মুহাম্মাদ যুহায়ের আশ-শাবীশ (সিরিয়া)

তাওহীদের ডাক ডেস্ক 367 বার পঠিত

[শায়খ মুহাম্মাদ যুহায়ের ইবনু মুছতফা আশ-শাবীশ (১৯২৫-২০১৩) একজন সমকালীন সিরিয়ান সালাফী আলেম। তিনি হাদীছের ইজাযাহ নিয়েছিলেন শায়খুল ইসলাম সাইয়্যেদ হোসাইন আহমাদ মাদানী (রহঃ), শায়খ হাবীবুর রহমান আজমী (রহঃ) এবং শায়েখ আহমাদ মুহাম্মাদ শাকির (রহঃ)-সহ দুই শতাধিক আলেমের নিকট থেকে। তাঁর বিচিত্র শিক্ষা জীবনের পাশাপাশি ছিল বর্ণাঢ্য কর্ম জীবন। তিনি একাধারে একজন সংগ্রামী বীর মুজাহিদ, শিক্ষাবিদ, লেখক, প্রকাশক, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি জন্মভূমি সিরিয়া ছাড়াও কাতার, মিশর, লেবানন ও জর্ডানসহ বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকত্ব লাভ করেছিলেন। শায়খ যুহায়েরের ব্যক্তিগত সমৃদ্ধ লাইব্রেরীটি ছিল ইসলামী বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জ্ঞানভান্ডার। এতে হাযার হাযার মুদ্রিত বইয়ের পাশাপাশি দশ হাযারেরও বেশি অপ্রকাশিত পান্ডুলিপি ছিল। যার মধ্যে লেখকদের হাতে লেখা শত শত দুর্লভ এবং অনন্য এমন কিছু পান্ডুলিপি, চিঠিপত্র, ছবি ও রেকর্ড ছিল, যার কোন কপি পৃথিবীর আর কোথাও নেই। তাঁর সেই লাইব্রেরী থেকে শায়েখ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ)-সহ অনেক আলেম উপকৃত হতেন। তিনি পুরাতন পান্ডুলিপি সংগ্রহ, সেগুলোর রচনাকাল ও স্থান নির্ণয় এবং তাহক্বীকের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। শায়েখ আলী তানতাভী (রহঃ) বলেন, আমার দেখা অন্যতম সেরা একজন মানুষ হলেন শায়েখ মুহাম্মাদ যুহায়ের আশ-শাবীশ (রহঃ)। নিম্নে এই গুণী মানুষটির সংক্ষিপ্ত জীবনকথা উদ্ধৃত হ’ল-সহকারী সম্পাদক]

জন্ম ও পরিচয় : শায়খ মুহাম্মাদ যুহায়ের ইবনু মুছতফা ২৫শে জুলাই ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে দামেশক শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতৃপুরুষ হোসাইন ইবনু আলী (রাঃ)-এর বংশধর হওয়ায় তাদের গোত্রকে হোসাইনী বলা হত। তখন তারা ইরাকে বসবাস করতেন। ওছমানীয় খেলাফতকালে তাঁর দাদা আহমাদ আল-হোসাইনী দামেশক থেকে হেজায পর্যন্ত চলাচলকারী কাফেলাসমূহের নিরাপত্তা প্রদানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। বিশেষত হজ্জ্ব মৌসুমে তিনি ও তাঁর বাহিনী হজ্জ্ব কাফেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থার তত্ত্বাবধান করতেন এবং তাদের প্রয়োজনীয় খাবার ও পানীয়ের ব্যবস্থা করতেন। এজন্য তিনি শাবীশ (সার্জেণ্ট) উপাধিতে ভূষিত হন। পরবর্তীকালে তার গোত্রও শাবীশ নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে।

অন্যদিকে মুহাম্মাদ যুহায়রের মা যায়নাব বিনতে সাঈদ ছিলেন রহমাউন গোত্রের মহিলা। শাবীশ এবং রহমাউন গোত্রদ্বয় সম্পদ, সম্মান ও প্রতিপত্তিতে দামেশকের অভিজাত গোত্রগুলোর অন্তর্ভুক্ত ছিল।

