স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ত্রাণ বিতরণের কিছু স্মৃতি

ইহসান ইলাহী যহীর 217 বার পঠিত

উপস্থাপনা : ৩০শে আগস্ট ২০২৪ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে তিন দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় বাড়ী-ঘর, রাস্তা-ঘাট, ক্ষেত-খামার, লোকালয়-গ্রাম প্লাবিত হয়। বিগত ৩৪ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা সবচেয়ে ভয়ংকর এই বন্যায় ৫৬ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০২৪ সালের ২১শে আগস্ট ভারী বর্ষণ ও ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশের ডুম্বুর পানিবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ রাতের অাঁধারে খুলে দেওয়ায় আকস্মিক এই ভয়াবহ বন্যা। এতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে ফেনী ও নোয়াখালী সহ দেশের ১২টি যেলার ৭৩টি উপযেলা। ফলে দেশের উত্তর-পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ৫টি যেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যায় প্লাবিত হয়।

মানবসেবা এক বড় অর্জন, সবার ভাগ্যে এটা জুটে না! বেশ কয়েকটি যেলার ধনী পরিবারের সংবাদ আমাদের কাছে এসেছে। ৭-৮তলা বিশিষ্ট বহুতল ভবনের মালিক। শহরের রাস্তাঘাট যখন কোমর পানির নীচে তলিয়ে আছে, তখন গৃহকর্তা তার স্ত্রীকে বলে, তুমি বাজার-সদাই করে নিয়ে আসো। আমি নীচে যেতে পারবো নাহ! জুজুবুড়িতে কট খাওয়া এই যদি হয় কতিপয় পুরুষের অবস্থা, তখন আবাল-বৃদ্ধ-বণিতাদের উদ্ধার করবে কে? আলহামদুলিল্লাহ ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ এবং ‘আহলেহাদীছ পেশাজীবী ফোরাম’ বন্যার এই উত্তাল ঢেউয়ে সর্বপ্রথম রেসকিউ টীমের হাল ধরে। প্রথমে লাইফ জ্যাকেট গায়ে দিয়ে নৌকা, অতঃপর খরস্রোতা ঢলে নৌকা উল্টে যাওয়ার আশংকায় বড় চাকা বিশিষ্ট মালবাহী ট্রাক্টর দিয়ে উদ্ধার কাজে সদা তৎপর থেকে মানব সেবার সর্বোচ্চ উদাহরণ পেশ করেছেন। দায়িত্বশীল ভাইদের দিন-রাত অক্লান্ত এই পরিশ্রম ভূয়সী প্রশংসার দাবী রাখে। অতঃপর কুমিল্লায় বন্যা আঘাত হানার পর যেলা ‘যুবসংঘ’ লাইফ জ্যাকেট গায়ে ও এ্যাংলেট পায়ে দিয়ে তারা উপদ্রুত অঞ্চলে উদ্ধার তৎপরতা চালায়। যার ফলে প্রাণে রক্ষা পায় নারী-শিশু-বৃদ্ধ সহ অসংখ্য বনু আদম। অনুরূপ বিভিন্ন যেলার দায়িত্বশীলগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমাদের অভিভূত করেছে। অতএব মানবসেবা করার সুযোগ পাওয়া এক বড় অর্জন, সবার ভাগ্যে এটা জুটে না!

সবাই যেখানে শেষ, সেখান থেকেই ‘যুবসংঘ’-এর কাজ শুরু : হঠাৎ হাযার হাযার পরিবার পানিবন্দী ছিল। তাদের কাছে ছিলনা কোন খাবার কিংবা যরূরী কোন ত্রাণ সামগ্রী। সরকারী বাহিনী ও বিভিন্ন সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকেরা উদ্ধার অভিযান চালিয়েছেন। তবে প্রবল স্রোতের কারণে কিছু প্রত্যন্ত এলাকায় সাহায্য পৌঁছে দেওয়াটা বেশ কঠিন ছিল। সবার উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণ যাত্রা যেখানে শেষ, সেখান থেকেই ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর উদ্ধার তৎপরতা ও ত্রাণ বিতরণ কাজ সেখান থেকেই শুরু। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়সম সাহস নিয়ে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে তারা পরিশ্রম করেছেন। সেই সাথে কুমিল্লার বুড়িচংয়ে বন্যা আঘাত হানার পর অনেকেই ত্রাণ সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। কিন্তু পানির তোড়ের কারণে উপযুক্ত স্থানে সেগুলি সঠিকভাবে বিতরণ করতে পারছিলেন না। যেলা ‘আন্দোলন’ এবং ‘যুবসংঘ’-এর দায়িত্বশীলগণের মাধ্যমে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যা বিতরণ করিয়েছে। এমনকি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের সংগঠনের মাধ্যমে বুড়িচংয়ের বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করিয়েছে। তাদের বিতরণকৃত মোট প্যাকেটের সংখ্যা ছিল ৪৭ হাযারের উপর।

