Thirty first Night (থার্টি ফাস্ট নাইট)
তাওহীদের ডাক ডেস্ক
এ্যাডভোকেট জারজিস আহমাদ 9867 বার পঠিত
৭ই ফেব্রুয়ারী ২০২০। শুক্রবার। বেলা ৯টায় মোবাইলটা হাতে নিয়ে বিগত দিনের কথাবার্তাগুলোর পুনরাবৃত্তি হ’ল। আর দেরী না করে, জলদি খুৎবা দেয়ার নিমিত্তে দো‘আ পড়ে বাড়ী হ’তে বের হলাম। রাজশাহী রেলগেটে তানোরগামী বাসে উঠে সীটে চেপে বসে পড়লাম। সফরের দো‘আ পড়ে নিলাম। চড়ে বসতেই ভু.. ছুট। ক’দিন আগেই মোবাইল মারফত মোহনপুর পশ্চিম ও তানোর পূর্ব এলাকার আমার প্রাণের সংগঠন ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ ও ‘যুবসংঘ’-এর দায়িত্বশীলেরা তাদের এলাকায় খুৎবা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিল। জীবনের পড়ন্ত বয়সে একটু নেকী কামাইয়ের ফুসরত বটে। কে আর মিস করে! বাস একটু দূর যেতে না যেতেই আমার ফোনটি আবার বেঁজে উঠল। ফোনটি রিসিভ করে দায়িত্বশীল ভাইদের আরো একবার আমার আসার কথা কনফার্ম করলাম; আমি রওয়ানা হয়েছি। আপনারা কালিগঞ্জ বাজার বাসষ্ট্যান্ডে অপেক্ষা করুন।
বাসে বসে চারপাশের বিভিন্ন নে‘মতরাজি আমাকে মুগ্ধ করল; পুলকিত হৃদয়ে তা উপভোগ করলাম। দেখতে দেখতে বাস কালিগঞ্জ বাজার বাসষ্ট্যান্ডে পোঁছে গেল। দ্বীনী ভাইদের উষ্ণ অভ্যর্থনায় মনটা বিগলিত হ’ল। আমি বললাম, কোথায় খুৎবা দিতে হবে। ওরা বলল, কালিগঞ্জ বাজারের পশ্চিমে কলেজ ও হাইস্কুল সংলগ্ন জামে মসজিদে। আমি কথা রাখতে পেরেছি দেখে তারা আশ্বস্ত; আলহামদুলিল্লাহ।
বাস থেকে নেমে চা পান করার জন্য একটু বিরতি। শেষ হ’ল চা পান। কালিগঞ্জ বাযার হ’তে সামান্য দূরে মসজিদ। পায়ে হেঁটে যাত্রা করলাম। আমার সাথে কয়েকজন দায়িত্বশীল রয়েছেন। তারা আমার সাথে হাঁটা শুরু করলেন। ডানে-বামে চারিদিকে আলুর সবুজ ক্ষেত। সবুজ আর সবুজ। মনে হ’ল আল্লাহ পাক এই অঞ্চলকে সবুজ দিয়ে সাজিয়েছেন। শীতের হাওয়া গায়ে লাগছে। হালকা শীতে মিষ্টি রেŠদ্র বেশ ভাল লাগছে। বাংলাদেশের মানচিত্রে যে অঞ্চলগুলো বরেন্দ্র এলাকার অন্তর্ভুক্ত, তার মধ্যে রাজশাহীর তানোর অন্যতম। বরেন্দ্র এলাকার অন্যতম ফসল আলু। সেই আলুর ক্ষেতের পার্শ্বের রাস্তায় হাটছি আর মহান আল্লাহর নিদর্শনগুলো দেখছি। আল্লাহ বলেন, ‘আর তাদের জন্য অন্যতম নিদর্শন হ’ল মৃত যমীন। যাকে আমরা জীবিত করি ও সেখান থেকে শস্য উৎপাদন করি। অতঃপর তারা তা থেকে ভক্ষণ করে’ (ইয়াসীন ৩৬/৩৩)।
এ দৃষ্টান্তের মাধ্যমে আল্লাহ অবিশ্বাসীদের নিকট তাওহীদ ও ক্বিয়ামতের প্রমাণ তুলে ধরেছেন। মৃত যমীনকে জীবিত করার মধ্যে মৃত মানুষকে পুনর্জীবিত করার দৃষ্টান্ত রয়েছে। তেমনিভাবে জীবন ও মৃত্যুদাতা অতঃপর পুনর্জীবনদানকারী একজন মহা শক্তিধর অদৃশ্য সত্তা আল্লাহ যে আছেন, তারও প্রমাণ রয়েছে। তাঁর হাতেই সকল ক্ষমতা। তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে এবং তাঁর কাছেই জীবনের হিসাব দিতে হবে। অতঃপর জান্নাত অথবা জাহান্নামই হবে মানুষের চূড়ান্ত ঠিকানা। যেভাবে ভূমিতে উৎপাদিত শস্য চিটা-ভূষি হলে তা মালিক কর্তৃক পরিত্যক্ত হয়। আর দানাপূর্ণ হ’লে তা গৃহীত হয়।