শিক্ষা জীবন : শায়খমুহাম্মাদ যুহায়েরের শিক্ষাজীবন ছিল খুবই বিচিত্র। দামেশকের এক উমাইয়া মাদ্রাসায় তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয়। অতঃপর তিনি শায়খ মুহাম্মাদ আল-ফক্বীহ প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা মুহাম্মাদিয়ায় কিছুদিন পড়ালেখা করেন। ১৯৩২ সালে প্রথম সিরিয়ান প্রজাতন্ত্র গঠনের পর তিনি সরকারী মাদ্রাসায় দ্বিতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হন। সেখানে তিনি শায়খ আলী তানতাভীর সংস্পর্শে আসেন। কিন্তু তৃতীয় শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি পড়ালেখা ছেড়ে দিয়ে পিতার সাথে ব্যবসায়িক সফরে মিশর গমন করেন। এখানেই তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সমাপ্তি হয়।

তাঁর পড়ালেখা ছেড়ে দেওয়ার কয়েকটি কারণ ছিল। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হ’ল- এক. তিনি টানা দুই বছরের বেশি সময় চোখের সমস্যায় ভুগছিলেন। এসময় তিনি পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারেননি। পরবর্তীতে যখন তিনি ক্লাসে ফিরলেন তখন তার সহপাঠীরা তার থেকে দুই ক্লাস উপরে পড়ে। আর তার বর্তমান সহপাঠীরা তুলনায় ছোট। এজন্য ক্লাসে তাকে পিছনে বসতে হত, যা তার ভালো লাগত না। উপরন্তু চোখের সমস্যার কারণে তিনি ব্ল্যাকবোর্ডের লেখা দেখতে সক্ষম ছিলেন না। দুই. তাদের বিশাল পারিবারিক ব্যবসা দেখাশোনা করা ও ব্যবসায়িক কাজে বিভিন্ন দেশে গমন করা তার বাবার একার পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না।

মিশরে থাকাকালীন আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করে শিক্ষার প্রতি তাঁর প্রবল আগ্রহ তৈরী হয়। ফলে পিতা তার জন্য কয়েকজন প্রাইভেট শিক্ষক নিয়োগ করেন। তিনি পিতার ব্যবসায় সহযোগিতার পাশাপাশি জ্ঞানার্জন চালিয়ে যান। এসময় তিনি ব্যবসায়িক প্রয়োজনে ইরাক, মিশর, সঊদী আরব, সিরিয়াসহ বিভিন্ন আরব দেশে গমন করেন। এসব দেশসমূহে তিনি বেশ কয়েকজন খ্যাতনামা আলেমের সংস্পর্শে আসেন। তন্মধ্যে শায়খ মুহাম্মাদ খিযির আল-হোসাইন, খায়রুদ্দীন যিরাকলী, সুলায়মান আর-রুমহ ও আব্দুল আযীয হাজীলান অন্যতম।

আরব দেশসমূহে সফর ও শায়খদের সংস্পর্শে আসার কারণে তিনি ইসলামী শরী‘আত সম্পর্কে জ্ঞানার্জনে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তিনি নিজে কিতাব মুত্বালাআর পাশাপাশি বিভিন্ন শায়খের দারসে অংশগ্রহণ করেন। তিনি তৎকালীন দু’শর অধিক আলেমের নিকট জ্ঞানার্জন করেন এবং দশাধিক শায়খের নিকট থেকে হাদীছ বর্ণনার সনদ ও ফৎওয়া প্রদানের অনুমোদন লাভ করেন। তন্মধ্যে শায়েখ নাছিরুদ্দীন আলবানী, শায়েখ মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল আযীয আল-মানী, মুহাম্মাদ জামীল আশ-শাতিঈ (দামেশক), শায়েখ আহমাদ মুহাম্মাদ শাকির (মিশর), শায়েখ ইব্রাহীম রাবী (ইরাক), শায়েখ আব্দুল্লাহ আল-ক্বরক্বয়লী (ফিলিস্তীন ও জর্ডান), শায়েখ আব্দুর রহমান ইবনু ইয়াহইয়া আল-মুআল্লিমী (ইয়ামন) ও শায়েখ ছালাহুদ্দীন ইবনু রেযা আয-যাঈম (দামেশক) অন্যতম।

কর্মজীবন : সিরিয়ার ইসলামী সংস্কার আন্দোলনের নেতাদের অন্যতম ছিলেন শায়খ যুহায়ের আশ-শাবীশ। তিনি ইসলামী জ্ঞানচর্চা ও যাচাই-বাছাইয়ে অগ্রগামী ছিলেন। অপ্রকাশিত পান্ডুলিপি ও দুর্লভ বই সংগ্রহ করা এবং সেগুলো রচনাকাল ও স্থান নির্ণয়ে যুগের অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন। তার বিশাল গ্রন্থাগারটি বিশ্বের বৃহত্তম ইসলামী গ্রন্থাগারগুলির একটি হয়ে উঠেছিল।

