যে আমলে দ্বিগুণ ছওয়াব
আসাদুল্লাহ আল-গালিব
ভূমিকা :
রামাযান একজন মুমিন বান্দার জন্য নিজেকে পরিশুদ্ধ করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস। এ মাসের বেশ কয়েকটি আমল দিয়ে জীবনের সমস্ত গুনাহ মাফ করে নেয়ার সুযোগ লাভ হয়। আলোচ্য প্রবন্ধে রামাযান মাসের ছিয়াম কেন্দ্রীক কতিপয় ফযীলত সম্পর্কে আলোচনার প্রয়াস পাব ইনশাআল্লাহ!
ছিয়াম ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের একটি :
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,بُنِيَ الْإِسْلَامُ عَلَى خَمْسٍ شَهَادَةِ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ وَإِقَامِ الصَّلَاةِ وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ وَالْحَجِّ وَصَوْمِ رَمَضَانَ ‘ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি। ১. আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং নিশ্চয় মুহাম্মদ (ছাঃ) আল্লাহর রাসূল-এ কথার সাক্ষ্য দান। ২.ছালাত কায়েম করা। ৩. যাকাত দেওয়া। ৪. হজ্জ করা এবং ৫. রামাযান মাসের ছিয়াম পালন করা’।[1]
রামাযান মাসের ছিয়াম পালনে আল্লাহর নির্দেশ :
মহান আল্লাহ বলেন,شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِيَ أُنزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِّلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِّنَ الْهُدَى وَالْفُرْقَانِ فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ ‘রামাযান হ’ল সেই মাস, যাতে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। যা মানুষের জন্য সুপথ প্রদর্শক ও সুপথের স্পষ্ট ব্যাখ্যা এবং সত্য ও মিথ্যার পার্থক্যকারী। অতএব তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাস পাবে, সে যেন এ মাসের ছিয়াম রাখে’(বাক্বারাহ ২/১৮৫)।
রামাযানের ছিয়াম বিগত পাপ মোচনকারী :
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‘যে ব্যক্তি ঈমানসহ ছওয়াবের আশায় রামাযানের ছিয়াম পালন করে, তার পূর্বের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়’।[2]
অপর এক হাদীছে এসেছে, জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত নবী (ছাঃ) মিম্বারে উঠলেন। তিনি প্রথম সিঁড়িতে উঠে বলেন, আমীন! তিনি দ্বিতীয় সিঁড়িতে উঠেও বলেন, আমীন! তিনি তৃতীয় সিঁড়িতে উঠেও বলেন, আমীন! ছাহাবীগণ বলেন, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) আমরা আপনাকে তিনবার আমীন বলতে শুনলাম। তিনি বলেন, আমি প্রথম সিঁড়িতে উঠতেই জিবরাঈল এসে বলল, দূর্ভাগ্য সেই ব্যক্তির যে রামাযান মাস পেলো এবং তা শেষ হয়ে যাওয়া সত্বেও তার গুনাহর ক্ষমা হ’ল না। আমি বললাম, আমীন! অতঃপর দ্বিতীয় ধাপে উঠতেই তিনি বলেন, দূর্ভাগ্য সেই ব্যক্তির যে নিজ পিতা-মাতা উভয়কে অথবা তাদের একজনকে বৃদ্ধাবস্থায় পেল, অথচ তারা তাকে বেহেশতে প্রবেশ করালো না। আমি বললাম, আমীন! অতঃপর তৃতীয় ধাপে উঠতেই তিনি বলেন, দূর্ভাগ্য সেই ব্যক্তির যার নিকট আপনার নাম উল্লেখ হ’ল, অথচ সে আপনার প্রতি দরূদ পড়েনি। আমি বললাম, আমীন![3]
বরকতময় সাহারী রাসূল (ছাঃ)-এর পক্ষ থেকে হাদিয়া :
হাদীছে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, تَسَحَّرُوا وَلَوْ بِجُرْعَةٍ مِنْ مَاءٍ ‘তোমরা এক ঢোক পানি দিয়ে হলেও সাহারী ভক্ষণ কর’।[4]
