তূর্যধ্বনি
সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন সিরাজী
যুবসংঘ তোমায় ভালোবাসি
আব্দুল কাইয়ূম
কুলাঘাট, লালমনিরহাট।
আমার প্রাণের যুবসংঘ তোমার পদ যাত্রা দশকের আশি
তখন হইতে আজ অবধি তোমার সাথে আছে মিশি
যুবসংঘ তোমায় ভালোবাসি।
আমার জন্ম তোমার পদ যাত্রা তাল মিলে হয়েছি খুশী
তোমার আলোয় আলোকিত আমি, যেন পেয়েছি রবি শশি
যুবসংঘ তোমায় ভালোবাসি।
শিরক্ ও বিদ‘আত কিছুই বুঝি নাই, বুঝেছি তোমার পথে আসি
আমার সাথে কত বন্ধু ছিল, তারা সকলেই জাহেলী স্রোতে গেছে ভাসি
যুবসংঘ তোমায় ভালোবাসি।
আমি জন্ম সূত্রে আহলেহাদীছ, কিন্তু বুঝতাম না কুরআন হাদীছ
হক যে কোথায় লুকিয়ে আছে, আধার ঘরের কোনার মাঝে
তোমার মাঝেই হকের সন্ধান পেয়ে, হয়েছি কত খুশী
যুবসংঘ তোমায় ভালোবাসি।
তোমার আগমন না ঘটিলে, তোমার দেখা না মিলিলে
এই দেশের যুবকেরা সব জাহেলী অন্ধকারে যেত মিশি
যুবসংঘ তোমায় ভালোবাসি।
তোমার আগমনে এই বিশ্ব ভুবনে হকের সন্ধানে-
কত মানুষ খোঁজে তোমায়, খোঁজে দিবানিশি
যুবসংঘ তোমায় ভালোবাসি।
কত অজানা মানুষ, ফিরেছে তাদের হুঁশ
করতে শিখেছে আমল কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহ মোতাবেক, তোমারই পথে আসি
যুবসংঘ তোমায় ভালোবাসি।
তাই তো তোমায় রোধ করতে, তোমার বজ্রধ্বনি দমিয়ে দিতে
কত অপশক্তি বেঁধেছিল জোট মিলি মিশি
যুবসংঘ তোমায় ভালোবাসি।
কত ছোট রশি, কত বড় রশি, ছিন্ন করে আটরশি খোঁজে দিবানিশি
কোথায় গেলে চুড়ান্ত হকের সন্ধান পাবে, শুধু খোঁজে বসি বসি
যুবসংঘ তোমায় ভালোবাসি।
বিরোধীরা যতই করুক আনাগোনা, করুক না সমালোচনা
তারা তোমায় পারবেনা ঠেকাতে, কারন এ পথে যে আল্লাহ নিজেই খুশী
যুবসংঘ তোমায় ভালোবাসি।
হে নবীন তুমি হও!
মুহাম্মাদ ইস্রাফীল, ছানাবিয়া ২য় বষ
আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী
নওদাপাড়া, রাজশাহী।
এক-বিংশ শতাব্দীর ওমর-খালিদ ও আলী
দূরীভূত কর ভুবনে যত ত্বাগূতের পূজারী,
হও তুমি মহাসত্যের বিজয়ের রক্তিম সূর্য
বজ্রাঘাতে মিথ্যার যত অহমিকা কর চূর্ণ।
নবীন, তুমি হও!
বিভেদমুক্ত কল্যাণী পৃথিবীর স্বাপ্নিক
সাম্য, ভ্রাতৃত্বের সমাজ গঠনের এক বিপ্লবী সৈনিক,
হও! পথহারা তরুণের জান্নাতী পথের পাঞ্জেরী
ঘুচিয়ে দাও বসুধায় বিরাজিত যত সব যুলুমাতের শর্বরী।
নবীন তুমি হও!
রাস্তা ধারের শীতার্ত মানুষগুলির একটুখানি উষ্ণতা
নেকড়ে-হায়েনাদের করাল গ্রাস হ’তে রক্ষা কর মানবতা,
হও! মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর আর্দশে আর্দশিত সেই সিপাহসালার
যার পদধ্বনিতে বাতিলের মস্নদ ভেঙ্গে হয় চুরমার।
হে নবীন তুমি হও!
চির বিদ্রোহী অগ্নির রোষানলের সেই রক্তিম লাভা
যালিমদের দগ্ধিত করে ভুবনে আনো পুনরায় শান্তির শোভা,
হও! মুছ‘আব বিন উমায়েরের মত প্রভুর পথে নিঃস্বার্থ আহবানকারী,
অহীর বিধানের আলোকে সমাজ গড়ার এক অতন্দ্র প্রহরী।
স্মৃতিতে ছাদরুল ভাই
মুবাশ্বিরুল ইসলাম, ৬ষ্ঠ শ্রেণী
আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী
নওদাপাড়া, রাজশাহী।
হৃদয়টা চাইছিল না তোমাকে বিদায় দিতে
তুমি যে মিশে আছ আমার প্রাণের স্মৃতিতে।
মারাত্মক ক্যান্সার নিল তোমার জীবন কাড়িয়া
হরণ করল তোমার প্রাণ দু’হাত বাড়িয়া,
তুমি চলে গেলে আমাদের চিরতরে ছাড়িয়া।
আল-হেরা শিল্পী গোষ্ঠীর প্রাণ যে ছিলে তুমি
তোমার সুরে হাযারো শিল্পী হয়েছে সত্যানুসারী,
তোমার সুর এখনও হয়ে আছে অমলান
নিশ্চিহ্ন হবেনা কভু সেই সুখস্মৃতির বান।
শেষ বিদায় দিচ্ছিলাম যখন আমি তোমাকে
মনে হচ্ছিল বিদায় দিচ্ছি চিরচেনা একজনকে।
স্বান্তনা দিচ্ছি আমি নিজেই আজ নিজেকে
মৃত্যু এসে নিয়ে যাবে যখন ইচ্ছা যাকে।
মৃত্যু যে তামাশার কোন জিনিস নয়
মৃত্যুর স্বাদ একদিন গ্রহণ করতে হবে নিশ্চয়ই।
মৃত্যুকে তাই আমাদের করতে হবে ভয়,
মৃত্যু থেকে পালাবার নেই তো কোন উপায়।
আল্লাহ! তুমি ছাদরুল ভাইকে করে দাও ক্ষমা
দুনিয়াতে সে যত পাপ করেছিল জমা।
অবশেষে তোমার কাছে করি ফরিয়াদ
জান্নাতীদের মধ্যে শামিল কর তাকে
দিও গো তাকে ফেরদাউস জান্নাত।