অমুসলিমদের যবানীতে হযরত মুহাম্মাদ (ছাঃ)-১

মেহেদী আরীফ 797 বার পঠিত

(১) টমাস কার্লাইল বলেন, "The lies (Western slander) which well-meaning zeal has heaped round this man (Muhammad) are disgraceful to ourselves only." (Heroes and Hero Worship and the Heroic in History, 1840).  

‘যে মিথ্যাগুলো (পশ্চিমা বিদ্বেষমূলক প্রচার) সৎ অভিপ্রায়বিশিষ্ট এই মানুষটির (মুহাম্মাদ) চারপাশে সঞ্চিত করা হয়েছে কেবলমাত্র তা আমাদের জন্য লজ্জাকর’।   

(২) Edward Gibbon বলেন, "The greatest success of Mohammads life was affected by sheer moral force." (History of the Saracen Empire, London, 1870).

‘মুহাম্মদের জীবনের বৃহৎ সাফল্য অর্জিত হয়েছিল এক নির্ভেজাল নৈতিক শক্তির প্রভাবে’।

(৩) Lane-Poole বলেন, He was the most faithful protector of those he protected, the sweetest and most agreeable in conversation. Those who saw him were suddenly filled with reverence; those who came near him loved him; they who described him would say, "I have never seen his like either before or after." He was of great taciturnity, but when he spoke it was with emphasis and deliberation, and no one could forget what he said... (Speeches and Table Talk of the Prophet Muhammad).

‘তিনি যাদেরকে নিরাপত্তা দিয়েছিলেন, তাদের প্রতি তিনি ছিলেন বিশ্বস্ততম নিরাপত্তাদানকারী এবং সর্বাধিক সুমিষ্টভাষী ও সদালাপী। যারা তাকে দেখতে আসতেন, তাদের অন্তর অকস্মাৎভাবে শ্রদ্ধায় ভরে ঊঠত। যারা তাঁর সান্নিধ্যে আসতেন তারা তাঁকে ভালোবাসতেন। তাঁর ব্যাপারে যারাই আলোচনা করতেন তারা বলতেন, ‘পূর্বে ও পরে আমি তাঁর মত মানুষ আর দেখিনি’। তিনি স্বল্পভাষী ছিলেন, কিন্তু তিনি যখন কথা বলতেন তখন এত গুরুত্বসহকারে ও বিচক্ষণতার সাথে বলতেন যে, সে বক্তব্য কারো পক্ষে ভুলে যাওয়া সম্ভব হত না’। 

অস্পষ্টতা ও অনিশ্চয়তা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত এবং কুরআন স্রষ্টার একত্বের একটি মহিমান্বিত দৃষ্টান্ত। পার্থিব ক্ষমতার সর্বোচ্চ শিখরে আরোহণ করেও কেবলমাত্র স্রষ্টার কিংবা তাঁর ফেরেশতাদের পরেই মানব জাতির বিশ্বাসের উপরে এরূপ আইনসম্মত রাজদন্ড পরিচালনা করা সম্ভব।

(৪) Dr. Gustav Weil বলেন, Muhammad was a shining example to his people. His character was pure and stainless. His house, his dress, his food - they were characterized by a rare simplicity. So unpretentious was he that he would receive from his companions no special mark of reverence, nor would he accept any service from his slave which he could do for himself. He was accessible to all and at all times. He visited the sick and was full of sympathy for all. Unlimited was his benevolence and generosity as also was his anxious care for the welfare of the community (History of the Islamic Peoples).

‘মুহাম্মাদ তাঁর জনগণের কাছে ছিলেন একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্তস্বরূপ। তাঁর চরিত্র ছিল বিশুদ্ধ ও কালিমামুক্ত। তাঁর আবাস, তাঁর পোশাক-আশাক, তাঁর খাবার-দাবার ইত্যাদির বৈশিষ্ট্য ছিল অপূর্ব সরল ও সাধারণ। তিনি এতটাই আত্মশ্লাঘামুক্ত ছিলেন যে, তিনি তাঁর সাথীদের থেকে সম্মানীসূচক কিছুই গ্রহণ করতেন না। এমনকি তিনি যে কাজ নিজে করতে পারতেন তা কখনও তাঁর ক্রীতদাস থেকে গ্রহণ করতেন না। তিনি যখন-তখন সর্বস্তরের মানুষের সেবায় নামতে পারতেন। তিনি অসুস্থকে দেখতে যেতেন। সকলের প্রতি তিনি ছিলেন দয়ার্দ্রপ্রাণ। তাঁর বদান্যতা ও উদারতা এবং সমাজের কল্যাণে তাঁর উদ্বেগ ও পেরেশানী ছিল সীমাহীন’।

(৫) Annie Besant বলেন, It is impossible for anyone who studies the life and character of the great Prophet of Arabia, who knew how he taught and how he lived, to feel anything but reverence for that mighty Prophet, one of the great messengers of the Supreme. And although in what I put to you I shall say many things which may be familiar to many, yet I myself feel, whenever I reread them, a new way of admiration, a new sense of reverence for that mighty Arabian teacher ('The Life and Teachings of Mohammad,' Madras, 1932).

