পরহেযগারিতা
মুহাম্মাদ হাফীযুর রহমান
আল-কুরআনুল কারীম :
1 -آمَنَ الرَّسُولُ بِما أُنْزِلَ إِلَيْهِ مِنْ رَبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ كُلٌّ آمَنَ بِاللَّهِ وَمَلائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ لا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِنْ رُسُلِهِ وَقالُوا سَمِعْنا وَأَطَعْنا غُفْرانَكَ رَبَّنا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ.
(১) ‘রাসূল ও মুমিনগণ তাঁর (মুহাম্মাদ) প্রতি তাঁর প্রতিপালকের পÿ হতে যা অবতীর্ণ হয়েছে তার ওপর ঈমান এনেছেন। তাদের সকলে আলস্নাহ, তাঁর ফেরেশতাম-লী, তাঁর কিতাবসমূহ এবং তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান আনয়ন করেছে। (তারা বলে) আমরা তাঁর রাসূলগণের মধ্যে কোন তারতম্য করি না। আর তারা বলে, আমরা শুনেছি এবং মান্য করেছি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা আপনার ÿমা চাই। আর প্রত্যাবর্তন তো আপনার নিকটেই’ (বাক্বারাহ ২/২৮৫)।
২- قُلْ أَطِيعُوا اللَّهَ وَالرَّسُولَ فَإِنْ تَوَلَّوْا فَإِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ الْكَافِرِينَ.
(২) ‘বলুন! তোমরা আলস্নাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর। যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও তবে আলস্নাহ তো কাফেরদেরকে পসন্দ করেন না’ (আলে ইমরান ৩/৩২)।
৩- وَمُصَدِّقًا لِمَا بَيْنَ يَدَيَّ مِنَ التَّوْرَاةِ وَلِأُحِلَّ لَكُمْ بَعْضَ الَّذِي حُرِّمَ عَلَيْكُمْ وَجِئْتُكُمْ بِآيَةٍ مِنْ رَبِّكُمْ فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ.
(৩) ‘আর আমি এসেছি তাওরাতে যা আছে তার সত্যায়নকারীরূপে ও তোমাদের জন্য যা হারাম ছিল তার কিছুকে হালাল করতে এবং আমি তোমাদের প্রভুর পÿ হতে তোমাদের নিকট নিদর্শন নিয়ে এসেছি। সুতরাং আলস্নাহকে ভয় কর আর আমাকে অনুসরণ কর’ (আলে ইমরান ৩/৫০)।
৪- وَأَطِيعُوا اللَّهَ وَالرَّسُولَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ.
(৪) ‘তোমরা আলস্নাহ ও রাসূলের আনুগত্য কর, যাতে তোমরা রহমতপ্রাপ্ত হতে পার’ (আলে ইমরান ৩/১৩২)।
৫- وَاذْكُرُوا نِعْمَةَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ وَمِيثَاقَهُ الَّذِي وَاثَقَكُمْ بِهِ إِذْ قُلْتُمْ سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ.
(৫) ‘স্মরণ কর! তোমাদের প্রতি আলস্নাহ্র অনুগ্রহ এবং যে অঙ্গীকারে তিনি তোমাদেরকে আবদ্ধ করেছেন তা। যখন তোমরা বলেছিলে, শুনলাম ও মান্য করলাম এবং আলস্নাহকে ভয় কর। অমত্মরে যা আছে সে সম্পর্কে আলস্নাহ তো সবিশেষ অবহিত’ (মায়েদা ৫/৭)।
6- وَأَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَاحْذَرُوا فَإِنْ تَوَلَّيْتُمْ فَاعْلَمُوا أَنَّمَا عَلَى رَسُولِنَا الْبَلَاغُ الْمُبِينُ.
(৬) ‘তোমরা আলস্নাহ্র আনুগত্য কর এবং রাসূলের আনুগত্য কর এবং সতর্ক হও; যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও তবে জেনে রাখ, আমাদের রাসূলের একমাত্র কর্তব্য শুধু প্রচার করা’ (মায়েদা ৫/৯২)।
7- يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَلَا تَوَلَّوْا عَنْهُ وَأَنْتُمْ تَسْمَعُونَ.
