মার্কিন লেখক জেফরী শন কিং-এর ইসলাম গ্রহণ

তাওহীদের ডাক ডেস্ক 413 বার পঠিত

[জেফরী শন কিং ১৯৭৯ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর কেনটাকির ফ্র্যাঙ্কলিনে জন্মগ্রহণ করেন। কিং জর্জিয়ার আটলান্টার মোরহাউস কলেজ থেকে স্নাতক এবং অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি একজন আমেরিকান লেখক ও মানবাধিকার কর্মী। তিনি ছোটবেলায় বর্ণবাদের শিকার হয়েছিলেন। এজন্য তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ নিয়েও কাজ করেন। গত ৭ই অক্টোবর’২৩ গাযাবাসীর ওপর শুরু হওয়া ইস্রাঈলের পৈশাচিক হামলার নিন্দা জানিয়ে অনবরত পোস্ট করে আসছেন তিনি। পাশাপাশি মার্কিন এই লেখক শুরু থেকেই ইস্রাঈলের এই গণহত্যা বন্ধ ও ফিলিস্তীনী ভূখন্ডের স্বাধীনতার দাবি জানিয়ে আসছেন।]

গত ১১ই মার্চ ২০২৪ সোমবার আরব দেশগুলোতে পবিত্র রামাযান মাসের প্রথম দিনই মার্কিন লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট শন কিং ও তার স্ত্রী ইসলামে প্রবেশের ঘোষণা দেন। সোমবার ইনস্টাগ্রামের লাইভে তারা কালেমা পড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তাদের কালেমা পাঠ করিয়েছেন শনের ১০ বছরের পুরনো বন্ধু ও মার্কিন মুসলিম স্কলার ওমর লায়মানী। তাদের ইসলাম গ্রহণের সময়কার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করার পর শন বলেছেন, তিনি ও তার স্ত্রী ফিলিস্তীনীদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া পোস্টের ক্যাপশনে শন কিং লিখেছেন, ‘মাত্রই টেক্সাসের ডালাসে অবস্থিত আমাদের বাসভবনের পার্শ্ববর্তী মসজিদ থেকে ফিরলাম। সেখানে কয়েকজনের উপস্থিতিতে আমরা শাহাদাহ পাঠ করেছি এবং রামাযানের শুরুতেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি। তিনি আরো লিখেছেন, ‘এই দিনটি খুব সুন্দর ও শক্তিশালী ছিল। আর আমাদের জীবনের জন্য ছিল খুবই অর্থবহ। আমরা কখনো কিছুতেই দিনটি ভুলতে পারব না।

শন ফিলিস্তীনের গাযাবাসীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের পেছনে গাযাবাসীর পোহানো গত ৬ মাসের দুর্ভোগ ও যন্ত্রণা রয়েছে। এ সময় তিনি ফিলিস্তীনীদের তৈরী কেফিয়াহ রুমাল পরা ছিলেন। শন বলেন, এটি আমার হৃদয়কে আরও গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে যে পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর ও ট্রমাটিক জায়গা, যেখানে শুধু ধ্বংসস্তূপ আর বেঁচে যাওয়া পরিবারের সদস্যরা ছাড়া আর কিছুই নেই, সেখানে থেকেও মানুষ কীভাবে জীবনের অর্থ ও লক্ষ্য খুঁজে পায়!

গাযার চলমান ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘গাযার প্রিয় বন্ধুদের সঙ্গে আমার হৃদয় জড়িয়ে আছে। আমি অত্যন্ত গর্ব বোধ করছি যে, গাযার হাযার হাযার পরিবারের জন্য রাতের খাবারের (ইফতার-সাহারীর) ব্যবস্থা করতে পারছি। অবশ্যই এটি রামাযানের প্রতিটি দিনই চালু রাখব’। শন আরও বলেন, ইসলামের প্রতি বিশ্বাস ও আন্তরিকতা শুধু আমারই নয়, বরং বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের হৃদয়কেই প্রশস্ত করেছে।

ছোটবেলা থেকেই ঘৃণামূলক অপরাধের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কারণে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন শন। তিনি নাগরিক ও মানবাধিকার, জাতিগত সম্পর্ক, পুলিশী বর্বরতা, নির্বিচারে ধরপাকড় এবং আইন প্রয়োগকারীদের অসদাচরণের মতো বিষয়ে লেখালেখির মাধ্যমে প্রতিবাদ করেন। এছাড়াও শন দৈনিক কস, নিউ ইয়র্ক ডেইলি নিউজ এবং দ্য ইয়াং তুর্কসের মতো মিডিয়া আউটলেটগুলোতে নিয়মিত লিখেন।



আরও