দক্ষিণ এশিয়ায় আহলেহাদীছ আন্দোলন

প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব 356 বার পঠিত

আধুনিক যুগ : ২য় পর্যায় (ক)

دور الجديد : المرحلة الثانية (الف)

জিহাদ আন্দোলন ১ম পর্যায় শহীদায়েন (রহঃ)

حركة الجهاد للشهيدين

(১১৯৩-১২৪৬/১৭৭৯-১৮৩১) ৫২ বৎসর 

পৃথিবীর বুকে এযাবত সৃষ্ট যেকোন সংস্কার প্রচেষ্টা মূলতঃ দু’ভাবেই সম্পাদিত হয়েছে। ১- চিন্তাধারার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনয়নের মাধ্যমে ২- রাজনৈতিক বিজয় সাধনের মাধ্যমে। প্রথমোক্তটিই সর্বাপেক্ষা মোক্ষম হাতিয়ার এবং স্থায়ী ফলদানকারী। দ্বিতীয়টি ক্ষণস্থায়ী এমনকি স্থায়ী হলেও তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানুষের নৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তন সাধনে ব্যর্থ হয়। উপমহাদেশে অন্যূন সাড়ে ছয় শো বছরের মুসলিম শাসন (১২০৬-১৮৬২ খৃঃ) ও প্রায় দু’শো বছরের (১৭৫-১৯৪৭ খৃঃ) ইংরেজ শাসন উক্ত ব্যর্থতার বাস্তব দলীল।

শাহ অলিউল্লাহ মুহাদ্দিছ যে যুগে দিল্লীতে জন্মগ্রহণ করেন, সেযুগে রাজধানী দিল্লীসহ সারা উপমহাদেশের ইসলামের চরম দুর্দিন ছিল। রাজনৈতিক দিক দিয়ে দিল্লীর মুসলিম সিংহাসন যেমন হিন্দু, মারাঠা ও ইংরেজ শক্তির হুম্কির সম্মুখীন ছিল, ধর্মীয় দিক দিয়েও তেমনি মুসলিম নেতৃবৃন্দ ও জনগণের অধিকাংশ চরম দেউলিয়াত্বের কিনারায় পেঁŠছে গিয়েছিল। ব্যাপক নৈতিক ধ্বস নামার ফলে তাদের মধ্যে সর্বত্র হীনমন্যতার রোগ সংক্রমিত হয়ে পড়েছিল। এজন্য এসময় প্রয়োজন ছিল এমন একটা প্রচন্ড ঝাঁকুনির, যা ঘুমন্ত মুসলিম জনগণের ঈমানী চেতনা জীবিত করতে পারে এবং মুসলমানের ধর্মীয়, রাজনৈতিক তথা সার্বিক জীবন এক সর্বব্যাপী বিপ্লবের সূচনা করতে পারে। এ সময় শাহ অলিউল্লাহ দেহলভী তাঁর শিক্ষার মাধ্যমে সেই চেতনা সৃস্টি করে যেতে সমর্থ হয়েছিলেন। ধর্মীয় ক্ষেত্রে তিনি এযাবতকালের অনুসৃত তাক্বলীদী জড়তার বিরুদ্ধে যেমন আমল বিল-হাদীছের তূর্যধ্বনি করেছিলেন, রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও তেমনি ইসলামী ঝান্ডাকে সমুন্নত রাখার ব্যাপারে জিহাদের বাস্তাব পথনির্দেশ দান করেছিলেন। তাঁর রেখে যাওয়া পথেই পরবর্তীতে সৃষ্টি হয় ব্যাপকভিত্তিক জিহাদ আন্দোলন ও সেই সাথে শুরু হয় ধর্মীয় ও সমাজ সংস্কারের ক্ষেত্রে আমল বিল-হাদীছ তথা আহলেহাদীছ আন্দোলনের জোয়ার। পরবর্তীতে সশস্ত্র জিহাদ বন্ধ হয়ে গেলেও আহলেহাদীছ আন্দোলনের মাধ্যমে ধর্মীয় ও সমাজ সংস্কারের জিহাদ আজও জারি (لا هجرة بعد الفتح ولكن جهاد و نية. رواه مسلم عن عائشة ح ১৮৬৪) আছে। যেহেতু জিহাদ আন্দোলন ও আহলেহাদীছ আন্দোলন ওতপ্রোতভাবে জড়িত, সেকারণ এক্ষনে আমরা ‘জিহাদ আন্দোলন’ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোকপাত করব।

