কর্মী সম্মেলন ২০১৭ (সমাজ সংস্কারে জাম‘আতবদ্ধভাবে প্রচেষ্টা করুন!)

তাওহীদের ডাক ডেস্ক 8672 বার পঠিত

গত ২০ শে অক্টোবর ২০১৭ শুক্রবার বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ-এর উদ্যোগে রাজশাহী মহানগরীর নওদাপাড়ায় অনুষ্ঠিত বার্ষিক কর্মী সম্মেলনে প্রদত্ত ভাষণে সম্মেলনের প্রধান অতিথি ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব উপরোক্ত আহবান জানান। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, মানুষের জন্ম সমাজে। মানুষ সামাজিক জীব। দু’জন অপরিচিত নারী-পুরুষের মাধ্যমে একটি মানুষের জন্ম হয়। আর একটি সমাজের মাধ্যমে একটি ইউনিটির জন্ম হয়। মানুষের জন্ম হয় বড় অসহায়ত্বের মধ্য দিয়ে। অন্যদের জন্ম এমন নয়। অসহায় শিশুর সাহায্যে এগিয়ে আসে তার মা, বাবা, ভাই, বোন, দাদা, দাদী, নানা, নানী, খালা, ফুফু। আর এদের সবাইকে নিয়েই সমাজ। আর একটি ইউনিটি বা সমাজের জন্য আমীর বা সমাজপতি থাকে। জন্মলগ্নে মানুষের পাশে আল্লাহ বা রাসূল থাকবে না বরং থাকবে তার আমীর। মানুষের জীবনের চলার পাথেয় পাঁচটি জিনিসকে আল্লাহ বুনিয়াদ হিসাবে নির্ধারণ করেছেন। কালেমা, ছালাত, ছিয়াম, যাকাত ও হজ্জ। এদের প্রত্যেকটির মধ্যে মানুষের জন্য সামাজিক শিক্ষা রয়েছে।

যেমন একাকী ছালাতের চেয়ে জামা‘আতবদ্ধ ছালাতে সাতাশ গুণ বেশী নেকী পাওয়া যায়। রাসূল (ছাঃ) হাদীছ, কে আছ তোমার ভাইয়ের জন্য ছাদাক্বা করতে পার? কেননা একাকী ছালাতরত ছাহাবীর সঙ্গ দিলে ছাহাবী জামা‘আতের নেকী পেত। আর সঙ্গ দেয়া ব্যক্তি ছাদাক্বার নেকী পেত। এভাবেই জামা‘আতবদ্ধতা শিক্ষা দিয়েছেন আমাদের নবী।

তিনি ছিয়ামের ব্যাপারে বলেন, হাদীছের ভাষ্য- সবাই ছিয়াম রাখলে তুমি ছিয়াম রাখবে, সবাই যেদিন ঈদুল ফিতর বা ঈদুল আযহা পালন করলে তুমিও সেদিন তা কর। অর্থাৎ একাকী বিছিন্ন কোন কাজ করা চলবেনা।

তিনি হজ্জের ব্যাপারে বলেন, কুরায়েশরা ইসলামের আসার পূর্বে মুযদালেফায় হজ্জ করত। কিন্তু ইসলাম সবাইকে সমানভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার গুরুত্ব দিয়ে আরাফার ময়দানে একত্রিত হওয়াকে ফরয করেছে।

তিনি যাকাতের ব্যাপারে বলেন, যাকাত একজন আমীরের অধীনে সংগৃহীত হয়ে তা আমীরের মাধ্যমে তা বন্টিত হবে। এটাকে হালকা করে দেখা যাবেনা। এভাবে ইসলামে সর্বত্রই জামা‘আতবদ্ধ জীবনযাপনের আবশ্যিকতা রয়েছে। নইলে জান্নাতী পথ থেকে ছিটকে পড়তে হবে।   