কেননা যে, ছিয়াম ফরজ হওয়ায় তখন দিকে শেষ রাতে বর্তমান এর মত সাহারী খাওয়ার সুযোগ ছিলনা। হযরত আনাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত নবী (ছাঃ) বলেছেন,تَسَحَّرُوا فَإِنَّ فِي السَّحُورِ بَرَكَةً ‘তোমরা সাহারী খাও, কেননা সাহারীতে বরকত রয়েছে’।[5]
রামাযানে সাহারী ভক্ষণ দ্বারা ইহুদীদের বিরোধিতা :
আমর ইবনু আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,فَصْلُ مَا بَيْنَ صِيَامِنَا وَصِيَامِ أَهْلِ الْكِتَابِ، أَكْلَةُ السَّحَرِ ‘আমাদের ও কিতারীদের ছিয়ামের মধ্যে পার্থক হ’ল সাহারী খাওয়া’।[6]
রামাযানে সাহারী ভক্ষণে ফেরেশতার দো‘আ লাভ :
হাদীছে এসেছে,
عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى الْمُتَسَحِّرِينَ
ইবনু উমার (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, অবশ্যই আল্লাহ তাদের প্রতি করুণা বর্ষণ করেন, যারা সাহারী খায় আর ফিরিশতাবর্গও তাদের জন্য দো‘আ করে থাকেন’।[7]
রামাযানে দ্রুত ইফতারে কল্যাণের অন্তর্ভূক্তি :
عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ يَزَالُ النَّاسُ بِخَيْرٍ مَا عَجَّلُوا الْفِطْرَ ‘সাহল ইবন সা’দ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, লোকেরা যতদিন যাবৎ সময় হওয়া মাত্র ইফতার করবে, ততদিন তারা কল্যাণের উপর থাকবে’।[8]
রামাযানে দ্রুত ইফতার সুন্নাতের উপর দৃঢ় থাকার শামিল :
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,لَا تَزَالُ أُمَّتِي عَلَى سُنَّتِي مَا لَمْ تَنْتَظِرْ بِفِطْرِهَا النُّجُومَ ‘আমার উম্মত ততক্ষণ দ্বীনের উপর টিকে থাকবে যতক্ষণ তারা ইফতারের জন্য নক্ষত্রের অপেক্ষা করবে না’।[9]
রামাযানে দ্রুত ইফতার দ্বীনকে প্রকাশের শামিল :
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ يَزَالُ الدِّينُ ظَاهِرًا مَا عَجَّلَ النَّاسُ الْفِطْرَ لأَنَّ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى يُؤَخِّرُونَ-
আবু হুরায়রা (রাঃ) নবী করীম (ছাঃ) হ’তে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন, দ্বীন ততদিন বিজয়ী থাকবে, যতদিন লোকেরা জলদী ইফতার করবে। কেননা, ইয়াহুদী ও নাছারারা ইফ্তার অধিক বিলম্বে করে’।[10]
খেজুর বা পানি দ্বারা ইফতার করা রাসূল (ছাঃ)-এর পক্ষ থেকে হাদিয়া :
عَنْ أَنَسٍ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُفْطِرُ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ عَلَى رُطَبَاتٍ فَإِنْ لَمْ يَكُنْ رُطَبَاتٌ فَتُمَيْرَاتٌ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تُمَيْرَاتٌ حَسَا حَسَوَاتٍ مِنْ مَاءٍ-
আনাস ইবন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মাগরিবের ছালাত আদায়ের পূর্বে পাকা খেজুর দ্বারা ইফ্তার করতেন। আর যদি পাকা খেজুর না পেতেন, তখন তিনি শুক্না খেজুর দ্বারা ইফতার করতেন। আর যদি তাও না হ’তো, তখন তিনি কয়েক ঢোক পানি দ্বারা ইফতার করতেন’।[11]
ইফতারের দো‘আ রাসূল (ছাঃ)-এর পক্ষ থেকে হাদিয়া :
নবী করীম (ছাঃ) ইফতারের সময় বলতেন,ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوقُ وَثَبَتَ الأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ ‘তৃষ্ণা নিবারিত হয়েছে, শিরা-উপশিরা পরিতৃপ্ত হয়েছে এবং আল্লাহ চাহে তো বিনিময় নির্ধারিত হয়েছে’।[12]
