দক্ষিণ এশিয়ায় আহলেহাদীছ আন্দোলন
প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব 1129 বার পঠিত
দক্ষিণ এশিয়ায় আহলেহাদীছ আন্দোলন
আধুনিক যুগ : ৩য় পর্যায় (খ)
নওয়াব ছিদ্দীক হাসান খান ভূপালী
প্রায় পৌনে এক শতাব্দীকাল ব্যাপী শিক্ষকতা ও লক্ষাধিক ছাত্রের মাধ্যমে আল্লামা সৈয়দ নযীর হুসাইন দেহলভী আহলেহাদীছ আন্দোলনের প্রসারে যে অনন্য সাধারণ ভূমিকা পালন করেছিলেন আমরা তা আলোচনা করে এসেছি। এক্ষণে সমসাময়িক আরেকজন অসাধারণ ধর্মীয় প্রতিভা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ভূপালের স্বনামধন্য নওয়াব ছিদ্দীক হাসান খান ভূপালী (১২৪৮-১৩০৭/১৮৩২-৯০) ও তাঁর অবদান সম্পর্কে আমরা আলোকপাত করব, যিনি নিজস্ব লেখনীসম্ভার ছাড়াও কুরআন-হাদীছ ও বিভিন্ন দুষ্প্রাপ্য ধর্মীয় গ্রন্থাদি নিজ খরচে ছাপিয়ে উপমহাদেশের বিদ্বান মহলে বিতরণ করেছিলেন। যার ফলে ইল্মে হাদীছ জনগণের নাগালের মধ্যে এসে যায় এবং অগণিত মানুষ সরাসরি হাদীছ অনুযায়ী জীবন গড়ার সুযোগ পেয়ে আহলেহাদীছ হয়ে যান। মিয়াঁ নযীর হুসাইন দেহলভী-এর ন্যায় সাইয়িদ ছিদ্দীক হাসান বিন সাইয়িদ আওলাদ হাসান কান্নৌজী হুসাইন বংশীয় ছিলেন এবং পিতৃ ও মাতৃ উভয়কুলে খালেছ ‘কুরায়শী’ ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ছিলেন তাঁর ৩৩তম ঊর্ধতম পুরুষ।[1] ১২৪৮ হিজরীর ১৯শে জুমাদাল ঊলা কন্নৌজে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১২৫৩ হিজরীতে পাঁচ বছর বয়সে পিতৃবিয়োগ ঘটলে মায়ের তত্ত্বাবধানে কনৌজে পিতৃগৃহে লালিত পালিত হয়।[2] তাঁর ১৮ বছর বয়সে মাওলানা বেলায়েত আলী (১২০৫-৬৯/১৭৯০-১৮৫২) ও এনায়েত আলী (১২০৭-১২৭৪/১৭৯২-১৮৫৮) সপরিবারে কনৌজ আগমন করেন ও কয়েক জুম‘আ সেখানে ওয়ায করেন। বিদায়ের সময় বেলায়েত আলী তাঁকে ‘বুলূগুল মারাম’ অধ্যায়ন করার উপদেশ দিয়ে যান। এরপরেই ১৯ বছর বয়সে ছিদ্দীক হাসান দিল্লী চলে যান (প্রাগুক্ত, পৃঃ ৪৪-৪৫) এবং মুফতী ছদরুদ্দীন খানের নিকটে হাদীছ, তাফসীর, ফিক্হ ইত্যাদি অধ্যয়ন করেন (প্রাগুক্ত, পৃঃ ৪৬-৫৬)। দু’বছর পরে কনৌজ ফিরে শায়খ যয়নুল আবেদীন, শায়খ হুসাইন আরব ইয়ামানী, মাওলানা আব্দুল হক বেনারসী প্রমুখ উস্তাদের নিকটে হাদীছে অধিকতর বুৎপত্তি লাভ করেন। শাহ আব্দুল আযীযের দৌহিত্র মাওলানা ইয়াকূব ‘মুহাজিরে মাক্কী’ (১২০০-১২৮৩/১৭৮৫-১৮৬৭)-এর নিকটে চিঠি লিখে খান্দানে অলিউল্লাহ থেকেও ইল্মী সনদ লাভ করেন (প্রাগুক্ত, পৃঃ ৫৭)।
