ইয়াহইয়া জোয়ান সুকুইল্ল্যো

শাকিরুল ইসলাম 9471 বার পঠিত

[শেখ ইয়াহইয়া জোয়ান সুকুইল্ল্যো ইকুয়েডরের রাজধানী কুইটো শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ইকুয়েডরে তিনিই সর্বপ্রথম ব্যক্তি যিনি জনসম্মুখে ইসলামগ্রহণ করেছেন। দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিমপ্রান্তে প্রশান্ত মহাসাগর ঘেঁষে ইকুয়েডরের অবস্থান। ১ম ও ২য় বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোলে লেবানন, ফিলিস্তীন, সিরিয়া ও মিসর থেকে অভিবাসী হয়ে হাতেগণা কিছু মুসলিম সর্বপ্রথম এ দেশে আগমন করে। কিন্তু তারা খুব সচেতনভাবে ধর্ম পালন করত না। তাই বিংশ শতাব্দীর আশির দশকের আগ পর্যন্ত স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্যে ইসলাম গ্রহণের ঘটনা ছিল খুবই বিরল। তবে আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে ভাগ্যের অন্বেষণে বিদেশে পাড়ি জমানো কিছু ন্যাটিভ ইকুয়েডরিয়ান ইসলাম গ্রহণ করেন। এঁরা দেশে ফিরে ইসলাম প্রচারে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে থাকেন। ফলে নববইয়ের দশক থেকে স্থানীয় অধিবাসীদের ইসলাম গ্রহণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। বর্তমানে ইকুয়েডরে মুসলিম জনসংখ্যা অভিবাসী-স্থানীয় মিলে পাঁচ-ছয় হাজারের মত। প্রতি শুক্রবারেই এখানে কমপক্ষে একজনের ইসলাম গ্রহণের দৃশ্য দেখা যায়। ১৯৮৮ সালে একটি মুসলিম সংগঠনের প্রচেষ্টায় কুইটো শহরে এ দেশের প্রথম মসজিদটি নির্মিত হয়। THE CENTRO ISLAMICO DEL ECUADOR MASJID. "ASSALAAM" এখানকার প্রথম মুসলিম সংগঠন, যেটি ইকুয়েডরিয়ান সরকারের স্বীকৃতি লাভ করেছে ১৯৯৪ সালে। সংস্থাটির যাবতীয় কার্যক্রম পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়, যা তার মূলনীতির শুরুতেই স্পষ্ট করে বলা আছে। এই সংস্থারই পরিচালক হিসাবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন শেখ ইয়াহইয়া জোয়ান সুকুইল্ল্যো। যিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন করেছেন। ইকুয়েডরের গুয়াকুইল বিশ্ববিদ্যালয়ের জনৈক নওমুসলিম ছাত্রী আছিয়া ফাতিমা ২০০৮ সালের মে মাসে তাঁর একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন, যা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সাক্ষাৎকারটি বাংলাভাষী পাঠকদের উদ্দেশ্যে ভাষান্তর করেছেন শাকিরুল ইসলাম।- নির্বাহী সম্পাদক]

প্রশ্ন : আপনার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে আমাদের কিছু বলবেন কি?

শেখ ইয়াহইয়া : আমি ইকুয়েডরের রাজধানী কুইটোতে জন্মগ্রহণ করেছি এবং সেখানেই বড় হয়েছি। আমরা দুই ভাই ও এক বোন। আমি সবার বড়। আমার বাবা-মা আমাদের তিনজনকেই সমান ভালবাসা ও আদর-স্নেহ দিয়ে মানুষ করেছেন। আমি ভাগ্যবান যে, এমন মনলোভা প্রীতিপূর্ণ ঘরোয়া পরিবেশে মানুষ হয়েছি। শৈশবে ছোট ভাইয়ের সাথে খেলনা গাড়ি চালানো আর আমার বাবার সাথে শিকারে বের হওয়া আমি খুব উপভোগ করতাম। বন্ধু নির্বাচনে আমি শুরু থেকেই বেশ শুকচেরা টাইপের ছিলাম। খুব ভদ্র আচরণের বন্ধুই ছিল আমার পছন্দনীয়।    