ছায়েমকে ইফতার করিয়ে অনুরূপ নেকী অর্জন :
عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَمَنْ فَطَّرَ صَائِمًا أَوْ جَهَّزَ غَازِيًا فَلَهُ مِثْلُ أَجْرِهِ-
‘যে ব্যক্তি কোন ছিয়াম পালনকারীকে ইফতার করায় অথবা কোন গাযীকে জিহাদের অস্ত্র দ্বারা সজ্জিত করে তার জন্য ছিয়ামপালনকারী বা গাযীর অনুরূপ নেকী রয়েছে’।[13]
রামাযানে ছিয়াম পালনকারীর দো‘আ :
আনাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,ثَلاَثُ دَعَوَاتٍ لاَ تُرَدُّ، دَعْوَةُ الْوَالِدِ، وَدَعْوَةُ الصَّائِمِ، وَدَعْوَةُ الْمُسَافِرِ- ‘তিন ব্যক্তির দো‘আ ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। ১. সন্তানের জন্য পিতার দো‘আ। ২. ছিয়াম পালনকারীর দো‘আ। ৩. মুসাফিরের দো‘আ’।[14]
ছিয়াম পালনকারী জন্য ক্ষমা ও অগণিত নেকী :
মহান আল্লাহ বলেন,...وَالصَّائِمِينَ وَالصَّائِمَاتِ وَالْحَافِظِينَ فُرُوجَهُمْ وَالْحَافِظَاتِ وَالذَّاكِرِينَ اللَّهَ كَثِيرًا وَالذَّاكِرَاتِ أَعَدَّ اللَّهُ لَهُمْ مَغْفِرَةً وَأَجْرًا عَظِيمًا...‘ছিয়াম পালনকারী পুরুষ ও নারী, যৌনাঙ্গ হেফাযতকারী পুরুষ ও নারী, আল্লাহকে অধিকহারে স্মরণকারী পুরুষ ও নারী, এদের জন্য আল্লাহ প্রস্ত্তত রেখেছেন ক্ষমা ও মহা পুরস্কার’(আহযাব ৩৩/২৫)।
হাদীছে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,مَنْ أَنْفَقَ زَوْجَيْنِ فِى سَبِيلِ اللَّهِ نُودِىَ مِنْ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ يَا عَبْدَ اللَّهِ هَذَا خَيْرٌ فَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصَّلاَةِ دُعِىَ مِنْ بَابِ الصَّلاَةِ وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الْجِهَادِ دُعِىَ مِنْ بَابِ الْجِهَادِ وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصِّيَامِ دُعِىَ مِنْ بَابِ الرَّيَّانِ ‘যে ব্যক্তি; আল্লাহর রাস্তায় জোড়া দান করবে, তাকে জান্নাতে প্রবেশের জন্য আহবান করা হবে, হে আল্লাহর বান্দা! এ কাজ উত্তম! যে ব্যক্তি ছালাত আদায়ে নিষ্ঠাবান, তাকে ‘বাবুস ছালাত’ থেকে আহবান জানানো হবে। যে ব্যক্তি মুজাহিদ, তাকে ‘বাবুল জিহাদ’ থেকে আহবান জানানো হবে। যে ব্যক্তি দানশীল, তাকে ‘বাবুস ছাদাক্বা’ থেকে আহবান জানান হবে। যে ব্যক্তি ছিয়াম পালনকারী তাকে ‘বাবুর রাইয়ান’ থেকে আহবান জানানো হবে’।[15]
রামাযানের ছিয়াম হবে ঢাল স্বরূপ :
আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,
قَالَ اللَّهُ كُلُّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ لَهُ إِلاَّ الصِّيَامَ فَإِنَّهُ لِى وَأَنَا أَجْزِى بِهِ وَالصِّيَامُ جُنَّةٌ وَإِذَا كَانَ يَوْمُ صَوْمِ أَحَدِكُمْ فَلاَ يَرْفُثْ وَلاَ يَصْخَبْ فَإِنْ سَابَّهُ أَحَدٌ أَوْ قَاتَلَهُ فَلْيَقُلْ إِنِّى امْرُؤٌ صَائِمٌ
‘আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ছিয়াম ব্যতীত আদম সন্তানের প্রতিটি কাজই তাঁর নিজের জন্য, কিন্তু ছিয়াম আমার জন্য, তাই আমি এর প্রতিদান দেব। ছিয়াম হ’ল ঢাল স্বরূপ। তোমাদের কেউ যেন ছিয়াম পালনের দিন অশ্লীলতায় লিপ্ত না হয় এবং ঝগড়া-বিবাদ না করে। কেউ যদি তাঁকে গালি দেয় অথবা তাঁর সঙ্গে ঝগড়া করে, তাহ’লে সে যেন বলে, আমি একজন ছায়েম’।[16]
ছিয়াম পালনকারীর মুখের গন্ধ মিসকের চেয়ে উত্তম :
