দক্ষিণ এশিয়ায় আহলেহাদীছ আন্দোলন
প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম 9012 বার পঠিত
মানবতার মুক্তির নামে কিংবা ব্যক্তিগত ও দলগত স্বার্থ সিদ্ধির জন্য বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাছিলের উপায় হিসাবে পৃথিবীতে বহু দল ও মতবাদের উদভব হয়েছে, যা ছিল কিতাব ও সুন্নাত বিরোধী। মূলত অহি-বিরোধী যত প্রকার বিধান, মাযহাব, মতবাদ, ইজম, থিওরী, ফর্মুলা রচিত হয়েছে সবই অনাসৃষ্টি ও ফেৎনা। এসব ফেৎনার মূলোৎপাটনে আত্মনিয়োগ করাই আহলেহাদীছ আন্দোলনের অন্যতম উদ্দেশ্য। আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রাসূলের সুন্নাতকে সমুন্নত, বলবৎ ও সুপ্রতিষ্ঠিত করাই মুসলিম উম্মাহর জাতীয় জীবনের উন্নতি, অগ্রগতি, বিজয় ও প্রতিষ্ঠা বলে আহলেহাদীছরা মনে করে। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ছাঃ)-কে বাদ দিয়ে জাতীয় গৌরব প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা কেবল বিজাতীয় আবেগ ও অমুসলিম চেতনামাত্র। পক্ষান্তরে কুরআন ও হাদীছের কার্যত প্রতিষ্ঠা দ্বারা স্বাভাবিক ও অনিবার্যরূপে মুসলমানদের জাতীয় জীবন গৌরবমন্ডিত হবেই। ইসলামকে সকল প্রকার বাধা-প্রতিবন্ধকতা ও পরাধীনতার কবল হতে মুক্ত করে তার শাশ্বত, সনাতন ও চিরন্তন আদর্শ ও বিধানকে যমীনের বুকে প্রতিষ্ঠিত করাই আহলেহাদীছদের রাজনীতি। এ আদর্শের জন্যই আহলেহাদীছদেরকে বেঁচে থাকতে হয়, জীবন ধারণ করতে হয়, জীবন উৎসর্গ করতে হয়, মরতে হয়। এ আদর্শের সংরক্ষণে সর্বপ্রকার অনৈসলামী প্রভাব হতে মুসলিম উম্মাহকে মুক্ত রাখতে আহলেহাদীছদেরকে জীবনপণ করতে হবে। আহলেহাদীছ আন্দোলনের আরেকটি প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ব্যবহারিক বৈষম্যের ভিত্তিতে মুসলিম উম্মাহকে নানারূপ দলে বিভক্ত হতে না দিয়ে কিতাব ও সুন্নাতের মর্মমূলে সমগ্র মুসলিম জাতিকে একত্রিত করা। কিন্তু মুসলমানদের মধ্যে অতিভক্তি ও অতিবিদ্বেষের মহামারী জাতীয় জীবনে প্রবেশ করে। এর নিদারুণ ফল স্বরূপ তারা বিভিন্ন দল-উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়ে। অথচ আল্লাহর নির্দেশ ‘তোমরা সকলে মিলে আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে ধারণ কর। দলে দলে বিভক্ত হয়ো না’ (আলে ইমরান ১০৩)। নবী করীম (ছাঃ)-এর ইন্তিকালের অব্যবহিত কাল পরেই মুসলমানরা আপোষে দলাদলি ও ফির্কাবন্দীতে লিপ্ত হয়ে পড়ে।
মুসলমানদের মধ্যে দলবিভক্তি ও ফির্কাবন্দী সৃষ্টি হওয়ার পূর্বে আহলেহাদীছ ও মুসলিম উভয় শব্দের অর্থ ও তাৎপর্য এক ও অভিন্ন ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে রাজনৈতিক কারণে খারেজী ও শী‘আদের উদ্ভব ঘটলে এবং যুক্তিবাদের নামে মু‘তাযিলা ও মুরজিয়া ফেৎনা সৃষ্টি হলে মুসলিম উম্মাহ দু’টি প্রধান দলে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এই বিভক্তির ভিত্তিমূল ছিল কুরআন ও হাদীছ। এক দল ছাহাবায়ে কেরামের প্রতি