প্রশ্ন : আপনার শিক্ষাজীবন সম্পর্কে কিছু বলুন।

শেখ ইয়াহইয়া : আমি বারো বছর বয়সে একটি মিলিটারী একাডেমীতে শিক্ষা লাভ করি। যতদূর মনে পড়ে, আমি সেখানে কৃতি শিক্ষার্থী হিসাবে পুরস্কার লাভ করেছিলাম। মিলিটারী সাইন্স ও ম্যানেজমেন্ট- এই দু’টি বিষয়ে আমি ব্যাচেলর ডিগ্রী লাভ করি এবং পরবর্তীতে মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যায়ে শরী‘আ অনুষদ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করি। বর্তমানে আমি ইকুয়েডরের এক ইসলামিক সেন্টারের ইমাম হিসাবে কর্মরত। আমি ইংরেজী, স্প্যানিশ ও আরবী ভাষায় কথা বলতে পারি।

প্রশ্ন : সর্বপ্রথম কিভাবে আপনি ইসলামের সংস্পর্শে আসেন?

শেখ ইয়াহইয়া : আমি সর্বপ্রথম ইসলামের সংস্পর্শে আসি যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার এক প্রাক্তন আরব ক্লাসমেটের মাধ্যমে। ইসলামকে তখন আমার খুবই আকর্ষণীয় মনে হয়। কেননা তা আমার কাছে ছিল প্রাকৃতিক, সহজ-সরল অনাড়ম্বর, আন্তরিক ও সম্মানপূর্ণ একটি জীবনব্যবস্থা। ইসলাম আমার উপকারে এসেছিল। কেননা এর মাধ্যমেই আমি একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানতে পারলাম যে, কোনটি সত্য আর কোনটি মিথ্যা। ইসলাম প্রত্যেকের জন্যই এমন উপকার বয়ে আনতে পারে। কেননা এটি মানুষের নৈতিক ও আদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গিকে সুগঠিত, পরিমার্জিত ও কাঠামোবদ্ধ করে দেয়। আমার পিতা-মাতা তাদের আজন্ম লালিত ভালবাসা দিয়ে আমার ইসলাম গ্রহণের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। সম্ভবতঃ ইসলাম গ্রহণের পর আমার জন্য সবচেয়ে কঠিন কাজ ছিল একজন উপযুক্ত স্ত্রী পাওয়া। আলহামদুলিল্লাহ আমি এখন সুখী দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করছি। আমার ছয় সন্তান, যাদের দু’জন বিদেশে পড়াশোনা করছে। একজন মিশরের আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে, আরেকজন মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে।   

প্রশ্ন : ল্যাটিন ও মুসলিম সংস্কৃতির মাঝে আপনি কোন সাদৃশ্য খুঁজে পান কি?

শেখ ইয়াহইয়া : হ্যা! অনেক। কেননা ল্যাটিন আমেরিকান জাতিসমূহ আদিতে স্পেনের অধিবাসী ছিল। ইসলামী সভ্য-সংস্কৃতির অনেক কিছুর সাথেই তাদের মিল পাওয়া যায়। আমাদের উভয়েরই রয়েছে পরিবার প্রথা। উভয়েরই রয়েছে বড়দের প্রতি শ্রদ্ধার ঐতিহ্য। আমাদের ভাষার মূল উৎসও অভিন্ন। বহু স্প্যানিশ অক্ষর রয়েছে যা আরবী থেকে উদ্ভূত। যেমন- কামিসা (জামা), গাতো (বিড়াল) ইত্যাদি শব্দসমূহ। ল্যাটিন ও মুসলিম সংস্কৃতির লোকদেরকে দেখতেও অনেকটা একরকম মনে হয়।   

প্রশ্ন : আপনার অভিজ্ঞতায় ল্যাটিন মুসলিম সম্প্রদায়কে কি কি সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে মনে করেন?

শেখ ইয়াহইয়া : মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের সমস্যাগুলো সারাবিশ্বের মুসলমানদের বৈশ্বিক ইমেজে প্রভাব ফেলে। বহু অমুসলিম ইসলাম সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা এবং ইসলাম ও মুসলমানদের সম্পর্কে মিডিয়ার একদেশদর্শী প্রচারণার ফলে ইসলাম সম্পর্কে জানার আগ্রহ দেখায় না। এ সকল ভ্রান্ত ধারণা আমাদের কাজকে অনেক কঠিন করে দিয়েছে।

প্রশ্ন : আপনি সমালোচকদের এ কথাকে কিভাবে নেন যারা বলেন, ল্যাটিন অঞ্চলে ইসলামী দাওয়াত মূলতঃ বিজাতীয় অনুপ্রবেশ?