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,وَالَّذِى نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَخُلُوفُ فَمِ الصَّائِمِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ ‘যার কবজায় মুহাম্মদের প্রাণ, তাঁর শপথ! ছায়িমের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিসকের গন্ধের চাইতেও সুগন্ধি।[17]
রামাযানে ছিয়াম পালনকারীর জন্য দু’টি খুশীর সংবাদ :
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,
لِلصَّائِمِ فَرْحَتَانِ يَفْرَحُهُمَا إِذَا أَفْطَرَ فَرِحَ وَإِذَا لَقِىَ رَبَّهُ فَرِحَ بِصَوْمِهِ ‘ছিয়াম পালনকারীর জন্য রয়েছে দু’টি খুশী যা তাঁকে খুশী করে। যখন সে ইফতার করে, সে খুশী হয় এবং যখন সে তাঁর রবের সাথে সাক্ষাৎ করবে, তখন ছিয়ামের বিনিময়ে আনন্দিত হবে’।[18]
রামাযানের ছিয়ামের বিনিময়ে ১০টি ছিয়ামের নেকী :
আবু যার (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,مَنْ صَامَ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ مِنَ الشَّهْرِ فَقَدْ صَامَ الدَّهْرَ كُلَّهُ ثُمَّ قَالَ صَدَقَ اللَّهُ فِى كِتَابِهِ مَنْ جَاءَ بِالْحَسَنَةِ فَلَهُ عَشْرُ أَمْثَالِهَا ‘যে ব্যক্তি প্রতি মাসে তিন দিন ছিয়াম পালন করল সে যেন সারা বছর ছিয়াম পালন করল। অতঃপর বললেন, আললাহ তা’আলা কুরআনে সত্যই বলেছেন,مَنْ جَاءَ بِالْحَسَنَةِ فَلَهُ عَشْرُ أَمْثَالِهَا ‘যে ব্যক্তি একটি ভাল কাজ করবে তাকে তার দশ গুন ছওয়াব দেওয়া হবে’ (আন‘আম ৬/১৬০)।[19]
রামাযানের ছিয়াম ক্বিয়ামতের মাঠে সুপারিশকারী হবে :
আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) বলেন,الصِّيَامُ وَالْقُرْآنُ يَشْفَعَانِ لِلْعَبْدِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَقُولُ الصِّيَامُ أَيْ رَبِّ مَنَعْتُهُ الطَّعَامَ وَالشَّهَوَاتِ بِالنَّهَارِ، فَشَفِّعْنِي فِيهِ وَيَقُولُ الْقُرْآنُ مَنَعْتُهُ النَّوْمَ بِاللَّيْلِ فَشَفِّعْنِي فِيهِ قَالَ فَيُشَفَّعَانِ ‘ক্বিয়ামতের দিন ছিয়াম এবং কুরআন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। ছিয়াম বলবে, হে আমার প্রতিপালক! আমি ওকে পানাহার ও যৌনকর্ম থেকে বিরত রেখেছিলাম। সুতরাং ওর ব্যাপারে আমার সুফারিশ গ্রহণ কর। আর কুরআন বলবে, আমি ওকে রাত্রে নিদ্রা থেকে বিরত রেখেছিলাম। সুতরাং ওর ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ কর। নবী (ছাঃ) বলেন, ‘অতএব ওদের উভয়ের সুপারিশ গৃহীত হবে’।[20]
রামাযানে ছিয়াম দ্বারা ২১০০ বছরের পথ জাহান্নাম থেকে দূরে অবস্থান :
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,مَنْ صَامَ يَوْمًا فِى سَبِيلِ اللَّهِ بَعَّدَ اللَّهُ وَجْهَهُ عَنِ النَّارِ سَبْعِينَ خَرِيفًا ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় এক দিনও ছিয়াম পালন করে, আল্লাহ তার মুখমন্ডলকে (অর্থাৎ তাকে) দোযখের আগুন থেকে সত্তর বছরের রাস্তা দূরে সরিয়ে নেন’।[21]
সুতরাং যদি কোন ব্যক্তি পবিত্র মাহে রামাযানের ৩০টি ছিয়াম পালন করে তাহ’লে সে ৩০ গুণ ৭০ অর্থাৎ ২১০০ বছরের পথ তার থেকে জাহান্নাম দূরে থাকবে।
রামাযানের ছিয়াম ৩০০০ বছর পথ জাহান্নাম থেকে দূরে রাখবে :
عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ صَامَ يَوْمًا فِى سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ بَاعَدَ اللَّهُ مِنْهُ جَهَنَّمَ مَسِيرَةَ مِائَةِ عَامٍ