[1] বরেন্দ্র এলাকায় বর্ষাকাল ব্যতীত অন্য সময় পানির কিছুটা অভাব থাকে। তবে বরেন্দ্র প্রকল্পের আওতায় পানির অভাব অনেকটা পূরণ হয়েছে এখন, আলহামদুলিল্লাহ! যাক সে কথা চলে আসলাম জামে মসজিদ সংলগ্ন কলেজ ও হাইস্কুল সামনে বিশাল মাঠ। সুন্দর সবুজ পরিবেশ। মসজিদে ঢুকলাম। মনে হ’ল ভিতর বাহিরে মিলে আনুমানিক ৫০০জন মুছল্লী ছালাত আদায় করতে পারেন এখানে। এত বড় মসজিদে সবাই আহলেহাদীছ। মনে হ’ল কোন এক মর্দে মুজাহিদের ছোঁয়ায় আল্লাহ এদেরকে আহলেহাদীছ হিসাবে কবুল করেছেন। অনেক আগেই আমীরে জামা‘আতের থিসিসে পড়েছি, তানোর এলাকায় দুয়ারীর আকরাম আলী খাঁ, জামিরা কেন্দ্রের কারামাতুল্লাহ, মোহনপুর ধোপঘাটার মেহের আলী তাওহীদের বাণী প্রচার করতে আসতেন।[2]
ওযূ করে মসজিদে প্রবেশ করলাম। দু’রাকা‘আত ছালাত আদায় করে মিম্বারে উঠে বসলাম। আযান শেষ হ’ল। খুৎবা শুরু করলাম। আলোচনার বিষয় ছালাত। ছালাতের সংজ্ঞা ও ছালাতের গুরুত্ব বিষয়ে নাতিদীর্ঘ আলোচনা করলাম। আলোচনার শেষ দিকে যুবকদের উদ্দেশ্য করে বললাম, বর্তমান যামানায় তোমরাই জাতির হাতিয়ার। তোমাদের কাছে জাতি অনেক কিছু আশা করে। ইসলাম ধর্মে নেই, এমন অনেক বিষয় আজ ধর্মের মধ্যে প্রবেশ করেছে। কুসংস্কার ইসলামকে চেপে ধরেছে। সমাজ আজ কুরআন ও হাদীছ ছেড়ে কুসংস্কারমুখী হতে ধরেছে। তাই তোমাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আলোচনা শুনে যুবকের দল বোধহয় বেশ অবাক হ’ল।
খুৎবা শেষ হ’ল। ছালাত শেষ করে বাইরে এসে দেখতে পেলাম একদল তরুণ ও যুবক দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে। তাদেরকে কাছে এসে সালাম দিয়ে বললাম, তোমরা সব কেমন আছ? তারা বলল জ্বী, আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। যাক আলহামদুলিল্লাহ। তাদের সাথে আলাপ করে জানতে পারলাম তারা কলেজ ও হাইস্কুলে পড়ুয়া ছাত্র। একজন তরুণ জিজ্ঞাসা করল, স্যার! আপনি এখনও ওকালতি করেন? বললাম, হ্যাঁ। স্যার আপনার আলোচনা শুনে খুব ভাল লেগেছে। বললাম, জ্বী, আমারও ভাল লেগেছে। ঐ তরুণ বলল, আপনি যেভাবে যুবকদের উদ্দেশ্যে কথা বললেন, তা অন্যদেরকে বলতে দেখিনি। আমি তাদেরকে ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর মঞ্চে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমাজ পরিবর্তন তথা সমাজ সংস্কারের ময়দানে কাজ করার আহবান জানালাম। তারা খুবই আন্তরিক উৎসাহ দেখালো আলহামদুলিল্লাহ।
দীর্ঘদিন দাওয়াতের ময়দানে ঘুরে যেটা উপলব্ধি করি তা হ’ল, একাকী সমাজ পরিবর্তন সম্ভব নয়। সমাজ পরিবর্তনের জন্য চাই ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম। আর সে সংগ্রাম করার দায়িত্ব পালন করতে হবে যুবকদেরকেই। একশত যুবকের দু’শত হাত একই মঞ্চে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আহবান ছড়িয়ে দিতে। মহান আল্লাহ বলেন, وَلْتَكُنْ مِنْكُمْ أُمَّةٌ يَدْعُونَ إِلَى الْخَيْرِ وَيَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ ‘আর তোমাদের মধ্যে একটা দল থাকা চাই, যারা মানুষকে কল্যাণের দিকে আহবান করবে ও অন্যায় থেকে নিষেধ করবে। বস্ত্ততঃ তারাই হ’ল সফলকাম’ (আলে ইমরান ৩/১০৪)।