শাহ অলিউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলভী (১১১৪-১১৭৬/১৭০৩-১৭৬২)-এর বৈপ্লবিক চিন্তাধারায় উদ্বুদ্ধ হ’য়ে এবং তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র শাহ আব্দুল আযীয (১১৫৯-১২৩৯/১৭৪৭-১৮২৪) কর্তৃক বৃটিশ-ভারতকে ‘দারুল হর্ব’ বা যুদ্ধ এলাকা ঘোষণার বাস্তব ফলশ্রুতি হিসাবে ভারত উপমহাদেশে শতাধিক বর্ষব্যাপী জিহাদ আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। অলিউল্লাহ্- পৌত্র স্বনামধন্য আলিম শিরক ও বিদ‘আতের বিরুদ্ধে আপোষহীন ব্যক্তিত্বের অধিকারী ওমর ফারূক (রাঃ)-এর ৩৩তম অধঃস্তন পুরুষ আল্লামা শাহ মুহাম্মাদ ইসমাঈল বিন শাহ আব্দুল গীণ (১১৯৩-১২৪৬/১৭৭৯-১৮৩১) এবং টোংকের নওয়াব আমীর খান পিন্ডারীর সেনাবাহিনীতে র্দীঘ সাত বৎসরব্যাপী প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সমরকুশলী যোদ্ধা রায়বেরেলীর সাইয়িদ আহমাদ (১২০১-১২৪৬ হিঃ/১৭৮৬-১৮৩১ খৃঃ) এই জিহাদের নেতৃত্ব দান করেন।

সাইয়িদ আহমাদ ব্রেলভী আমীর খানের সেনাবাহিনীতে চাকুরী গ্রহণ করেন এবং তাকে তিনি তাঁর অনুসারী বানাতে সক্ষম হন। কিন্তু তিনি পরে ইংরেজের সংগে আপোষ করায় সাইয়িদ আহমাদ ক্ষুদ্ধ হন এবং ভারতের সীমান্ত অঞ্চলে থেকে ইংরেজদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তিনি তৎকালীন ভারতের ইল্মী রাজধানী দিল্লীর অলিউল্লাহ পরিবারের সমর্থন লাভের উদ্দেশ্যে সেখনে গমন করেন। উল্লেখ্য যে, সাইয়িদ আহমাদ মাদরাসা রহীমিয়াতে ইতিপূর্বে দু’বছর লেখাপড়া করেছিলেন। তাছাড়া টোংকের সেনাবাহিনীতে থাকাকালীন মাঝে মধ্যে অনেক চাঁদা আদায় করে তিনি এই মাদরাসায় প্রেরন করতেন। ফলে তাঁর সম্পর্কে অলিউল্লাহ পরিবারে একটি উচ্চ ধারণা পূর্ব থেকেই বিরাজ করেছিল। তিনি দিল্লীতে এলে উস্তাদ মাওলানা শাহ আব্দুল আযীযের ইঙ্গিতে মাওলানা আব্দুল হাই ও মাওলানা শাহ ইসমাঈল তঁর হাতে জিহাদের রায়‘আত গ্রহণ করেন।[1] এর পর থেকেই শুরু হয় ভবিষ্যত সশস্ত্র জিহাদের প্রস্ত্ততিপর্ব।