১৯৪৫ সালে শায়খ যুহায়ের সিরিয়ার ফ্রান্স উপনিবেশ বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। অতঃপর ১৯৪৬ থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত তিনি ফিলিস্তীনে আমীন আল-হোসাইনী ও ড. মুছতফা আস-সিবাঈর নেতৃত্বে জায়নবাদী এবং ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। তিনি ইসলামিক সিভিলাইজেশন অ্যাসোসিয়েশন এবং মুসলিম ইয়ুথ গ্রুপের সদস্য ছিলেন। তিনি ড. মুছতফা আস-সিবাঈ ও অধ্যাপক ইছাম আল-আত্ত্বারের সাথে ইসলামী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি জন্মসূত্রে সিরিয়ান হওয়ার পাশাপাশি কাতার, মিশর, লেবানন ও জর্ডানসহ বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকত্ব লাভ করেছিলেন।

১৯৬১ সালে শায়েখ যুহায়ের আশ-শাবীশ সিরিয়ার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনিই প্রথম সিরিয়ার পার্লামেন্টে সূদ, কৃষি সংস্কার আইন ও জাতীয়করণের বিরোধিতা করেছিলেন। এজন্য তাকে সিরিয়ার ইসলামী নীতি প্রবর্তনের একজন নেতা হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

একাধিক দেশের নাগরিকত্ব লাভ করে শায়খ যুহায়ের লেবাননে স্থায়ীভাবে বাস করতে শুরু করেন। তার বাসভবন ছিল ইসলামী বিশ্বের বিখ্যাত বিদ্বানদের বৈঠকখানা। তন্মধ্যে শায়েখ নাছিরুদ্দীন আলবানী, শায়েখ আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ, শায়েখ সাফীর ওমর আল-আমীরী, শায়েখ মুহাম্মাদ নাছীফ, শায়েখ হাসান খালিদ প্রমুখ। বিশেষ করে শায়েখ আলবানীর সাথে তাঁর গভীর সখ্যতা ছিল। শায়খ আলী তানতাভী বলেন, উস্তায আব্দুর রহমান আলবানী ছিলেন শায়খ নাছিরুদ্দীন আলবানীর ডান হাত। আর মুহাম্মাদ যুহায়ের আশ-শাবীশ ছিলেন তার বাম হাত। যদি শায়খ যুহায়ের না থাকতেন তাহলে শায়খ আলবানীর এত খেদমত আশা করা যেত না।

ইসলামী লাইব্রেরী : ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে শায়খ যুহায়ের দামেশকের আল-হালাবুনী এলাকায় প্রাচীন কিতাবসমূহ তাহক্বীক ও প্রকাশের জন্য المكتب الإسلامي للطباعة والنشر নামে একটি প্রকাশনা সংস্থা স্থাপন করেন। অতঃপর ১৯৬৩ সালে অনিচ্ছা সত্বেও তিনি এটাকে বৈরুতে স্থানান্তর করতে বাধ্য হন। সেখানে তিনি তাফসীর, ফিক্বহ, হাদীছ, উছূলে হাদীছসহ বিভিন্ন শাস্ত্রে সালাফদের লিখিত অসংখ্য কিতাব তাহক্বীক্ব করে প্রকাশের ব্যবস্থা করেন। বিশেষ করে শায়খুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়ার কাজের বইসমূহ প্রকাশে সংস্থাটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। ধীরে ধীরে এই সংস্থাটি আরব বিশ্বের বৃহত্তম প্রকাশনা সংস্থাগুলির একটি হয়ে ওঠে।

শায়েখ যুহায়ের তাহক্বীক্বের কাজে বিশেষ মনোনিবেশ করেন। তিনি একাজের জন্য আলেমদের একটি দল গঠন করেন এবং বিশ্বের শ্রেষ্ঠ হাদীছ শাস্ত্রবিদদের সেখানে একত্রিত করতে সক্ষম হন। তাদের মধ্যে শায়খ নাছিরুদ্দীন আলবানী, শায়খ আব্দুল কাদির আল-আরনাউত, শায়খ শুয়াইব আল-আরনাউত, শায়েখ ছালেহ ইবনু আহমাদ আশ-শামী এবং ইসমাঈল আল-কিলানী অন্যতম। হাম্বলী ফিক্বহের কিতাবসমূহ তাহক্বীক্বের জন্য তিনি ফক্বীহদের একটি টিম গঠন করেন। যার নেতৃত্বে ছিলেন শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল আযীয আল-মানী এবং শায়খ আব্দুল কাদের আল-হাত্তাভী (আল-দূমী)।

