উত্তম কথা বলা

তাওহীদের ডাক ডেস্ক 88 বার পঠিত

আল-কুরআনুল কারীম :

1- قَوْلٌ مَعْرُوْفٌ وَمَغْفِرَةٌ خَيْرٌ مِنْ صَدَقَةٍ يَتْبَعُهَا أَذًى وَاللهُ غَنِيٌّ حَلِيْمٌ-

(১) ‘উত্তম কথা বলা ও ক্ষমা ঐ দান অপেক্ষা উত্তম, যার পিছনে কষ্ট দেওয়া হয়। বস্ত্তত আল্লাহ অভাবমুক্ত ও সহনশীল’ (বাক্বারাহ ২/২৬৩)

2- ياأَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا اتَّقُوْا اللهَ وَقُوْلُوْا قَوْلًا سَدِيْدًا- يُصْلِحْ لَكُمْ أَعْمَالَكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوْبَكُمْ وَمَنْ يُطِعِ اللهَ وَرَسُوْلَهُ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِيْمًا-

(২) ‘হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ্কে ভয় কর এবং সঠিক কথা বল’। ‘তাহ’লে তিনি তোমাদের কর্মসমূহকে সংশোধন করে দিবেন ও তোমাদের পাপ সমূহ ক্ষমা করবেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে, সে অবশ্যই মহা সাফল্য লাভ করে’ (আহযাব ৩৩/৭০-৭১)

3- أُولَئِكَ الَّذِيْنَ يَعْلَمُ اللهُ مَا فِي قُلُوْبِهِمْ فَأَعْرِضْ عَنْهُمْ وَعِظْهُمْ وَقُلْ لَهُمْ فِيْ أَنْفُسِهِمْ قَوْلًا بَلِيْغًا-

(৩) ‘এরা হ’ল ঐসব লোক, যাদের অন্তরের লুক্কায়িত বিষয় আল্লাহ জানেন। অতএব তুমি ওদের এড়িয়ে চল ও উপদেশ দাও এবং তাদেরকে নিজেদের সম্পর্কে চূড়ান্ত কথা বলে দাও’ (নিসা ৪/৬৩)

4- مَنْ كَانَ يُرِيْدُ الْعِزَّةَ فَلِلَّهِ الْعِزَّةُ جَمِيْعًا إِلَيْهِ يَصْعَدُ الْكَلِمُ الطَّيِّبُ وَالْعَمَلُ الصَّالِحُ يَرْفَعُهُ وَالَّذِيْنَ يَمْكُرُوْنَ السَّيِّئَاتِ لَهُمْ عَذَابٌ شَدِيْدٌ وَمَكْرُ أُولَئِكَ هُوَ يَبُوْرُ-

(৪) ‘যে ব্যক্তি সম্মান চায়, সে জেনে রাখুক যে, আল্লাহর জন্যই রয়েছে সকল সম্মান। তাঁর দিকেই ঊর্ধ্বারোহণ করে পবিত্র বাক্য সমূহ। আর সৎকর্ম তাকে উপরে ওঠায়। পক্ষান্তরে যারা মন্দকর্ম সমূহের চক্রান্ত করে, তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি। তাদের চক্রান্ত ব্যর্থ হবেই’ (ফাতির ৩৫/১০)

5- وَإِذْ أَخَذْنَا مِيْثَاقَ بَنِيْ إِسْرَائِيْلَ لَا تَعْبُدُوْنَ إِلَّا اللهَ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا وَذِيْ الْقُرْبٰى وَالْيَتَامٰى وَالْمَسَاكِيْنِ وَقُوْلُوْا لِلنَّاسِ حُسْنًا وَأَقِيْمُوْا الصَّلَاةَ وَآتُوْا الزَّكَاةَ ثُمَّ تَوَلَّيْتُمْ إِلَّا قَلِيْلًا مِنْكُمْ وَأَنْتُمْ مُعْرِضُوْنَ-