উকবা ইবনু আমির (রাঃ) সুত্রে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় একদিন ছিয়াম পালন করবে আল্লাহ তা‘আলা তার থেকে জাহান্নামকে একশত বছরের দুরত্বে সরিয়ে রাখবেন’।[22]
সুতরাং যদি কোন ব্যক্তি পবিত্র মাহে রামাযানের ৩০টি ছিয়াম পালন করে তাহ’লে সে ৩০ গুণ ১০০ অর্থাৎ ৩০০০ বছরের পথ তার থেকে জাহান্নাম দূরে থাকবে।
রামাযানের ছিয়াম দ্বারা ব্যক্তি ও জাহান্নামের মাঝে আসমান ও যমীন দূরুত্বের ৩০টি পরিখা/গর্ত খনন :
عَنْ أَبَى أُمَامَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ صَامَ يَوْمًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ جَعَلَ اللَّهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ النَّارِ خَنْدَقًا كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ-
আবু উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে একদিন ছিয়াম পালন করবে আল্লাহ তা‘আলা সেই ব্যক্তি ও জাহান্নামের মাঝে একটি পরিখা সৃষ্টি করে দিবেন। যার প্রশস্ততা আসমান ও যমীনের দূরত্বের পরিমাণ’।[23]
রামাযানের ছিয়ামের মর্যাদা অতুলনীয় :
عَنْ أَبِى أُمَامَةَ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مُرْنِى بِعَمَلٍ قَالَ عَلَيْكَ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لاَ عِدْلَ لَهُ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مُرْنِى بِعَمَلٍ قَالَ عَلَيْكَ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لاَ عِدْلَ لَهُ
উমামা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন যে, আমি বললাম যে, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আমাকে কোন একটি আমলের নির্দেশ দিন। তিনি বললেন, তুমি ছিয়ামকে আকড়ে ধর যেহেতু ছিয়াম-এর কোন বিকল্প নাই। (এ একটি অদ্বিতীয় ইবাদত)।[24]
অপর এক হাদীছে উমামা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে প্রশ্ন করেছিলেন,أَىُّ الْعَمَلِ أَفْضَلُ قَالَ عَلَيْكَ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لاَ عِدْلَ لَهُ ‘কোন ইবাদাত সর্বোত্তম? রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)- বললেন, তুমি ছিয়ামকে আকড়ে ধর, যেহেতু ছিয়াম-এর কোন বিকল্প নাই’।[25]
রামাযানের ছিয়াম তাক্বওয়ার পরিচায়ক :
মহান আল্লাহ বলেন,
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমাদের উপর ছিয়াম ফরয করা হ’ল, যেমন তা ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যাতে তোমরা আল্লাহভীরু হ’তে পার’(বাক্বারাহ ২/১৮৩)।
রামাযানের আমলই শেষ আমল হলে জান্নাত :
عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ أَسْنَدْتُ النَّبِىَّ صلى الله عليه وسلم إِلَى صَدْرِى فَقَالَ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ قَالَ حَسَنٌ ابْتِغَاءَ وَجْهِ اللَّهِ خُتِمَ لَهُ بِهَا دَخَلَ الْجَنَّةَ وَمَنْ صَامَ يَوْماً ابْتِغَاءَ وَجْهِ اللَّهِ خُتِمَ لَهُ بِهَا دَخَلَ الْجَنَّةَ وَمَنْ تَصَدَّقَ بِصَدَقَةٍ ابْتِغَاءَ وَجْهِ اللَّهِ خُتمَ لَهُ بِهَا دَخَلَ الْجَنَّةَ-