নানা মুফতী মুহাম্মাদ এওয়ায বাঁসবেরেলীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ আলিম ও তৃতীয় খলীফা হযরত ওছমান গণী (রাঃ)-এর বংশধর ছিলেন। দাদা সাইয়িদ আওলাদ আলী খান শী‘আ ছিলেন।[3] হায়দরাবাদের নওয়াবের পক্ষ হ’তে তিনি সম্মানসূচক ‘নওয়াব আনোয়ার জঙ্গ বাহাদুর’ খেতাবসহ বার্ষিক পাঁচ লাখ টাকা এবং এক হাযার অশ্বারোহী ও পদাতিক বাহিনী লাভ করেন।[4] পিতা সাইয়িদ আওলাদ হাসান খান (১২১০-১২৫৩/১৭৯৫-১৮৩৭) দিল্লীতে শাহ আব্দুল আযীয (১১৫৯-১২৩৯/১৭৪৬-১৮২৪) ও শাহ রফীউদ্দীনের (১১৬২-১২৩৩/১৭৪৯-১৮১৭) নিকটে ইল্মে হাদীছ শিক্ষার পর পিতৃ মাযহাব ত্যাগ করে সরাসরি হাদীছের অনুসারী হন। পরে তিনি আমীর সাইয়িদ আহমাদ ব্রেলভীর (১২০১-১২৪৬/১৭৮৬-১৮৩১) নিকটে বায়‘আত করেন। তিনি খ্যাতিমান আলিম বা-আমল ছিলেন। তাঁর ওয়াযের খুবই প্রভাব ছিল। কলিকাতা হ’তে লাহোর পর্যন্ত সর্বত্র তাঁর পরিচিতি ছিল। দশ হাযারের বেশী অমুসলিম তাঁর হাতে বায়‘আত করে ইসলাম কবুল করেন।[5]
কিন্তু এই স্বনামধন্য দাদা ও পিতার মৃত্যুর পরে পাঁচ বছরের ইয়াতীম শিশু ছিদ্দীক হাসান কপর্দকশূন্য অবস্থায় মায়ের কাছে অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টে মানুষ হন। বড় ভাই পিতৃ সম্পত্তির অংশ দেননি।[6] ফলে লেখাপড়া ও মা-ভাইবোনদের রূযির তালাশ একই সাথে চালাতে গিয়ে ছিদ্দীক হাসানের জীবনে নেমে আসে ক্ষুৎপিপাসা ও দারিদ্রের এক নিদারুন কষাঘাত। ইতিমধ্যে তাঁর বিদ্যাবত্তার খ্যাতি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল। জনৈক আতর বিক্রেতার সাথে তিনি একসময় ভূপালে চলে আসেন এবং রাণীর নিকট থেকে মাসিক ত্রিশ টাকা বেতনের একটি চাকুরী লাভ করেন। কিন্তু জনৈক দরবারী আলেমের চক্রান্তে কিছুদিনের মধ্যে সে চাকুরীও চলে যায়।[7] ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহ শুরু হ’লে কনৌজে তাঁর পৈত্রিক ঘরবাড়ী জ্বালিয়ে দেওয়া হন।[8] ফলে চরম দুর্দশাগ্রস্থ অবস্থায় তিনি দিশাহারার মত ঘুরতে থাকেন। দারুণ দুঃখ-কষ্টের মধ্য দিয়ে তাঁর দিন কাটতে থাকে। এই সময় আট মাস তিনি পিতার শিষ্য টোংকের নওয়াবের এষ্টেটে ৫০ টাকা বেতনে চাকুরী নেন। তারপর রাণীর আমন্ত্রণে ভূপালের ইতিহাস লেখার কাজ নিয়ে ছফর ১২৭৬/১৮৬০ থেকে মাসিক ৭৫ টাকা বেতনে পুনরায় ভূপালে ফিরে আসেন।