সাইয়িদ আহমাদ ও শাহ ইসমাঈল দু’জনেই দিল্লীর মাদ্রাসা রহীমিয়ার ছাত্র হওয়ার কারণে শাহ অলিউল্লাহ ও শাহ আব্দুল আযীযের লেখনী ও শিক্ষা দ্বারা উভয়ে গভীরভাবে প্রভাবিত ছিলেন। তাঁদের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক চিন্তাধারার প্রায় সবটুকুই ছিল প্রধানতঃ ‘হুজ্জাতু্ল্লাহিল বালিগাহ্’র লেখনী ও শাহ আব্দুল আযীযের শিক্ষার ফলশ্রুতি। এ সম্পর্কে জনৈক গবেষক যা বলেছেন তা অনেকটা যুক্তিসংগত। ‘সাইয়িদ আহমাদ ব্রেলভীর ধর্মীয় বা রাজনৈতিক মতবাদের মধ্যে এমন কিছুই ছিলনা, যা শাহ অলিউল্লাহ এবং শাহ আব্দুল আযীয পূর্বেই বলে যাননি। তাঁদের মধ্যে পার্থক্য কেবল এতটুকু যে শাহ অলিউল্লাহ ও শাহ আব্দুল আযীয ছিলেন অতীব ধর্মপরায়ণ এবং গভীর পান্ডিত্যের অধিকারী। যাঁরা কলমের লেখনী ও মুখের বাণীর মাধ্যমে ইসলামের খিদমতের পথ বেছে নিয়েছিলেন। পক্ষান্তরে সাইয়িদ আহমাদ ছিলেন বাস্তবক্ষেত্রে একজন কর্মীপুরুষ। লেনিন যেরূপ কার্লমার্কসের রচনা ও বাণীকে বাস্তবরূপ দান করেছিলেন, সাইয়িদ ছাহেবও তেমনি শাহ অলিউল্লাহ এবং আবদুল আযীযের মতবাদকে বাস্তবে রূপায়িত করে গেলেন।’[2]

দূরদর্শী ও প্রজ্ঞাসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব শাহ অলিউল্লাহ দেহলভী মাদরাসা রহীমিয়ার শিক্ষায়তনে ইসলামী ভারতের ভূলুন্ঠিত ঈমানী নেতৃত্বের ঝান্ডাকে পুনরায় উড্ডীন করার কঠিন প্রত্যয় নিয়ে ব্যক্তি তৈরির প্রচেষ্টা শুরু করেন। একদিকে ক্ষুরধার লেখনী, অন্যদিকে মাদরাসায় বসে ছাত্রদের ঈমানী চেতনায় বিপ্লব সৃষ্টির মাধ্যমে তিনি ভবিষ্যতের জন্য নেতৃত্বের যোগা্যতাসম্পন্ন একদল মর্দে মুজাহিদ যুব নেতৃত্ব সৃষ্টি করে যান। সেই মুজাহিদ দলের প্রথম কাতারে ছিলেন তাঁর নিজের চারজন শ্রেষ্ঠ সন্তান। অতঃপর তাঁদের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় আল্লামা ইসমাঈল, আল্লামা আব্দুল হাই ও সাইয়িদ আহমাদ ব্রেলভীর মত ভবিষ্যত মুজাহিদ নেতৃবৃন্দ।

জিহাদ আন্দোলনের রাজনৈতিক চিন্তাধারা কী ছিল, তা কিছুটা আঁচ করা যায় আল্লামা শাহ ইসমাঈল শহীদের গবেষণাসমৃদ্ধ অমূল্য রচনা ‘মানছাবে ইমামত’ ফারসী গ্রন্থটি পাঠ করলে। ইমামতের তাৎপর্য ও কর্তব্য সম্বন্ধে আলোচনা করতে গিয়ে শাহ ছাহেব স্পষ্টভাবে বলেন যে, ‘‘সিয়াসাতের তাৎপর্য হ’ল ইমামত ও হুকুমতের মাধ্যমে আল্লাহর বান্দাদিগের এমন আইনের সাহায্যে শাসনকার্য পরিচালনা করা, যে আইন তাদের ইহলৌকিক ও পারলৌকিক জীবনের জন্য কল্যাণপ্রদ। এখানে মৌলিক নীতি হবে ব্যক্তি বা ব্যাষ্টিস্বার্থে জনগণের শোষণের পরিবর্তে নিঃস্বার্থভাবে তাদের কল্যাণ সাধন।’[3]

