তাওয়াক্কুল বা আল্লাহর উপর ভরসা
তাওহীদের ডাক ডেস্ক
তাওহীদের ডাক ডেস্ক 530 বার পঠিত
আল-কুরআনুল কারীম :
1 -قُلْ أَتُحَاجُّونَنا فِي اللهِ وَهُوَ رَبُّنا وَرَبُّكُمْ وَلَنا أَعْمالُنا وَلَكُمْ أَعْمالُكُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُخْلِصُونَ.
‘বলুন! আল্লাহ সম্বন্ধে তোমরা কী আমাদের সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত হতে চাও? যখন তিনি আমাদের প্রভু এবং তোমাদেরও প্রভু। আমাদের কর্ম আমাদের এবং তোমাদের কর্ম তোমাদের; আমরা তাঁর প্রতি একনিষ্ঠ’ (বাক্বারাহ ২/১৩৯)।
২- قُلْ أَمَرَ رَبِّي بِالْقِسْطِ وَأَقِيمُوا وُجُوهَكُمْ عِنْدَ كُلِّ مَسْجِدٍ وَادْعُوهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ كَما بَدَأَكُمْ تَعُودُونَ.
‘বলুন! আমার প্রতিপালক নির্দেশ দিয়েছেন ন্যায়বিচারের। প্রত্যেক ছালাতে তোমাদের লক্ষ্য স্থির রাখবে এবং তাঁরই আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে একনিষ্ঠভাবে তাঁকে ডাকবে। তিনি যেভাবে প্রথমে তোমাদিগকে সৃষ্টি করেছেন তোমরা সেভাবে ফিরে আসবে’ (আ‘রাফ ৭/২৯)।
৩- هُوَ الْحَيُّ لا إِلهَ إِلَّا هُوَ فَادْعُوهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعالَمِينَ
‘তিনি চিরঞ্জীব, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। সুতরাং তোমরা তাঁকে ডাক-তাঁর আনুগত্যে একনিষ্ঠ হয়ে; সমস্ত প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই’ (মুমিন ৪০/৬৫)।
4- فَإِذا رَكِبُوا فِي الْفُلْكِ دَعَوُا اللهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ فَلَمَّا نَجَّاهُمْ إِلَى الْبَرِّ إِذا هُمْ يُشْرِكُونَ.
‘তারা যখন নৌযানে আরোহণ করে তখন তারা বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহকে ডাকে। অতঃপর তিনি যখন স্থলে ভিড়িয়ে দিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করেন, তখন তারা শিরকে লিপ্ত হয়’ (‘আনকাবূত ২৯/৬৫-৬৬)।
৫- وَلَقَدْ هَمَّتْ بِهِ وَهَمَّ بِها لَوْ لا أَنْ رَأى بُرْهانَ رَبِّهِ كَذلِكَ لِنَصْرِفَ عَنْهُ السُّوءَ وَالْفَحْشاءَ إِنَّهُ مِنْ عِبادِنَا الْمُخْلَصِينَ
‘সেই রমণী (যুলায়খা) তো তার প্রতি আসক্ত হয়েছিল এবং সেও তার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ত, যদি না সে তার প্রতিপালকের নিদর্শন প্রত্যক্ষ করত। আমি তাকে মন্দ কর্ম ও অশ্লীলতা হতে বিরত রাখার জন্য এভাবে নিদর্শন দেখিয়েছিলাম। সে তো ছিল আমার বিশুদ্ধচিত্ত বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত’ (ইউসুফ ১২/২৪)।
৬- قُلْ إِنِّي أُمِرْتُ أَنْ أَعْبُدَ اللهَ مُخْلِصاً لَهُ الدِّينَ، وَأُمِرْتُ لِأَنْ أَكُونَ أَوَّلَ الْمُسْلِمِينَ