‘সৃষ্টিকর্তার অন্যতম মহান দূত আরবের এই নবীর প্রতি শ্রদ্ধা অনুভব না করাটা সেই লোকের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব যে তার জীবন ও চরিত্র সম্পর্কে অধ্যয়ন করেছে এবং শিক্ষাদান প্রণালী ও জীবন যাপন পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা রাখে। আমি যা কিছু আপনাদের কাছে উপস্থাপন করেছি তার অনেক কিছুই হয়তো আপনাদের কাছে পরিচিত, কিন্তু তবুও আমি যখনই সেগুলো পুনঃঅধ্যয়ন করি, তখনই সেই মহান আরবীয় শিক্ষকের প্রতি নতুন করে প্রশংসা এবং শ্রদ্ধা অনুভর করি।’

(৬) W.C. Taylor বলেন, So great was his liberality to the poor that he often left his household unprovided, nor did he content himself with relieving their wants, he entered into conversation with them, and expressed a warm sympathy for their sufferings. He was a firm friend and a faithful ally (The History of Muhammadanism and its Sects).

‘গরীবের প্রতি তাঁর বদান্যতা এতটাই অধিক ছিল যে, তিনি প্রায়ই নিজ সংসারকে মাহরুম করে হলেও তাদের অভাব মোচন না করা পর্যন্ত পরিতুষ্ট হতে পারতেন না। তিনি তাদের সাথে কথাবার্তায় সঙ্গ দিতেন এবং তাদের দুঃখে সমবেদনা প্রকাশ করতেন। তিনি ছিলেন একজন পরম বন্ধু এবং বিশ্বস্ত সহযোগী।     

(৭) Michael Hart বলেন, My choice of Muhammad to lead the list of the world's most influential persons may surprise some readers and may be questioned by others, but he was the only man in history who was supremely successful on both the secular and religious level. ...It is probable that the relative influence of Muhammad on Islam has been larger than the combined influence of Jesus Christ and St. Paul on Christianity. ...It is this unparalleled combination of secular and religious influence which I feel entitles Muhammad to be considered the most influential single figure in human history ('The 100, A Ranking of the Most Influential Persons In History,' New York, 1978).

‘বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের তালিকার শীর্ষে মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে আমার চয়ন করায় অনেক পাঠক বিস্মিত হতে পারেন এবং কারো কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। কিন্তু এটাই সত্য যে, তিনিই মানব ইতিহাসের একমাত্র ব্যক্তি যিনি ধর্মীয় ও ইহজাগতিক উভয়ক্ষেত্রেই সর্বাধিক সফল।....সম্ভবতঃ ইসলামের উপর মুহাম্মাদের তুলনামূলক যে প্রভাব, তা খৃষ্টধর্মের উপর যিশুখ্রিষ্ট এবং সেন্ট পলের সম্মিলিত প্রভাবের চেয়ে অধিকতর বেশি।....আমার মনে হয়, এই অতুলনীয় ধর্মীয় ও ইহজাগতিক সুসমন্বয়ই মুহাম্মাদকে মানবজাতির ইতিহাসে একক ব্যক্তি হিসাবে সর্বাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে’।

‘নিতান্ত সাধারণ ঘরে জন্মগ্রহণ করেও তিনি পৃথিবীর অন্যতম প্রধান ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রচারক হিসাবে এবং অতুলনীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতারূপে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন। তাঁর মৃত্যুর তেরশ’ বছর পর আজও তার প্রভাব তেমন প্রবল ও ব্যাপ্তিশীল’।

(৮) Dr. William Draper বলেন, Four years after the death of Justinian, A.D. 569, was born in Mecca, in Arabia, the man who, of all men, has exercised the greatest influence upon the human race... To be the religious head of many empires, to guide the daily life of one-third of the human race, may perhaps justify the title of a Messenger of God (History of Intellectual Development of Europe).

‘জাস্টিনিয়ানের মৃত্যুর চার বছর পর ৫৬৯ খ্রিষ্টাব্দে আরবের মক্কাতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন যে মানুষটি, সকল মানুষের মধ্যে তিনি মানবজাতির উপর সর্বাধিক প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছেন.....বহু সাম্রাজ্যের ধর্মীয় গুরু হিসাবে পরিগণিত হওয়া এবং মানবজাতির এক-তৃতীয়াংশ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের পথপ্রদর্শক হওয়াই সম্ভবত তার জন্য ‘ঈশ্বরের দূত’ হিসাবে আখ্যায়িত হওয়ার যথার্থতা প্রমাণ করেছে’।   

(৯) Stanley Lane-Poole বলেন, He was one of those happy few who have attained the supreme joy of making one great truth in their very life spring. He was the messenger of One God, and never to his life's end did he forget who he was or the message which was the marrow of his being. He brought his tidings to his people with a grand dignity sprung from the consciousness of his high office, together with a most sweet humility (Studies in a Mosque).