(৭) ‘হে মুমিনগণ! আলস্নাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর এবং তোমরা যখন তার কথা শ্রবণ করছ, তখন তা হতে মুখ ফিরিয়ে নিও না’ (আনফাল ৮/২০)।
8- وَلَقَدْ قَالَ لَهُمْ هَارُونُ مِنْ قَبْلُ يَا قَوْمِ إِنَّمَا فُتِنْتُمْ بِهِ وَإِنَّ رَبَّكُمُ الرَّحْمَنُ فَاتَّبِعُونِي وَأَطِيعُوا أَمْرِي.
(৮) ‘হারূন তাদেরকে পূর্বেই বলেছিল, হে আমার সম্প্রদায়! এটা দ্বারা তো কেবল তোমাদের পরীÿায় ফেলা হয়েছে। তোমাদের প্রতিপালক তো দয়াময়; সুতরাং তোমরা আমার অনুসরণ কর এবং আদেশ মেনে চল’ (ত্বহা ২০/৯০)।
9- وَيَقُولُونَ آمَنَّا بِاللَّهِ وَبِالرَّسُولِ وَأَطَعْنَا ثُمَّ يَتَوَلَّى فَرِيقٌ مِنْهُمْ مِنْ بَعْدِ ذَلِكَ وَمَا أُولَئِكَ بِالْمُؤْمِنِينَ.
(৯) ‘তারা বলে, আমরা আলস্নাহ ও রাসূলের প্রতি ঈমান আনলাম এবং আমরা আনুগত্য স্বীকার করলাম; কিন্তু এর পর তাদের একদল মুখ ফিুরিয়ে নেয়; বস্ত্ততঃ তারা মুমিন নয়’ (নূর ২৪/৪৭)।
10- يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَلَا تُبْطِلُوا أَعْمَالَكُمْ.
(১০) ‘হে মুমিনগণ! তোমরা আলস্নাহ্র আনুগত্য কর এবং রাসূলের আনুগত্য কর, আর (তাদের অমান্য করে) তোমাদের কর্ম বিনষ্ট কর না’ (মুহাম্মাদ ৪৭/৩৩)।
11- فَاتَّقُوا اللَّهَ مَا اسْتَطَعْتُمْ وَاسْمَعُوا وَأَطِيعُوا وَأَنْفِقُوا خَيْرًا لِأَنْفُسِكُمْ وَمَنْ يُوقَ شُحَّ نَفْسِهِ فَأُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ.
(১১) ‘তোমরা সাধ্যমত আলস্নাহকে ভয় কর এবং তোমরা শোন, মেনে নাও ও ব্যয় কর তোমাদের নিজেদের কল্যাণের জন্য; যারা তাদের অমত্মরের কার্পণ্য হতে মুক্ত, তারাই সফলকাম’ (তাগাবুন ৬৪/১৬)।
12- تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ يُدْخِلْهُ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ.
(১২) ‘এসব আলস্নাহ্র নির্ধারিত সীমা। অতএব যে আলস্নাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করবে আলস্নাহ তাকে এমন জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত; যেখানে তারা স্থায়ী হবে এবং এটা মহাসাফল্য’ (নিসা ৪/১৩)।
13- وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَالرَّسُولَ فَأُولَئِكَ مَعَ الَّذِينَ أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ مِنَ النَّبِيِّينَ وَالصِّدِّيقِينَ وَالشُّهَدَاءِ وَالصَّالِحِينَ وَحَسُنَ أُولَئِكَ رَفِيقًا
(১৩) ‘যে আলস্নাহ ও রাসূলের আনুগত্য করল সে ঐ ব্যক্তিদের সঙ্গী হবে, যাদের ওপর আলস্নাহ অনুগ্রহ করেছেন; অর্থাৎ নবীগণ, সত্যনিষ্ঠ, শহীদ ও সৎকর্মপরায়ণ এবং এরাই সর্বোত্তম সঙ্গী’ নিসা ৪/৬৯)।
14- أَفَغَيْرَ دِينِ اللَّهِ يَبْغُونَ وَلَهُ أَسْلَمَ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ طَوْعًا وَكَرْهًا وَإِلَيْهِ يُرْجَعُونَ.
