প্রবৃত্তির অনুসরণ
তাওহীদের ডাক ডেস্ক
তাওহীদের ডাক ডেস্ক 10391 বার পঠিত
আল-কুরআনুল কারীম :
1- وَلَنَبْلُوَنَّكُمْ بِشَيْءٍ مِنَ الْخَوْفِ وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَنْفُسِ وَالثَّمَرَاتِ وَبَشِّرِ الصَّابِرِينَ- الَّذِينَ إِذَا أَصَابَتْهُمْ مُصِيبَةٌ قَالُوا إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ- أُولَئِكَ عَلَيْهِمْ صَلَوَاتٌ مِنْ رَبِّهِمْ وَرَحْمَةٌ وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُهْتَدُونَ-
(১) ‘আর অবশ্যই আমরা তোমাদের পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, ধন ও প্রাণের ক্ষতির মাধ্যমে এবং ফল-শস্যাদি বিনষ্টের মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও। যাদের উপর কোন বিপদ আসলে তারা বলে, নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয়ই আমরা তাঁর দিকে ফিরে যাব। তাদের উপর তাদের প্রতিপালকের পক্ষ হ’তে রয়েছে অফুরন্ত দয়া ও অনুগ্রহ। আর তারাই হ’ল সুপথপ্রাপ্ত’ (বাক্বারাহ ২/১৫৫-১৫৭)।
2- وَمَا أَصَابَكُمْ مِنْ مُصِيبَةٍ فَبِمَا كَسَبَتْ أَيْدِيكُمْ وَيَعْفُو عَنْ كَثِيرٍ- وَمَا أَنْتُمْ بِمُعْجِزِينَ فِي الْأَرْضِ وَمَا لَكُمْ مِنْ دُونِ اللَّهِ مِنْ وَلِيٍّ وَلَا نَصِيرٍ-
(২) ‘তোমাদের উপর যেসব বিপদাপদ আসে, তা তোমাদের কৃতকর্মের ফল। আর তিনি তোমাদের অনেক গোনাহ মার্জনা করে দেন। তোমরা পৃথিবীতে আল্লাহকে ব্যর্থ করতে পারবে না। আর আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের কোন অভিভাবক নেই এবং সাহায্যকারীও নেই’ (শূরা ৪২/৩০-৩১)।
3- مَا أَصَابَ مِنْ مُصِيبَةٍ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي أَنْفُسِكُمْ إِلَّا فِي كِتَابٍ مِنْ قَبْلِ أَنْ نَبْرَأَهَا إِنَّ ذَلِكَ عَلَى اللَّهِ يَسِيرٌ-لِكَيْلَا تَأْسَوْا عَلَى مَا فَاتَكُمْ وَلَا تَفْرَحُوا بِمَا آتَاكُمْ وَاللهُ لَا يُحِبُّ كُلَّ مُخْتَالٍ فَخُورٍ-كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ وَنَبْلُوكُمْ بِالشَّرِّ وَالْخَيْرِ فِتْنَةً وَإِلَيْنَا تُرْجَعُونَ-
(৩) ‘পৃথিবীতে বা তোমাদের জীবনে এমন কোন বিপদ আসে না, যা তা সৃষ্টির পূর্বে আমরা কিতাবে লিপিবদ্ধ রাখিনি। নিশ্চয় এটা আল্লাহর জন্য সহজ। যাতে তোমরা যা হারাও তাতে হা-হুতাশ না করো এবং যা তিনি তোমাদের দেন, তাতে উল্লসিত না হও। বস্ত্ততঃ আল্লাহ কোন উদ্ধত ও অহংকারীকে ভালবাসেন না। জীব মাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। আর আমরা তোমাদেরকে মন্দ ও ভাল দ্বারা পরীক্ষা করে থাকি এবং আমাদের কাছেই তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে (অতঃপর আমরা যথাযথ প্রতিফল দেব)’ (হাদীদ ৫৭/২২-২৩ এবং আম্বিয়া ২১/৩৫)।
হাদীছে নববী :
4- عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهِ سَعْدِ بْنِ أَبِى وَقَّاصٍ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَىُّ النَّاسِ أَشَدُّ بَلاَءً قَالَ الأَنْبِيَاءُ ثُمَّ الأَمْثَلُ فَالأَمْثَلُ يُبْتَلَى الْعَبْدُ عَلَى حَسَبِ دِينِهِ فَإِنْ كَانَ فِى دِينِهِ صُلْبًا اشْتَدَّ بَلاَؤُهُ وَإِنْ كَانَ فِى دِينِهِ رِقَّةٌ ابْتُلِىَ عَلَى حَسَبِ دِينِهِ فَمَا يَبْرَحُ الْبَلاَءُ بِالْعَبْدِ حَتَّى يَتْرُكَهُ يَمْشِى عَلَى الأَرْضِ وَمَا عَلَيْهِ مِنْ خَطِيئَةٍ.