ডিস্ট্রিবিউশন ইউনিট : কুমিল্লা যেলার আলেখারচর বিশ্বরোড সংলগ্ন হাসান জামে মসজিদ ও ইসলামী কমপ্লেক্সকে মূল সহায়তাকেন্দ্র স্থাপন করা হয় এবং প্রতিদিন প্যাকেজিং-এর কার্যক্রম আঞ্জাম দেয়া হয়। অতঃপর সেগুলি ট্রাক/পিকাপে বন্যা উপদ্রুত অঞ্চলে। অতঃপর সেখান থেকে ট্রাক্টর যোগে গ্রামের গহীনে। অতঃপর ট্রাক্টর থেকে নৌকা। নৌকা যেখানে আটকিয়ে যায় সেখান থেকে ঠেলা গাড়ীতে করে আরও ভিতরে নিয়ে সেখান থেকে কলা গাছের ভেলা যোগে দুর্গম এলাকার ত্রাণ সহায়তা বঞ্চিত পরিবারের হাতে পৌঁছে যায় সকলের আমানত। উল্লেখ্য যে, কুমিল্লা মারকাযে একঝাঁক নিবেদিত প্রাণ কর্মী ভাইদের আন্তরিক সহযোগিতা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। তাঁরা হলেন হাসান জামের মসজিদের নিয়মিত স্থানীয় মুছল্লীবৃন্দ, মাওলানা তাসলীম সরকার, মাওলানা জামীলুর রহমান, বেলাল হোসেন, আহমাদুল্লাহ, রুহুল আমীন প্রমুখ। উদ্ধার, প্যাকেজিং, দাতা, সংগঠন এবং ডিস্ট্রিবিউশনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন সাব-কন্ট্রোল সেন্টারের সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা!

সরেযমীন অভিজ্ঞতা:

ফেনী : ফেনী যেলার পরশুরাম থানাধীন মির্জানগর ইউনিয়নের কাশী নগর ও চম্পক নগর গ্রাম ছিল বন্যা ঢলের প্রবেশমুখ। হাদীছ ফাউন্ডেশন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব ভাই, হেরিটেজ আইডিয়াল একাডেমী, বগুড়ার প্রতিষ্ঠাতা শায়খ মিয়া হাবীবুর রহমান মাদানী এবং প্রিন্সিপ্যাল ড. আব্দুল্লাহিল কাফীসহ আমরা বাঁধ ভেঙ্গে ঢল আসার মূল উৎসমুখে গমন করি। গাড়ী থেকে নেমে কেউ পদব্রজে, কেউবা ত্রাণবাহী ট্রাক্টরের উপর তীব্র ঝাঁকুনী সহকারে লক্কর-ঝক্কর অবস্থায় কাছাকাছি গিয়ে তারপর পায়ে হেঁটে বন্যার উৎসমুখে যাই। বানের পানি তখন নেমে গিয়েছিল। কিন্তু রেখে গিয়েছে শত-সহস্র ক্ষতচিহ্ন। দুর্গম অঞ্চল এটা। এখানের অনেক স্থানের কোথাও রাস্তা ভেঙ্গে ফসলী মাঠের সাথে মিশে গিয়েছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত কাশী নগর ও চম্পক নগরে পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা পৌঁছেনি। তাই এখানকার খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছিল। এখানে বানের পানির সাথে এত পরিমাণে পলি-কাঁদা এসেছে যে, নিম্নাঞ্চলের ফসলী জমিতে কোথাও ১ হাত বা তার কম-বেশী কাঁদা মাটিতে জমি ঢেকে আছে। বন্যার পানির স্রোতে রাস্তায় কোথাও গর্ত হয়ে গিয়েছে, কোথাওবা পিচ ঢালাই রাস্তার পিচ ও তার নীচের ইটের কংক্রিট পর্যন্ত রাস্তা থেকে সরে পাশের জমিতে পড়ে রাস্তা খানা-খন্দ হয়ে আছে। ফেনী যেলায় জীবন-মরণ বাজি রেখে যারা শুরু থেকে রেসকিউ টীমে কাজ করেছেন, তাঁরা হ’লেন ডা. শওকত ভাই, আরিফ ভাই, শামাঊন নূর ভাই, ইমরান গাযী ভাই প্রমুখ। তীব্র ঢলে বিদ্যুৎ, নেটওয়ার্ক ও যোগাযোগ বিছিন্ন হওয়াতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাদের নিজ আত্মীয়-স্বজনদের খোঁজ পর্যন্ত পাননি। কিন্তু থেমে যাননি। সাধ্যমতো তারা মনবতার সেবায় শহরে দিন-রাত পরিশ্রম করেছেন। ত্রাণের মূল্যবান আমানত নিজের কাঁধে বহন করে ফেনীর বিভিন্ন উপযেলায় প্রকৃত হকদারের নিকট পৌঁছে দিয়েছেন। আল্লাহ উনাদের উত্তম পারিতোষিক দান করুন।- আমীন!