(১৪) ‘তারা কী আলস্নাহ্র দ্বীনের পরিবর্তে অন্য দ্বীন চায়? যখন আকাশে ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে তা সমসত্মই ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় তাঁর নিকট আত্মসমর্পণ করেছে। আর তাঁর দিকেই তারা প্রত্যাবর্তিত হবে’ (আলে ইমরান ৩/৮৩)।
15- وَأَطِيعُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَلَا تَنَازَعُوا فَتَفْشَلُوا وَتَذْهَبَ رِيحُكُمْ وَاصْبِرُوا إِنَّ اللَّهَ مَعَ الصَّابِرِينَ.
(১৫) ‘তোমরা আলস্নাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করবে ও নিজেদের মধ্যে বিবাদ করবে না, করলে তোমরা সাহস হারাবে এবং তোমাদের শক্তি বিলুপ্ত হবে। তোমরা ধৈর্যধারণ কর। নিশ্চয় আলস্নাহ ধৈর্যশীলদের সাথেই থাকেন’ (আনফাল ৮/৪৬)।
হাদীছে নববী থেকে :
16- عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِى بُرْدَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ النَّبِىَّ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ مُعَاذًا وَأَبَا مُوسَى إِلَى الْيَمَنِ قَالَ يَسِّرَا وَلاَ تُعَسِّرَا وَبَشِّرَا وَلاَ تُنَفِّرَا وَتَطَاوَعَا وَلاَ تَخْتَلِفَا.
(১৬) আবু সাঈদ ইবনু আবু বুরদা (রাঃ) তাঁর পিতা তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন, নবী করীম (ছাঃ) মু‘আয ও আবু মূসাকে ইয়ামানে প্রেরণের সময় বলেন, তোমরা লোকদের প্রতি কোমলতা করবে, কঠোরতা করবে না। সুসংবাদ দিবে, ঘৃণা সৃষ্টি করবে না। পরস্পর একমত হবে, মতভেদ করবে না (বুখারী হা/৩০৩৮; মুসলিম হা/৪৬২৩)।
(17) عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اسْمَعُوا وَأَطِيعُوا وَإِنِ اسْتُعْمِلَ عَلَيْكُمْ عَبْدٌ حَبَشِىٌّ كَأَنَّ رَأْسَهُ زَبِيبَةٌ.
(১৭) আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) বলেন, রাসূলুলস্নাহ (ছাঃ) বলেন, যদি তোমাদের ওপর এমন কোন হাবশী গোলামকেও শাসক হিসাবে নিযুক্ত করা হয়, যার মাথাটি কিসমিশের মত তবুও তার কথা শোন ও আনুগত্য কর (বুখারী হা/৭১৪২; মিশকাত হা/৩৬৬৩)।
(18) عَنْ أَبِى مُوسَى الأَشْعَرِىِّ رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَدَّبَ الرَّجُلُ أَمَتَهُ فَأَحْسَنَ تَأْدِيبَهَا وَعَلَّمَهَا فَأَحْسَنَ تَعْلِيمَهَا ثُمَّ أَعْتَقَهَا فَتَزَوَّجَهَا كَانَ لَهُ أَجْرَانِ وَإِذَا آمَنَ بِعِيسَى ثُمَّ آمَنَ بِى فَلَهُ أَجْرَانِ وَالْعَبْدُ إِذَا اتَّقَى رَبَّهُ وَأَطَاعَ مَوَالِيَهُ فَلَهُ أَجْرَانِ.
