মুহাম্মাদ (ছাঃ)-মাটির সৃষ্টি না নূরের সৃষ্টি : একটি পর্যালোচনা
আহমাদুল্লাহ
মুহাম্মাদ আব্দুর রঊফ 1852 বার পঠিত
(৩৪) মুখে ফুল চন্দন পড়া : বহুল ব্যবহৃত এই বাক্যটি আনন্দঘনভাবে ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য বলা হয়ে থাকে। হিন্দুরা ফুল ও চন্দন কাঠকে পূঁজার সামগ্রীরূপে ব্যবহার করে। দেবতাদের খুশী করার উদ্দেশ্যে তারা ফুল ও চন্দন উৎসর্গ করে। উপমহাদেশে দীর্ঘদিনের হিন্দু-মুসলিম সহাবস্থানের কারণে কেউ খুশীর সংবাদ নিয়ে আসলে আমরা আনন্দের আতিশয্যে বলে ফেলি তোমার মুখে ফুল চন্দন পড়ুক। ব্যাখ্যা করলে এর অর্থ হয় দেবতারা যেমন ফুল-চন্দন দ্বারা পূঁজনীয়, ঠিক তেমনই তুমিও যেন পুঁজনীয় হয়ে উঠ। কোন মুসলিম কখনো এ ধরণের বাক্য উচ্চারণ করতে পারে না। কেননা এটি কুফরী আক্বীদার সাথে সম্পৃক্ত। এ বাক্যের অন্তরালে মানুষ নিজের অজান্তেই একে অপরকে আল্লাহর দাসত্ব থেকে বের করে মানুষের দাসত্বের শৃঙ্খলে বন্দী করছে। সুতরাং এ বাক্য সর্বাবস্থায় পরিতাজ্য।
(৩৫) চেনা বামুনের পৈতা লাগে না : পৈতা হিন্দু ব্রাহ্মণদের ব্যবহৃত এক প্রকার সুতা বিশেষ। হিন্দু ধর্মীয় চার গোত্রের প্রধান গোত্র ব্রাহ্মণদের মধ্যে উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তিদের বিশেষ পূঁজা অর্চনার মাধ্যমে পৈতা পরানো হত। পৈতা ব্রাহ্মণগণ শরীরে জড়িয়ে রাখতেন। কিন্তু এক সময় পৈতার যত্রতত্র ব্যবহার বেড়ে যায়। ফলে উঁচু-নিচু কোন ভেদাভেদ ছিল না। তখন প্রকৃত ব্রাহ্মণদের চিহ্নিত করতে বেগ পেতে হত। বলা যায় এ সমস্যার সমাধান হেতু কালক্রমে হিন্দু সংস্কৃতধর্মী উক্ত বাক্যটি বিদ্রুপ অর্থে মানুষের মুখে মুখে হিন্দু-মুসলিম উভয় সমাজে প্রচলন ঘটে। যার তাৎপর্য হ’ল পরিচিতি বা মহৎ ব্যক্তির নতুন করে পরিচয় লাগে না। কিংবা স্বনামধন্য ব্যক্তির পরিচিতির প্রয়োজন হয় না।[1]
(৩৬) সতী বাক্য রক্ষা হেতু বিধি বাক্য নড়ে : প্রবাদটি তেমন প্রচলিত না হলেও এর সাথে হিন্দু ধর্মীয় বিশ্বাস নিহিত রয়েছে। যা অনেকটাই রূপকথার গল্পের মতই। এই প্রবাদের অর্থ হল সতী (নিষ্কলুষ চরিত্রের অধিকারী) রমণীর কথা রাখতে সৃষ্টিকর্তাও বিধান পরিবর্তন করেন। অর্থাৎ এখানে সতীত্বের প্রভাব বোঝানো হয়েছে। এক সতী নারীর কুষ্ঠ রোগাক্রান্ত পঙ্গু স্বামী ছিল। সে লক্ষহীরা নাম্মী নামে এক পতিতার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল। কিন্তু সে পতিতার ঘরে যাওয়ার মত শারীরিক সামর্থ্য তার ছিল না। লোকটির স্ত্রী স্বামীর মনের ইচ্ছা জানার পর