নষ্ট রাজনীতির শিকার তরুণ প্রজন্ম
মুযাফফর বিন মুহসিন
তাওহীদের ডাক ডেস্ক 1481 বার পঠিত
নির্দিষ্ট
লক্ষ্য, যোগ্য নেতৃত্ব ও নিবেদিতপ্রাণ কর্মী বাহিনী- এই ত্রিবিধ বস্ত্তর
সমন্বয়ে একটি সংগঠন অস্তিত্ব লাভ করে। এগুলির মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ
হচ্ছে কর্মী। নৌকার জন্য যেমন দাড়ের প্রয়োজন সংগঠনের জন্য তেমনি কর্মী
বাহিনী প্রয়োজন। সংগঠনের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কর্মীদের নিয়ে অন্যান্য
বারের ন্যায় এবারও অনুষ্ঠিত হচ্ছে আমাদের নিয়মিত ‘দ্বি-বার্ষিক কর্মী সম্মেলন’।
কর্মীদের পারস্পরিক পরিচিতি, সংগঠন পরিচালনায় দিক নির্দেশনা লাভ, সংগঠনের
বিভিন্ন বিষয়ে সম্যক জ্ঞানার্জন, অস্পষ্ট ও অজানা বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা লাভ,
সাংগঠনিক মযবুতি বৃদ্ধির উপায় প্রভৃতি বিষয়ে অবহিত করণে কর্মী সম্মেলন খুবই
গুরুত্ব বহন করে। তাছাড়া কর্মীদের সামনে সংগঠনের কার্যাবলী তুলে ধরে তাদের
কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি ও তাদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরীতে কর্মী সম্মেলন বিশেষ
ভূমিকা পালন করে থাকে। এর মাধ্যমে কর্মীদের মাঝে সৃষ্টি হয় নবজাগরণ,
কর্মোদ্দীপনা ও শত বাধা পেরিয়ে সংগঠনকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার প্রবল সদিচ্ছা।
সাথে সাথে সংগঠনের মূল লক্ষ্য, চেতনা ও কর্মপদ্ধতি জাতির সামনে তুলে ধরতে
কর্মী সম্মেলন অতীব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সর্বোপরি ইসলামের শাশ্বত
ও অকৃত্রিম আদর্শের প্রতি কর্মীদের অনুরাগ বৃদ্ধি ও সংগঠনের জন্য
নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসাবে গড়ে ওঠার জন্য আমাদের সম্মেলনগুলি বিশেষ ভূমিকা
পালন করে থাকে।
দেশের তরুণ ছাত্র ও যুবসমাজের নিকটে নির্ভেজাল তাওহীদের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার মহান লক্ষ্যে ১৯৭৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারীতে ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ প্রতিষ্ঠার পর ১৯৮০ সালের ৫ ও ৬ এপ্রিল ‘যুবসংঘ’-এর উদ্যোগে ঢাকা যেলা ক্রীড়া সমিতি মিলনায়তনে প্রথম জাতীয় সম্মেলন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে সুধী সমাবেশ ও ‘ইসলামী সেমিনার’ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৯১ হতে ৯৪ সাল পর্যন্ত ‘যুবসংঘ’-এর উদ্যোগে প্রতিবছর রাজশাহীতে জাতীয় সম্মেলন ও তাবলীগী ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। অতঃপর ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর মুরববী সংগঠন ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা লাভের পর তাবলীগী ইজতেমা অনুষ্ঠানের দায়িত্ব গ্রহণ করে ‘আন্দোলন’। ১৯৯৬ সালের ২৪ ও ২৫ শে অক্টোবর ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর উদ্যোগে প্রথম দ্বি-বার্ষিক কর্মী সম্মেলন রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৯৮ সালে রাজশাহীতে এবং ২০০২, ২০০৪ ও ২০০৬ সালের দ্বি-বার্ষিক কর্মী সম্মেলন ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। গত ২০০৮ সালের কর্মী সম্মেলন নানা প্রতিকূলতায় অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। আমরা আশা করি, বিগত সম্মেলনগুলির ন্যায় এবারের সম্মেলনও কর্মীদের মধ্যে পরকালীন জবাবদিহিতার চেতনা জাগ্রত করবে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে সংগঠনকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করার প্রেরণা যোগাবে। ইসলামের নির্ভেজাল সত্যকে দেশ ও জাতির সামনে তুলে ধরা এবং সমাজের বুকে তা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আল্লাহ আমাদেরকে অধিকতর তাওফীক দান করুন-আমীন!!