হুযাইফা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, একদা নবী (ছাঃ)-কে আমার বুকে লাগালাম। অতঃপর তিনি বললেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ বলে এবং সেটাই তার শেষ কথা হয় তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। যে একদিন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ছিয়াম রাখে এবং সেটাই তার শেষ আমল হয় তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে কিছু ছাদাক্বাহ করে এবং সেটা তার শেষ কর্ম হয় তবে সেও জান্নাতে প্রবেশ করবে’।[26]
রামাযানের ছিয়ামে সাথে শাওয়ালের ৬টি ছিয়াম পালন :
আবু আইয়ুব আনছারী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتْبَعَهُ سِتًّا مِنْ شَوَّالٍ كَانَ كَصِيَامِ الدَّهْرِ ‘রামাযান মাসের ছিয়াম পালন করে পরে শাওয়াল মাসে ছয় দিন ছিয়াম পালন করা সারা বছর ছিয়াম রাখার মত’।[27]
ছিদ্দীক ও শহীদদের সাথে অন্তর্ভূক্তি :
عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ الْجُهَنِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : جَاءَ رَجُلٌ إلى النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ أَرَأَيْتَ إِنْ شَهِدْتُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّكَ رَسُولُ اللهِ ، وَصَلَّيْتُ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسَ الخمس وأديت الزكاة ، وَصُمْتُ رَمَضَانَ وَقُمْتُ فممن أنا قال من الصديقين والشهداء.
আমর ইবনে মুররা আল জুহানী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন জনৈক ব্যক্তি নবী (ছাঃ)-এর কাছে এসে বলল: হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি মনে করেন, যদি আমি এ সাক্ষ্য দেই যে আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন উপাস্য নেই এবং আপনি আল্লাহর রাসূল, পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত আদায় করি, যাকাত প্রদান করি, রামাযানে ছিয়াম পালন করি এবং ক্বিয়ামুল্লাইল করি- তাহ’লে আমি কাদের অন্তর্ভুক্ত হব? তিনি বললেন, সিদ্দীক এবং শহীদদের অন্তর্ভুক্ত হবে’।[28]
রামাযান মাসে ২১০টি হজ্জ ও ১৮০টি ওমরা পালন সমপরিমাণ নেকী অর্জনের উপায়
হজ্জ ও ওমরা শুধু মাত্র সামর্থবান ব্যক্তির উপরই আল্লাহ সুবহানাহু তা‘আলা ফরয করেছেন। আর এর ফযীলত মহামহিম। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,اَلْعُمْرَةُ إِلَى الْعُمْرَةِ كَفَّارَةٌ لِّمَا بَيْنَهُمَا وَالْحَجُّ الْمَبْرُوْرُ لَيْسَ لَهُ جَزَاءٌ إِلاَّ الْجَنَّةُ، ‘এক ওমরাহ অপর ওমরাহ পর্যন্ত সময়ের (ছগীরা গোনাহ সমূহের) কাফফারা স্বরূপ। আর কবুল হজ্জের প্রতিদান জান্নাত ব্যতীত কিছুই নয়’।[29]
কিন্তু পবিত্র মাহে রামাযান নেকীর মাসে আমরা চাইলেই হজ্জ ও ওমরা সমপরিমাণ নেকী অর্জন করতে পারি। নিম্নে সে বিষয়ে আলোকপাত করা হ’ল।
২১০টি হজ্জ সমপরিমাণ নেকী অর্জনের উপায়
১. ফরয ছালাতের জন্য মসজিদে গমন :
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, مَنْ مَشَى إلَى صَلاةٍ مَكْتُوبَةٍ فِي الْجَمَاعَةِ فَهِيَ كَحَجَّةٍ ‘যে ব্যক্তি ফরয ছালাত জামা‘আতে আদায়ের জন্য (মসজিদে) গমন করে, সে হজ্জের সমান নেকী লাভ করে।[30]
সুতরাং কোন ব্যক্তি দিনে ৫ বার ফরয ছালাত আদায়ের জন্য মসজিদে ওযুসহ গেলে সে দিনে ৫টি হজ্জ সমপরিমাণ নেকী অর্জন করতে পারবে। এভাবে সে যদি ৩০ দিনই মসজিদে যায় তাহ’লে ১৫০টি হজ্জের সমপরিমাণ নেকী অর্জন করতে পরবে ইনশাআল্লাহ!