(১৮) আবু মূসা আল-আশ‘আরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুলস্নাহ (ছাঃ) বলেছেন, যদি কোন ব্যক্তি তার দাসীকে শিষ্টাচার শেখায় এবং তা উত্তমভাবে শেখায় এবং তাকে দ্বীন শেখায় আর তা উত্তমভাবে শেখায়। অতঃপর তাকে মুক্ত করে বিয়ে করে তার জন্য দ্বিগুণ নেকী রয়েছে। আর যদি কেউ ঈসা (আঃ)-এর প্রতি ঈমান আনে অতঃপর আমার প্রতি ঈমান আনে, তাহলে তার জন্য দু’টি নেকী রয়েছে। আর দাস যদি তার প্রভুকে ভয় করে এবং তার মনিবকে মান্য করে, তাহলে তার জন্য দু’টি নেকী রয়েছে (বুখারী হা/৩৪৪৬)।
(19) عَنْ أَبِى ذَرٍّ قَالَ إِنَّ خَلِيلِى أَوْصَانِى أَنْ أَسْمَعَ وَأُطِيعَ وَإِنْ كَانَ عَبْدًا مُجَدَّعَ الأَطْرَافِ وَأَنْ أُصَلِّىَ الصَّلاَةَ لِوَقْتِهَا فَإِنْ أَدْرَكْتَ الْقَوْمَ وَقَدْ صَلَّوْا كُنْتَ قَدْ أَحْرَزْتَ صَلاَتَكَ وَإِلاَّ كَانَتْ لَكَ نَافِلَةً.
(১৯) আবু যার (রাঃ) বলেন, আমার বন্ধু (রাসূলুলস্নাহ ছাঃ) আমাকে এ মর্মে অছিয়ত করেছেন যে, তুমি শুনবে এবং আনুগত্য করবে যদিও সে কানকাটা গোলাম হয়। আর তুমি সময়মত ছালাত আদায় করবে। যদি তুমি এমন কোন গোত্রকে পেয়ে যাও এমন অবস্থায় যে, তারা ছালাত আদায় করছে তবে তাদের সাথে ছালাতে যোগ দান কর। কেননা এটা তোমার জন্য নফল হবে (মুসলিম হা/১৪৯৯)।
(20) عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ بَايَعْتُ النَّبِىَّ صلى الله عليه وسلم عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ فَلَقَّنَنِى فِيمَا اسْتَطَعْتُ وَالنُّصْحِ لِكُلِّ مُسْلِمٍ.
(২০) জারীর ইবনু আব্দুলস্নাহ (রাঃ) বলেন, আমি নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট তাঁর কথা শুনার ও তাঁর আনুগত্য করার এবং সকল মুসলিমের জন্য কল্যাণ কামনার বায়‘আত করলাম। তিনি আমাকে এটাও শিখিয়ে দিলেন যে, যতটা আমি সÿম হব (বুখারী হা/৭২০৪; মুসলিম হা/২১০)।
(21) عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ قَالَ بَايَعْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ فِى الْعُسْرِ وَالْيُسْرِ وَالْمَنْشَطِ وَالْمَكْرَهِ وَأَنْ لاَ نُنَازِعَ الأَمْرَ أَهْلَهُ وَأَنْ نَقُولَ بِالْحَقِّ حَيْثُمَا كُنَّا وَلاَ نَخَافَ فِى اللَّهِ لَوْمَةَ لاَئِمٍ.
(২১) ওবাদা ইবনু ছামেত (রাঃ) বলেন, আমরা রাসূলুলস্নাহ (ছাঃ)-এর নিকট এই মর্মে বায়‘আত করলাম যে, আমরা আপনার কথা শুনব ও মেনে চলব স্বচ্ছলতায় ও অস্বচ্ছলতায়, সন্তুষ্টিতে ও অসন্তুষ্টিতে। আমরা আমাদের উপর কাউকে প্রাধান্য দেওয়ার ব্যাপারে ঝগড়া করব না এবং আমরা যেখানেই থাকি হক্ব বা সত্য কথা বলব। আর এÿÿত্রে কোন নিন্দাকারীর নিন্দাকে পরোয়া করব না (মুসনাদে আহমাদ হা/২২৭৭৭, সনদ ছহীহ)।
(22) عَنْ عَبْدِ اللَّهِ رضى الله عنه عَنِ النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ السَّمْعُ وَالطَّاعَةُ عَلَى الْمَرْءِ الْمُسْلِمِ فِيمَا أَحَبَّ وَكَرِهَ مَا لَمْ يُؤْمَرْ بِمَعْصِيَةٍ فَإِذَا أُمِرَ بِمَعْصِيَةٍ فَلاَ سَمْعَ وَلاَ طَاعَةَ.
(২২) আব্দুলস্নাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী করীম (ছাঃ) বলেন, যতÿণ আলস্নাহ্র নাফরমানীর নির্দেশ না দেয়া হয়, ততÿণ পসন্দনীয় ও অপসন্দনীয় সকল বিষয়ে প্রত্যেক মুসলিমের তা আনুগত্য করা কর্তব্য। আর যখন নাফরমানীর নির্দেশ দেওয়া হবে তখন আর কোন আনুগত্য চলবে না (বুখারী হা/৭১৪৪; মিশকাত হা/৩৬৬৪)।
(23) عَنْ أَبِيْ أُمَامَةَ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ فِى حَجَّةِ الْوَدَاعِ فَقَالَ اتَّقُوا اللَّهَ رَبَّكُمْ وَصَلُّوا خَمْسَكُمْ وَصُومُوا شَهْرَكُمْ وَأَدُّوا زَكَاةَ أَمْوَالِكُمْ وَأَطِيعُوا ذَا أَمْرِكُمْ تَدْخُلُوا جَنَّةَ رَبِّكُمْ.
(২৩) আবু উমামা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুলস্নাহ (ছাঃ)-কে বিদায় হজ্জের ভাষণে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন, তোমরা আলস্নাহকে ভয় কর। দৈনিক পাঁচবার ছালাত আদায় কর, রামাযান মাসের ছিয়াম পালন কর, তোমাদের মালের যাকাত আদায় কর, নেতার নির্দেশ মানবে তাহলে তোমাদের প্রভুর জান্নাতে প্রবেশ করবে (তিরমিযী হা/৬১৬; মিশকাত হা/৫৭১, সনদ ছহীহ)।
(24) عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ كُنَّا نُبَايِعُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ فَيَقُولُ لَنَا فِيمَا اسْتَطَعْتُمْ.
(২৪) ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, আমরা রাসূলুলস্নাহ (ছাঃ)-এর নিকটে তাঁর কথা শুনার ও আনুগত্য করার বায়‘আত করেছিলাম। অতঃপর তিনি আমাদেরকে বলেছিলেন যে, তোমাদের সাধ্যমত (আনুগত্য করবে) (তিরমিযী হা/১৫৯৩, সনদ ছহীহ)।
মনীষীদের বক্তব্য থেকে :
১. আবুল বুখতারী (রহঃ) বলেন, আমি শাসক হওয়া সত্ত্বেও আলস্নাহ্র আনুগত্যকে ভালবাসি।
২. ত্বলক্ব ইবনু হাবীব বলেন, আলস্নাহ্র আনুগত্য করা ও অবাধ্যতা পরিত্যাগ করার নামই তাক্বওয়া।
সারবস্ত্ত
১. আনুগত্য জান্নাতের সুসংবাদ এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তির পথ।
২. বান্দার আত্মিক পরিশুদ্ধি ও হক্বের প্রতি দৃঢ়তার আলামত আনুগত্য।
৩. আনুগত্যের মাধ্যমে হৃদয়ে প্রশামিত্ম আসে।
৪. আনুগত্য আলস্নাহ্র মুহববত ও সন্তুষ্টি লাভের উপায়।
৫. দ্বীনের সত্যায়ন ও একনিষ্ঠতার চিহ্ন হল আনুগত্য।
৬. সর্বাবস্থায় নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্যশীল হতে হবে। নেতার মধ্যে অপসন্দনীয় কিছু দেখলে ধৈর্যধারণ করতে হবে।