অতঃপর তিনি রাজনীতিকে সিয়াসাতে ঈমানী ও সিয়াসাতে সুলতানী দু’ভাগে ভাগ করে ব্যক্তিশাসনের পরিবর্তে ঈমানী শাসনের রূপরেখা তুলে ধরেছেন। সেই হারিয়ে যাওয়া ঈমানী শাসন প্রতিষ্ঠার দূঢ় প্রত্যয় নিয়েই ভবিষ্যত ঈমানী রাষ্ট্রের রূপকার আল্লামা শাহ ইসমাঈল ও সাইয়িদ আহমাদ ব্রেলভীর হাতে জিহাদের বায়‘আত গ্রহণ করেছিলেন। আম্ব, পাঞ্জতার ও পেশোয়ারে তারই সূচনা করেছিলেন তাঁরা নিজেদের হাতেই। তাঁদের এই শুভসূচনা ভবিষ্যতের স্বাধীন ইসলামী আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের প্রথম সূতিকাগ্রহ বৈ কিছুই ছিলনা।

জীবনীকার আল্লামা আবুল হাসান আলী নদভী আলী শাহ ইসমাঈল সম্পর্কে বলেন যে, ‘তিনি শাহ অলিউল্লাহর খান্দানের পবিত্র বৃক্ষের (شجره طوبى) একটি শাখা, শাহ ছাহেবের খ্যাতনামা পৌত্র, শাহ আব্দুল গণীর পরকালীন নাজাত ও মাগফিরাতের অছীলা-সন্তান, শাহ আব্দুল আযীয, শাহ আব্দুল কাদের ও শাহ রফীউদ্দীনের প্রিয়তম ভাতীজা ও দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী শাগরিদ। শুধু তাই নয়, তিনি এমন এক ব্যক্তি যিনি যে কওম ও যে দেশে জন্মগ্রহণ করেন সে কওম ও সে দেশের জন্য গর্বের বস্ত্ত হিসাবে গণ্য হন। তিনি ইসলামের সেই সব দূঢ়প্রতিজ্ঞা, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন, প্রতিভাবান, দুঃসাহসী ও অসাধারণী প্রতিভাবানদের অন্তর্ভুক্ত- শত শত বৎসরেও যাঁদের দু’একজন কদাচিৎ জন্মগ্রহণ করে থাকেন।’[4]

আল্লামা ইকবাল (১৮৭৩-১৯৩৮ খৃঃ) তাঁর সম্পর্কে বলেন, ‘ভারতবর্ষে এযাবৎ মাত্র একজন মৌলভীর জন্ম দিয়েছে, তিনি হলেন মৌলভী মুহাম্মাদ ইসমাঈল।’[5]

প্রসংগতঃ বলা যায় যে, তিনি কেবল শিব ও ইংরেজ বিতাড়নের যুদ্ধেই অবদান রাখেননি। বরং ইসলামের নামে মুসলিম সমাজে পুঞ্জীভূত কুসংস্কার সমূহের বিরুদ্ধেও ঘোষনা করেছিলেন আপোসহীন জিহাদ। আর সেজন্য তিনি সমসাময়িক ওলামা ও রেওয়াজপন্থী মুসলমানদের নিকট দারুনভাবে ধিকৃত হন। এমনকি কৃফরী ফৎওয়ারও সম্মুখীন হন। কিন্তু তাঁর এই আপোষহীণ জিহাদী আন্দোলন পরোক্ষভাবে আহলেহাদীছ আন্দোলনকে উদ্দীপিত করে তোলে। যে আন্দোলনের মাধ্যমে তাঁর রেখে যাওয়া মিশন আজও ভারতবর্ষে কমবেশী চালু আছে।

শাহ ইসমাঈল শহীদ (রহঃ)-এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি :

শাহ ইসমাঈল ৮ বৎসর বয়সে কুরআন মাজীদ হেফ্য করেন। ১১ বৎসর বয়স পর্যন্ত আরবী ছরফ-নাহুর প্রাথমিক কিতাবসমূহ অধ্যয়ন করেন। ১০ বৎসর বয়সে পিতার মৃত্যু হ’লে চাচা শাহ আব্দুল কাদের-এর নিকটে লালিত-পালিত হন। এরপর বড় চাচা শাহ আব্দুল আযীয-এর নিকটে ‘মা‘কূলাত ও মানকূলাত’-এর উপরে দক্ষতা অর্জন করেন। দাদা শাহ অলিউল্লাহ লিখিত ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ্’-র বাস্তব রূপ দিতে গিয়ে তিনি সক্রিয় জিহাদী জীবন বেছে নেন এবং অবশেষে বালাকোট প্রান্তরে শাহাদত বরণ করেন ও সেখানেই সমাহিত হন। জীবনীকার নওমাহরাভী বলেন, ‘যদি আজ খোদ শাহ ছাহেব বেঁচে থাকতেন, তবে তাঁকেও শাহ ইসমাঈলের পতাকাতলে দেখা যেত।’

গ্রন্থবলীঃ তাঁর লেখনী কম ছিল। কিন্তু তা ছিল অত্যন্ত সারর্গভ ও সংস্কারধর্মী। যেমন- (১) তাক্বভিয়াতুল ঈমান -উর্দূ (২) সাল্কে নূর, তাওহীদী কবিতা -উর্দূ ও ফারসী (৩) এক রোযী -উর্দূ (৪) আবাক্বাত -আরবী (৫) ছিরাতে মুস্তাক্বীম (প্রথমার্ধ)-ফারসী (৬) ঈযাহুল হাক্ক্বিছ ছারীহ-ফারসী (৭) উছূলুল ফিক্হ -আরবী (৮) মানছাবে ইমামত-ফারসী (৯) তানভীরুল আইনাইন-আরবী (১০) মানতেক -এর উপরে একটি পুস্তিকা।-তারাজিম, পৃঃ ৯২ ও ১০৮; জামা‘আতে মুজাহিদীন, পৃঃ ১১৭-২৯।

[বিস্তারিত দ্রষ্টব্য : প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব প্রণীত ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন : উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ, দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষিতসহ’ শীর্ষক গ্রন্থ। পৃঃ ২৪৫-২৪৯]


[1]. গোলাম রসূল মেহের, সাইয়িদ আহমাদ শহীদ (লাহোর : ইছরা, জামে‘আ আশরাফিয়া, সালবিহীন), পৃঃ ১১৭-১৮।

[2]. ডঃ মুহাম্মাদ আবদুল বারী, ‘সৈয়দ আহমাদ ব্রেলভীর রাজনীতি’ (ঢাকা : মাসিক তর্জুমানুল হাদীছ ১০ম বর্ষ ১ম সংখ্যা) পৃঃ ৩০, আগষ্ট-সেপ্টেম্বর ১৯৬১; গৃহীত : The Morning news (Calcutta, 2nd number, 1944) p. 77.

[3]. প্রাগুক্ত ১০ম বর্ষ ১ম সংখ্যা) পৃঃ ৭৩ (ঈষৎ সংক্ষেপায়িত)।

[4]. আবুল হাসান আলী নদভী, ‘সীরাতে সাইয়িদ আহমদ শহীদ’ (লাক্ষ্ণৌঃ নামী প্রেস, মার্চ ১৯৩৯) পৃঃ ৩৭৩।

[5]. `India has hitherto produced only one Moulavi and that is Moulavi Mohammad Ismail' - মুহাম্মাদ আব্দুল রহমান, ‘মুজাহিদ আন্দোলনের ইতিকথা মাসিক তর্জুমানুল হাদীছ (ঢাকাঃ ১৬শ বর্ষ ৪র্থ সংখ্যা, মে ১৯৭০) পৃঃ ১৬৮ গৃহীতঃ Aspecrs of Shah Ismail Shaheed, p. 44.



আরও