যদিও ন্যায়ের আদেশ ও অন্যায়ের নিষেধের দায়িত্ব প্রত্যেক মুসলমানের, তথাপি বিশেষ একটি দলকে এ দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিচ্ছেন আল্লাহ। নিঃসন্দেহে তারা হলেন ছাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈনে এযাম, মুহাদ্দিছ ওলামায়ে দ্বীন, সালাফে ছালেহীন এবং সকল যুগের মুত্তাক্বী আলেমগণ ও আল্লাহর পথে সংগ্রামী আপোষহীন নেতৃবৃন্দ। যারা সর্বাবস্থায় পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রতিষ্ঠায় রত থাকেন এবং জাতিকে সেই পথে নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। হিজরী প্রথম শতাব্দী থেকে এযাবত তাদের মাত্র একটাই নাম রয়েছে, আহলুল হাদীছ।[3] হাদীছে এসেছে, وَعَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -:إِذَا فَسَدَ أَهْلُ الشَّامِ فَلَا خَيْرَ فِيكُمْ وَلَا يَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي مَنْصُورِينَ لَا يَضُرُّهُمْ مَنْ خَذَلَهُمْ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ. قَالَ ابْنُ الْمَدِينِيِّ: هُمْ أَصْحَابُ الْحَدِيثِ. ‘ম‘ুআবিয়া ইবনু কুররা (রহঃ) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেন, যখন সিরিয়াবাসীরা খারাপ হয়ে যাবে, তখন তোমাদের আর কোন কল্যাণ থাকবেন না। তবে আমার উম্মতের মধ্যে একটি দল সকল সময়েই সাহায্যপ্রাপ্ত (বিজয়ী) থাকবে। যেসব লোকেরা তাদেরকে অপমানিত করতে চায়, তারা ক্বিয়ামত পর্যন্ত তাদের কোন ক্ষতি সাধন করতে পারবে না। ইমাম বুখারীর উস্তাদ আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, সাহায্যপ্রাপ্ত বা বিজয়ী সেই সম্প্রদায়টি হ’ল আছহাবুল হাদীছ তথা আহলেহাদীছ’।[4]
আজকের আলোচনায় তরুণ ও যুবকদের উৎসাহ দেখে সেই অনুভূতিটা আরো গাড় হ’ল। মসজিদ থেকে বের হয়ে চলে গেলাম মটর সাইকেলযোগে দুপুরের খাবারের জন্য। কালিগঞ্জ বাযার জামে মসজিদে বাদ মাগরিব হ’তে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাসভা আছে। দুপুরের খাবার পর একটু রেস্ট নিয়ে চলে আসলাম মসজিদে। এর আগে আমি এই মসজিদে কোনদিন আসিনি। রাস্তা দিয়ে যাওয়া-আসার সময় দূর থেকে মসজিদটি দেখেছি মাত্র।
মাগরিবের আযান শেষ হ’ল। ছালাত আদায় করে আলোচনা পর্ব শুরু হ’ল। সঞ্চালক ঘোষণা দিলেন, আহলেহাদীছ আন্দোলনের উৎপত্তি বিষয়ে আলোচনা করবেন রাজশাহী সদর সাংগঠনিক যেলার উপদেষ্টা ও রাজশাহী জজ কোর্টের সিনিয়র এডভোকেট জারজিস আহমাদ। আলোচনা শুরু করলাম। শুরুতেই কিছুক্ষণ ইংরেজী বলতে লাগলাম। প্রায় সকলেই হতভম্ব হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইল। তাদের তোড় বুঝতে পেরে ইংরেজী ছেড়ে আঞ্চলিক বাংলায় মানে একদম তানোর মোহনপুর এর গ্রাম-বাংলায় শুরু করলাম। আহলেহাদীছ আন্দোলন কবে ভারতবর্ষে শুরু হয়, তার আগে কোথায় শুরু, তখন কারা কারা নেতৃত্ব দেন প্রভৃতি বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে প্রমাণসহ উপস্থাপন করলাম। বললাম, আহলেহাদীছ আন্দোলন হঠাৎ করে গাজিয়ে উঠা কোন আন্দোলন নয়। পদ্মা নদীতে কচুরীপানার মত ভেসে চলে যাবে এমনটিও নয়। আহলেহাদীছ আন্দোলন ছাহাবায়ে কেরামের যুগ হ’তে চলে আসা একটি নির্ভেজাল তাওহীদী আন্দোলন। এই আন্দোলনের উদ্দেশ্যে আল্লাহর দ্বীনকে আল্লাহর যমীনে প্রতিষ্ঠা করা। এই আন্দোলনের লক্ষ্য