কুমিল্লা : (ক) ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন সহ যেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বুড়িচংয়ের জগতপুর, আরাগ আনন্দপুর প্রভৃতি গ্রাম-গঞ্জের মানুষের হাতে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেন। আহলেহাদীছ অধ্যুষিত গ্রামের নাগর বাড়ী, হাজী বাড়ী, জা-বক্স বাড়ী, মেম্বার বাড়ী, মাঝি বাড়ী, কুতুব বাড়ী, আবীর মাহমুদ বাড়ী, মনা গাযী বাড়ী, আশকর বাড়ী, কাযী পাড়া, সুবহা গাযী বাড়ী, সিডা সমাজ, নবু সমাজ, জলা বাড়ী প্রভৃতি সমাজে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়। কুমিল্লা মারকায থেকে ট্রাক্টর যোগে বুড়িচং যাওয়ার সময় পথিমধ্যে রানিং অবস্থায় ট্রাক্টরের সামনের বাম পাশের চাকা বার্স্ট হয়। আল্লাহর অশেষ রহমত রাস্তার এক সাইডে গিয়ে গাড়ীটি নিয়ন্ত্রণে আসে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর অপর এক ট্রাক্টর যোগে প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যেই বুড়িচংয়ের জগতপুর অভিমুখে রওয়ানা হই। পানির স্রোত কোন স্থানে রাস্তার উপর দিয়ে এত তীব্র বেগে প্রবাহিত হচ্ছিল যে, রাস্তা ভেঙ্গে সরু খালের ন্যায় পানি প্রবাহিত হ’তে থাকে। ঐ গর্তে আমাদের ট্রাক্টর উল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়।

(খ) কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ থানায় ত্রাণ বিতরণের সময় আমরা কুমিল্লা থেকে ট্রাকের ছাদের উপর ত্রাণের মালামাল, তার উপরে আমরা স্বেচ্ছাসেবীরা সওয়ার হই। কুমিল্লা মারকায থেকে প্রায় ১ ঘণ্টা চলার পর আমরা মনোহরগঞ্জ থানার নাথের পেটুয়া বাজার অতিক্রম করে আরও ২০ মিনিট ভিতরে লক্ষণপুর বাজার থামি। সেখান থেকে মালামাল ট্রাক থেকে আনলোড করে বড় নৌকায় লোড করি। নৌপথে ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট দুপুরের কড়া রোদে গমনের পর উত্তর হাওলা আলিয়া মাদ্রাসা সংলগন বড় দিঘীর ঘাটে নৌকা ভীড়ে। এখানে বড় নৌকা থেকে মালামাল আনলোড করে ঠেলা গাড়ীতে প্রায় হাফ কি. মি. গিয়ে সেখান থেকে ছোট নৌকা ও কলা গাছের ভেলা যোগে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ত্রাণ সহায়তা বঞ্চিত প্রায় প্রতিটি ঘরে আমরা ত্রাণের প্যাকেট পৌঁছে দেই। তারা যারপরনাই আমাদের উপর কৃতজ্ঞ হন এবং নেক দো‘আ করে অশ্রুসিক্ত নয়নে বিদায় দেন। মাগরিবের পর ফিরার পথে অন্য আরেকটা ত্রাণের ট্রাক যোগে কুমিল্লা মারকায ফিরে আসি।

