কুরআন থেকে উপদেশ নিন
তাওহীদের ডাক ডেস্ক
১.
‘সহজ’ মানে যা জন্মের ‘স’', অর্থাৎ যার বোধ জন্মের সহগামী। বাংলা ‘জ’ দিয়ে প্রায়শই জন্ম বোঝায়, যেমন পঙ্কজ -যা পঙ্কে জন্মায়। একইভাবে, কামজ, কালজ, জলজ ইত্যাদি শব্দ তৈরী। তো, যে জন্মগত বোধ সবার জন্যেই অনায়সে লভ্য, তাকেই বলা হয় ‘সহজ’। বৈষ্ণব সহজিয়া দর্শনের শরণ নেওয়া ছাড়াও সহজের অর্থ বোঝা সহ-জ!
‘ভাব’ শব্দের সাথে ধাতু ‘ভূ’ এর সম্পর্ক। ‘ভূ’ মানে হওয়া, হয়ে উঠা, উৎপন্ন হওয়া। যেমন, উদ্ভিদ মানে যা ভেদ করে উঠে। সুতরাং ভাব মানে যা আমাদের ভেতর থেকে জন্ম নেয়; যা আমাদের ভেতরে উৎপন্ন হয়, সেই চিন্তা-অনুভবের একাকার বা লীনাবস্থাই ভাব।
২.
বাংলাভাষায় ‘না’ দিয়ে শেষ হওয়া শব্দগুলো বেশ তাৎপর্যবহ। ধরা যাক, খানা, কল্পনা, বাসনা এই শব্দত্রয়ী। যেন খেতেও বলা হচ্ছে, আবার ‘না’ও করা হচ্ছে। পরিমিত আহারের ব্যঞ্জনা দেখতে ভালো লাগে এই ‘খানা’ শব্দে।
‘কল্পনা’ মানে ‘যা কল্প না’। অনেক বাস্তবতার প্রথম উদয় ঘটে কল্পনার যমীনে, আর যে কল্পনা করে সেও তো আর ‘কল্প’ না। এইভাবে বাংলা 'কল্পনা' শব্দটিতে বাস্তবের চিহ্ন লেগে থাকে। কল্পনার আরেক অর্থ তর্ক। রঘুনাথ শিরোমণি আলোচনা করেছেন এ নিয়ে।
‘বাসনা’ মানে যা বাস করেনা, যে থিতু হয়না, যে ‘নাই’ এর স্বপ্ন ধারণ করে যেন ‘আছে’ হয়ে আছে। বাসনামাত্রই নাকি অতৃপ্ত।
বাংলা শব্দের ভেতর অনেক ভাবের খনি আছে, যেমন সব ভাষারই থাকে। খনন প্রয়োজন, কিছু ‘কল্পনা’ আর কিছু ইতিহাস দিয়ে। শব্দের ব্যুৎপত্তি ও বিবর্তন ঘেঁটে ঘেঁটে চিন্তার ইতিহাসের খোঁজ করায় কিছুটা সমস্যা থাকলেও, নগদ লাভও আছে (সূত্র : ইন্টারনেট)।