(৫) ‘আর (স্মরণ কর) যখন আমরা বনু ইস্রাঈলের নিকট থেকে অঙ্গীকার নিলাম যে, তোমরা আল্লাহ ব্যতীত কারু দাসত্ব করবে না এবং পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন ও ইয়াতীম- মিসকীনদের সাথে সদ্ব্যবহার করবে, মানুষের সাথে সুন্দর কথা বলবে এবং ছালাত কায়েম করবে ও যাকাত আদায় করবে, তখন তোমরা মুখ ফিরিয়ে নিলে কিছু সংখ্যক ব্যতীত। এমতাবস্থায় তোমরা অগ্রাহ্যকারী ছিলে’ (বাক্বারাহ ২/৮৩)

6- اذْهَبْ أَنْتَ وَأَخُوْكَ بِآيَاتِي وَلَا تَنِيَا فِيْ ذِكْرِيْ- اذْهَبَا إِلَى فِرْعَوْنَ إِنَّهُ طَغَى- فَقُوْلَا لَهُ قَوْلًا لَيِّنًا لَعَلَّهُ يَتَذَكَّرُ أَوْ يَخْشَى-

(৬) ‘তুমি ও তোমার ভাই আমার নিদর্শন সমূহ নিয়ে যাও এবং আমার স্মরণে গাফলতি করো না’। ‘তোমরা দু’জন ফেরাঊনের নিকটে যাও। নিশ্চয়ই সে সীমালংঘন করেছে’। ‘অতঃপর তার সাথে নম্রভাবে কথা বল। হয়ত সে উপদেশ গ্রহণ করবে অথবা ভয় করবে’ (ত্বোয়াহা ২০/৪২-৪৪)

7- وَقَضَى رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوْا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِنْدَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُلْ لَهُمَا أُفٍّ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُلْ لَهُمَا قَوْلًا كَرِيْمًا- وَاخْفِضْ لَهُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحْمَةِ وَقُلْ رَبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيْرًا-

(৭) ‘আর তোমার প্রতিপালক আদেশ করেছেন যে, তোমরা তাঁকে ছাড়া অন্য কাউকে উপাসনা করো না এবং তোমরা পিতা-মাতার প্রতি সদাচরণ করো। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়ে যদি তোমার নিকট বার্ধক্যে উপনীত হন, তাহ’লে তুমি তাদের প্রতি উহ্ শব্দটিও উচ্চারণ করো না এবং তাদেরকে ধমক দিয়ো না। আর তুমি তাদের সাথে নম্রভাবে কথা বল’। ‘আর তুমি তাদের প্রতি মমতাবশে বিনয়াবনত থাক এবং বল, হে আমার প্রতিপালক! তুমি তাদের প্রতি দয়া কর যেভাবে তারা আমাকে শৈশবে প্রতিপালন করেছিলেন’ (বনু ইস্রাইল ১৭/২৩-২৪)

7- وَإِمَّا تُعْرِضَنَّ عَنْهُمُ ابْتِغَاءَ رَحْمَةٍ مِنْ رَبِّكَ تَرْجُوْهَا فَقُلْ لَهُمْ قَوْلًا مَيْسُوْرًا-

(৮) ‘আর তোমার প্রতিপালকের দয়া প্রত্যাশী থাকা অবস্থায় যদি কখনো তাদের (অভাবগ্রস্তদের) বিমুখ করতেই হয়, তাহ’লে তুমি তাদের প্রতি নম্রভাবে কথা বলো’ (বনু ইস্রাইল ১৭/২৮)

হাদীছের বাণী :

9- وَعَنْ أَبِيْ مَالِكٍ الْأَشْعَرِيِّ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ فِي الْجَنَّةِ غُرَفًا، يُرَى ظَاهِرُهَا مِنْ بَاطِنِهَا، وَبَاطِنُهَا مِنْ ظَاهِرِهَا أَعَدَّهَا اللهُ لِمَنْ أَلَانَ الْكَلَامَ وَأَطْعَمَ الطَّعَامَ وَتَابَعَ الصِّيَامَ وَصَلَّى بِاللَّيْلِ وَالنَّاسُ نِيَامٌ-