তিনি বলেন, জামা‘আত দু’প্রকার। জামা‘আতে আম্মাহ ও জামা‘আতে খাছ্ছা। দু’টিই মুমিন জীবনে প্রয়োজন। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে জামা‘আতে আম্মাহ ও জাতির বিভিন্ন প্রয়োজনে জামা‘আতের খাছ্ছার প্রয়োজনীতা রয়েছে। কারণ বিশ্বের ও নিজ দেশের সামগ্রিক অবস্থাকে এড়িয়ে কোন আন্দোলন বা সংগঠন চলতে পারে না। তিনি আরো বলেন, ‘জামা‘আতবদ্ধ জীবনযাপন হলো রহমত স্বরূপ আর বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন হলো শাস্তি স্বরূপ’। আর জামা‘আতবদ্ধ জীবনযাপনে আল্লাহর হাত (সাহায্য) রয়েছে। আমীরের মধ্যে কোন ত্রুটি দেখলে অবশ্যই ধৈর্যধারণ করতে হবে। যদি তা না করে কেউ বিদ্রোহী হয়, তবে জান্নাতী জীবন নিমিষেই জাহান্নামী জীবনে পরিণত হয়। শান্তির সমাজ বিশৃংখলাপূর্ণ হয়ে যায়।  অতএব আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি যুবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, যুবকদের দায়িত্ব হলো- সর্বাগ্রে  যাবতীয় শিরক ও বিদ‘আত বিমুক্ত হয়ে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছকে বুকে ধারণ করা,  সকল রিয়া ও শ্রুতি থেকে মুখ ফিরিয়ে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কাজ করা, সংঘবদ্ধ জীবনকে অপরিহার্য করে নেয়া, অনুগত কর্মী হিসাবে নিজেকে প্রমাণ করা এবং সর্বোপরি নিজেকে আল্লাহর রহমত পাওয়ার যোগ্য হিসাবে গড়ে তোলা। সবশেষে আহলেহাদীছদের বৈশিষ্ট্য সর্ম্পকে তিনি ভারতবর্ষের প্রখ্যাত পন্ডিত সাইয়েদ আলী হাসান নাদভীর মন্তব্য উল্লেখ করেন- ‘আহলেহাদীছরা হলো খালেছ তাওহীদে বিশ্বাস, পূর্ণ ইত্তেবায়ে সুন্নাত, জিহাদী জাযবা ও আল্লাহর প্রতি অবনত হওয়ার অনন্য বৈশিষ্ট্যধারী জামাআত’। অতএব ‘যুবসংঘ’-এর ছেলেদেরকে উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যসমূহ অক্ষুণ্ণ রেখে সমাজের বুকে একতাবদ্ধভাবে কাজ  করে যেতে হবে।

‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুর রশীদ আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক, অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম, যুববিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আমীনুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ড. সাখাওয়াত হোসাইন, দফতর সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা দুররুল হুদা, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসাইন, ‘যুবসংঘ’-এর প্রচার সম্পাদক আবুল বাশার আব্দুল্লাহ ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ইহসান ইলাহী যহীর, ‘সোনামণি’ কেন্দ্রীয় পরিচালক আব্দুল হালীম, ‘যুবসংঘ’-এর সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ড. নূরুল ইসলাম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আহলেহাদীছ আন্দোলন সঊদীআরব শাখার প্রচার সম্পাদক সোহরাব হোসাইন এবং আহলেহাদীছ আন্দোলন সিঙ্গাপুর শাখার কর্মী শামীম আহমাদ।

‘যুবসংঘ’-এর সংগ্রামী কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুর রশীদ আখতার তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ তাওহীদের ঝান্ডাবাহী এদেশের একক যুবসংগঠন। যুবসংঘ ধর্মীয় সংস্কার, রাজনৈতিক সংস্কার, অর্থনৈতিক সংস্কার ও শিক্ষা সংস্কারের মাধ্যমে মানুষের সার্বিক জীবনকে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে ঢেলে সাজানোর কঠিন ব্রত নিয়ে সমাজের বুকে পদচারণা করছে। তিনি সকলকে এ কাফেলা সম্মুখপানে এগিয়ে নিয়ে যেতে জান-মাল কুরবানীর আহবান জানান।

‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি সংগঠনের মজবুতির মূল হলো আমীরের আনুগত্য। লক্ষ্যপানে অটল আমীর ও কর্মীবাহিনীর সমন্বয়েই একটি সমাজে প্রকৃত বিপ্লব আসতে পারে।

‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও মাসিক আত-তাহরীক সম্পাদক ড. সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, বুলেট কিংবা ব্যালট নয়, তাওহীদ প্রতিষ্ঠাই দ্বীন কায়েমের প্রকৃত লক্ষ্য। যারা হুকুমত কায়েমের কথা বলে যেনতেন প্রকারে ক্ষমতা দখলকেই নিজেদের লক্ষ্য বানিয়ে নিয়েছেন, তারা ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।

‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আমীনুল ইসলাম বলেন, সংগঠন চারটি জিনিসের সমন্বয়। সেগুলি হলো- আমীর, মা’মূর, বায়‘আত ও এতা‘আত। তিনি কর্মীদেরকে তাওহীদী বিশ্বাস, সুন্নাতের অনুসরণ, জিহাদী জাযবা এবং আল্লাহ প্রতি খুলুছিয়াতের গুণাবলী মজবুতভাবে ধারণের আহবান জানান। 

‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক  মাওলানা দুররুল হুদা বলেন, দ্বীনী ভ্রাতৃত্ব মুমিন জীবনে আসল ভ্রাতৃত্ব। এক মুমিনের সাথে অপর মুমিনের সম্পর্ক হল একটি বিল্ডিং-এর মত, যা ভাঙ্গার নয়।

‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসাইন বলেন, প্রতিটি কর্মীকে মুহাজির আনছারদের মত ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হতে হবে।

‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ড. কাবীরুল ইসলাম বলেন, সংগঠন সুচারূভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজন কর্মপদ্ধতি। যার অনুসরণ ব্যতীত একটি সংগঠন তার সাংগঠনিক প্রাণ ফিরে পেতে পারে না। তিনি কর্মসূচী ও কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে সবিস্তারে আলোচনা করেন।

‘যুবসংঘ’-এর সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ড. নূরুল ইসলাম যুগে যুগে আহলেহাদীছ আন্দোলনের বিকাশ সম্পর্কে তিনি বলেন, ছাহাবাগণ হলেন আহলেহাদীছদের প্রথম সারির ব্যক্তিত্ব। আহলেহাদীছরা ভূঁইফোড় কিছু নয়। ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনে রয়েছে আহলেহাদীছদের অতুলনীয় অবদান। সুতরাং যারা আহলেহাদীছদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে, তারা মূলতঃ ইতিহাসজ্ঞানশূন্য অথবা জ্ঞানপাপী।

‘যুবসংঘ’-এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব ভারত উপমহাদেশে আহলেহাদীছদের জিহাদ আন্দোলন এবং সাংগঠনিক আন্দোলন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করতঃ বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘের ঐতিহাসিক ভূমিকা মূল্যায়ন করতে গিয়ে বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের বুকে ‘যুবসংঘ’-এর ভূমিকা বিশ্লেষণ করতে গেলে দুটি মৌলিক বিষয় সামনে আসে। (১) ইতিহাসের ধারাবাহিকতা। এ দেশের আহলেহাদীছ জনগোষ্ঠীর একটি ক্রান্তিকালে যুবসংঘের জন্ম কেবল একটি সংগঠনের আবির্ভাবমাত্র ছিল না। বরং তা ছিল আহলেহাদীছ আন্দোলনের গৌরবজ্জ্বল ইতিহাসের ধারাবাহিকতা রক্ষার এক ঐতিহাসিক দায়পূরণ। (২) আদর্শিক দৃঢ়তা। যুবসংঘ তার সূদীর্ঘ ৪০ বছরের পদচারণায় বারাংবার পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছে। কিন্তু আদর্শের উপর টিকে থাকার মাধ্যমে সে পরীক্ষাসমূহে উৎরে গেছে বলেই আজও আল্লাহর অশেষ রহমতে সমাজের বুকে এ সংগঠন দৃপ্তচিত্তে কাজ করে যেতে সক্ষম হয়েছে। তিনি অতীতের প্রেরণাকে সম্বল করে আগামী দিনে এ আন্দোলনকে কিভাবে আরও বহুমুখীভাবে অগ্রসর করা যায়, সে ব্যাপারে পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য কর্মীদের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, আগামী দিনে আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে, আদর্শের উপর টিকে থাকা। সেজন্য আমাদের প্রধান সম্বল হবে খুলুছিয়াত, আপোষহীন সংগ্রামী মনোভাব এবং সীমাহীন ধৈর্য। তিনি কর্মী ভাইদের নৈতিক দৃঢ়তা অর্জনের আহবান জানিয়ে বলেন, আহলেহাদীছ আন্দোলনের কর্মী হতে গেলে ইস্তিকামাতের কোন বিকল্প নেই। রাসূল (ছাঃ)-এর চারপাশে এমনই লক্ষ্যে অটল বিপ্লবী কর্মী বাহিনী ছিল বলেই তিনি এক মহাবিপ্লব সাধন করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

