সাধারণ জ্ঞান (ইসলাম)
তাওহীদের ডাক ডেস্ক
তাওহীদের ডাক ডেস্ক 1308 বার পঠিত
১. প্রশ্ন : নবীগণের মধ্যে কে একমাত্র নবী যার পুরো কাহিনী একটি সূরায় বর্ণিত হয়েছে?
উত্তর : হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর কাহিনী সূরা ইউসুফে।
২. প্রশ্ন : হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর তথ্যাদি নিয়ে হযরত মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর উপর কারা সবচেয়ে বেশী কষ্ট দিয়েছিল?
উত্তর: ইহুদীরা।
৩. প্রশ্ন : ইয়াকূব তার সন্তানদের বলল, আমার মৃত্যর পর তোমারা কার ইবাদত করবে?
উত্তর: উত্তরে তারা বলেছিল, আমার আপনার উপাস্য এবং আপনার পিতৃ পুরুষ ইব্রাহীম, ইসমাঈল ও ইসহাকের উপাস্যের ইবাদত করব।
৪. প্রশ্ন : পবিত্র কুরআনে কোন নবীর কাহিনীকে ‘সুন্দরতম কাহিনী’ বলা হয়? উত্তর : ইউসুফ (আঃ)-এর কাহিনীকে ।
৫. প্রশ্ন : ইউসুফ (আঃ)-কে কারা কুয়াতে ফেলে দিয়েছিল ?
উত্তর : তাঁর ভাইয়েরা ।
৬. প্রশ্ন : তারা ইউসুফ (আঃ)-কে কি করতে চেয়েছিল ?
উত্তর: মেরে ফেলতে চেয়েছিল।
৭. প্রশ্ন : তিনি কিভাবে বেঁচে যান?
উত্তর : তিনদিন ধরে পথহারা এক ব্যবসায়ী কাফেলা বালতিতে করে কুয়া থেকে তুলে তাকে বাঁচিয়েছিল।
৮. প্রশ্ন : ব্যবসায়ীরা তাকে কোথায় কার কাছে বিত্রিু করেছিল?
উত্তর : ব্যবসায়ীরা তাকে মিসরের রাজধানীতে মিসরের অর্থ ও রাজস্ব মন্ত্রী ক্বিৎফীর কাছে বিত্রিু করে দিয়েছিল।
৯. প্রশ্ন: ইউসুফ (আঃ) কোন এলাকার বাসিন্দা ছিলেন?
উত্তর : কেন‘আন বা ফিলিস্তীনের।
১০. প্রশ্ন: ইয়াকুব (আঃ) কত বছর বেছেছিলেন?
উত্তর : ১৪৭ বছর।
১১: ইয়াকুব (আঃ)-কে যেখানে সমাস্থিত করা হয় সে জায়গাটা এখন কি নামে খ্যাত?
উত্তর : ‘খলীল মহল্লা’ নামে খ্যাত ।
১২. প্রশ্ন : রাসূল (ছাঃ) কখন ইউসুফ (আঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করেন ? উত্তর : মি‘রাজের রজনীতে।
১৩. প্রশ্ন : ইউসুফ (আঃ)-এর কয়টি সন্তান ছিল এবং তাদের নাম কি? উত্তর : ২টি।১.ইফরাঈম ২.মানশা।
১৪. প্রশ্ন : আল্লাহ তা‘য়ালা কাকে বিশ্বের অর্ধেক সৌন্দর্য দান করেছেন ? উত্তর : ইউসুফ (আঃ)-কে।
১৫. প্রশ্ন : ইউসুফ (আঃ)-মিসরের সর্বময় ক্ষমতায় বসে সম্রাটকে কি বললেন?
উত্তর : ইউসুফ (আঃ)-কে মিসরের সর্বময় ক্ষমতায় বসিয়ে বললেন আমি আপনার চাইতে বড় নই, সিংহাসন ব্যতীত।
১৬. প্রশ্ন : যখন ইউসুফ (আঃ) বললেন, আমি আপনার চাইতে বড় নই, সিংহাসন ব্যতীত তখন তাঁর বয়স কত ছিল?