বিদ্বেষের ফলে রাসূলের হাদীছ পরিত্যাগ করে, এমনকি কুরআনের বিশুদ্ধতাও অস্বীকার করে। এই বিদ‘আতী ফির্কার বিপরীতে আরেকটি দল ছিল যারা পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের নিঃশর্ত ও নিরংঙ্কুশ অনুসারী ছিলেন। এরাই যুগে যুগে ‘আহলেহাদীছ’ বলে কথিত ও আখ্যায়িত হয়েছেন। হক্বপন্থী এ দল সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, وَمِمَّنْ خَلَقْنَا أُمَّةٌ يَهْدُونَ بِالْحَقِّ وَبِهِ يَعْدِلُوْنَ ‘আমার সৃষ্টির (মানুষের) মধ্যে একটি দল আছে, যারা হক্ব পধে চলে ও সেই অনুযায়ী ন্যায়বিচার করে’ (আ‘রাফ ১৮১)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)ও বলেছেন, لاَ تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِيْ ظَاهِرِيْنَ عَلَى الْحَقِّ لاَ يَضُرُّهُمْ مَنْ خَذَلَهُمْ حَتَّى يَأْتِيَ أَمْرُ اللهِ وَهُمْ كَذَلِكَ- ‘চিরদিন আমার উম্মতের মধ্যে একটি দল হক্বের উপরে বিজয়ী থাকবে। পরিত্যাগকারীরা তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না এমতাবস্থায় ক্বিয়ামত এসে যাবে, অথচ তারা ঐভাবে থাকবে’ (মুসলিম হা/১৯২০, ‘ইমারত’ অধ্যায়; বুখারী, ফাৎহুল বারী, হা/৭১)।
হিজরী ৩৭ সালের পরে মুসলিম জাহানের ৪র্থ খলীফা আলী (রাঃ) ও মু‘আবিয়া (রাঃ)-এর মধ্যকার রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জের ধরে খারেজী, শী‘আ, মুরজিয়া, কাদরিয়া, জাবরিয়া, মু‘তাযিলা প্রভৃতি ধর্মীয় দলের উদ্ভবের সময় মুসলিম সমাজে ‘আহলুস সুন্নাহ’ ও ‘আহলুল বিদ‘আত’ নামক স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যমন্ডিত পৃথক দু’টি দলের অস্তিত্ব ছিল। যেমন প্রখ্যাত তাবেঈ মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন (৩৩-১১০ হিঃ) বলেন,
لم يكونوا يسألون عن الإسناد فلما وقعت الفتنة قالوا سموا لنا رجالكم فينظر إلى أهل السنة فيؤخذ حديثهم وينظر إلى أهل البدعة فلا يؤخذ حديثهم.
‘লোকেরা ইতিপূর্বে কখনও হাদীছের সনদ বা সূত্র সম্পর্কে জিজ্ঞেস করত না। কিন্তু যখন ফেৎনার যুগ আসল, তখন তারা বলতে লাগল, আগে তোমরা বর্ণনাকারীদের পরিচয় বল। অতঃপর যদি দেখা যেত যে, বর্ণনাকারী ‘আহলুস সুন্নাত’ দলভুক্ত তাহলে তাঁদের বর্ণিত হাদীছ গ্রহণ করা হত। কিন্তু ‘আহলে বিদ‘আত’ হলে তার বর্ণিত হাদীছ গ্রহণ করা হত না’ (মুকাদ্দামা মুসলিম, পৃঃ ১৫)।
অতএব প্রতীয়মান হয় যে, হিজরী প্রথম শতকে মুসলিম সমাজে ‘আহলুস সুন্নাহ’ নামক একটি হাদীছপন্থী জামা‘আত ছিল। উল্লেখ্য যে, ৩৭ হিজরীর পূর্বে মুসলিম উম্মাহর আক্বীদা যেমন ছিল অভিন্ন, তেমনি তাদের আমলের মধ্যে কোন বৈপরীত্য ছিল না। বরং তারা নিজের বা অপরের সকল প্রকার ‘রায়’ ও ‘কিয়াস’ হতে মুখ ফিরিয়ে কেবল কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী আমল করতেন। এজন্য তাঁরা ‘আহলুস সুন্নাহ ও ‘আহলুল হাদীছ’ উভয় নামে অভিহিত ও পরিচিত হতেন।
