্ঘদিন শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। তিনি গত ১৪ই জানুয়ারী রবিবার বিকাল ৪-টায় সাতকুড়ি গ্রামে নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজে‘ঊন। বা‘দ এশা স্থানীয় সাতকুড়ি প্রাইমারী স্কুল মাঠে তার জানাযার ছালাত অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় ‘আন্দোলন’ ও ‘যুবসংঘে’র দায়িত্বশীলবৃন্দ এবং স্থানীয় ব্যক্তিবর্গসহ বহু মুছল্লী যোগদান করেন। জানাযা শেষে সাতকুড়ি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য যে, মৃত্যুপূর্ব সকালে কথিত আলেম ও স্থানীয় লোকজনের পরামর্শে পরিবারের সদস্যগণ মৃত্যু যন্ত্রণা থেকে মুক্তি ও সুস্থতার আশায় তার জন্য তাবীজ, ইউনুস খতম, পশু যবেহসহ অসংখ্য শিরক-বিদ‘আতী আমল শুরু করে। সংবাদ পেয়ে তৎক্ষণাৎ ‘যুবসংঘ’ সাতকুড়ি শাখার সভাপতি আক্তারুল ইসলামের নেতৃত্বে শাখা দায়িত্বশীলগণ উপযেলা ও যেলা দায়িত্বশীলদের সাথে নিয়ে সাংগঠনিক প্রচেষ্টায় পরিবারের সদস্যদের শিরক-বিদ‘আতের ভয়াবহতা উপলব্ধি করিয়ে সকল বিদ‘আতী কার্যক্রম বন্ধ করতে সক্ষম হন। ফালিল্লাহিল হামদ! সেসময় থেকে মৃত্যু, কাফন, জানাযা ও দাফন পর্যন্ত সকল কাজে ‘যুবসংঘে’র দায়িত্বশীলগণ অতন্দ্র প্রহরীর মত অবস্থান করেন ও কোন বিদ‘আতী আমলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হ’লেই তা হিকমার সাথে প্রতিহত করেন। যেমন গোলাপ জল ছিটানো, কুরআন খতম, মাটি দেওয়ার সময় মিন হা খলাকনাকুম...পাঠ, কবরে খেজুর ডাল দেওয়া ইত্যাদি। পরিশেষে মৃতের পরিবার ও আগত আত্মীয়দের ধৈর্য ধারণের নছীহত ও শিরক-বিদ‘আত মুক্ত জীবন ও সমাজ গড়ার গুরুত্ব উল্লেখ করে তা‘লীম দেওয়া হয়।
[আমরা তাঁর রূহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং তাঁর শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।]