‘তিনি ছিলেন সেই সব সুখী মানুষের একজন যিনি জীবনের বসন্তে মহান সত্যের সীমাহীন আনন্দ অর্জন করেছিলেন। তিনি ছিলেন একক ঈশ্বরের বার্তাবাহক এবং জীবনের শেষ পর্যন্ত তিনি কখনই ভুলে যাননি তিনি কি ছিলেন কিংবা তাঁর আনীত সেই বার্তা, যা ছিল তাঁর অস্তিত্বের মজ্জাস্বরূপ। বিনয় ও দীনতার পরম মধুময় বেশ নিয়ে এবং স্বীয় মহান দায়িত্বের চৈতন্য থেকে উদ্গত মর্যাদার উচ্চাসনে বসে তিনি মানুষের কাছে সুসমাচার পৌঁছে দিয়েছিলেন’।     

(১০) Rodwell বলেন, Mohammad's career is a wonderful instance of the force and life that resides in him who possesses an intense faith in God and in the unseen world. He will always be regarded as one of those who have had that influence over the faith, morals and whole earthly life of their fellow men, which none but a really great man ever did, or can exercise; and whose efforts to propagate a great verity will prosper (The Preface to his translation of the Holy Qur'an).

‘মুহাম্মাদের কর্মজীবন হল তাঁর দেহ মধ্যস্থ সক্রিয়তা ও প্রাণবন্ততার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি ঈশ্বর ও অদৃষ্টের প্রতি অগাধ বিশ্বাসী ছিলেন। বিশ্বাস, নীতি-নৈতিকতা এবং স্বীয় জনগণের সমগ্র জাগতিক জীবনে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হওয়া এমন সব মহামানবদের মধ্যে তিনি সর্বদা অন্যতম একজন হিসেবে বিবেচিত হবেন।  কেননা একজন প্রকৃত মহামানব ছাড়া এমন কিছু কেউ করতে পারে না কিংবা প্রয়োগ করতে পারে না এবং একটা মহাসত্যকে প্রচারের চেষ্টা কারো এত সাফল্যমন্ডিত হতে পারে না’।

(১১) George Bernard Shaw, বলেন, "I have always held the religion of Muhammad in high estimation because of its wonderful vitality.  It is the only religion which appears to me to possess that assimilating capacity to the changing phase of existence which can make itself appeal to every age. “I have studied him (Muhammad PBUH) - the wonderful man and in my opinion for from being an anti-Christ, he must be called the Savior of Humanity. I believe that if a man like him were to assume the dictatorship of the modern world, he would succeed in solving its problems in a way that would bring it much needed peace and happiness.”(The Genuine Islam).

‘আমি সর্বদাই মুহাম্মাদের ধর্মকে উচ্চ মূল্যায়ন করি এর মধ্যস্থ অনন্য সাধারণ প্রাণশক্তির কারণে। আমার কাছে মনে হয়েছে এটাই একমাত্র ধর্ম যেটা পরিবর্তনশীল পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে চলার ক্ষমতা রাখে এবং যার আবেদন সর্বযুগেই অক্ষুণ্ণ থাকতে পারে। আমি মুহাম্মাদের জীবনী পাঠ করেছি। তিনি এমন এক অসাধারণ মানুষ যাকে এ্যন্টি ক্রাইস্ট বা যিশুবিরোধী না বলে বরং অবশ্যই অভিহিত করা উচিৎ মানবজাতির ত্রাতা হিসাবে। আমি বিশ্বাস করি তার মত একজন মানুষ যদি আধুনিক বিশ্ব পরিচালনার জন্য একনায়ক শাসক হিসাবে নিয়োজিত হতেন, তবে এ বিশ্বের সমস্যাগুলো তিনি এমনভাবে বিদূরিত করতে সক্ষম হতেন যে, বহুল প্রত্যাশিত সুখ ও শান্তি আবার পৃথিবীতে ফিরে আসত’।       

(১২) Leo Tolstoy বলেন, “Muhammad has always been standing higher than the Christianity. He does not consider god as a human being and never makes himself equal to God. Muslims worship nothing except God and Muhammad is his Messenger. There is no any mystery and secret in it” (The Prophet Muhammed's Words and Behaviour).