সম্মেলনে ‘নিজ যেলায় কর্মতৎপরতার বর্ণনা ও অগ্রগতি বিষয়ে পরামর্শ’ শীর্ষক পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রত্যেককে ৫ মিনিট করে সময় পান এবং সময়ের সংক্ষিপ্ততার কারণে মোট ৭ জন অংশগ্রহণ করেন। তারা হলেন, রংপুর যেলা সভাপতি শিহাবুদ্দীন আহমাদ, দিনাজপুর-পূর্ব যেলার সভাপতি রায়হানুল ইসলাম, রাজশাহী-পূর্ব যেলার সাধারণ সম্পাদক, যিল্লুর রহমান, জয়পুরহাট যেলা সভাপতি, নাজমুল হক, ঝিনাইদহ যেলা সভাপতি আসাদুল্লাহ, সাতক্ষীরা যেলা সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-মামুন এবং কুমিল্লা যেলা সাধারণ সম্পাদক আহমাদুল্লাহ। 

এছাড়া ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের পরামর্শের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ যেলা, শ্রেষ্ঠ সভাপতি, শ্রেষ্ঠ সাধারণ সম্পাদক এবং শ্রেষ্ঠ সংগঠকের নাম ঘোষণা করা হয়। তারা হলেন, শ্রেষ্ঠ যেলা রাজশাহী পশ্চিম), শ্রেষ্ঠ সভাপতি আব্দুর রহমান (নওগাঁ), শ্রেষ্ঠ সাধারণ সম্পাদক যিল্লুর রহমান (রাজশাহী পশ্চিম), শ্রেষ্ঠ সংগঠক আসাদুল্লাহ (ঝিনাইদহ)।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য পেশ করেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুস্তাকীম আহমাদ। বিভিন্ন পর্যায়ে কুরআন তেলাওয়াত করেন আহমাদ আব্দুল্লাহ শাকির ও আবু সাইফ। ইসলামী জাগরণী পরিবেশন করেন মুহাম্মাদ কেরামত, রাক্বীবুল ইসলাম ও আল-হেরা সদস্যবৃন্দ। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক আবুল কালাম।

কর্মী প্রশিক্ষণ

বাঁকাল, সাতক্ষীরা ২১ ও ২২শে সেপ্টেম্বর বৃহস্পতি ও শুক্রবার : অদ্য ২১শে সেপ্টেম্বর বাদ আছর ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ সাতক্ষীরা যেলার উদ্যোগে বাঁকালস্থ দারুলহাদীছ আহমাদিয়াহ সালাফিইয়াহ কমপ্লে­ক্সে দু’দিনব্যাপী কর্মী ও দায়িত্বশীল প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ আল-মামূনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য অধ্যাপক শেখ মুহাম্মাদ রফীকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসাইন, সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহীর ভাইস প্রিন্সিপ্যাল ড. নূরুল ইসলাম, সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাক্বিব প্রমুখ। প্রশিক্ষণে যেলার বিভিন্ন এলাকা হ’তে দুই শতাধিক কর্মী ও দায়িত্বশীল অংশগ্রহণ করেন।

যুব সমাবেশ

বিরামপুর, দিনাজপুর, ৯ই সেপ্টেম্বর শনিবার : অদ্য সকাল ১০-টায় যেলার বিরামপুর থানাধীন চাঁদপুর আহলেহাদীছ জামে মসজিদে ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ দিনাজপুর-পূর্ব সাংগঠনিক যেলার উদ্যোগে এক যুবসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘যুবসংঘ’-এর  সভাপতি রায়হানুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আবুল কালাম। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জয়পুরহাট যেলা ‘সোনামণি’ পরিচালক আব্দুল মুন‘ইম।

ছোট বেলাইল, বগুড়া ২৩শে সেপ্টেম্বর শনিবার : অদ্য বাদ যোহর শহরের ছোট বেলাইল আহলেহাদীছ জামে মসজিদে ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ বগুড়া যেলার উদ্যোগে এক যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সভাপতি আল-আমীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত যুবসমাবেশে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আবুল কালাম এবং সাহিত্য ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুখতারুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি আব্দুর রহীম।

মাদারগঞ্জ, জামালপুর ২৩শে সেপ্টেম্বর রবিবার : অদ্য বাদ যোহর যেলার মাদারগঞ্জ থানাধীন চরবওলা গণীবাড়ি আহলেহাদীছ জামে মসজিদে ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ জামালপুর-দক্ষিণ সাংগঠনিক যেলার উদ্যোগে এক যুবসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সভাপতি মনযূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত যুবসমাবেশে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক আব্দুল্লাহিল কাফী ও দফতর সম্পাদক মুহাম্মাদ মিনারুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন উপযেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা জামালুদ্দীন সালাফী ও অত্র মসজিদের ইমাম আব্দুল ওয়াহেদ।

