মেঘ-ঝর্ণার বিস্তীর্ণ প্যানারামায় দু’দিন
আব্দুল্লাহ আল-মুছাদ্দিক
ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব 1238 বার পঠিত
পরদিন ভোরে ফজরের ছালাত আদায়ের পর তাবুর বাইরে খোলা আঙিনায় এসে দাঁড়ালাম। পাহাড়ের পেছন থেকে আসা অদৃশ্য সূর্যের আলোকচ্ছটা বিপরীতদিকের পাহাড়গুলোর শীর্ষদেশ ঝলমলে রঙিন করে রেখেছে। উত্তরমুখে ঘন মেঘে ঢাকা নাঙা পর্বত তখনও আড়ামোড়া ভাঙার অপেক্ষায়। ধীরে ধীরে মেঘ কাটতে শুরু করল। উপস্থিত হ’ল সেই কাংখিত মুহূর্তটি। ধবধবে শুভ্র নাঙা পর্বত যেন চোখ ঝলসে দিয়ে সহসা অন্তর্জগত আর বহির্জগতের বদ্ধ দুয়ারগুলো সব খুলে একাকার করে ফেলল। গত রাতের তুষারপাতে নিখুঁত শুভ্রতায় সূর্যালোক পড়ে ঔজ্জ্বল্য যেন ঠিকরে পড়ছিল লক্ষ পাওয়ারের জ্যোতি নিয়ে। মোরগঝুটির মত ফুলেল অর্ধ চন্দাকারে কী ভীষণ তার আকর্ষণ! অনেকক্ষণ ধরে নিভৃতে বসে মহান প্রভুর এই অপরূপ সৃষ্টির সৌন্দর্যসুধা গলধঃকরণ করতে থাকলাম। বেশ বেলা হওয়ার পর নাস্তার আয়োজন শেষে আমরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে গেলাম। আমাদের একটি দল বেস ক্যাম্পে রাত্রি যাপনের পরিকল্পনায় সকাল সকালই রওয়ানা দিয়েছিল ইলেক্ট্রোনিক্স ফ্যাকাল্টির ডীন ড. আক্বদাস নাভীদ মালিক এবং ম্যাকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাঈদ বাদশাহ স্যারের নেতৃত্বে। সাজ-সারঞ্জাম কাঁধে নিয়ে চলার মত অবস্থায় ছিলাম না আমি। ফলে সে দলে যোগ দেয়া গেল না। আমাদের দলটি যখন বের হল তখন প্রায় দ্বিপ্রহর ছুঁইছুঁই। সবুজ চাদর মোড়া ফেয়ারী মিডোস পোলো গ্রাউন্ডের বিশাল মাঠের এক প্রান্ত ধরে অগ্রসর হলাম। জনবসতি বিরলপ্রায়। তবুও পাহাড়ের ঢালে চরতে দেখা যায় গরু আর ভেড়ার পল। দেবদারু, পাইন গাছের সারি, এবড়ো থেবড়ো পাথরের ফাঁক দিয়ে, কখনওবা গুপ্ত ঝর্ণার ঝিরি পেরিয়ে আমরা এগিয়ে চলি। কখনও প্রকান্ড পাথরগুলোতে বসে দু’দন্ড জিরিয়ে নেই।
প্রায় আড়াই ঘন্টার চলার পর বেস ক্যাম্পপূর্ব সর্বশেষ স্টেশন বেয়াল ক্যাম্প পৌঁছলাম। দুপুর গড়িয়ে গেছে তখন। এখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আবার যাত্রা। দলের নেতৃত্বে ছিলেন বেসিক এ্যান্ড এ্যাপ্লাইড সাইন্স ফ্যাকাল্টির ডীন ড. আরশাদ যিয়া স্যার। শারীরিক ফিটনেস চমৎকার। একটানা তিনি আমাদের উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন। পুরো টীমে কেবল তিনিই আমার পূর্বপরিচিত। দু’বছর পূর্বে স্যারের সাথে ইসলামাবাদের আল-হুদা ইন্সটিটিউট মসজিদে এতেকাফে ছিলাম। ফলে তাঁর সাথে গল্পে গল্পে ক্লান্তিকর যাত্রাটা উপভোগ্য হয়ে উঠল। এছাড়াও সহযাত্রীরা একমাত্র বিদেশী হিসাবে আমাকে বিশেষ যত্ন-আত্তির মধ্যে রাখলেন। বিকেল ৪টা নাগাদ আমরা বেসক্যাম্পের পথে সর্বশেষ পাহাড়ে এসে দাঁড়ালাম। উত্তর দিকটায় সমগ্র আকাশ জুড়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে দৈত্যাকৃতির শ্বেত-শুভ্র বরফে ঢাকা নাঙা পর্বত। পা থেকে মাথা পর্যন্ত ১৬০০০ ফুট দীর্ঘ স্রেফ চোখ ধাঁধানো সাদা পোষাকে আবৃত। আমরা রুদ্ধশ্বাস বিহবলতা নিয়ে মহান প্রভুর এই প্রকান্ড সৃষ্টির বিশালতার সামনে দাড়িয়ে আপন অস্তিত্ব যেন হারিয়ে ফেলি। কত শত আনন্দ-বেদনার কাব্য আর এ্যাডভেঞ্চারের পান্ডুলিপি লুকিয়ে আছে এর প্রতিটি খাঁজে খাঁজে! সেই ১৮৯৫ সালে এক ইউরোপীয় পর্বতারোহী চেষ্টা চালিয়েছিলেন সর্বপ্রথম বিশ্বের নবম সর্বোচ্চ চুড়াটি (৮১২৬ মিটার/২৬৬৬০ ফুট) ছুঁয়ে দেখবার। পারেননি। চেষ্টা চলেছে আরও অর্ধশত বছর। প্রাণ হারিয়েছে ৩১ জন। পর্বতের নামও হয়ে যায় ‘কিলার মাউন্টেইন’ বা ‘খুনে পর্বত’। অবশেষে ১৯৫৩ সালে সফল হন একজন অষ্ট্রীয় পর্বতারোহী ২৮ বছর বয়সী হার্মান বুহল। চুড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে একদম একা পড়েন তিনি। সহযাত্রীরা ধকল সইতে না পেরে একে একে সবাই ফিরে গেছে। দুঃসাহসী বুহল হার মানতে চাননি না। বহু কষ্টে সৃষ্টে যখন তিনি চুড়া ছুঁলেন, তখন সন্ধ্যা ৭টা। ফলে ফিরতি পথে রাতের অন্ধকার বাঁধা হয়ে দাড়ায়। একটি সরু গিরি ফাটলে আটকে এক হাতে ছোট্ট পানির হাতল ধরে সারারাত দাঁড়িয়ে থাকেন জীবন বাঁচাতে। অক্সিজেন সিলিন্ডার বিহীন, তুষারে প্রায় জমে যাওয়া শরীর নিয়ে পরদিন সকালে আবার এক’পা দু’পা করে যাত্রা শুরু করেন। অবশেষে ৪০ ঘন্টা পর সহযাত্রীদের কাছে ফিরে আসেন। ৩২ বছর বয়সে তিনি কারাকোরাম পর্বতশ্রেণীরই অপর একটি চুড়া আরোহণ করতে গিয়ে তুষারধ্বসের শিকার হয়ে চিরতরে হারিয়ে যান।
নাঙা পর্বতের নিম্নদেশ দিয়ে নেমে এসেছে খরস্রোতা নদীর মত চওড়া রাইকোট হিমবাহ। ছাইরঙা ধুলো-বালিতে ঢেকে গেছে হিমবাহের উপরিভাগ। মাঝে মাঝে পট পট শব্দ তুলে হিমবাহের চাঁইগুলো ভেঙে পড়ছে। হিমবাহের নীচ দিয়ে বরফগলা পানির স্রোত বিপরীত দিকে বহু দূরে সিন্ধু নদের সাথে মিশেছে। উপর থেকে দিগন্তপ্রান্তে নীল ধোঁয়াশায় সিন্ধু অববাহিকার আবছা দৃশ্যপট ভেসে ওঠে। আমরা বেলা শেষের নরম আলোয় নাঙা পর্বতের নর্থ ফেসের সুবিশাল শৈলচূড়া আর গাত্রদেশের দিক-বেদিক খুটিয়ে খুটিয়ে দেখি। আরশাদ যিয়া স্যার আমাকে সূরা আর-রহমান থেকে কিছু আয়াত তেলাওয়াত করে অনুবাদ ও ব্যাখ্যা শোনাতে বললেন। আমি প্রথম ১৩টি আয়াত শোনালাম। সহযাত্রীরা গোল হয়ে বসে মনোযোগ দিয়ে শোনে। আবেগাপ্লুত হয়। পর্বতের কোলে বসে সে সময়ের অনুভূতি বর্ণনা করা দুঃসাধ্য।
