জার্মান তরুণী মার্টিনা ওবারহোলজনার ইসলাম গ্রহণ

তাওহীদের ডাক ডেস্ক 292 বার পঠিত

[ইসলাম গ্রহণের পূর্বে তার নাম ছিল মার্টিনা ওবারহোলজনার। ইসলাম গ্রহণের পর তিনি মারয়াম নাম গ্রহণ করেন। চলতি বছরের জানুয়ারীতে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে ইসলাম গ্রহণ করেন। রামাযান মাসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম খালীজ টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জার্মান প্রবাসী মার্টিনা ওবারহোলজনার এখন মারয়াম নামে পরিচিত এবং এই বছরের শুরুতে ইসলাম গ্রহণের পর দুবাইতে এবার রামাযানে তিনি ছিয়াম পালন করছেন।]

মার্টিনা ওবারহোলজনার জন্ম জার্মানির মিউনিখ শহরে এক খৃষ্টান পরিবারে। পরিবারের সাথেই তার শৈশব ও কৈশোর অতিবাহিত হয়েছে এবং সেখানেই ১৪ বছর বয়সে ইসলামের প্রতি তার মুগ্ধতার সূচনা হয়েছিল। ঐ বয়সে তিনি এক বন্ধুর সাথেমিউনিখের একটি মসজিদে গিয়েছিলেন। সে সময়ের কথা স্মরণ করে মারয়াম বলেন, মসজিদে আন্তরিকতা ও উষ্ণতার সঙ্গে আমাকে অভ্যর্থনা জানানো হয়েছিল এবং তাতে আমি খুবই অভিভূত হয়েছিলাম। সেখানে আমি যে সহানুভূতি অনুভব করেছি তা আমার ওপর স্থায়ী ছাপ রেখে গেছে।সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুসলিম বন্ধুবান্ধব এবং প্রতিবেশীদের সাথে মারয়ামের সম্পর্ক গভীর হয়। তিনি বলেন, তাদের সম্পর্কে যা আমাকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করেছিল তা হ’ল- তারা ছিলেন অতীব দয়ালু, অত্যন্ত বন্ধুবৎসল এবং আন্তরিক সহযোগী, যা আমার ইসলাম গ্রহণের অন্যতম প্রধান কারণ।

২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে কয়েক সপ্তাহের জন্য মারয়াম ইন্দোনেশিয়ার বালিতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি অপ্রত্যাশিতভাবে নিজেকে ইসলামী সংস্কৃতিতে নিমজ্জিত করেন।এরপর মারিয়াম তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গত বছরের আগস্ট মাসে জার্মানিতে ফিরে আসেন। কিন্তু ইসলামী সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রতি মুগ্ধতার কারণে তিনি পুনরায় দুবাইয়ে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব ছিলেন। তিনি দুবাইয়ে যাওয়ার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকেন। পাশাপাশি এই সময়ে তিনি কুরআনের একটি জার্মান অনুবাদ সংগ্রহ করে পড়তে শুরু করেন। তিনি কুরআন পাঠের মাধ্যমেইসলামের ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে পরিচিত হন এবং এতে প্রশান্তি অনুভব করেন।

জার্মান তরুণী মার্টিনা ওবারহোলজনার ইসলাম গ্রহণ

দুবাইয়ে বিভিন্ন চাকুরীর আবেদন করতে করতে তিনি একটিভালো সুযোগ পেয়ে যান। অবশেষে ২০২৩ সালের অক্টোবরে মারয়াম একটি কোম্পানীর মার্কেটিং এক্সিকিউটিভহিসাবে দুবাইতে চলে আসেন।এখানে এসে তিনি নতুনভাবে কুরআন পড়তে ও ব্যাখ্যা বুঝতে শুরু করেন। এর কিছু দিনের মধ্যেই তিনি এক অবর্ণনীয় সংবেদন অনুভব করেন। সেকথা স্মরণ করে তিনি বলেন, আমি সেই অনুভূতি প্রকাশ করতে পারব না। আল-কুরআনের মাত্র ৫০ পৃষ্ঠা পড়ার পরই আমি বুঝতে পারলাম, আমি ইসলাম গ্রহণ করতে চাই।

২০২৪ সালের জানুয়ারীতে ২৬ বছর বয়সে তিনি দুবাইয়ের একটি ইসলামিক ইনফরমেশন সেন্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করেন। নিজের ইসলাম গ্রহণের এই যাত্রা সম্পর্কে এক সাক্ষাৎকারে মারয়াম বলেন, কিশোর বয়স থেকেই আমি ইসলামের প্রতি গভীর সংযোগ অনুভব করতাম। যদিও খ্রিস্টান পরিবারে বড় হয়েছি, তবু্ও আমি সবসময় ইসলামের শিক্ষার প্রতি আকৃষ্ট ছিলাম। আমি শালীন পোশাক পরিধান করতাম এবং প্রায়ই শীলা (মাথার স্কার্ফ) পরিধান করতাম।এরপর তিনি নিজের বিশ্বাস সম্পর্কে বলেন, ইসলাম গ্রহণের মাধ্যমে আমি আল্লাহ্র একত্ববাদে বিশ্বাস স্থাপন করেছি এবং মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে তাঁর রাসূল হিসাবে গ্রহণ করার সাক্ষ্য দিয়েছি। বর্তমানে (রামাযান মাসে) আমি একজন মুসলিম হিসাবে রামাযানের ছিয়াম পালন করছি। আলহামদুলিল্লাহ



আরও