২. মসজিদে তা’লীমি বৈঠক বা দ্বীনী শিক্ষায় অংশগ্রহণ :
আবু উমামা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,
مَنْ غَدَا إِلَى الْمَسْجِدِ لَا يُرِيْدُ إِلَّا أَنْ يَتَعَلَّمَ خَيْرًا أَوْ يَعْلَمَهُكَانَ لَهُ كَأَجْرِ حَاجٍّ تَامًّا حِجَّتُهُ-
‘যে ব্যক্তি দ্বীনী জ্ঞান অর্জন অথবা ঐ জ্ঞান বিতরণের জন্যই শুধু মসজিদে সকাল করে, তার জন্য পরিপূর্ণ হজ্জের নেকী রয়েছে’।[31]
এভাবে সে রামাযান মাসে ৩০টি হজ্জের নেকী অর্জন করতে পারবে।
৩. ফজর ছালাত আদায়ের পর মসজিদে চাশতের ছালাত আদায় করা :
আনাস বিন মালেক (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,مَنْ صَلَّى الْغَدَاةَ فِيْجَمَاعَةٍ ثُمَّ قَعَدَ يَذْكُرُ اللهَ حَتَّى تَطْلُعَالشَّمْسُ ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ كَانَتْ لَهُ كَأَجْرِ حَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ تَامَّةٍ تَامَّةٍ تَامَّةٍ ‘যে ব্যক্তি জামা‘আতের সাথে ফজরের ছালাত আদায়ের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত বসে আল্লাহর যিকিরে মশগূল থাকল, অতঃপর (সূর্যোদয়ের পর) দুই রাক‘আত ছালাত আদায় করল, তার জন্য একটি পূর্ণ হজ্জ ও একটি পূর্ণ ওমরার নেকী রয়েছে’।[32] এভাবে সে রামাযান মাসে ৩০টি হজ্জের নেকী অর্জন করতে পারবে। সর্বসাকুল্যে সে পবিত্র মাহে রামাযানের মাসে ২১০টি হজ্জের নেকী অর্জন করতে সক্ষম হবে।- ইনশাআল্লাহ!
১৮০টি ওমরা সমপরিমাণ নেকী অর্জনের উপায়
১. নফল ছালাতের জন্য মসজিদে গমন :
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, مَنْ مَشَى إلَى صَلاةِ تَطَوُّعٍ فَهِيَ كَعُمْرَةٍ نَافِلَةٍ، ‘যে ব্যক্তি নফল ছালাত আদায়ের জন্য (মসজিদে) গমন করে, সে নফল ওমরার সমান নেকী লাভ করে’।[33] সুতরাং কোন ব্যক্তি দিনে ৫বার নফল ছালাত আদায়ের জন্য মসজিদে গেলে সে দিনে ৫টি ওমরা সমপরিমাণ নেকী অর্জন করতে পারবে। এভাবে সে যদি ৩০ দিনই মসজিদে যায় তাহ’লে ১৫০টি ওমরা সমপরিমাণ নেকী অর্জন করতে পরবে।- ইনশাআল্লাহ!
২. ফজর ছালাত আদায়ের পর মসজিদে চাশতের ছালাত আদায় করা :
আনাস বিন মালেক (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, مَنْ صَلَّى الْغَدَاةَ فِيْ جَمَاعَةٍ ثُمَّ قَعَدَ يَذْكُرُ اللهَ حَتَّى تَطْلُعَالشَّمْسُ ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ كَانَتْ لَهُ كَأَجْرِ حَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ تَامَّةٍ تَامَّةٍ تَامَّةٍ- ‘যে ব্যক্তি জামা‘আতের সাথে ফজরের ছালাত আদায়ের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত বসে আল্লাহর যিকিরে মশগূল থাকল, অতঃপর (সূর্যোদয়ের পর) দুই রাক‘আত ছালাত আদায় করল, তার জন্য একটি পূর্ণ হজ্জ ও একটি পূর্ণ ওমরার নেকী রয়েছে’।[34] এভাবে সে রামাযান মাসে ৩০টি ওমরা সমপরিমাণ নেকী অর্জন করতে পারবে। সর্বসাকুল্যে সে পবিত্র মাহে রামাযানের মাসে ১৮০টি ওমরা সমপরিমাণ নেকী অর্জন করতে সক্ষম হবে।-ইনশাআল্লাহ!