তাকে কাঁধে করে পতিতার ঘরে নিয়ে যায়। লক্ষহীরা তাকে গ্রহণ না করে উপরন্তু তিরষ্কার করে। পতিতার তিরষ্কারে তার বোধদয় ঘটে এবং বাড়ি ফিরে যেতে চায়। স্ত্রী লোকটিকে পুনরায় কাঁধে বহন করে বাড়ি ফিরার সময় তার দেহের স্পর্শে ধ্যানরত এক ঋষির ধ্যান ভেঙ্গে যায়। ঋষি ক্ষিপ্ত হয়ে অভিশাপ দেয়। ঋষি বলে যে আমার ধ্যান ভঙ্গ করেছে সূর্যোদয় হওয়ার পরই যেন তার মৃত্যু হয়। এ কথা শুনে ঐ লোকটির স্ত্রীও প্রতিজ্ঞা করে যে, আমি যদি যথার্থ সতী হই তাহলে সূর্য উঠবে না আর আমার স্বামীও মরবে না। সতী স্ত্রীর এই কথা রক্ষা হেতু পরদিন সকাল হলেও সূর্য উঠে না। সৃষ্টিকূল বিনষ্ট হওয়ার আশংকায় দেবতারা পরামর্শ করে সতী নারীকে সান্ত্বনা দেয়। দেবতারা ঋষি এবং সতী নারীর কথা রক্ষা করতে তাকে বলে, সূর্য উঠলে তার স্বামী মারা যাবে এবং দেবতারা আবার তাকে জীবিত করবে। সতী এ প্রস্তাবে রাযী হলে সৃষ্টি জগৎ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পায়।[2] এ ধরনের উদ্ভট গল্পের আদৌ কোন সত্যতা যদি থাকতো তাহলে অন্তত ২০১৩ সালে দিল্লিতে চলন্ত বাসে মেডিকেল ছাত্রীটি ধর্ষণের শিকার হত না। অন্তুত শিশু ধর্ষণকারীদের জন্য আদালতের প্রয়োজন হত না। বরং সতীত্বের শক্তির জোরে তারা আত্মরক্ষা করতে পারত। নারী শিশুদের চেয়ে সতী আর কে আছে?
(৩৭) ঘরের লক্ষী পায়ে ঠেলা : ঋষি ভৃগুর কন্যা লক্ষ্ণীকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীগণ ধন ও সৌভাগ্যের দেবী হিসাবে পূজা করে থাকে। বিভিন্ন পুরানে লক্ষী সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া যায়। লক্ষ্ণী নারায়ণ তথা বিষ্ণুর পত্নী ও তার বাহন সাদা পেঁচা। সেকারণে পেঁচাকে উভয় বাংলায় লক্ষ্ণী পেঁচা ডাকা হয়। ঘরের লক্ষ্ণী পায়ে ঠেলা অর্থ ইচ্ছাকৃতভাবে সৌভাগ্য নষ্ট করা। সনাতন ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী যে ঘরে ধন-দৌলত থাকে সে ঘরে লক্ষ্ণী বিরাজ করেন। সেজন্য কেউ কোন খাদ্যদ্রব্য নষ্ট করলে তাকে তিরষ্কার করে লক্ষ্ণী ছাড়া বলা হয়। মুসলিম সমাজে উক্ত বিশ্বাসের প্রভাব থাকায় কেউ ভাত কিংবা চাউল পা দিয়ে পাড়া দিলে তাকেও বিদ্রুপ করে ঘরের লক্ষী পায়ে ঠেলার উপমা দেওয়া হয়। এছাড়াও অমঙ্গল হবে ধারণ করে সেটা তুলে চুমু খাওয়া, কপালে স্পর্শ করা কিংবা হাত দিয়ে স্পর্শ করে ইশারায় সালাম করতে দেখা যায়। আবার কেউ ভালো কাজ করলে কিংবা ভালো ফলাফল করলে স্নেহ ব্যঞ্জক বাক্য হিসাবে ‘আমার ঘরের লক্ষ্ণী’ বিশেষণ ব্যবহার করতে দেখা যায়। আমরা ব্যবহারিক জীবনে আমাদের কন্যা শিশুকে আদর করে লক্ষ্ণী বলি। এগুলো সবই হিন্দু ধর্মবিশ্বাস থেকে আমাদের সমাজে অনুপ্রবেশ করেছে।