সন্ধ্যার আগমনীবার্তা দেখে বেসক্যাম্প পর্যন্ত না গিয়ে আমরা ফেরার সিদ্ধান্ত নেই। বেয়াল ক্যাম্প এসে ঝর্ণার পানিতে ওযূ করে সংলগ্ন কাঠের মসজিদে যোহর ও আছরের ছালাত আদায় করা হ’ল। পথে বিস্কুটের প্যাকেট, পানির বোতল ইত্যাদি যা কিছু ব্যবহার করেছিলাম, তা পথে নিক্ষেপ না করে সাথে নিয়েছিলাম। তা দেখে সহযাত্রীরাও একইভাবে সাথে নিয়ে নিল। ফেয়ারী মিডোস ক্যাম্পে পৌঁছে সেগুলো আমরা ডাস্টবিনে ফেললাম। এক এভারেস্ট অভিযাত্রীর বর্ণনায় পড়েছিলাম তাদের টীম কিভাবে পাহাড়ে পরিবেশ দুষণ রোধে কাজ করেছিলেন। সেই শিক্ষাটা এখানে এসে কাজে লাগল। আলহামদুলিল্লাহ পাকিস্তানে সব সফরে এ কাজটি সচেতনভাবে করার চেষ্টা করেছি এবং অন্যদেরকেও অনুপ্রাণিত করেছি।
যখন ফেরত এলাম তখন রাত হয়ে গেছে। ক্ষুধায় প্রাণ ওষ্ঠাগত। খাবার তৈরীই ছিল। রুটি আর চিকেন কোর্মা। একে একে সবগুলো দল ফিরে এল। খাবার শেষে উন্মুক্ত চত্বরে আগুন জ্বালিয়ে শুরু হ’ল ক্যাম্পফায়ার। বরফ শীতল চাঁদনী রাতে আগুন ঘিরে গোল হয়ে বসল সবাই। কুরআন তেলাওয়াতের পর শুরু হ’ল শায়েরী উৎসব। পাকিস্তানীদের একটি বৈশিষ্ট্য হল, এরা কাব্যপ্রিয় জাতি। কবিতার প্রতি এদেশের ছেলে-বুড়ো সবাই অস্বাভাবিক রকম অনুরক্ত। ইকবাল, গালিব, আলতাফ হোসাইন হালী প্রমুখ বিখ্যাত উর্দূ কবির কবিতা ও গযল তাদের মুখে মুখে। কেউ বক্তব্যে কাব্যাংশ উল্লেখ করা মাত্র তা শ্রোতাদের মাঝে যেভাবে ঝংকার তোলে, তা থেকেই বোঝা যায় এদের কাব্যপ্রিয়তা কোন স্তরের। যে কোন আনন্দ অনুষ্ঠানে শায়েরী প্রতিযোগিতা প্রায় অপরিহার্য। এর নিয়ম হ’ল কেউ একটি কবিতার লাইন বলবে, তার জবাব দেবে অন্য কেউ অপর একটি কবিতার লাইন দিয়ে। জবাবটা উপযুক্ত হলে মুকার্রার, মুকার্রার অর্থাৎ ‘পুনরায় বল’ বলে উৎসাহ দেয়া হয়। খুবই উপভোগ্য হ’ল উৎসবটি। এরপর স্যাররা নানা উপদেশ ও উৎসাহমূলক সব গল্প বললেন। দেশ-বিদেশে নিজেদের নানান অভিজ্ঞতার বয়ান দিলেন। চমৎকার একটি পর্ব ছিল এটি। সে রাতটিও কাটল তাবুতে রাত্রিযাপনের বিচিত্র অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে।
পরদিন সকালে নাস্তার পর সমভূমিতে ফিরে যাওয়ার আয়োজন। ৩ ঘন্টা হাইকিং-এর পর টাট্টু, সেখান থেকে রাইকোট ব্রীজে পৌঁছে ১১০ জনের দলটি একত্রিত হ’তে বিকেল হয়ে যায়। সেখান থেকে রাইকোট ব্রীজ অতিক্রম করে আমরা গিলগিতের পথে রওনা হই। জাগলোট বাযারে এসে মাগরিবের ছালাত আদায় করা হ’ল। সেখান থেকে আবার যাত্রা শুরু করে সুমসৃণ আঁকা-বাঁকা পাহাড়ী পথ বেয়ে রাত ৮টার দিকে আমরা হুনজা ভ্যালিতে পৌঁছি। বিভিন্ন হোটেলে ভাগ গেল দলটি। আমাদের ভাগে পড়ল হোটেল হায়দার ইন। এই মধ্য আগস্টেও আবহাওয়া যথেষ্ট শীতল। লেপমুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়লাম।
পরদিন সকালে ফজর পড়ে বাইরে বের হলাম। রাস্তার অপর পার্শ্ব থেকে ঢালু হয়ে নেমে গেছে উপত্যাকা। যেখানে দাঁড়িয়ে আছি এটি আপার করীমাবাদ। এখানকার অধিবাসীদের অধিকাংশই ইসমাঈলী বা আগা খানী। অনেক নীচে হুনজা নদী এবং অপরপার্শ্বের গ্রাম গানিশ দেখা যায়, যেখানে ৬৫ শতাংশ অধিবাসী বারো ইমামে বিশ্বাসী শী‘আ। উল্লেখ্য যে, হুনজা ভ্যালীর অধিকাংশই শী‘আ সম্প্রদায়ের। ঐতিহাসিক