‘বলুন, আমি তো আদিষ্ট হয়েছি আল্লাহর আনুগত্যে একনিষ্ঠ হয়ে তাঁর ইবাদত করতে। আর আদিষ্ট হয়েছি আমি যেন আত্মসমর্পণকারীদের অগ্রণী হই’ (যুমার ৩৯/১১-১২)।
৭- وَما أُمِرُوا إِلَّا لِيَعْبُدُوا اللهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ حُنَفاءَ وَيُقِيمُوا الصَّلاةَ وَيُؤْتُوا الزَّكاةَ وَذلِكَ دِينُ الْقَيِّمَةِ
‘তারা তো আদিষ্ট হয়েছিল আল্লাহর আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে একনিষ্ঠভাবে তাঁর ইবাদত করতে এবং ছালাত ক্বায়েম করতে ও যাকাত দিতে, ইহাই সঠিক দ্বীন’ (বাইয়েনাহ ৯৮/৪-৫)।
8- إِنَّ الْمُنافِقِينَ فِي الدَّرْكِ الْأَسْفَلِ مِنَ النَّارِ وَلَنْ تَجِدَ لَهُمْ نَصِيراً،إِلَّا الَّذِينَ تابُوا وَأَصْلَحُوا وَاعْتَصَمُوا بِاللهِ وَأَخْلَصُوا دِينَهُمْ لِلَّهِ فَأُولئِكَ مَعَ الْمُؤْمِنِينَ وَسَوْفَ يُؤْتِ اللهُ الْمُؤْمِنِينَ أَجْراً عَظِيماً
‘মুনাফিকগণ তো জাহান্নামের নিম্ন স্তরে থাকবে এবং তাদের জন্য তুমি কখনও কোন সহায় পাবে না। কিন্তু যারা তওবা করে, নিজেদেরকে সংশোধন করে, আল্লাহকে দৃঢ়ভাবে অবলম্বন করে এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যে তাদের দ্বীনে একনিষ্ঠ থাকে, তারা মুমিনদের সঙ্গে থাকবে এবং মুমিনগণকে আল্লাহ অবশ্যই মহাপুরস্কার দিবেন’ (নিসা ৪/১৪৫-১৪৬)।
9- وَإِنْ كانُوا لَيَقُولُونَ، لَوْ أَنَّ عِنْدَنا ذِكْراً مِنَ الْأَوَّلِينَ، لَكُنَّا عِبادَ اللهِ الْمُخْلَصِينَ، فَكَفَرُوا بِهِ فَسَوْفَ يَعْلَمُونَ.
‘এরাই তো বলে আসছে। পূর্ববর্তীদের কিতাবের মত যদি আমাদের কোন কিতাব থাকত; আমরা অবশ্যই আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দা হতাম। কিন্তু তারা কুরআন প্রত্যাখ্যান করল এবং শীঘ্রই তারা জানতে পারবে’ (ছাফফাত ৩৭/১৬৭-১৭০)।
10- وَاذْكُرْ عِبادَنا إِبْراهِيمَ وَإِسْحاقَ وَيَعْقُوبَ أُولِي الْأَيْدِي وَالْأَبْصارِ، إِنَّا أَخْلَصْناهُمْ بِخالِصَةٍ ذِكْرَى الدَّارِ.
‘স্মরণ করুন, আমার বান্দা ইবরাহীম, ইসহাক্ব ও ইয়াকূবের কথা, তারা ছিল শক্তিশালী ও সূক্ষ্মদর্শী। আমি তাদেরকে এক বিশেষ গুণের অধিকারী করেছিলাম, যা ছিল পরলোকের স্মরণ’ (ছোয়াদ ৩৮/৪৫-৪৬)।
হাদীছে নববী থেকে :
11- عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ إِذَا صَلَّيْتُمْ عَلَى الْمَيِّتِ فَأَخْلِصُوا لَهُ الدُّعَاءَ.
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, যখন তোমরা মৃত ব্যক্তির ছালাত আদায় করবে তখন তার জন্য একনিষ্ঠচিত্তে দো‘আ করবে (আবুদাঊদ হা/৩১৯৯; ইবনু মাজাহ হা/১৪৯৭; মিশকাত হা/১৬৭৪, সনদ হাসান)।
12- عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَسْعَدُ النَّاسِ بِشَفَاعَتِى يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ خَالِصًا مِنْ قَلْبِهِ أَوْ نَفْسِهِ.