নোয়াখালী: কুমিল্লা লাকসাম হয়ে চৌমুহনী বাংলাবাজার পার হয়ে আমকী বাজার থেকে ৫ কি.মি. ভিতরে, আমীরথী, হাশর, মলংচর গ্রাম সমূহের শেষ প্রান্তে ত্রাণ বিতরণ। অতঃপর সেখান থেকে আরও প্রায় ৭ কি.মি. ভিতরে চাটখিলের কালিকাপুর, রাম নারায়ণপুর, পশ্চিম বৈকন্ঠপুর, পূর্ব বৈকন্ঠপুর, রাজা রামঘোষ, গোমাতলী গ্রাম সমূহের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। নোয়াখালীতে প্রায় প্রতিটা বাড়ীর বাউন্ডারী, টিনের বেড়া, সুপারি গাছের ঝড়ে পড়া পাতা, সিমেন্টের ব্যাগ, চট, নারিকেল পাতা কিংবা কলাপাতা দিয়ে হ’লেও তারা বাড়ীর পর্দা-পুশীদা রক্ষার চেষ্টা দেখে আমরা চমৎকৃত হ’লাম। এখানের প্রতিটা আশ্রয়কেন্দ্রে এলাকার যুবকরা শিফটিং করে রান্নায় সাহায্য এবং বন্যাত্রাণ পৌঁছেনি এমন এলাকার সন্ধান দেওয়া ও বন্যাত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার কাজটি স্বেচ্ছায় করছেন।

বন্যায় জাতীয় জাগরণ এবং ঐক্য :

সরকারীভাবে অতীতে বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে ভয়াবহ লুটপাট সংবাদ মাধ্যমে জানা গেছে। কিন্তু আওয়ামী সরকারের পতন পরবর্তী ভারতের সাথে অাঁতাত করে ষড়যন্ত্রমূলক ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ আকস্মিকভাবে খুলে দেওয়ায় সৃষ্ট ভয়াবহ এই বন্যায় দেশের আপামর জনসাধারণের জাতীয় জাগরণ এবং ঐক্য পরিলক্ষিত হয়েছে। দেশের প্রতিটি সচেতন নাগরিক, সমাজ সেবামূলক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান স্বতঃস্ফূর্তভাবে বন্যা ত্রাণ বিতরণে অংশগ্রহণ করেছেন। দেশের প্রায় প্রত্যেক স্থান হ’তে কত হাযার ত্রাণবাহী ট্রাক, পিকাপ, কভার্ডভ্যান যে বন্যা উপদ্রুত অঞ্চলে গিয়েছে, তার হিসাব কে রাখে? বন্যার পরপর ত্রাণবাহী ট্রাকের কারণে ফেনী যেতে ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেনের মহাসড়কের কুমিল্লা থেকেই কখনো কখনো জ্যাম শুরু হয়ে গিয়েছিল। সুতরাং এবারের বন্যায় জাতীয় জাগরণ এবং ঐক্য চমৎকারভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে।

উপসংহার : বন্যায় নিহতদের আল্লাহ শাহাদাতের মর্যাদা প্রদান করুন। ক্ষতিগ্রস্তদের ধৈর্য্য ধারণের তাওফীক দান করুন। আল্লাহ রাববুল আলামীন আমাদের সবাইকে মানব সেবা নিয়োজিত হওয়ার তাওফীক দান করুন- আমীন!

[সভাপতি, বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ, ঢাকা (দক্ষিণ) ও প্রিন্সিপাল, মারকাযুস সুন্নাহ আস-সালাফী, পূর্বাচল নতুন শহর, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ]



আরও