তথ্যমতে, ১০০০ বছর পূর্বে প্রথম মুসলিম হিসাবে এ অঞ্চলে যিনি আসেন তিনি ছিলেন ইসমাঈলী শী‘আ। তিনি এখানে বিবাহ করে স্থায়ী হয়ে যান এবং তার বংশধরদের মাধ্যমেই ইসমাঈলী আক্বীদার বিস্তৃতি ঘটে। সাধারণভাবে এরা খুব শান্তিপ্রিয় জাতি। একান্ত প্রকৃতির সান্নিধ্যে সাধারণ জীবন যাপন তাদের। ফলে রোগ-বালাই থেকে তারা অনেকটাই মুক্ত। বলা হয়ে থাকে যে, বিশুদ্ধ বায়ু গ্রহণের কারণে হুনজা সম্প্রদায় পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘজীবী সম্প্রদায়।
রাস্তা যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ ফলের ক্ষেত। আপেল, আঙগুর, খোবানী, চেরী প্রভৃতি ফল থোকায় থোকায় ঝুলছে। নীচে নেমে এক বাগানে তারার মত আপেলে ছেয়ে থাকা একটি বড় গাছ থেকে আপেল পেড়ে খেলাম। জীবনের প্রথম। অদ্ভুত তৃপ্তিতে মনটা ভরে গেল। আগেই শুনেছিলাম যে, এখানে পর্যটকদের জন্য ফলমুল ফ্রী। যে যত খুশী পেড়ে খেতে পারে। সুতরাং মনের আনন্দে নানা প্রজাতির আপেল, খোবানী আর আঙগুর পেড়ে হোটেল রুমে নিয়ে আসলাম সাথীদের জন্য। ওর ঘুম ভেঙ্গে দ্রুত প্রস্ত্তত হয়ে বের হয়ে গেল।
সূর্য ঝকমকিয়ে উঠলে আমি আবারও বের হই। শহরের চারিদিকে ঘিরে রয়েছে বরফমোড়া সুউচ্চ পাহাড়ের রাজ্য। এর মধ্যে ৪টি পর্বতশৃঙ্গ ৭ হাযারী (মিটার)। আরও ৩টি রয়েছে ৬ হাযারী (মিটার)। এগুলো হ’ল অনিন্দ্য সুন্দর রাকাপোশী (৭৭৮৮ মি.), উল্টার সার (৭৩৮৮ মি.), ডুয়ানসির (৭৩২৯ মি.), ঘেন্টাসার (৭০২৯ মি.), হুনজা পীক (৬২৭০ মি.), দারমিয়ানী পীক (৬০৯০ মি.) এবং লেডি ফিঙ্গার পীক (৬০০০ মি.)। এর মধ্যে রাকাপোশী এবং লেডি ফিঙ্গার পিকটি দেখার মত। সবগুলো পীকই বিজীত হয়েছে ইউরোপীয় পর্বতারোহীদের হাতে। শহরের এক প্রান্তে প্রাচীন শাসকদের বাসস্থান বালতিত ফোর্ট-এর ঈগল’স নেস্ট পয়েন্ট থেকে ৭টি পীকই চমৎকারভাবে নযরে আসে। লালটে ফর্সা কেতাদুরস্ত বৃদ্ধ হোটেল মালিক আমাদেরকে পর্বতশৃঙ্গগুলো চিনিয়ে দিলেন।
পাকিস্তানের অন্যান্য শহরে বিদেশী পর্যটক দেখা যায় কালে-ভদ্রে। কেবল আফগানী এবং চাইনিজই দেখা যায় সাধারণতঃ। তবে হুনজায় অনেক জাপানী, কোরিয়ান এবং ইউরোপীয় পর্যটক দেখা গেল। একজন ইউরোপীয় পর্যটককে দেখলাম মটরসাইকেল নিয়ে এসেছেন। জানা গেল, ইউরোপ থেকে পুরো সফরে তিনি এই বাইক চড়ে এসেছেন পাকিস্তান পর্যন্ত। এখান থেকে আবার সম্ভবতঃ চীনে যাবেন।
আমাদের পরবর্তী গন্তব্য খানজেরাব পাস। যেটি পাকিস্তান চীনের মাঝে বানিজ্যিক যোগাযোগের একমাত্র স্থলপথ। বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু আন্তর্জাতিক বর্ডার ক্রসিং এটি। ওপারে চীনের ঝিনজিয়াং প্রদেশ, যেখানে তুর্কিস্থানী চায়না বা উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায় বসবাস করে। সকালের নাস্তা দশটার মধ্যে আমরা রওনা হলাম। যেতে হবে আরও প্রায় ১৮০ কিলোমিটার। (ক্রমশ)