পাঠকের মতামত
ইলিয়াছ আহমদ
সর্বপ্রথম কৃতজ্ঞতা জানাই
মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট যিনি আমাদেরকে পবিত্র কোরআন ও ছহীহ হাদিছের আলোকে
জীবনকে পরিচালনার জন্য একটি সঠিক আক্বীদাপুষ্ট দলের আবির্ভাব ঘটিয়েছেন।
পরকথা, আমি যখন মাসিক আত-তাহরীক পত্রিকায় সর্বপ্রথম ‘‘তাওহীদের ডাক’’
পত্রিকার বিজ্ঞাপন দেখলাম, তখনই আমার মনে সাড়া জাগল এই পত্রিকা আমি কোথায়
পাই, কিভাবে পাই? কিছুদিন পর জিজ্ঞাসা করলাম কুমিল্লা জেলার ‘আহলেহাদীছ
আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর সভাপতি মাওলানা ছফীউল্লাহর কাছে- ‘তাওহীদের ডাক’
পত্রিকাটি কিভাবে পাব? তিনি বললেন, ‘আমাদের কুমিল্লা যেলা যুবসংঘের সভাপতি
মাওলানা মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের কাছে যাও’। আমি তার নিকট গেলাম, বললাম-
‘তাওহীদের ডাক পত্রিকাটি আমি কিভাবে পাব?’ তখন তিনি বললেন- ‘পত্রিকাটির
কতজন গ্রাহক হবে?’ তখন আমি বললাম- চার/পাঁচজন হবে ইনশাআল্লাহ। তিনি বললেন,
তাবলীগী ইজতেমা ২০১০-এর সময়ে রাজশাহীতে গিয়ে তাওহীদের ডাক পত্রিকাটির
এজেন্ট হয়ে আসব এবং পত্রিকাটি নিয়ে আসব। কিছুদিন পর চলে এল তাবলীগী ইজতেমা
২০১০। সভাপতি ভাই তাবলীগী ইজতেমায় গিয়ে ‘তাওহীদের ডাক’ পত্রিকাটি আনলেন।
পত্রিকাটি আনার পর আমার আর আনন্দের সীমা নেই। পত্রিকাটি হাতে নিয়ে
সর্বপ্রথম তাকালাম প্রথম সংখ্যাটির দিকে তারপর দ্বিতীয় সংখ্যাটির দিকে,
তাকিয়ে দেখি কি অপূর্ব প্রচ্ছদ। তারপর দেখলাম আমীরে জামাআতের সাক্ষাৎকার।
অতঃপর একটা একটা করে শিরোনাম দেখলাম। এগুলো দেখে কতই না ভাল লাগল। এরপর
দেখলাম সূচীপত্র, সূচীপত্রের দিকে তাকিয়ে দেখলাম কোরআন ও হাদীছের
পথনির্দেশিকা। তারপর দেখলাম আক্বীদা, তাবলীগ ইত্যাদি। একটা একটা করে সব পড়ে
বুঝলাম ‘তাওহীদের ডাক’ পত্রিকাটি যেন জান্নাতের দিকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে এ
জাতিকে। পরিশেষে বলি, যারা এ জাতিকে শিরক ও বিদআতমুক্ত একটি সঠিক জাতিতে
পরিণত করতে চাচ্ছে তাদেরকে আল্লাহ তাআলা তাদের উদ্দেশ্য পূরণে সর্বাত্মক
ভাবে সহায়তা করুন। আমীন!!
ইলিয়াছ আহমদ
জগৎপুর এ.ডি.এইচ (ডিগ্রি) মাদরাসা,
বুড়িচং, কুমিল্লা।