(৩৮) ধান ভানতে শীবের গীত : হিন্দুদের প্রধান তিন দেবতার মধ্যে আদি ও মহা শক্তিধর দেবতা হিসাবে শীবকে পূঁজা করা হয়। শীবের নানা গুণকীর্তন নিয়ে গীতি কবিতা চালু আছে। যা আগের যামানায় সাধারণত গল্পের আসরে মধুর সুরে গাওয়া হত। ধান ভানতে শীবের গীত বলতে কোন বিশেষ কথাবার্তায় অপ্রাসঙ্গিক আলোচনা উপস্থাপন করা বোঝানো হয়। সুতরাং এটিও হিন্দু ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে আগত।
(৩৯) কুবেরের ধন বা ধনকুবের : পুরাণে বর্ণিত ধনসম্পদের দেবতাকে কুবের বলা হয়। কুবেরের ধন অর্থাৎ যে সম্পদ বা ঐশ্বর্য অফুরন্ত অর্থাৎ বিপুল সম্পদ। কুবেরের পিতার নাম ঋষি বিশ্রবা এবং মাতা ঋষি ভরদ্বাজ, কন্যা দেববর্ণিনী। কুবেরের প্রকৃত নাম বৈশ্রবণ। সে মহাবনে গিয়ে হাযার বছর তপস্যা করে। তপস্যার ফল স্বরুপ ব্রহ্মা তাকে ধন দৌলতের দেবতা বানিয়েছেন। সেই থেকে তার নাম ধনাধিপতি কুবের।[3] কারো অধিক সম্পদ থাকলে আমরা তাকে ধনকুবের উপমা দিয়ে থাকি। যা সরাসরি হিন্দু ধর্মগ্রন্থ থেকে মানুষের মুখে মুখে প্রচলন ঘটেছে।
(৪০) যক্ষের ধন : এই প্রবাদটির উৎস সম্পর্কে সঠিন ধারণা পাওয়া যায় না। প্রাচীন ধারণা অনুযায়ী সম্পদশালী ব্যক্তিদের কেউ কেউ নিজ সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মাটির নিচে ঘর তৈরি করে সম্পদ জমা করত। জমাকৃত সম্পদের সুরক্ষার জন্য কোন এক বালককে ধরে এনে পূঁজা করে সেই পাতাল ঘরে আটকে রাখত। বদ্ধ ঘরে সকলের আগোচরে সেই বালক মরে গিয়ে যক্ষ হয়ে সম্পদ পাহারা দিত। উক্ত সম্পদের মালিকের অছিয়ত অনুযায়ী পরবর্তী উত্তরাধিকারকে সম্পদ হস্তান্তর না করা পর্যন্ত সেই যক্ষের মুক্তি ছিল না। প্রাচীন এই কুসংস্কার মতে, যক্ষ রক্ষিত ধনকে যক্ষের ধন বলা হয়। যেহেতু এই ধনের মালিক কৃপণ, সেজন্য কৃপণের ধনকে রূপক অর্থে যক্ষের ধন বলা হয়। তবে রামায়ণ অনুযায়ী যক্ষ ব্রহ্মার সৃষ্টি প্রাণী বিশেষ। ব্রহ্মা প্রথমে জল সৃষ্টি করেন। তারপর প্রাণী সৃষ্টি করে বললেন, তোমরা জল রক্ষা কর। একদল বললো ব্রহ্মাম অর্থাৎ আমরা রক্ষা করব। ব্রহ্মার আদেশে তারা রাক্ষস হল। অপরদল বললো যক্ষাম অর্থাৎ আমরা পূজা করব। তারা যক্ষ হল। যক্ষ অর্থ ভূগর্ভে প্রোথিত ও স়ঞ্চিত ধনরাশির রক্ষক। যক্ষদের রাজা হলেন কুবের। যক্ষরা কুবেরের ধন রক্ষণাবেক্ষণ করে। কুবের লঙ্কার রাজা রাক্ষস রাবনের সৎ ভাই। লঙ্কা নগরীতে পূর্বে রাবণ কর্তৃক বিতাড়িত হয়ে সে কৈলাস পর্বতে বসবাস শুরু করে। কৈলাসে অলকা নামক স্থানটি যক্ষদের রাজধানী। সেখানে যক্ষরা বসবাস করে বলে পুরাণে উল্লেখ করা হয়েছে।[4]