শেখ ইয়াহইয়া : আমাদেরকে আসলে ল্যাটিন অঞ্চলে ইসলামী দাওয়াতের তাৎপর্য বুঝতে হবে। জাতীয়তাবাদ ইসলামে একটি ঘৃণীত বিষয়। ইসলামে আমরা সকলেই ভাই-বোন। তাই ল্যাটিন জনগণকে ইসলামের দিকে দাওয়াত দেয়ায় কোন জাতীয়বাদী ছাপ খোঁজার সুযোগ নেই। উদাহরণস্বরূপ স্প্যানিশ ভাষায় দাওয়াত প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ, কেননা এর অর্থ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-পঞ্চমাংশের কাছে দাওয়াত পৌঁছানো। আমাদেরকে বরং জোর আত্মজিজ্ঞাসায় বসতে হবে যে, কেন আরো বেশী সংখ্যক ল্যাটিন জনগণ ইসলাম গ্রহণে এগিয়ে আসছে না? যাতে আমরা তাদের প্রয়োজন, তাদের ভীতি-সংশয় এবং তাদের চিন্তা-ভাবনার আরো কাছাকাছি হতে পারি।

প্রশ্ন : আপনার কি এমন কোন মজার অভিজ্ঞতা, গল্প বা ব্যক্তিগত অর্জন রয়েছে, যা আমাদের সাথে শেয়ার করতে চাইবেন?

শেখ ইয়াহইয়া : হ্যা! আমি প্রকাশ্যে ইসলাম গ্রহণকারী সর্বপ্রথম ইকুয়েডরিয়ান। আমিই প্রথম ইকুয়েডরিয়ান যে কোন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন করেছে। ইকুয়েডরে প্রথম স্বীকৃত ইসলামী সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতেও রয়েছে আমার সহযোগিতা। আমাদের এই ইসলামী সেন্টারটি বহির্বিশ্ব থেকে কোন সাহায্য গ্রহণ করে না।

১৯৯৯ সালে আমি স্বপরিবারে হজ্জে গমন করি। জেদ্দা বিমানবন্দরে নামার পর কাস্টমস্ অফিসে আমার দেশের নাম ‘ইকুয়েডর’ বললে কাস্টম্স অফিসার তার কম্পিউটারে আমার দেশের নাম খুঁজে পেলেন না। তখন আমি আমার স্ত্রী এবং সন্তানদের দিকে তাকিয়ে আবেগে বলে ফেলেছিলাম, ‘নিশ্চয়ই! আমরাই ইকুয়েডরের ইতিহাসে হজ্জে আগমনকারী প্রথম পরিবার!’

আমি চল্লিশেরও বেশী ইসলামী বই, পামফ্লেট এবং অডিও লেকচার ইংরেজী থেকে স্পানিশ ভাষায় অনুবাদে সহযোগিতা করেছি। আমার অনুবাদ করা কিছু বইয়ের নাম- "Understanding Islam and Muslims", "Muhammad in Bible", "Muslim Christian Dialogue", "The Miracles of Quan", "Human Rights in Islam"।

প্রশ্ন : বর্তমানে দক্ষিণ আমেরিকায় দাওয়াতী কার্যক্রম সম্পর্কে কিছু বলুন।

শেখ ইয়াহইয়া : অধিকাংশ লোকই জানে না যে, দক্ষিণ আমেরিকার প্রতিটি দেশের রাজধানী শহরেই ইসলামী সেন্টার রয়েছে। এখানে রয়েছে ৩৫টির মত সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও ইসলামী সংগঠন। ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের এ সকল সংগঠনসমূহের পরিচালকগণ ISESCO (ইসলামিক এডুকেশনাল সাইন্টিফিক এন্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন)-এর তত্ত্বাবধানে প্রতিবছর বার্ষিক সমাবেশে একত্রিত হন। যেখানে তারা ল্যাটিন আমেরিকার জনগণ ও মিডিয়ায় ইসলাম ও মুসলমানদের ইমেজ বৃদ্ধির উপায়সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

প্রশ্ন : আপনার লক্ষ্যগুলো কি? কোন প্রত্যাশা বা সংশয় আছে কি?