এই প্রকাশনা সংস্থা ও এর ভূমিকা সম্পর্কে শায়খ যুহায়ের বলেন, আমি মনে করি ইসলামের সমৃদ্ধ জ্ঞানভান্ডার যাচাই-বাছাই করা অনেক নতুন বই রচনার চেয়ে বেশি উপকারী। তাই আমি নিজে যেমন দশাধিক বই তাহক্বীক করেছি, তেমন অন্যান্য আলেমদের গবেষণায় সহযোগিতা করেছি অথবা আমি তাদের পরামর্শ দিয়েছি, যা তাদের কাজে সাহায্য করতে পারে। এরপর এগুলোর মুদ্রণে তত্ত্বাবধান করেছি।

তিনি বিপুল সংখ্যক কিতাবের একটি বিশাল লাইব্রেরী গড়ে তুলেছিলেন, যা আরব বিশ্বের বৃহত্তম ব্যক্তিগত গ্রন্থাগারগুলির মধ্যে অন্যতম হিসাবে বিবেচিত হয়। এতে হাযার হাযার মুদ্রিত বইয়ের পাশাপাশি দশ হাযারেরও বেশি অপ্রকাশিত পান্ডুলিপি রয়েছে। যার মধ্যে লেখকদের হাতে লেখা শত শত দুর্লভ এবং অনন্য পান্ডুলিপি, চিঠিপত্র, ছবি ও রেকর্ড রয়েছে, যার কোন কপি পৃথিবীর আর কোথাও নেই।

শায়খের রচিত ও তাহক্বীককৃত কিতাবসমূহ : শায়খ যুহায়ের ইসলামের মূল্যবান জ্ঞানভান্ডার থেকে প্রায় ৬৮টি কিতাব সরাসরি তাহক্বীক্ব করেছেন বা তাহক্বীক্বের তত্ত্বাবধান করেছেন। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হ’ল :

১. মূসা আল-কুদূমী রচিত ‘আল-আজভিবাতুল জালিইয়াতু ফীল আহকামিল হাম্বালিইয়াহ’।

২. আহমাদ ইবনু হোসাইন বৈরূতী রচিত ‘এরশাদুত ত্বলেবীন লি আছা-রি সাইয়িদিল মুরসালীন (ছাঃ)’।

৩. ইব্রাহীম ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু সালিম রচিত ‘মানারুস সাবলীল ফী শারহিদ দলীল আলা মাযহাবিল ইমামিল মুবাজ্জাল আহমাদ ইবনু হাম্বল’।

৪. ইবনু কুদামা আল-মাক্বদেসী রচিত ‘আল-কাফী ফী ফিক্বহিল ইমামিল মুবাজ্জাল আহমাদ ইবনু হাম্বল’।

৫. ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ রচিত ‘আল-মাসায়েলুল মারিদীনিইয়াহ ফী ফিক্বহিল কিতাব ওয়াস-সুন্নাহ ওয়া রাফউল হারাজ ফীল ইবাদাত ওয়াল মুআমালাত’।

৬. হেবাতুল্লাহ ইবনু সালামাহ ইবনু নাছর আল-মাক্বরী রচিত ‘আন-নাসেখ ওয়াল-মানসূখ মিন কিতাবিল্লাহ’।

৭. আবু সাঈদ ওছমান ইবনু সাঈদ আদ-দারেমী রচিত ‘কিতাবুর রদ্দ আলাল জাহমিয়াহ’।

মৃত্যু : শায়খ যুহায়ের ১লা জুন ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ শনিবার আছরের সময় ৮৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। পরদিন যোহর ছালাত পর বৈরূতের আল-খাশেকজী মসজিদে তাঁর জানাযার ছালাত অনুষ্ঠিত হয়। অতঃপর তাকে বৈরূতের নতুন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। আল্লাহ তার খেদমত সমূহ কবুল করুন এবং তাকে জান্নাতবাসী করুন। আমীন।



আরও