[9] ১২৮৫ হিজরীর ২৭শে রজব রাণী সিকান্দার বেগম মৃত্যু বরণ করেন ও তাঁর কন্যা ২য় রাণী শাহজাহান বেগম হঠাৎ বিধবা হ’লে রাজনৈতিক উপদেষ্টাদের পরামর্শক্রমে রাষ্ট্র পরিচালনার বিশ্বস্ত সহযোগী হিসাবে তিনি আল্লামা ছিদ্দীক হাসানকে ১২৮৮ হিজরী মোতাবেক ১৮৭২ সালে বিবাহ করেন।[10] এটি ছিল উভয়ের জন্য দ্বিতীয় বিবাহ। ছিদ্দীক হাসান ১০ই শা‘বান ১২৮৯ হিঃ মোতাবেক ১৮৭২ সালের ১১ই অক্টোবর তারিখে রাজ্যের সর্বোচ্চ সরকারী খেতাব ‘নওয়াব ওয়ালাজাহ আমীরুল মুল্ক’ উপাধি প্রাপ্ত হন।[11] এই ভাবে এককালের ইয়াতীম ও সর্বস্বহারা মাওলানা ছিদ্দীক হাসান সর্বোচ্চ সরকারী সম্মান ও বস্ত্তগত উন্নতির শীর্ষে আরোহন করেন। অবশ্য মৃত্যুর পাঁচ বৎসর পূর্বে ১৪ই যুলকা‘দা ১৩০২ হিজরী মোতাবেক ১৮৮৫ সালের ২৬ শে আগষ্ট তারিখে তিনি উক্ত খেতাব পরিত্যাগ করেন ও নওয়াবের দায়-দায়িত্ব হ’তে অবসর গ্রহণ করেন।
নিজের ‘মাযহাব’ সম্পর্কে নওয়াব ছাহেব মৃত্যুর তিন বৎসর পূর্বে ১৩০৪ হিজরীতে শেষ করা স্বীয় আত্মজীবনীতে ‘মেরা মাযহাব’ শিরোনামে বলেন যে, আমার নিকট ঐ মাযহাব পসন্দনীয় যা দলীলের দিক দিয়ে সর্বাধিক ছহীহ’ শক্তিশালী ও নিরাপদ। আমি বিদ্বানদের রায়ের মুকাবিলায় কিতাব ও সুন্নাতের দলীল সমূহের পরিত্যাগ করা কখনোই পসন্দ করিনা’[12] ‘আমি জানি যে প্রচলিত চার মাযহাবের মধ্যে ‘হক’ বিদ্যমান আছে কিন্তু সীমায়িত নয়’ (حق ان مذاهب اربعہ مىں دائر ہے منحصر نہيں)[13] তিনি বলেন, ‘ফকীহদের ফৎওয়া সমূহের মধ্যে বহু ইখতেলাফ রয়েছে। পক্ষান্তরে কিতাব ও সুন্নাতের প্রকাশ্য ও স্পষ্ট হুকুম সমূহের মধ্যে কোন ইখতিলাফ নেই, কোন সন্দেহ-সংশয় নেই।’
পূর্বেকার বহু বিদ্বান সামাজিক অনুদারতা ও রাজনৈতিক সংকীর্ণতার কারণে বিভিন্ন ফিক্হী মাযহাবের দিকে সম্বন্ধযুক্ত হয়ে পরিচিত ছিলেন। একারণে আয়েম্মায়ে মুহাদ্দেছীনকে অনেকে ‘শাফেঈ’ বলেন। অথচ তাঁরা মুজতাহিদ ছিলেন এবং রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ব্যতীত অন্য কারু মুকাল্লিদ ছিলেন না। তাঁদের মাযহাব ছিল ‘আমল বিন-হাদীছ’। মোদ্দা কথা এই যে, দ্বীনের মধ্যে যেসব ফিৎনা এসেছে তা খুবই মূর্খ মুকাল্লিদগণের পক্ষ থেকেই এসেছে।’[14] তিনি বলেন- ‘গোর পূজারী ও পীরপূজারীগণ তাওহীদপন্থীদের জানী দুশমন হয় এবং মুকাল্লিদ ব্যক্তি সুন্নাতের অনুসারীদের প্রতি শক্রতা পোষণ করে থাকে।’