শেখ ইয়াহইয়া : বেশ, অবশ্যই। আমি আল্লাহর সাথে আমার সম্পর্ক দৃঢ় করতে চাই। আমি ভয় করি আল্লাহর শাস্তিকে। আর আমি এক পরিশীলিত জীবনযাত্রার মানে উন্নীত হতে চাই। চাই একটি প্রশান্তিময় ও ভালবাসাপূর্ণ পরিবেশ। আমার একান্ত কামনা- একটি শান্তিময় পৃথিবীকে দেখা। বিশ্বব্যাপী শান্তি বজায় রাখতে আমাদের সকলেরই প্রয়োজন- এক ও অভিন্ন একটি অবস্থান খোঁজা। পবিত্র কুরআন, সুন্নাহ এবং ছাহাবায়ে কেরামের দৃষ্টান্তপূর্ণ জীবনী থেকে ইসলামের যেসব মূলনীতি ফুটে উঠেছে তা একটি শান্তিময়, দয়া-সহানুভূতির পৃথিবী গড়ার জন্য খুবই প্রয়োজন।

প্রশ্ন : ল্যাটিন মুসলমানদের উদ্দেশ্যে আপনার বিশেষ কোন বক্তব্য রয়েছে?

শেখ ইয়াহইয়া : হ্যা! আমাদের জন্য এক বিরাট ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে যদি আমরা সেজন্য কঠোর পরিশ্রম করি। আমাদের জন্য প্রয়োজন নিজেদের এবং বিভিন্ন অঞ্চলের দাওয়াহ কর্মীদের (দাঈ) প্রশিক্ষিত করে তোলা- যেমন তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব এবং ইসলামিক লীডারশিপের মত বিষয়গুলোতে। আমাদের ভাই-বোনদেরকে বিদেশের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে জ্ঞানার্জনের জন্য পাঠানোর সুযোগ খুঁজতে হবে। আমাদের ভাই-বোনদের উৎসাহিত করতে হবে সম্ভব হলে যেন তারা নিজেদের দেশে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হয়। আর আমাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে এবং আমাদের মত অন্য যারা রয়েছে, তাদের সাথে কিভাবে এ্যাপ্রোচ করতে হবে সে বিষয়ে আমাদের পরামর্শ দেওয়া প্রয়োজন মুসলিম বিশ্বসংস্থাগুলোকে। পারস্পরিক যোগাযোগ এক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ ইসলামী সম্মেলন ও কর্মশালাগুলোকে সারা বিশ্ব থেকে এবং বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী থেকে প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ করার জন্য আমরা উৎসাহিত করতে পারি।

প্রশ্ন : সাধারণভাবে মুসলমানদের উদ্দেশ্যে আপনার বক্তব্য কি?

শেখ ইয়াহইয়া : আমাদের নবী মূসা (আঃ) তাঁর জীবনকালের ৪০ বছরেই ইহুদী সম্প্রদায়ের দাসত্বের মনোবৃত্তি উচ্ছেদ করেছিলেন। আমাদের শেষ নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) মাত্র ২৩ বছরের মধ্যেই কাবাগৃহকে মূর্তির হাত থেকে উদ্ধার করেন। উল্লেখিত এই স্বল্পমেয়াদী টাইমলাইনগুলো বর্তমান পৃথিবীতে নতুন ইসলামী রেনেসাঁর জাগরণ ঘটাতে আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে। এ লক্ষ্যে সমসাময়িক ইসলামী চিন্তাধারা অবশ্যই হতে হবে রাসূল (ছাঃ)-এর সময়ের মত গতিশীল এবং পরিস্থিতির সাথে সঙ্গতিশীলভাবে নমনীয় অথচ দৃঢ় ও সুবিন্যস্ত। আর তা হতে হবে অবশ্যই আইন প্রণয়নের মূল সূত্র তথা পবিত্র কুরআন এবং সুন্নাহর যথাযথ অনুসরণের মাধ্যমে। আল্লাহর আনুগত্যে যদি আমরা একতাবদ্ধ হই, তবে আমরা দৃঢ়পদে দাঁড়াতে পারব। মানুষ হিসাবে আমরা সকলেই ভাই ভাই। আমাদের প্রয়োজন শান্তিপূর্ণ আলোচনার প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করা এবং একে অপরকে গ্রহণ করার মনোবৃত্তি জাগ্রত করা। আর প্রকৃত হেদায়াত কেবলমাত্র আল্লাহর কাছ থেকে আসতে পারে। তিনি যাকে ইচ্ছা হেদায়াত করে থাকেন। তাই বিশেষতঃ ল্যাটিন অঞ্চলে যারা দাওয়াতী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী তাদের প্রতি আমার উপদেশ- ধৈর্য ধরুন! কেবল ধৈর্য এবং ধৈর্য!!  

                                    



আরও