(৪) মুছ‘আব ইবনু সা‘দ তার পিতা হতে, সা‘দ বিন আবু ওয়াক্কাছ (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! লোকদের মধ্যে সবচেয়ে বিপদগ্রস্ত কারা? তিনি বললেন, নবীগণ! অতঃপর আনুপাতিক হারে। প্রত্যেক ব্যক্তি তার দ্বীনের পরিমাণ অনুযায়ী পরীক্ষিত হবে। যার দ্বীনের মধ্যে যত দৃঢ়তা থাকবে, তার পরীক্ষা তত কঠিন হবে। আর যদি দূর্বলতা থাকে, তার পরীক্ষা তত হালকা হবে। এভাবে সৎকর্মশীল বান্দার উপর পরীক্ষা হ’তেই থাকবে। অবশেষে এমন অবস্থায় সে মাটিতে চলবে যে, তার আমলনামায় কোন পাপ থাকবে না’।[1]
(৫) আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) এবং আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, مَا يُصِيبُ الْمُسْلِمَ مِنْ نَصَبٍ وَلاَ وَصَبٍ وَلاَ هَمٍّ وَلاَ حُزْنٍ وَلاَ أَذًى وَلاَ غَمٍّ حَتَّى الشَّوْكَةِ يُشَاكُهَا ، إِلاَّ كَفَّرَ اللَّهُ بِهَا مِنْ خَطَايَاهُ ‘মুসলিম ব্যক্তির উপর যে সকল যাতনা, রোগ-ব্যাধি, উদ্বেগ-উৎকন্ঠা, দুশ্চিন্তা, কষ্ট ও পেরেশানী আপতিত হয়, এমনকি যে কাঁটা তার দেহে বিদ্ধ হয়, এসবের দ্বারা আল্লাহ তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেন’।[2]
5- عَنْ أَبِى مُوسَى الأَشْعَرِىِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا مَاتَ وَلَدُ الْعَبْدِ قَالَ اللَّهُ لِمَلاَئِكَتِهِ قَبَضْتُمْ وَلَدَ عَبْدِى. فَيَقُولُونَ نَعَمْ. فَيَقُولُ قَبَضْتُمْ ثَمَرَةَ فُؤَادِهِ. فَيَقُولُونَ نَعَمْ. فَيَقُولُ مَاذَا قَالَ عَبْدِى فَيَقُولُونَ حَمِدَكَ وَاسْتَرْجَعَ. فَيَقُولُ اللَّهُ ابْنُوا لِعَبْدِى بَيْتًا فِى الْجَنَّةِ وَسَمُّوهُ بَيْتَ الْحَمْدِ.
(৬) আবু মুসা আশ‘আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কোন বান্দার কোন সন্তান মারা গেলে, তখন আল্লাহ তা‘আলা তার ফেরেশতাদেরকে প্রশ্ন করেন, তোমরা আমার বান্দার সন্তানকে ছিনিয়ে আনলে? তারা বলে, হ্যাঁ। পুনরায় আল্লাহ তা‘আলা প্রশ্ন করেন, তোমরা তার হৃদয়ের টুকরাকে ছিনিয়ে আনলে? তারা বলে, হ্যাঁ। পুনরায় তিনি প্রশ্ন করেন, তখন আমার বান্দা কি বলেছে? তারা বলে, সে আপনার প্রতি প্রশংসা করেছে এবং ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন পাঠ করেছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, জান্নাতের মধ্যে আমার এই বান্দার জন্য একটি ঘর তৈরী কর এবং তার নাম রাখ ‘বায়তুল হামদ’ বা প্রশংসালয়’।[3]
