কারো প্রফুল্ল আচরণ, আনন্দচিত্ততার অর্থ এই নয় যে, সে দুঃখ-বেদনাশুন্য।
কোন ব্যক্তি একবার ভুলে নিপতিত হলেই এটা প্রমাণিত হয় না যে, সে অকার্যকর লোক।
জীবনের অন্যতম বেদনাদায়ক পর্যায় হল নিজ সম্পর্কে অন্যদের ভুল বোঝা।
আরো
একটি বেদনাদায়ক পর্যায় হল এমন এক বন্ধুকে হারানো যে তাকে একনিষ্ঠভাবে
ভালোবাসত আর বিনিময়ে এমন বন্ধু পাওয়া যে তার ব্যাপারে যত্নশীল নয়।
জীবনের
সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্ত হল যখন কেউ শয়তানকে পরাজিত করে স্বীয় প্রভুর দিকে
প্রত্যাবর্তন করে- এমন একটি সময়ে যখন সে দীর্ঘদিন যাবৎ তার প্রভুর সাথে
সম্পর্কহীন ছিল। অতঃপর আল্লাহ তার হেদায়াতের পথ খুলে দিয়েছেন এবং তার তওবা
কবুল করে নিয়েছেন।
জীবন কতই না কঠিন হয়ে যায় যখন তা মুখের হাসি
কেড়ে নেয়, প্রফুল্লতার উচ্ছল সৌন্দর্য অপহরণ করে নেয়, প্রাণবন্ত আত্মাকে
স্থবির করে দেয়; ফলে সে জীবন থেকে নিস্পৃহ হয়ে পড়ে এবং দৃষ্টির সীমানায়
বিস্তৃত দুনিয়া পরিণত হয় অন্য এক দুনিয়ায়।
এটা গুরুত্বপূর্ণ নয় যে নিজের অব্যর্থ মন্তব্য দিয়ে অন্যকে চমৎকৃত করা; বরং গুরুত্বপূর্ণ যে, নিজে যা বিশ্বাস করা তা-ই মানুষকে বলা।
কোন ক্ষেত্রে অবনমন ঘটা ব্যর্থতার পরিচায়ক নয়; বরং অবনমনস্থলে নিজেকে আটকে রাখাই ব্যর্থতা।
যা
অতীত হয়ে গেছে তার জন্য নিজেকে তিরস্কার করার অর্থ নিজেকে ক্ষতি করা।
কেননা তিরস্কার নিজেই একটি বড় বিপদ। বরং ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ এবং নিজের
জন্য পুনরায় নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করাই জরুরী।
মানুষের ব্যক্তিগত
বিষয় অনুসন্ধান করতে যাওয়া অত্যন্ত হীনকর কাজ। কেননা এরূপ অর্থহীন বিষয়ে যে
আত্মনিয়োগ করে সে তাতে অপছন্দনীয় বিষয় ছাড়া কিছুই পায় না।
মুচকি হাসি বিদ্যুত ঝলকের চেয়ে কম আয়াসসাধ্য, কিন্তু মর্যাদায় বহুগুণ বেশী।
হতাশার সময় যে হাসতে পারে সে হতাশা জয় করার পথ দ্রুতই পেয়ে যায়।
যেখানে কোন দুঃখ-বেদনা ও কষ্টভোগ নেই, সেখানে কোন মহৎ অর্জনও নেই, যেখানে এসবের উপস্থিতি রয়েছে সেখানে বৃহৎ অর্জনের হাতছানি রয়েছে।
সৌভাগ্যবান
সেই ব্যক্তি যে আস্থাবান বন্ধু খুঁজে পেয়েছে আর তার চেয়েও সৌভাগ্যবান সে
ব্যক্তি যে এমন বন্ধুর খোঁজ পেয়েছে যে তার উপরই আস্থা পোষণ করে।
স্বীয় আত্মাকে নিয়ন্ত্রণ কর, সে তোমাকে নিয়ন্ত্রণ করার পূর্বেই।