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, ক্বিয়ামতের দিন আমার শাফা‘আতের সৌভাগ্যবান হবে সেই ব্যক্তি, যে একনিষ্ঠচিত্তে ও হৃদয় দিয়ে ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’ বলবে (বুখারী, মিশকাত হা/৫৫৭৪)।
13- عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا قَالَ عَبْدٌ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ قَطُّ مُخْلِصًا إِلاَّ فُتِحَتْ لَهُ أَبْوَابُ السَّمَاءِ حَتَّى تُفْضِىَ إِلَى الْعَرْشِ مَا اجْتَنَبَ الْكَبَائِرَ.
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি একনিষ্ঠচিত্তে ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’ বলবে, তার জন্য আসমানের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করা হবে। এমনকি আরশ পর্যন্ত এর নেকী পৌঁছানো হবে; যদি সে কাবীরা গোনাহসমূহ থেকে বিরত থাকে (তিরমিযী হা/৩৫৯০; ছহীহুল জামে‘ হা/৫৬৪৮, সনদ হাসান)।
14- عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ اللهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى أَنَا أَغْنَى الشُّرَكَاءِ عَنِ الشِّرْكِ مَنْ عَمِلَ عَمَلاً أَشْرَكَ فِيهِ مَعِى غَيْرِى تَرَكْتُهُ وَشِرْكَهُ.
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আমি অংশীবাদীদের অংশীবাদ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। যে ব্যক্তি কোন আমলে আমার সাথে অন্যকে শরীক করে আমি তাকে তার সেই শিরকসহ বর্জন করি। অপর এক বর্ণনায় আছে, তার সাথে আমর কোন সম্পর্ক নেই। বস্ত্ততঃ ঐ কাজ বা আমলটি তার জন্যই গণ্য হবে, যার জন্য সে করেছে (মুসলিম হা/৭৬৬৬; মিশকাত হা/’৫৩১৫)।
15- عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ لاَ يَنْظُرُ إِلَى صُوَرِكُمْ وَأَمْوَالِكُمْ وَلَكِنْ يَنْظُرُ إِلَى قُلُوبِكُمْ وَأَعْمَالِكُمْ.
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ মানুষের চেহারা ও ধন-সম্পদের দিকে দৃষ্টি দিবেন না; বরং তিনি মানুষের অন্তর ও আমলের দিকে দৃষ্টি দিবেন (মুসলিম হা/৬৭০৮; মিশকাত হা/৫৩১৪)।
16- عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّةِ وَإِنَّمَا لاِمْرِئٍ مَا نَوَى فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى اللهِ وَرَسُولِهِ فَهِجْرَتُهُ إِلَى اللهِ وَرَسُولِهِ وَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ لِدُنْيَا يُصِيبُهَا أَوِ امْرَأَةٍ يَتَزَوَّجُهَا فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ.
ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, প্রত্যেক কাজ নিয়তের উপর নির্ভরশীল। যে ব্যক্তি যার জন্য নিয়ত করবে সে তাই পাবে। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দিকে হিজররত করবে তার হিজরতে তার দিকেই গণ্য হবে। আর যার হিজরত কোন নারীকে বিবাহ করার উদ্দেশ্যে হবে তার হিজরত সেদিকেই গণ্য হবে, যার দিকে সে হিজরত করেছে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১)।
17- عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ تَكَفَّلَ اللهُ لِمَنْ جَاهَدَ فِى سَبِيلِهِ لاَ يُخْرِجُهُ إِلاَّ الْجِهَادُ فِى سَبِيلِهِ وَتَصْدِيقُ كَلِمَاتِهِ بِأَنْ يُدْخِلَهُ الْجَنَّةَ أَوْ يَرْجِعَهُ إِلَى مَسْكَنِهِ الَّذِى خَرَجَ مِنْهُ مَعَ مَا نَالَ مِنْ أَجْرٍ أَوْ غَنِيمَةٍ.