উত্তর: তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ৩০ বছর।
১৭.প্রশ্ন: ইউসুফ (আঃ)-এর সময় কাল ছিল ঈসা (আঃ)-আগমনের কত বছর পূর্বে? উত্তর: ১৮ শ’বছর।
১৮. প্রশ্ন : সুলায়মান মানছূরপুরী আনুমানিক কত বছরের কথা বলেন? উত্তর: ১৬৮৬ বছর পূর্বেকার।
১৯. প্রশ্ন: ইউসুফ (আঃ)-এর সময় থেকেই কোন জাতি মিসরে বসবাস শুরু করে?
উত্তর: ইস্রাঈলগণ।
২০. প্রশ্ন : পক্ষান্তরে ‘তারীখুল আম্বিয়ার’ লেখক কী বলেন?
উত্তর: পক্ষান্তরে ‘তারীখুল আম্বিয়ার’ লেখক বলেন, ইউসুফ (আঃ)-এর কাহিনীতে মিসরে যুগ যুগ ধরে রাজত্বকারী ফেরাঊন রাজাদের কোন উল্লেখ না থাকায় অনেকে প্রমাণ করেন যে, ঐ সময় হাকসূস রাজারা ফেরাঊনদের হটিয়ে মিসর দখল করেন এবং দু’শো বছর যাবত তারা সেখানে রাজত্ব করেন । যা ছিল ঈসা (আঃ) এর আবির্ভাবের প্রায় দু’হাযার বছর পূর্বের ঘটনা।
২১. প্রশ্ন : হাফেয ইবনু কাছীর বেনিয়ামীন সর্ম্পকে কী বর্ণনা করেন ?
উত্তর: হাফেয ইবনু কাছীর বর্ণনা করেন যে, ইউসুফ (আঃ) এর জন্মের কিছুকাল পরেই বেনিয়ামীন জন্মগ্রহন করেন।
২২. প্রশ্ন : আল্লাহ তা’আলা কাকে এত বেশী রুপ-লাবণ্য দান করেছিলন যে, যেই-ই তাকে দেখত, সেই-ই তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ত ? উত্তর: ইউসুফ (আঃ)-কে ।
২৩. প্রশ্ন : ইউসুফ (আঃ) বালক বয়সে স্বপ্নে কি দেখেছিল ?
উত্তর: ইউসুফ (আঃ) বালক বয়সে স্বপ্নে নক্ষত্র ও সূর্য দেখেছিল ।
২৪. প্রশ্ন : ইউসুফ (আঃ) স্বপ্নে কতটি নক্ষত্র দেখেছিল ?
উত্তর: ১১টি।
২৫. প্রশ্ন : ইউসুফ (আঃ)-এর স্বপ্নে নক্ষত্র ও সূর্য, তাকে কি করেছিল ? উত্তর: তাকে সিজদা করেছিল।
২৬. প্রশ্ন : স্বপ্নটি দেখার পর ইউসুফ (আঃ)-কে তার পিতা কি বলেছিল ?
উত্তর: স্বপ্নটি দেখার পর ইউসুফ (আঃ)-কে তাঁর পিতা বলেছিল, বৎস! তোমার ভাইদের সামনে এ স্বপ্ন বর্ণনা করো না । তাহ’লে ওরা তোমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করবে। নিশ্চই শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু।
২৭. প্রশ্ন : ইবনু আববাস (রাঃ) ও ক্বাতাদাহ কী বলেন?
উত্তর: ইবনু আববাস (রাঃ) ও ক্বাতাদাহ বলেন, এগারোটি নক্ষত্রের অর্থ হচ্ছে ইউসুফ (আঃ)-এর এগারো ভাই এবং সূর্য ও চন্দের অর্থ পিতা ও মাতা বা খালা।
২৮. প্রশ্ন : এ স্বপের ব্যাখ্যা কখন প্রকাশ পায়?
উত্তর: এ স্বপের ব্যাখ্যা প্রকাশ পায় যখন মিসরে পিতা-পুত্রের মিলন হয়।
২৯. প্রশ্ন: ইউসুফ (আঃ) কত বছর বয়সে মারা গিয়েছিল?
উত্তর: ১১০ বছর বয়সে।
৩০. প্রশ্ন : তিনি কোথায় সমাধিস্থ হন?
উত্তর: তিনি হেবরনে সমাধিস্থ হওয়ার জন্য সন্তানদেরকে অছিয়ত করে যান।