‘মুহাম্মাদ খৃষ্টবাদ থেকে অনেক ঊর্ধ্বে অবস্থান করছেন। তিনি ইশ্বরকে কোন মানবিক স্বত্তা রূপে কল্পনা করেননি এবং কখনই নিজেকে ইশ্বরের সমকক্ষ হিসাবে স্থাপন করেননি। মুসলমানরা ইশ্বর ছাড়া অন্য কারো উপাসনা করে না এবং মুহাম্মাদকে কেবল তাঁর প্রেরিত রাসূল হিসাবে বিশ্বাস করে। এতে কোন রহস্য ও গোপনীয়তার স্থান নেই’।

(১৩) মহাত্মা গান্ধী বলেন, I  wanted to know the best of the life of one who holds today an undisputed sway over the hearts of millions of mankind.... I became more than ever convinced that it was not the sword that won a place for Islam in those days in the scheme of life. It was the rigid simplicity, the utter self-effacement of the Prophet, the scrupulous regard for pledges, his intense devotion to his friends and followers, his intrepidity, his fearlessness, his absolute trust in God and in his own mission. These and not the sword carried everything before them and surmounted every obstacle. When I closed the second volume (of the Prophet's biography), I was sorry there was not more for me to read of that great life. (statement published in 'Young India,'1924).

‘আমি জানতে চেয়েছিলাম সর্বাধিক উত্তম এমন কারো জীবনী সম্পর্কে যিনি লক্ষ লক্ষ মানুষের অন্তর জুড়ে অবিসংবাদিত প্রভাব বিস্তার করে আছেন।...আমি এখন আগের চেয়ে অনেক বেশী উপলব্ধি করতে পারছি যে, সেই সময় মানুষের জীবন-যাপন পদ্ধতিতে ইসলামের যে বিজয় ঘটেছিল, তা তরবারীর জোরে আসেনি। বরং তা এসেছিল পরম সরলতা, নবীজীর প্রবল আত্মপ্রচারবিমুখতা, প্রতিশ্রুতি রক্ষার ব্যাপারে সতর্কতা, বন্ধু ও সঙ্গী-সাথীদের প্রতি গভীর অনুরাগ, নিঃশংকচিত্ততা, নির্ভীকতা এবং আল্লাহর প্রতি ও নিজের দাওয়াতী মিশনের প্রতি পূর্ণ আস্থাশীলতার মাধ্যমে। তরবারীর মাধ্যমে নয়, বরং এসব গুণাবলীর মাধ্যমেই বিজয় মুসলমানদের হাতে ধরা দিয়েছিল এবং তাদেরকে যাবতীয় বাধা-বিপত্তির পাহাড় পাড়ি দিতে সহায়তা করেছিল। আমি যখন তাঁর (নবীর) জীবনীর দ্বিতীয় খন্ডটি পড়ে শেষ করলাম, আমার আফসোস হচ্ছিল এজন্য যে, এই মহান জীবনীর আরও কিছু পড়া বাকি রয়ে গেল’।

(১৪) Alphonse de Lamartine বলেন, “Philosopher, orator, apostle, legislator, warrior, conqueror of ideas, restorer of rational dogmas, of a cult without images, the founder of twenty terrestrial empires and of one spiritual empire: that is MUHAMMAD. As regards all the standards by which human greatness may be measured, we may well ask IS THERE ANY MAN GREATER THAN HE? (History of Turkey Historie de la Turquie, Paris 1854, Vol. 11 pp. 276-277).

‘একাধারে দার্শনিক, বক্তা, সংস্কারক বা নতুন মতবাদের প্রচারক, আইনপ্রণেতা, যোদ্ধা, বিজয়ী, যৌক্তিক ধর্মমতের পুনরুদ্ধারকারী, প্রতিমাহীন উপাসনাপদ্ধতি উদ্ভাবনকারী, একটি আধ্যাত্মিক সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাকারী ছিলেন মুহাম্মদ (ছাঃ)। মানুষের মহত্ব পরিমাপের সকল মানদন্ড অনুসারে আমরা জিজ্ঞেস করতে পারি তার চেয়ে বড় আর কেউ আছেন কি?’

(১৫) তিনি আরো বলেন, “If greatness of purpose, smallness of means, and astonishing results are the three criteria of a human genius, who could dare compare any great man in history with Muhammad?”

‘উদ্দেশ্যের মহত্ব ও উপকরণের স্বল্পতার সাথে বিস্ময়কর ফলাফল অর্জন যদি হয়ে থাকে অতিমানবীয় প্রতিভার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত; তবে ইতিহাসে এমন আর কোন মহাপ্রাণ ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়ার সাধ্য কি কারো আছে যাকে মুহাম্মাদের সাথে তুলনা করা সম্ভব?’

অনুবাদ : মেহেদী আরীফ

[ লেখক : সভাপতি, বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ, ঢাবি]



বিষয়সমূহ: আদর্শ জীবন
আরও