(৭) আনাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেন, إِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِعَبْدِهِ الخَيْرَ عَجَّلَ لَهُ العُقُوبَةَ فِي الدُّنْيَا، وَإِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِعَبْدِهِ الشَّرَّ أَمْسَكَ عَنْهُ بِذَنْبِهِ حَتَّى يُوَافِيَ بِهِ يَوْمَ القِيَامَةِ ‘আল্লাহ তা‘আলা যখন তার কোন বান্দার কল্যাণ সাধন করতে চান তখন তাড়াতাড়ি দুনিয়াতে তাকে বিপদে নিক্ষেপ করেন। আর যখন তিনি তার কোন বান্দার অকল্যাণ সাধন করতে চান তখন তাকে তার অপরাধের শাস্তি প্রদান হ’তে বিরত থাকেন। তারপর ক্বিয়ামতের দিন তিনি তাকে পুরোপুরি শাস্তি দেন। রাসূল (ছাঃ) বলেন,إِنَّ عِظَمَ الجَزَاءِ مَعَ عِظَمِ البَلَاءِ، وَإِنَّ اللَّهَ إِذَا أَحَبَّ قَوْمًا ابْتَلَاهُمْ، فَمَنْ رَضِيَ فَلَهُ الرِّضَا، وَمَنْ سَخِطَ فَلَهُ السَّخَطُ বিপদ যত মারাত্মক হবে, প্রতিদান তত মহান হবে। আল্লাহ তা‘আলা যখন কোন জাতিকে ভালবাসেন তখন তাদেরকে বিপদে ফেলে পরীক্ষা করেন। যে লোক তাতে সন্তুষ্টি থাকে, তার জন্য আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টি বিদ্যমান। আর যে লোক তাতে অসন্তুষ্ট হয় তার জন্য আল্লাহর অসন্তুষ্টি বিদ্যমান’।[4]
(৮) আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেন, إِذَا ابْتُلِيَ الْمُسْلِمُ بِبَلَاءٍ فِي جَسَدِهِ، قِيلَ لِلْمَلَكِ: اكْتُبْ لَهُ صَالِحَ عَمَلِهِ الَّذِي كَانَ يَعْمَلُ، فَإِنْ شَفَاهُ غَسَّلَهُ وَطَهَّرَهُ، وَإِنْ قَبَضَهُ غَفَرَ لَهُ وَرَحِمَهُ কোন মুসলিমকে শারীরিক বিপদে ফেলা হলে ফেরেশতাদেরকে বলা হয়, এ বান্দা নিয়মিত যে নেক আমল করত, তা-ই তার আমলনামায় লিখতে থাক। এরপর তাকে আল্লাহ আরোগ্য দান করলে গুনাহখাতা ধুয়ে পাকসাফ করে নেন। আর যদি তাকে উঠিয়ে নেন, তাকে মাফ করে দেন এবং তার প্রতি রহমত দান করেন’।[5]
(৯) ছুহায়েব রূমী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, عَجَبًا لِأَمْرِ الْمُؤْمِنِ! إِنَّ أَمْرَهُ كُلَّهُ لَهُ خَيْرٌ، وَلَيْسَ ذَلِكَ لِأَحَدٍ إِلَّا لِلْمُؤْمِنِ، إِنْ أَصَابَتْهُ سَرَّاءُ شَكَرَ فَكَانَ خَيْرًا لَهُ، وَإِنْ أَصَابَتْهُ ضَرَّاءُ صَبَرَ فَكَانَ خَيْرًا لَهُ ‘মুমিনের ব্যাপারটি বিস্ময়কর। তার সকল কর্মই কল্যাণময়। এটি মুমিন ব্যতীত অন্য কারু জন্য সম্ভব নয়। যদি তাকে কোন কল্যাণ স্পর্শ করে, তাহলে সে শুকরিয়া আদায় করে, যা তার জন্য কল্যাণকর। আর যদি তার কোন মন্দ স্পর্শ করে, সে ছবর করে, সেটিও তার জন্য কল্যাণকর’।[6]
