আল্লাহ্ নিকট ক্ষমা প্রার্থনা

তাওহীদের ডাক ডেস্ক 542 বার পঠিত

আল-কুরআনুল কারীম :

1 -قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّونَ اللَّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللَّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ .

‘বলুন! তোমরা যদি আল্লাহকে ভালবাস তবে আমাকে অনুসরণ কর, তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করবেন। আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু’ (আলে ইমরান ৩/৩১)

- اَلشَّيْطَانُ يَعِدُكُمُ الْفَقْرَ وَيَأْمُرُكُمْ بِالْفَحْشَاءِ وَاللَّهُ يَعِدُكُمْ مَغْفِرَةً مِنْهُ وَفَضْلًا وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ.

‘শয়তান তোমাদেরকে দারিদ্রের ভয় দেখায় এবং অশ্লীলতার নির্দেশ দেয়। আর আল্লাহ তোমাদেরকে তাঁর ক্ষমা ও অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও সর্বজ্ঞ’ (বাক্বারাহ ২/২৬৮)

৩- وَمَنْ يَعْمَلْ سُوءًا أَوْ يَظْلِمْ نَفْسَهُ ثُمَّ يَسْتَغْفِرِ اللَّهَ يَجِدِ اللَّهَ غَفُورًا رَحِيمًا .

‘কেউ কোন মন্দ কাজ করার পর অথবা নিজের উপর যুলুম করার পর আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে আল্লাহকে সে ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু হিসাবে পাবে’ (নিসা ৪/১১০)

৪- وَإِنْ يَمْسَسْكَ اللَّهُ بِضُرٍّ فَلَا كَاشِفَ لَهُ إِلَّا هُوَ وَإِنْ يُرِدْكَ بِخَيْرٍ فَلَا رَادَّ لِفَضْلِهِ يُصِيبُ بِهِ مَنْ يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ وَهُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ .

‘আর আল্লাহ তোমাকে ক্লেশ দিলে তিনি ব্যতীত তা মোচন করার কেউ নেই এবং আল্লাহ যদি তোমার মঙ্গল চান তবে তাঁর অনুগ্রহ রদ করার কেউ নেই। তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তিনি মঙ্গল দান করেন। তিনি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু’ (ইউনুস ১০/১০৭)

৫- وَمَا أُبَرِّئُ نَفْسِي إِنَّ النَّفْسَ لَأَمَّارَةٌ بِالسُّوءِ إِلَّا مَا رَحِمَ رَبِّي إِنَّ رَبِّي غَفُورٌ رَحِيمٌ .

‘সে বলল, আমি নিজেকে নির্দোষ মনে করি না, মানুষের মন অবশ্যই মন্দ প্রবণ; কিন্তু সে নয়, যার প্রতি আমার প্রতিপালক দয়া করেন। আমার প্রতিপালক তো অতি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু’ (ইউসুফ ১২/৫৩)

6- وَيَسْتَعْجِلُونَكَ بِالسَّيِّئَةِ قَبْلَ الْحَسَنَةِ وَقَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِمُ الْمَثُلَاتُ وَإِنَّ رَبَّكَ لَذُو مَغْفِرَةٍ لِلنَّاسِ عَلَى ظُلْمِهِمْ وَإِنَّ رَبَّكَ لَشَدِيدُ الْعِقَابِ .

‘মঙ্গলের পূর্বে ওরা আপনাকে শাস্তি ত্বরান্বিত করতে বলে, যদিও ওদের পূর্বে এর বহু দৃষ্টান্ত গত হয়েছে। মানুষের সীমালঙ্ঘন সত্ত্বেও আপনার প্রতিপালক তো মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল এবং  আপনার প্রতিপালকের শাস্তি অত্যন্ত কঠোর’  (রা‘দ ১৩/৬)

7-  إِنَّمَا حَرَّمَ عَلَيْكُمُ الْمَيْتَةَ وَالدَّمَ وَلَحْمَ الْخِنْزِيرِ وَمَا أُهِلَّ لِغَيْرِ اللَّهِ بِهِ فَمَنِ اضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلَا عَادٍ فَإِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ.

‘আল্লাহ মৃত জন্তু, রক্ত, শূকর-মাংস এবং যা যবেহকালে আল্লাহর পরিবর্তে অন্যের নাম নেওয়া হয়েছে তা তোমাদের জন্য হারাম করেছেন; কিন্তু কেউ অবাধ্য কিংবা সীমালঙ্ঘনকারী না হয়ে বাধ্য হলে আল্লাহ তো ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু’ (নাহল ১৬/১১৫)

8- أَوَلَمْ يَعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَنْ يَشَاءُ وَيَقْدِرُ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ- قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ.