(৯) আবু মালেক আশ‘আরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘জান্নাতে এমন এক কক্ষ আছে যার বাহিরের অংশ ভিতর হ’তে এবং ভিতরের অংশ বাহির হ’তে দেখা যাবে। এ বালাখানা আল্লাহ ঐসব ব্যক্তির জন্য তৈরি করেছেন, যে ব্যক্তি উত্তম কথা বলে, (ক্ষুধার্তকে) অন্নদান করে, প্রায়ই নফল ছিয়াম পালন করে এবং লোকেরা যখন ঘুমিয়ে থাকে, তখন (তাহাজ্জুদের) ছালাত পড়ে’।[1]

10- عَنْ أَبِيْ طَلْحَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:... إِمَّا لَا فَأَدُّوْا حَقَّهَا غَضُّ الْبَصَرِ وَرَدُّ السَّلَامِ وَحُسْنُ الْكَلَامِ-

(১০) আবু ত্বালহা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ...যদি রাস্তায় বসা ত্যাগ না কর, তাহ’লে তার হক আদায় কর। আর তা হ’ল, দৃষ্টি সংযত রাখ, সালামের উত্তর দাও এবং সুন্দরভাবে কথাবার্তা বল’।[2]

(১১) মিক্বদাম ইবনে শুরাইহ (রহঃ) তাঁর পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছিলেন, ‘আমি আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট গিয়ে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এমন কিছু নির্দেশনা দিন, যা আমাকে জান্নাতের নিশ্চয়তা দেবে। তিনি উত্তরে বললেন, مُوْجِبُ الْجَنَّةِ إِطْعَامُ الطَّعَامِ وَإِفْشَاءُ السَّلَامِ وَحُسْنُ الْكَلَامِ ‘জান্নাত নিশ্চিত করার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হ’ল ক্ষুধার্তকে খাবার খাওয়ানো, সালামের প্রসার ঘটানো এবং মানুষের সাথে সুন্দরভাবে কথা বলা’।[3]

12- عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا عَدْوَى وَلَا طِيَرَةَ، وَيُعْجِبُنِي الْفَأْلُ قَالَ قِيْلَ وَمَا الْفَأْلُ؟ قَالَ الْكَلِمَةُ الطَّيِّبَةُ-

(১২) আনাস বিন মালেক (রাঃ) হ’তে বর্ণিত নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, ‘সংক্রমণ ও কুলক্ষণ নেই, তবে ‘ফাল’ আমাকে আনন্দিত করে। তাঁকে বলা হ’ল, ‘ফাল’ কি? তিনি বললেন, ভালো কথা’।[4]

(১৩) আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি নবী করীম (ছাঃ)-এর কাছে এসে বললেন, ‘আমাকে এমন একটি আমলের কথা বলুন, যা করলে আমি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারি। তিনি বললেন, أَفْشِ السَّلاَمَ وَأَطِبِ الْكَلاَمَ وَصِلِ الأَرْحَامَ وَقُمْ بِاللَّيْلِ وَالنَّاسُ نِيَامٌ تَدْخُلِ الْجَنَّةَ بِسَلاَمٍ সালামের প্রসার ঘটাও, ভালো কথা বল, আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট রাখ এবং যখন মানুষ ঘুমিয়ে থাকে তখন রাতের ছালাত আদায় করো। তাহ’লে তুমি নিরাপত্তার সঙ্গে জান্নাতে প্রবেশ করবে’।[5]

(১৪) আদী ইবনু হাতেম (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন জাহান্নামের কথা উল্লেখ করলেন, তখন তিনি তা থেকে আশ্রয় চাইলেন এবং তিনবার তাঁর মুখ ফিরিয়ে নিলেন। অতঃপর তিনি বললেন, اتَّقُوْا النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ، فَإِنْ لَمْ تَجِدُوْا، فَبِكَلِمَةٍ طَيِّبَةٍ ‘তোমরা আগুন থেকে বাঁচ, যদিও তা অর্ধেক খেজুরের বিনিময়ে হয়, আর যদি সেটিও না পাও, তবে অন্তত ভালো কথা বল’।[6]