উপসংহার : আল্লাহ সুবহানাহু তা‘আলা রামাযানের যথাযথ পবিত্রতা রক্ষা ও বিশুদ্ধ আমলের মাধ্যমে জান্নাতের মেহমান বানিয়ে নিন- আমীন!
[লেখক : কেন্দ্রীয় দফতর সম্পদক, বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ ]
[1]. বুখারী হা/৮; মুসলিম হা/২০ (১৬); মিশকাত হা/৪।
[2]. বুখারী হা/৩৪; মুসলিম হা/৬৬০ (১৭৫); মিশকাত হা/১৯৮৫।
[3]. আদাবুল মুফরাদ হা/৬৪৮; হাকেম হা/৭২৫৬; ছহীহ আত-তারগীব হা/৯৯৫।
[4]. ইবনু হিববান হা/৩৪৭৬; ছহীহ আত-তারগীব হা/১০৭২।
[5]. বুখারী হা/১৯২৩; মুসলিম হা/১০৯৫ (৪৫); মিশকাত হা/১৯৮২।
[6]. মুসিলম হা/১০৯৬ (৪৬); মিশকাত হা/১৯৮৩।
[7]. ইবনু হিববান হা/৩৬৬৭; ছহীহ আত-তারগীব হা/১০৫৩।
[8]. বুখারী হা/১৯৫৭; মুসলিম হা/১০৯৮; মিশকাত হা/১৯৮৪।
[9]. সিলসিলা ছহীহাহ হা/২০৮১।
[10]. আবু দাঊদ হা/২৩৫৫; মিশকাত হা/১৯৯৫।
[11]. আবু দাঊদ হা/২৩৫৬; মিশকাত হা/১৯৯১।
[12]. আবু দাঊদ হা/২৩৫৭; মিশকাত হা/১৯৯৩।
[13]. বায়হাক্বী, মিশকাত হা/১৯৯২।
[14]. সিলসিলা ছহীহাহ হা/১৭৯৭।
[15]. বুখারী হা/১৮৯৭; মুসলিম হা/১০২৭; মিশকাত হা/১৮৯০।
[16]. বুখারী হা/১৯০৪; মুসলিম হা/১১৫১; মিশকাত হা/১৯৫৯।
[17]. প্রাগুক্ত।
[18]. প্রাগুক্ত।
[19]. নাসাঈ হা/২৪০৯।
[20]. আহমাদ হা/৬৬২৬, হাকেম হা/২০৩৬, বাইহাক্বীর শুআবুল ঈমান হা/১৯৯৪, ছহীহ আত-তারগীব হা/৯৮৪, ১৪২৯।
[21]. বুখারী হা/২৮৪০; মুসলিম হা/১১৫৩; মিশকাত হা/২০৫৩।
[22]. নাসাঈ হা/২২৫৪; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৩৩০; ছহীহাহ হা/২৫৬৫।
[23]. তিরমিযী হা/১৬২৪; ছহীহাহ হা/৫৬৩; মিশকাত হা/২০৬৪।
[24]. নাসাঈ হা/২২২৩।
[25]. নাসাঈ হা/২২২২।
[26]. আহমাদ হা/২৩৩২৪।
[27]. মুসলিম হা/১৬৬৪; মিশকাত হা/২০৪৭।
[28]. হাদীছটি বাযযার ৪৫, ইবনে হিববান ৩৪২৯ ও ইবনে খুযায়মা ২/২২।
[29]. বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৫০৮।
[30]. ছহীহুল জামে‘ হা/৬৫৫৬।
[31]. তাবারাণী, মু‘জামুল কাবীর হা/৭৪৭৩; ছহীহ আত-তারগীব হা/৮৬।
[32]. তিরমিযী হা/৫৮৬; মিশকাত হা/৯৭১, সনদ হাসান।
[33]. ছহীহুল জামে‘ হা/৬৫৫৬।
[34]. তিরমিযী হা/৫৮৬; মিশকাত হা/৯৭১, সনদ হাসান।