‘এরা কি জানে না, আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছা রিযিক্ব প্রশস্ত করেন অথবা যার জন্য ইচ্ছা সীমিত করেন? এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে মুমিন সম্প্রদায়ের জন্য’। ‘বলুন! হে আমার বান্দারা! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ-তারা আল্লাহর অনুগ্রহ হতে নিরাশ হয়ো না; আল্লাহ সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দিবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু’  (যুমার ৩৯/৫২-৫৩)

9وَلَوْ أَنَّهُمْ صَبَرُوا حَتَّى تَخْرُجَ إِلَيْهِمْ لَكَانَ خَيْرًا لَهُمْ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ.

‘আপনি বের হয়ে ওদের নিকট আসা পর্যন্ত যদি ওরা ধৈর্যধারণ করত, তাহলে তাদের জন্য উত্তম হত। আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু’ (হুজুরাত ৪৯/৫)

10- وَسَارِعُوا إِلَى مَغْفِرَةٍ مِّنْ رَّبِّكُمْ وَجَنَّةٍ عَرْضُهَا السَّمَاوَاتُ وَالْأَرْضُ أُعِدَّتْ لِلْمُتَّقِينَ- الَّذِينَ يُنْفِقُونَ فِي السَّرَّاءِ وَالضَّرَّاءِ وَالْكَاظِمِينَ الْغَيْظَ وَالْعَافِينَ عَنِ النَّاسِ وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ.

‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের ক্ষমা ও জান্নাতের দিকে অগ্রসর হও, যার ব্যাপ্তি আসমান ও যমীনের ন্যায়। যা প্রস্ত্তত করে রাখা হয়েছে আল্লাহভীরুদের জন্য’। ‘যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায় ব্যয় করে, যারা ক্রোধ সংবরণকারী এবং মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল; আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালবাসেন’ (আলে ইমরান ৩/১৩৩-১৩৪)

হাদীছে নববী থেকে :

11- عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا جَاءَ أَحَدُكُمْ فِرَاشَهُ فَلْيَنْفُضْهُ بِصَنِفَةِ ثَوْبِهِ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَلْيَقُلْ بِاسْمِكَ رَبِّ وَضَعْتُ جَنْبِى وَبِكَ أَرْفَعُهُ إِنْ أَمْسَكْتَ نَفْسِى فَاغْفِرْ لَهَا وَإِنْ أَرْسَلْتَهَا فَاحْفَظْهَا بِمَا تَحْفَظُ بِهِ عِبَادَكَ الصَّالِحِينَ.

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, তোমরা কেউ বিছানায় শুতে গেলে সে যেন তার কাপড়ের অাঁচল দিয়ে তা তিনবার ঝেড়ে নেয়। আর বলে, হে আমার প্রতিপালক! একমাত্র তোমারই নামে আমার শরীরের পার্শ্বদেশ বিছানায় রাখলাম এবং তোমারই সাহায্যে আবার তা উঠাব। তুমি যদি আমার জীবন আটক রাখ, তাহলে ক্ষমা করে দিবে। আর যদি তা ফিরিয়ে দাও, তাহলে তোমার নেককার বান্দাদেরকে যেভাবে হেফাযত কর, সেভাবে হেফাযত করবে (বুখারী  হা/৭৩৯৩)

12- عَنْ جُنْدَبٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَدَّثَ أَنَّ رَجُلاً قَالَ وَاللَّهِ لاَ يَغْفِرُ اللَّهُ لِفُلاَنٍ وَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَالَ مَنْ ذَا الَّذِى يَتَأَلَّى عَلَىَّ أَنْ لاَ أَغْفِرَ لِفُلاَنٍ فَإِنِّى قَدْ غَفَرْتُ لِفُلاَنٍ وَأَحْبَطْتُ عَمَلَكَ.