আল্লাহ সন্তুষ্টি অর্জন করা। এর ভিত্তি পবিত্র কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহ। এর কাজ হ’ল কিতাব ও সুন্নাতের যথাযথ প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করা। আলোচনার পর শ্রোতাদের মধ্যে কোন কথা না থাকলেও বুঝতে পারলাম যারা এর আগে আমাদেরকে ঐ মসজিদে কোন প্রোগ্রাম করতে বাঁধা দিত, তারা বক্তব্যে সন্তুষ্ট হ’তে পারেনি। তাদের উদ্দেশ্য করে বললাম, আমরা এখানে কল্প-কাহিনী নিয়ে আলোচনা করতে আসিনি। নিছক পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোচনা নিয়ে আসি। আমাদের আলোচনা শোনার বিষয়টা আপনাদের ইচ্ছাধীন। কিন্তু আমরা দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে আসব এটা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। এতে বাঁধা দেয়া আপনাদের ঠিক হবে না। কেননা বাংলাদেশ সংবিধানের তৃতীয় ভাগ, মৌলিক অধিকার, ৪১ অনুচ্ছেদ (ক)-তে বলা হয়েছে, ‘প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন ধর্ম অবলম্বন পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে। সুতরাং কোন নাগরিককে তার স্বধর্মীয় প্রচারে বাধা প্রদান রাষ্ট্র বিরোধী কর্মের সমতুল্য’। পরিশেষে সকলকে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে জীবন গড়ার আহবান জানিয়ে বক্তব্য শেষ করলাম। এখানেও একদল যুবক আলোচনা শুনতে এসেছে। তারা আলোচনা শুনে খুশী। তারা তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলল, স্যার! এর আগে কিছু লোক আমাদেরকে এই মসজিদে প্রোগ্রাম করতে দেয়নি। এমন দেখা গেছে আমাদেরকে দেখলে গেটে তালা দিয়ে চলে যায়। আপনি আলোচনা করে আজকে বিষয়টি পরিস্কার করে দিলেন। রাসূলের প্রসিদ্ধ হাদীছটি মনে পড়ল। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,لَغُدْوَةٌ فِي سَبِيلِ اللهِ أَوْ رَوْحَةٌ خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا- ‘আল্লাহর পথে একটি সকাল অথবা একটি সন্ধ্যা অতিবাহিত করা দুনিয়া এবং তার মধ্যে যা কিছু আছে, সেসব কিছুর চেয়েও উত্তম’।[5] আলহামদুলিল্লাহ!
এরপর হালকা নাশতা সেরে বাস যোগে পরিতৃপ্ত চিত্তে বাড়ীর পথে রওয়ানা হলাম। সত্যিই যুবসমাজের এই সত্যপ্রিয়তা এবং হক্বের পক্ষে দাঁড়াবার সাহস আমাকে দিনে দিনে মুগ্ধ করে চলেছে। জীবন সায়াহ্নে এসে তাদের মুখচ্ছবিতে উজ্জল ভবিষ্যতের হাতছানি খুঁজে পাই। মনে মনে এদের জন্য প্রাণখোলা দো‘আ করি আর এ বিশ্বাস জোরালো করি, একদিন এদেশের সবুজ-শ্যামলিমায় হক্বের পতাকা উড়বেই। শিরক-বিদ‘আতের কলংক-কালিমা বিদূরিত হবেই ইনশাআল্লাহ। হে আল্লাহ আমাদের প্রতি রহম করুন- আমীন!
[1]. ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব, বঙ্গানুবাদ কুরআন (আলোচনা : সূরা ইয়াসীন দ্রষ্টব্য)।
[2]. ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব, আহলেহাদীছ আন্দোলন থিসিস, ৪২০ পৃ. ।
[3]. ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব, বঙ্গানুবাদ কুরআন (আলোচনা : সূরা আলে-ইমরান দ্রষ্টব্য)।
[4]. তিরমিযী হা/২১৯২; ছহীহুল জামে‘ হা/৭০২; মিশকাত হা/৬২৮৩।
[5]. বুখারী হা/২৭৯২; মুসলিম হা/১৮৮০; মিশকাত হা/৩৭৯২।