ক্রমবিকাশ ও গতিধারার প্রেক্ষিতে আহলেহাদীছ আন্দোলনকে ছয়টি যুগে বিভক্ত করা যায়। ১. স্বর্ণযুগ (৩৭ হিঃ পর্যন্ত) ২. বিদ‘আতীদের উত্থান যুগ (৩৭-১০০ হি.), ৩. সংকট ও সংস্কার যুগ (১০০-১৯৮ হি.), ৪. সুন্নাত দলনের যুগ (১৯৮-২৩২), ৫. সংকট পরবর্তী যুগ (২৩২-৪র্থ শতাব্দী হিজরী), ৬. তাকলীদী যুগ (৪র্থ শতাব্দী হিজরী থেকে পরবর্তী যুগ) (আহলেহাদীছ আন্দোলন : উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ, পৃঃ ৮৩-৮৪)। ইতিপূর্বে স্বর্ণযুগে আহলেহাদীছদের বিদ্যমানতার আলোচনা আমরা করেছি। এখানে বিদ‘আতীদের উত্থান যুগে আহলেহাদীছদের অস্তিত্ব সম্পর্কে তুলে ধরার প্রয়াস পাব ইনশাআল্লাহ।
রাজনৈতিক ও উছূলী কারণে দ্বীন ইসলামে দলতন্ত্র ও ফের্কাবন্দী সৃষ্টি হয়। আর রাজনৈতিক ফের্কাবন্দীকে জিইয়ে রাখার জন্যই উছূলী বিতর্কের সূত্রপাত ঘটে। পরবর্তীতে এর সাথে যুক্ত হয় শরী‘আতের ব্যাখ্যাগত মতপার্থক্য এবং গ্রীক ও ভারতীয় দর্শনের কূটতর্ক। তৃতীয় খলীফা ওছমান (রাঃ)-এর খেলাফতের (২৩-৩৫হিঃ) শেষ দিকে ইয়ামনের জনৈক নিগ্রো মাতার গর্ভজাত ইহুদী সন্তান আব্দুল্লাহ ইবনু সাবা বাহ্যিকভাবে মুসলমান হয়। পরে তারই কূটচক্রজালে মুসলমানদের মধ্যে সর্বপ্রথম ‘সাবাঈ’ ও ‘ওছমানী’ নামে দু’টি দলের উদ্ভব হয়। পরবর্তীতে বিদ্রোহী সাবাঈদের হাতেই মহান খলীফা ওছমান (রাঃ) নির্মমভাবে শাহাদাত বরণ করেন।
রাজনৈতিক কারণগুলোর মধ্যে প্রধান ছিল আলী ও মু‘আবিয়া (রাঃ)-এর দ্বন্দ্ব। তৃতীয় খলীফা ওছমান-এর মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের দ্রুত বিচারের দাবীতে অটল সিরিয়ার তৎকালীন গভর্ণর মু‘আবিয়া ইবনু আবু সুফিয়ানের সাথে চতুর্থ খলীফা আলী (রাঃ)-এর আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসার উদ্দেশ্যে ৩৭ হিজরীতে উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে দু’জন খ্যাতনামা ছাহাবী আমর ইবনুল আছ ও আবু মূসা আশা‘আরীকে শালিশ নিযুক্ত করেন। কিন্তু আলী (রাঃ)-এর পক্ষের একটি বিরাট দল এই ‘শালিশী বৈঠক’ বা মীমাংসাসভার বিরোধিতা করে। তাদের মতে ‘কিতাবুল্লাহ’ তথা আল-কুরআন বিদ্যমান থাকতে কোন মানুষকে শালিশ (মীমাংসাকারী) নিয়োগ করা অন্যায় ও কবীরা গুনাহ। আলী ও মু‘আবিয়া (রাঃ) উভয়ে এই গুনাহের কাজ করেছেন। কাজেই তাঁরা দু’জনেই হত্যাযোগ্য অপরাধী। ‘লা হাকামা ইল্লাল্লাহ’ (আল্লাহ ব্যতীত কোন শালিশ নেই) এ শ্লোগান দিয়ে তারা আলীর বিরোধিতায় লিপ্ত হয়। এই দলই ইতিহাসে ‘খারেজী’ (দলত্যাগী) নামে অভিহিত। এই চরমপন্থী খারেজীদের হাতে চতুর্থ খলীফা আলী (রাঃ) শহীদ হন। অন্যদিকে আলী সমর্থক গোঁড়া আরেকটি দল সৃষ্টি হয়। এ দু’দল ছাড়া নিরপেক্ষ আরেকটি দল ছিল যারা আলী ও মু‘আবিয়া (রাঃ) ও তাঁদের অনুসারীদেরকে মুমিন গণ্য করে উভয় দলের বিচারভার আল্লাহর উপরে ছেড়ে দেন। ছাহাবায়ে কেরামের মাঝের এই রাজনৈতিক বিভক্তির ফলে উছূলী বিতর্কের সূত্রপাত হয় এবং তা পরবর্তীতে খারেজী, শী‘আ ও মুরজিয়া নামে পৃথক পৃথক বিদ‘আতী ধর্মীয় মতবাদের রূপ পরিগ্রহ করে। হিজরী প্রথম শতাব্দীর শেষার্ধে উমাইয়া খলীফা আব্দুল মালিক ইবনু মারওয়ানের আমলে (৬৫-৮৬হিঃ) ইরাকের বছরা নগরে ‘সূসেন’ নামক জনৈক খৃষ্টান বাহ্যত মুসলিম হয়ে পরে মুরতাদ হয়ে যায়। তার প্ররোচনায় মা‘বাদ জুহানী (মৃ. ৮০ হি.) সর্বপ্রথম মুসলিম সমাজে তাকদীরকে অস্বীকারকারী ‘কাদরিয়া’ মতবাদের জন্ম দেয়। পরবর্তীতে এ মতবাদের বিপরীতে সৃষ্টি হয় সম্পূর্ণ অদৃষ্টবাদী বিভ্রান্তিকর জাবারিয়া মতবাদ।
সে সময়ে ছাহাবায়ে কেরাম ও তাবেঈনে ইযাম ঐসব ভ্রান্ত মতবাদ ও বিদ‘আতী আক্বীদার বিরুদ্ধে দ্বীন ইসলামের আসল রূপ ও ছহীহ-শুদ্ধ আক্বীদার জোর প্রচার-প্রসার শুরু করেন। তারা ব্যাপক দাওয়াতী কার্যক্রমের মাধ্যমে ঐসব ভ্রান্ত আক্বীদার বিরুদ্ধে দুর্জয় প্রতিরোধ দুর্গ গড়ে তোলেন। প্রশাসনিকভাবেও তাদের প্রতিরোধের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। ইসলামী খিলাফতের কর্ণধার চতুর্থ খলীফা আলী (রাঃ) চরমপন্থী খারেজী ও অতিভক্ত শী‘আদেরকে কঠোরভাবে দমন করেন। এমনকি শী‘আদের কিছু উপদলকে তিনি বেত্রাঘাত করে শাস্তি দেন এবং কিছু লোককে জীবন্ত পুড়িয়ে মারেন। এ যুগে বিদ‘আতী দলগুলির বিপরীতে আহলেহাদীছগণের নামীয় ও দলীয় স্বাতন্ত্র্য পরিস্ফুট ও প্রতিভাত হয়ে ওঠে।
সুতরাং এ বিদ‘আতী যুগে চরমপন্থীরা দ্বীন ইসলামের যে ক্ষতি সাধনে প্রবৃত্ত হয়েছিল তার কবল থেকে আহলেহাদীছগণই ইসলামের উপর সুদৃঢ় থেকে তাকে হেফাযত করেছিলেন। যুগে যুগে তাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল, আজও আছে, ক্বিয়ামত পর্যন্ত থাকবে ইনশাআল্লাহ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বর্তমান মুসলিম জাতি যে ভয়াবহ সংকটের সম্মুখীন হয়েছে, তাদের নৈতিক, চারিত্রিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক আকাশ যেভাবে তিমিরাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে তাতে এটা নিশ্চিত করে বলা যায় যে, সকল দুর্গতি ও সর্বনাশের হাত থেকে পরিত্রাণের জন্য আহলেহাদীছ আন্দোলনকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। কিতাব ও সুন্নাতের আলোকিত জীবন ব্যবস্থার দিকে মুসলমানদেরকে দৃঢ়পদবিক্ষেপে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। সারা দেশে মুসলিম সংহতি ও ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে দল-মত-মাযহাব নির্বিশেষে সকল মুসলমানকে কেবল বস্ত্ততান্ত্রিক স্বার্থের পরিবর্তে আহলেহাদীছ আন্দোলন পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের মর্মমূলে জমায়েত হওয়ার উদাত্ত আহবান জানায়। অহিভিত্তিক জীবন ব্যবস্থা ও নবী করীম (ছাঃ)-এর একচ্ছত্র ইমামত প্রতিষ্ঠিত হলে দলবিভক্তি ও ফির্কাবন্দীর অবসান ঘটে মুসলিম উম্মাহ একটি ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্মে সমবেত হতে পারবে। আল্লাহ আমাদেরকে অহিভিত্তিক জীবন ও সমাজ গঠনের মাধ্যমে বৃহত্তর মুসলিম ঐক্য গড়ে তোলার তাওফীক্ব দিন- আমীন!