[15] তিনি বলেন, ‘আমি বিভিন্ন রায় ও মাযহাব সমূহকে কিতাব ও সুন্নাতের মানদন্ডে যাচাই করি। যেটা তার মুতাবিক পাই সেটা গ্রহণ করি, যেটা দূরবর্তী ‘তাবীল’ বা দুর্বল কারণ প্রদর্শনের মাধ্যমে সাব্যস্ত করা হয় সেটা পসন্দ করিনা। যদিও তার সমর্থক বড় কোন আলিম বা শায়খ হৌক না কেন। কেননা হক-ই সবচাইতে বড় বিষয় এবং আমাদের তরীকা হ’ল কিতাব ও সুন্নাতের অনুসারী হওয়া।’[16] তিনি বলেন, ‘‘আমার আক্বীদা মোতাবেক আমি কোন ব্যক্তির মু‘তাক্বিদ নই। বিশেষ করে ঐসব পীর ফকীর ও মাশায়েখদের তো মোটেই নই, যারা মূর্খতার এই যুগে দোকানদারী করে চলেছে। ঐসব আহমকরা এতটুকু ও খেয়াল করেনি যে আমি তো একজন ‘মশহুর আহলেহাদীছ’ أہل الحديث ہوں- مَشْهُور ميں تو এবং ‘তাক্বভিয়াতুল ঈমান’ ও ‘রাসায়েলে তাওহীদ’-এর অনুসারী। শী‘আ হুকুমতের সময়ে দুনিয়ার লোভে বহু সম্ভ্রান্ত লোক শী‘আ হয়ে যান। আল্লাহ তা‘আলা আমার ব্যাপারে খালেছ সুন্নী ও মুহাম্মাদী বানিয়েছেন। এই দেশে ‘আহলেহাদীছ’ খুব কম হয়েছেন। কিছুসংখ্যাক আলিম ও সুক্ষতত্ত্ববিদ যাঁরা সুন্নাতের পাবন্দ (عامل بالسنة) ছিলেন, তাঁরা যুগের সাথে তাল রেখে ফিক্হের আড়াল متستتر بالفقه)) হয়েছেন (প্রাগুক্ত, পৃঃ ১৫২)।
তিনি বলেন যে, আমি তাক্বলীদকে নয় বরং দলীলকে মাযহাব বলে থাকি। কিন্তু লোকেরা তাক্বলীদের দৃষ্টিকোণ থেকে আমাকে দোষারোপ করে থাকে (প্রাগুক্ত পৃ. ৭৮)।
আল্লামা ছিদ্দীক হাসান খানের স্বরচিত ‘আত্মজীবনী’ হ’তে উদ্ধৃত উপরোক্ত বক্তব্যগুলি পর্যালোচনা করলে একথা পরিস্কারভাবে ফুটে উঠে যে, তিনি প্রচলিত চার মাযহাবের কোন একটির নির্দিষ্টভাবে ‘মুক্বাল্লিদ’ ছিলেন না। বরং নিরপেক্ষভাবে ছহীহ হাদীছের অনুসারী ছিলেন। একস্থানে কয়েকটি ছহীহ হাদীছ বিরাজমান থাকলে তিনি তার মধ্যে সর্বাপেক্ষা বিশুদ্ধতম (أصح الصحيح) হাদীছের অনুসরণ করতেন। এক পর্যায়ে তিনি নিজেকে ‘মশহূর আহলেহাদীছ’ বলেও আখ্যায়িত করেছেন। এজন্য তাকে সমকালীন আলিমগণ ‘ওয়াহ্হাবী’ বলে অভিহিত করেছিলেন।[17]
[বিস্তারিত দ্রষ্টব্য : মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব প্রণীত ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন : উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ, দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষিতসহ (পিএইচ.ডি থিসিস) শীর্ষক গ্রন্থ পৃঃ ৩৪৪-৩৪৭]
[1]. নওয়াব ছিদ্দীক হাসান খান, ‘ইবক্বাউল মিনান বি-ইলক্বাইল মিহান’ (আত্মজীবনী) লাহোরঃ দারুল দা‘ওয়াতিল সালাফিইয়াহ, শীশমহল রোড, ১ম সংস্করণ ১৯৮৬) পৃঃ ২৮-২৯।
তাঁর বংশ তালিকা নিম্নরূপঃ