(১৫) আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, كُلُّ سُلاَمَى مِنَ النَّاسِ عَلَيْهِ صَدَقَةٌ كُلَّ يَوْمٍ تَطْلُعُ فِيهِ الشَّمْسُ يَعْدِلُ بَيْنَ الاِثْنَيْنِ صَدَقَةٌ وَيُعِيْنُ الرَّجُلَ عَلَى دَابَّتِهِ فَيَحْمِلُ عَلَيْهَا أَوْ يَرْفَعُ عَلَيْهَا مَتَاعَهُ صَدَقَةٌ وَالْكَلِمَةُ الطَّيِّبَةُ صَدَقَةٌ وَكُلُّ خَطْوَةٍ يَخْطُوْهَا إِلَى الصَّلاَةِ صَدَقَةٌ وَيُمِيْطُ الأَذَى عَنِ الطَّرِيْقِ صَدَقَةٌ ‘প্রত্যহ, যখন সূর্য উঠে, মানুষের (শরীরের) প্রত্যেক গ্রন্থির ছাদাক্বা দেয়া আবশ্যক হয়। দু’জন মানুষের মাঝে ইনছাফ করা, কোন আরোহীকে তার বাহনের উপর আরোহন করতে বা তার উপর বোঝা উঠাতে সাহায্য করা, ভালো কথা বলা, ছালাতের জন্য প্রত্যেক পদক্ষেপ এবং কষ্টদায়ক জিনিস রাস্তা থেকে সরানো ছাদাক্বা’।[7]

(১৬) আমর ইবনু ‘আবাসা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কাছে উপস্থিত হয়ে বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আপনি যে কাজটি করছেন, তার অনুসরণকারী কে? তিনি উত্তরে বললেন, স্বাধীন ব্যক্তি (আবুবকর) এবং দাস (বেলাল)। এরপর আমি পুনরায় প্রশ্ন করলাম, ইসলাম কী? তখন তিনি বললেন, طِيْبُ الْكَلَامِ، وَإِطْعَامُ الطَّعَامِ ভালো কথা এবং ক্ষুধার্তকে খাদ্যদান’।[8]

মনীষীদের বক্তব্য : (১) মাওয়ার্দী (রহঃ) বলেন, ‘ভালো কথা হ’ল সৎ কাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধ’।[9] (২) মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, সৎ কাজ হ’ল সেটি যা ভালো কথা তুলে ধরে’।[10] (৩) ইবনু বাত্তাল (রহঃ) বলেন, ভালো কথা হ’ল সেই শব্দগুলি, যার দ্বারা ঐ ব্যক্তির মর্যাদা বৃদ্ধি পায় এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হয়, নির্যাতিত মুসলিমের ওপর থেকে অবিচার দূর করে, তার কষ্ট লাঘব করে অথবা তাকে সাহায্য করে, যখন সে অবিচারের শিকার হয়’।[11]

সারবস্ত্ত : (১) ‘মানুষের উচ্চারিত প্রত্যেকটি কথা আল্লাহর দরবারে সংরক্ষিত হয়’ (ক্বাফ ৫০/১৮)। তাই আমাদের সদা উত্তম কথা বলা উচিৎ। (২) আর কথা বলার ক্ষেত্রে নম্রতা অবলম্বন করা উচিৎ, যাতে বিনয়ভাব প্রকাশ পায়। (৩) কথা বলার ক্ষেত্রে আরো কাম্য হল শ্রদ্ধা ও ভালাবাসা প্রকাশ করা এবং ছওয়াব লাভের আশা পোষণ করা। আল্লাহ আমাদের সকলকে উত্তম কথা বলার তাওফীক দান করুন।-আমীন!


[1]. আহমাদ হা/৬৬১৫; মিশকাত হা/১২৩২।

[2]. মুসলিম হা/২১৬১।

[3]. তাবারাণী, ছহীহুত তারগীব হা/২৬৯০।

[4]. মুসলিম হা/২২২৪।

[5]. আহমাদ হা/১০৪০৪; ছহীহুত তারগীব হা/২৬৯১|

[6]. মুসলিম হা/১০১৬।

[7]. বুখারী হা/২৯৮৯; মুসলিম হা/১০০৯; মিশকাত হা/১৮৯৬।

[8]. আহমাদ হা/১৯৪৫৪; মিশকাত হা/৪৬।

[9]. তাফসীর আল-বাহরুল মুহীত ৬/৩৩৬ পৃ.।

[10]. আদ্দুররুল মানছুর ৭/৯ পৃ.।

[11]. ফৎহুল বারী ১১/৩১৭ পৃ.।



আরও