চিনাডুলি, ইসলামপুর, জামালপুর ২৪শে সেপ্টেম্বর সোমবার : অদ্য সকাল ১০-টায় যেলার ইসলামপুর থানাধীন চিনাডুলি আহলেহাদীছ জামে মসজিদে ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ জামালপুর-উত্তর সাংগঠনিক যেলার উদ্যোগে এক যুবসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সভাপতি এস এম এরশাদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত যুবসমাবেশে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক আব্দুল্লাহিল কাফী ও দফতর সম্পাদক মুহাম্মাদ মিনারুল ইসলাম।

কমরগ্রাম, জয়পুরহাট ২৯শে সেপ্টেম্বর শুক্রবার : অদ্য দুপুর ২-টায় কমরগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ময়দানে ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ জয়পুরহাট যেলার উদ্যোগে এক যুবসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সভাপতি নাজমুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত যুবসমাবেশে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুর রশীদ আখতার। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আবুল বাশার আব্দুল্লাহ ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আবুল কালাম। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাহফূযুর রহমান ও সোনামণি যেলা পরিচালক আব্দুল মুন‘ইম প্রমুখ।

বিশ্বনাথপুর, চাঁপাই নবাবগঞ্জ ২৯শে সেপ্টেম্বর শুক্রবার : অদ্য সকল ১০-টায় যেলার শিবগঞ্জ থানাধীন বিশ্বনাথপুর আহলেহাদীছ জামে মসজিদে ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ চাঁপাই নবাবগঞ্জ-দক্ষিণ সাংগঠনিক যেলার উদ্যোগে এক যুবসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সহ-সভাপতি ইয়াসীন আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত যুবসমাবেশে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক আব্দুল্লাহিল কাফী ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ইহসান ইলাহী যহীর।

পার্বতীপুর, দিনাজপুর ৩০শে সেপ্টেম্বর শনিবার : অদ্য বাদ যোহর দিনাজপুরের পার্বতীপুর থানাধীন দক্ষিণ মুনীরিয়া আহলেহাদীছ জামে মসজিদে ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ দিনাজপুর-পশ্চিম সাংগঠনিক যেলার উদ্যোগে এক যুবসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি তোফায্যল হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আবুল কালাম, ‘সোনামণি’ কেন্দ্রীয় পরিচালক মুহাম্মাদ আব্দুল হালীম ও সহ-পরিচালক আবু হানীফ। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক মুমিনুল ইসলাম ও যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ সাজ্জাদ হোসাইন।

বাগডোব, মহাদেবপুর, নওগাঁ ২রা অক্টোবর সোমবার : অদ্য সকাল ৯-টায় যেলার মহাদেবপুর থানাধীন বাগডোব বাযার আহলেহাদীছ জামে মসজিদে ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ নওগাঁ-পশ্চিম সাংগঠনিক যেলার উদ্যোগে এক যুবসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সভাপতি আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত যুবসমাবেশে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুস্তাকীম আহমাদ ও দফতর সম্পাদক মুহাম্মাদ মিনারুল ইসলাম।

দেলধা, টাঙ্গাইল ২রা অক্টোবর সোমবার : অদ্য বাদ আছর দেলধা আহলেহাদীছ জামে মসজিদে ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ টাঙ্গাইল যেলার উদ্যোগে এক যুবসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সভাপতি মাসঊদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত যুবসমাবেশে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আবুল কালাম, সাহিত্য ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুখতারুল ইসলাম ও ‘সোনামণি’র কেন্দ্রীয় সহ-পরিচালক যয়নুল আবেদীন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা আব্দুল ওয়াজেদ।

রহনপুর, চাঁপাই নবাবগঞ্জ ৪ঠা অক্টোবর বুধবার : অদ্য বাদ আছর রহনপুর ডাক বাংলাপাড়া আহলেহাদীছ জামে মসজিদে ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ চাঁপাই নবাবগঞ্জ-উত্তর সাংগঠনিক যেলার উদ্যোগে এক যুবসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘যুবসংঘ’-এর সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহীর ভাইস প্রিন্সিপাল ড. নূরুল ইসলাম এবং ‘যুবসংঘ’-এর সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মিনারুল ইসলাম ও ‘সোনামণি’ কেন্দ্রীয় সহ-পরিচালক রবীউল ইসলাম।




আরও