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে জিহাদ করে এবং তাঁহারই বাণীর প্রতি দৃঢ় আস্থায় তাঁরই পথে জিহাদের উদ্দেশ্যে বের হয়, আল্লাহ তার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, হয় তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন অথবা সে যে ছাওয়াব ও গণীমত লাভ করেছে তা সমেত তাকে ঘরে ফিরাবেন, যেখান হতে সে জিহাদের উদ্দেশ্যে বের হয়েছিল (বুখারী হা/৩১২৩; মুসলিম হা/৪৯৬৯)।
18-عَنْ عُتْبَانَ بْنِ مَالِكِ الْأَنْصَارِيَّ قَالَ غَدَا عَلَىَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَنْ يُوَافِىَ عَبْدٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَقُولُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ يَبْتَغِى بِهِ وَجْهَ اللهِ إِلاَّ حَرَّمَ اللهُ عَلَيْهِ النَّارَ.
ঊতবান বিন মালেক আল-আনছারী (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) সকালে আমার নিকট আসলেন এবং বললেন, আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় যে ব্যক্তি ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’ বলবে এবং এ বিশ্বাস সহকারে ক্বিয়ামতের দিন উপস্থিত হবে, আল্লাহ তার উপর জাহান্নাম হারাম করে দিবেন (বুখারী হা/৬৪২৩)।
19- عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ طَلَبَ الشَّهَادَةَ صَادِقًا أُعْطِيَهَا وَلَوْ لَمْ تُصِبْهُ.
আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রকৃতার্থে শাহাদত কামনা করে তবে তাকে সে মর্যাদা প্রদান করা হবে যদিও সে তা লাভ করতে না পারে (মুসলিম হা/৫০৩৮)।
20- عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ يَقُولُ اللهُ تَعَالَى مَا لِعَبْدِى الْمُؤْمِنِ عِنْدِى جَزَاءٌ إِذَا قَبَضْتُ صَفِيَّهُ مِنْ أَهْلِ الدُّنْيَا ، ثُمَّ احْتَسَبَهُ إِلاَّ الْجَنَّةُ.
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, আল্লাহ বলেন, আমি যখন আমার মুমিন বান্দার কোন প্রিয়বস্ত্ত দুনিয়া থেকে উঠিয়ে নেয় আর সে ধৈর্য ধারণ করে, আমার কাছে তার জন্য জান্নাত ছাড়া অন্য কিছুই প্রতিদান নেই (বুখারী হা/৬৪২৪; মিশকাত হা/১৭৩১)।
মনীষীদের বক্তব্য থেকে :
১. মাকহূল বলেন, কোন বান্দা কখনো যদি চল্লিশ দিন ইখলাছ অবলম্বন করে, তাহলে তার অন্তর ও রসনা থেকে জ্ঞানের মুক্তা ঝরবে (মাদারিজুস সালেকীন, ২/৯৬ পৃঃ)।
২. ইউসুফ বিন হুসাইন বলেন, পৃথিবীর সবকিছুর মধ্যে ইখলাছই অধিক মর্যাদাবান।
৩. ইখলাছ বা একনিষ্ঠতা আল্লাহ ও বান্দার মাঝের গোপনীয় বিষয়। ফেরেশতাও জানতে পারে না যে, তিনি তা লিখবেন। শয়তানও জানতে পারে না যে, তাকে নষ্ট করবে। আর প্রবৃত্তিও বুঝতে পারে না যে, তাকে দুর্বল করবে (মাদারিজুস সালেকীন, ২/৯৫ পৃঃ)।
৪. ইবনুল ক্বাইয়িম বলেন, ইখলাছ বিহীন আমল ও ইকতেদা ঐ মুসাফিরের মত, যে থলিতে বালি ভর্তি করে বহন করে কিন্তু তার থেকে উপকৃত হয় না (আল-ফাওয়াইদ, পৃঃ ৬৭)।
সারবস্ত্ত :
১. ইখলাছ হল কথা ও আমলসমূহ গ্রহণীয় হওয়ার মৌলিক ভিত্তি।
২. ইখলাছ দো‘আ কবুলের মূল শিকড়।
৩. ইখলাছ দুনিয়া ও আখেরাতে মানুষের মর্যাদাকে সমুন্নত করে।
৪. ইখলাছ মানুষকে ভুল ও কুমন্ত্রণা থেকে দূরে রাখে।
৫. ইখলাছের কারণে সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় হয় এবং উম্মতকে এর দ্বারা আল্লাহ সাহায্য করেন।