জুনদুব (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, এক লোক বলল, আল্লাহর শপথ! আল্লাহ অমুক লোককে মাফ করবেন না। আর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, সে লোক কে? যে শপথ করে বলে যে, আমি অমুককে মাফ করব না? আমি তাকে মাফ করে দিলাম এবং তোমার শপথকে নষ্ট করে দিলাম (মুসলিম হা/৬৮৪৭)

13- عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَمَرَهُمْ أَمَرَهُمْ مِنَ الأَعْمَالِ بِمَا يُطِيقُونَ قَالُوا إِنَّا لَسْنَا كَهَيْئَتِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ قَدْ غَفَرَ لَكَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ وَمَا تَأَخَّرَ فَيَغْضَبُ حَتَّى يُعْرَفَ الْغَضَبُ فِى وَجْهِهِ ثُمَّ يَقُولُ إِنَّ أَتْقَاكُمْ وَأَعْلَمَكُمْ بِاللَّهِ أَنَا .

আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাঁর ছাহাবীদের যখন কোন কাজের নির্দেশ দিতেন, তখন তাদের সামর্থ্য অনুয়ায়ী নির্দেশ দিতেন। একবার তারা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আমরা তো আপনার মত নই। আল্লাহ তা‘আলা আপনার পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন। তা শুনে তিনি রাগ করলেন; এমনকি তাঁর চেহারায় রাগের চিহ্ন ফুটে উঠল। অতঃপর তিনি বললেন, তোমাদের চেয়ে আমিই আল্লাহকে অধিক ভয় করি ও বেশী জানি (বুখারী হা/২০)

14- عَنْ عَبْدِ اللَّهِ كَأَنِّى أَنْظُرُ إِلَى النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم يَحْكِى نَبِيًّا مِنَ الأَنْبِيَاءِ ضَرَبَهُ قَوْمُهُ فَأَدْمَوْهُ وَهُوَ يَمْسَحُ الدَّمَ عَنْ وَجْهِهِ وَيَقُولُ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِقَوْمِى فَإِنَّهُمْ لاَ يَعْلَمُونَ.

আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, আমি যেন এখনো নবী করীম (ছাঃ)-কে দেখছি, যখন তিনি একজন নবীর অবস্থা বর্ণনা করছিলেন যে, তাঁর স্বজাতিরা তাঁকে প্রহার করে রক্তাক্ত করে দিয়েছে আর তিনি তাঁর চেহারা হতে রক্ত মুছে ফেলছেন এবং বলছেন, হে আল্লাহ! আমার জাতিকে ক্ষমা করে দাও; কেননা তারা জানে না  (বুখারী হা/৩৪৭৭)।

15- عَنْ أَبِى أَيُّوبَ الأَنْصَارِىِّ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ لَوْ أَنَّكُمْ لَمْ تَكُنْ لَكُمْ ذُنُوبٌ يَغْفِرُهَا اللَّهُ لَكُمْ لَجَاءَ اللَّهُ بِقَوْمٍ لَهُمْ ذُنُوبٌ يَغْفِرُهَا لَهُمْ.

আবু আইয়ুব আনছারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যদি তোমাদের কোন পাপ না থাকত, যা আল্লাহ ক্ষমা করে দেন, তবে অবশ্যই আল্লাহ এমন সম্প্রদায় বানাতেন যাদের পাপ হত এবং তিনি তা ক্ষমা করে দিতেন  (মুসলিম হা/৭১৪০)

16- عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ جَلَسَ فِى مَجْلِسٍ فَكَثُرَ فِيهِ لَغَطُهُ فَقَالَ قَبْلَ أَنْ يَقُومَ مِنْ مَجْلِسِهِ ذَلِكَ سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ. إِلاَّ غُفِرَ لَهُ مَا كَانَ فِى مَجْلِسِهِ ذَلِكَ.

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, যে লোক মজলিসে বসে প্রয়োজন ছাড়া অনেক কথা-বার্তা বলেছে, সে উক্ত মজলিস হতে উঠে যাওয়ার আগে যদি বলে, ‘হে আল্লাহ! তুমি পবিত্র এবং সমস্ত প্রশংসা তোমার জন্য। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ব্যতীত আর কোন মা‘বূদ নেই, তোমার কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তোমার দিকেই প্রত্যাবর্তন করি’, তাহলে উক্ত মজলিসে তার যে অপরাধ হয়েছিল তা ক্ষমা করে দেওয়া হবে(তিরমিযী হা/৩৪৩৩; ছহীহুল জামে‘ হা/৬১৯২, সনদ ছহীহ)

(17) عَنْ زَيْدٍ مَوْلَى النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ سَمِعْتُ أَبِى يُحَدِّثُنِيهِ عَنْ جَدِّى أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ مَنْ قَالَ أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِى لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ غُفِرَ لَهُ وَإِنْ كَانَ فَرَّ مِنَ الزَّحْفِ.

আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)-এর মুক্তিপ্রাপ্ত গোলাম যায়েদ (রাঃ) বলেন, আমি আমার আবক্ষাকে আমার দাদার সূত্রে বর্ণনা করতে শুনেছি, তিনি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলতে শুনছেন, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি নিন্মোক্ত দো‘আ পাঠ করবে ‘আসতাগফিরুল্লাহ হাল্লাযী লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়ুম ওয়া আতূবু ইলায়হ’, তাহলে সে যদি জিহাদের ময়দান হতেও পলায়ন করে; তবুও তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে (আবুদাঊদ হা/১৫১৭;  মিশকাত হা/২৩৫৩, সনদ ছহীহ)

(18) عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالَّذِى نَفْسِى بِيَدِهِ لَوْلَمْ تُذْنِبُوا لَذَهَبَ اللَّهُ بِكُمْ وَلَجَاءَ بِقَوْمٍ يُذْنِبُونَ فَيَسْتَغْفِرُونَ اللَّهَ فَيَغْفِرُ لَهُمْ.

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, যে সত্তার হাতে আমার জীবন, তাঁর কসম করে বলছি, তোমরা যদি পাপ না করতে তবে অবশ্যই আল্লা্হ তোমাদেরকে নিশ্চিহ্ন করে এমন সম্প্রদায় বানাতেন, যারা পাপ করে ক্ষমা চাইত এবং তিনি তাদের মাফ করে দিতেন (মুসলিম হা/৭১৪১; মিশকাত হা/২৩২৮)

(19) عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ يَتَنَزَّلُ رَبُّنَا تَبَارَكَ وَتَعَالَى كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا حِينَ يَبْقَى ثُلُثُ اللَّيْلِ الآخِرُ يَقُولُ مَنْ يَدْعُونِى فَأَسْتَجِيبَ لَهُ مَنْ يَسْأَلُنِى فَأُعْطِيَهُ وَمَنْ يَسْتَغْفِرُنِى فَأَغْفِرَ لَهُ.

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকতে আমাদের প্রতিপালক আমাদের নিকট আসমানে অবতরণ করে ঘোষণা করতে থাকেন, কে আমার নিকট দো‘আ করবে? আমি তার দো‘আ কবুল করব। কে আমার নিকট কিছু চাইবে? আমি তাকে তা দান করব। কে আমার কাছে গুনাহ ক্ষমা চাইবে? আমি তার গুনাহ ক্ষমা করে দিব (বুখারী হা/৬৩২১; মুসলিম হা/১৮০৮)

(20) عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ وَاللَّهِ إِنِّى لأَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ فِى الْيَوْمِ أَكْثَرَ مِنْ سَبْعِينَ مَرَّةً.

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, আললাহর শপথ! আমি প্রতিদিন আল্লাহর কাছে সত্তরবারেরও অধিক ক্ষমা প্রার্থনা ও তওবা করে থাকি (বুখারী হা/৬৩০৭; মিশকাত হা/২৩২৩)

মনীষীদের বক্তব্য থেকে :

১. আবু মূসা (রাঃ) বলেন, আমাদের নিকট দু’টি আমানাত ছিল। প্রথমটি বিদায় নিয়েছে, সেটি হল আমাদের মাঝে রাসূল (ছাঃ) ছিলেন। আর দ্বিতীয়টি হল ক্ষমা প্রার্থনা করা; যা অবশিষ্ট রয়েছে। এটিও যখন চলে যাবে তখন আমরা ধক্ষংস হয়ে যাব।

সারবস্ত্ত

১. আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনাকারী ও তার সন্তান-সন্তুতিরা আল্লাহর নে‘মত ও রিযিক লাভ করে থাকে।

২. ক্ষমা প্রার্থনাকারী মানুষ হোক বা জীন হোক তার নিকট থেকে শয়তান দূরে থাকে ।

৩. ক্ষমা প্রার্থনাকারী ঈমান ও আনুগত্যের প্রকৃত স্বাদ পেয়ে থাকে।

৪. আল্লাহর নিকট প্রিয়পাত্র হওয়ার প্রকৃষ্ট মাধ্যম হল ক্ষমা প্রার্থনা।

৫. বুদ্ধি ও ক্ষমা প্রার্থনার উপায় হল আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা। 

বিষয়সমূহ: বিবিধ
আরও