(১০) আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেন, مَثَلُ الْمُؤْمِنِ كَمَثَلِ الْخَامَةِ مِنَ الزَّرْعِ مِنْ حَيْثُ أَتَتْهَا الرِّيحُ كَفَأَتْهَا ، فَإِذَا اعْتَدَلَتْ تَكَفَّأُ بِالْبَلاَءِ ، وَالْفَاجِرُ كَالأَرْزَةِ صَمَّاءَ مُعْتَدِلَةً حَتَّى يَقْصِمَهَا اللَّهُ إِذَا شَاءَ ‘মুমিন ব্যক্তির দৃষ্টান্ত হল, শস্যক্ষেতের নরম চারাগাছের মত। যে কোন দিক থেকেই তার দিকে বাতাস আসলে বাতাস তাকে নুইয়ে দেয়। আবার যখন বাতাসের প্রবাহ বন্ধ হয় তখন তা সোজা হয়ে দাঁড়ায়। বালা-মুছীবত মুমিনকে নোয়াতে থাকে। আর ফাসিক হ’ল শক্ত ভূমির উপর শক্তভাবে সোজা হয়ে দাঁড়ানো গাছের মত, যাকে আল্লাহ যখন ইচ্ছে করেন ভেঙ্গে দেন’।[7]
মনীষীদের বক্তব্য :
১. আববাস ইবনু আব্দুল মুত্ত্বালিব (রাঃ) বলেন, ‘পাপের কারণেই বালা-মুছীবত, বিপদাপদ অবতীর্ণ হয় এবং তা তওবা ছাড়া দূরীভূত হয় না’ (তারীখে দিমাশক্ব ১৮৪-১৮৫ পৃ.)।
২. সুফিয়ান ছাওরী (রহঃ) বলেন, ‘এমন কোন ফক্বীহ নেই যিনি বিপদকে নে‘মত এবং প্রাচুর্যকে বিপদ মনে করেননি’।[8]
৩. ইবনু তায়মিয়া (রহঃ) বলেন, ‘আল্লাহর প্রতিটি সিদ্ধান্ত মুমিনের জন্য কল্যাণকর। বিপদে ধৈর্যধারণে রয়েছে কল্যাণ এবং সুখের সময় শুকরিয়ায় কল্যাণ। মোদ্দাকথা হ’ল আল্লাহর প্রতিটি নে‘মতে কল্যাণ রয়েছে এবং প্রতিটি শাস্তি বা বিপদে ইনছাফ রয়েছে’ (মিনহাজুস সুন্নাহ ১/১৩৯ পৃ.)।
৪. ইবনুল ক্বাইয়িম আল-জাওযী (রহঃ) বলেন, ‘প্রতিটি অন্তরে বিষণ্ণতা রয়েছে যা মহান আল্লাহর একান্ত সান্নিধ্য না পেলে কখনো দূরীভূত হয় না। তন্মধ্যে একটি হ’ল বিপদ যা প্রভুর ইবাদতের আনন্দময়তায় পদদলিত হয় এবং অপরটি হ’ল দরিদ্রতা। কাউকে পুরো দুনিয়া দিয়ে দিলেও দরিদ্রতা দূর হবে না, যদি না সে সততার চর্চা করে। কেননা কেবলমাত্র সততাই দরিদ্রতা দূর করতে পারে’।[9]
সারবস্ত্ত :
১. বিপদাপদ গুনাহের কাফ্ফারা এবং অন্যায়-অপকর্ম বিদূরিত হওয়ার অন্যতম মাধ্যম।
২. বিপদাপদের ফলে মহান আল্লাহর স্মরণে গভীর অনুভূতি জাগ্রত হয় এবং মনের মধ্যে নিজের কৃত পাপপঙ্কিলতার জন্য অনুশোচনা ও অনুতাপের দহন জ্বালা অনুভূত হয়।
৩. বিপদকালীন সময়ে দুনিয়ার মোহ হ্রাস পায় এবং বান্দার সাথে সৃষ্টিকর্তার এক অলক্ষ্য বন্ধন সৃষ্টি হয়।
৪. আল্লাহর রহমত থেকে নিজেকে বঞ্চিত মনে হয়, যা তাকে প্রভূর ইবাদতে অধিক মনোনিবেশে সহযোগিতা করে।
৫. ঈমান বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয় এবং আল্লাহর অপরিসীম কুদরত ও ক্ষমতার প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস মনের মধ্যে কাজ করে।
[1]. ইবনু মাজাহ হা/৪০২৩।
[2].বুখারী হা/৫৬৪১; মুসলিম হা/২৫৭২; মিশকাত হা/ ১৫৩৭।
[3]. তিরমিযী হা/১০২১; ছহীহাহ হা/১৪০৮।
[4]. তিরমিযী হা/২৩৯৬; ছহীহাহ হা/১২২০; মিশকাত হা/১৫৬৫।
[5]. আহমাদ হা/১২৫০৪; ছহীহ আত-তারগীব হা/৩৪২২; মিশকাত হা/১৫৬০।
[6]. মুসলিম হা/২৯৯৯; মিশকাত হা/৫২৯৭।
[7]. বুখারী হা/ ৫৬৪৪; মুসলিম হা/৭৪৬৬।
[8]. হুল্লিয়াতুল আওলিয়া ১/৫৫ পৃ.।
[9]. মাদারেজুস সালেকীন ১/১৬৪ পৃ.।