ছিদ্দীক হাসান বিন (২) হাসান বিন (৩) আলী বিন (৪) লুৎফুল্লাহ বিন (৫) আযীযুল্লীহ বিন (৬) লুৎফে আলী বিন (৭) আলী আছগর বিন (৮) সাইয়িদ কাবীর বিন (৯) তাজুদ্দীন বিন (১০) জালাল রাবে’ বিন (১১) সাইয়িদ রাজু শহীদ বিন (১২) সাইয়িদ জালাল ছালিছ বিন (১৩) হামেদ কাবীর বিন (১৪) নাছিরুদ্দীন মাহমূদ বিন (১৫) জালালুদ্দীন বুখারী ওরফে ‘মাখদূম জাহানিয়াঁ জাহাঁগাশ্’ বিন (১৬) আহমাদ কাবীর বিন (১৭) জালাল আযম গুলসুরখ বিন (১৮) আলী মুওয়াইয়িদ বিন (১৯) জা‘ফর বিন (২০) আহমাদ বিন (২১) মুহাম্মাদ বিন (২২) আবদুল্লাহ বিন (২৩) আলী আশক্বার বিন (২৪) জা‘ফর যাকী বিন (২৫) আলী নকী বিন (২৬) আলী রিয়া বিন (২৭) মূসা কাযিম বিন (২৮) ইমাম জা‘ফর ছাদিক বিন (২৯) মুহাম্মাদ বাকির বিন (৩০) ইমাম আরী ‘যায়নুল আবেদীন’ বিন (৩১) ইমাম হুসাইন বিন (৩২) আলী ওয়া ফাতিমা বিনতে (৩৩) মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)।- ঐ, আত্মজীবনী ‘ইবক্বাউল মিনান’ পৃঃ ২৮।
[2]. প্রাগুক্ত, পৃঃ ৩০।
[3]. ইমাম খান নওশাহরবী, ‘তারাজিমে ওলামায়ে হাদীছ হিন্দ’ (ফায়ছালাবাদঃ জামে‘আ সালাফিইয়াহ, ২য় সংস্করণ ১৩৯১/১৯৮১ খৃঃ) পৃঃ ২৩৭; ‘ইবকাউল মিনার’ পৃঃ ২৯।
[4]. ‘মিনার’ পৃঃ ২৯।
[5]. প্রাগুক্ত, পৃঃ ২৯-৩০; ‘তারাজিম’ পৃঃ ২৩৭।
[6]. ‘মিনার’ পৃঃ ১৫৭।
[7]. প্রাগুক্ত, পৃঃ ১১২-১১৪; দরবারের সেবা আলিম মাওলানা আলী আববাস চিড়িয়াকেটীর সাথে ‘হুক্কা পান’ সম্পর্কিত এক মাসআলায় মতবিরোধ হ’লে এক বছরের মাথায় তাঁকে চাকুরী হারাতে হয়।- ‘তারাজিম’ পৃঃ ২৩৯-৪০।
[8]. ‘তারাজিম’ পৃঃ ২৪০-৪১; ‘মিনার’ পৃঃ ১০২।
[9]. মিনার পৃঃ ১১৩।
[10]. প্রাগুক্ত, পৃঃ ১২৭, ২২৩; ‘তারাজিম’ পৃঃ ২৪৩; আল্লামার প্রথম বিবাহ ভূপালের মুখ্যমন্ত্রীর বিধবা কন্যা ১ম খলীফা হযরত আবুবকর (রাঃ)-এর বংশধর যাকিয়া বেগমের সাথে ১২৭৭ হিজরীর ২৫শে শা‘বান তারিখে রাজধানী ভূপালে অনুষ্ঠিত হয়। পূর্ব স্বামীর কয়েকটি সন্তান ছাড়াও এই স্ত্রীর গর্ভে তাঁর দুই পুত্র ও দুই কন্যা জন্ম গ্রহণ করে। তবে আফগান বংশোদ্ভূত রাণী দ্বিতীয় স্ত্রীর গর্ভে কোন সন্তান হয়নি। -মিনান’ পৃঃ ১১২-২৪, ১৬২, ২৩৮।
[11]. ‘তারাজিম’ পৃঃ ২৪৭।
[12]. প্রাগুক্ত, পৃঃ ৮৪,৮৮।
[13]. প্রাগুক্ত, পৃঃ ৮৭।
[14]. প্রাগুক্ত, পৃঃ ৮৪-৮৫।
[15]. প্রাগুক্ত, পৃঃ ১৮১।
[16]. প্রাগুক্ত, পৃঃ ৯১।
[17]. প্রাগুক্ত পৃ. ২৫৯; তারাজিম পৃ. ২৪৫; গৃহীত : মা‘ছিরে ওয়ালাজাহ ৩য় খন্ড পৃ. ৩০।