(৪১) যমের অরুচি : হিন্দুরা মৃত্যুর দেবতাকে যম নামে অভিহিত করে থাকে। যম সূর্য দেবতার পুত্র। তাকে ধর্মরাজ বা ধর্ম দেবতাও বলা হয়। মহাভারতের পালক পুত্র যুধিষ্ঠিরকে ধর্ম দেবতার পুত্র বলা হয় যা অত্র প্রবন্ধের প্রথম কিস্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। অত্যাধিক অত্যাচারী বা দুষ্টু লোক দীর্ঘ দিন বেঁচে থাকলে ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে তার মৃত্যু কামনা করে যমের অরুচি বলা হয়। অর্থাৎ স্বয়ং মৃত্যুর দেবতারও যেন তাকে মৃত্যু দিতে রুচি হয় না।[5] আমরা প্রায়শই যম শব্দটা বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার করি। যেমন ভোজন রসিক ব্যক্তিকে নির্দেশ করতে বলি সে তো মিষ্টি খাওয়ার যম। কাউকে ভয় দেখাতে এবং কোন ব্যক্তির বড়ত্ব প্রকাশ করতে বলি তোমার যম আসছে। এই বাক্যে উপস্থিত ব্যক্তিকে ভয় দেখানো হয় এবং যম নির্দেশক ব্যক্তিকে প্রত্যক্ষ ব্যক্তির উর্ধ্বতন ব্যক্তি হিসাবে নির্দেশ করা হয়। এরকম অনেক উপমার ক্ষেত্রে হরহামেশা যম শব্দ ব্যবহৃত হচ্ছে। যেহেতু যম হিন্দুয়ানী সংস্কৃতিতে দেবতাকে বোঝায় সেহেতু এই শব্দ আমাদের জন্য বর্জন করা কর্তব্য।
(৪২) ক অক্ষর গোমাংশ : এই প্রবাদটির অর্থ নিরক্ষর বা মূর্খ। হিন্দুদের প্রচলিত বিশ^াস অনুযায়ী গো অর্থাৎ গরু দেবতা স্বরূপ। তাই তার মাংশ অস্পর্শ বস্ত্ত। তদ্রুপ গোমাংশের ন্যায় যারা বাংলা বর্ণমালার ‘ক’ অক্ষরটা পর্যন্ত স্পর্শ করেনি অর্থাৎ শিক্ষা গ্রহন করেনি, এমন অশিক্ষিতকে চিহ্নিত করতে ‘ক’ অক্ষর গোমাংশ প্রবাদ ব্যবহার করা হয়।[6] এই প্রবাদটির মাধ্যমে হিন্দুদের গরুর মাংস না খাওয়া এবং গরুকে দেবতার মর্যাদা দেওয়ার মত হাস্যকর আক্বীদা সরাসরি মুসলিমদের মধ্যে ঢুকানো হয়েছে। যদিও গরুর মাংস খাওয়া যাবে না মর্মে হিন্দুধর্ম গ্রন্থে স্পষ্ট কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। তারপরেও গরু যবেহ নিয়ে মুসলিমদের উপর উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের অমানবিক নির্যাতন প্রায়ই পত্রিকার শিরোনামে উঠে আসে, যা খুবই দুঃখজনক।
(৪৩) যত দোষ নন্দ ঘোষ : নন্দ মথুরার ঘোষপাল। কংসের ভয়ে সদ্য জন্মগ্রহণ করা শিশু দেবতা কৃষ্ণকে বসুদেব তার আত্নীয় নন্দের কাছে রেখে আসে। নন্দ ঘোষের কাছেই কৃষ্ণের বাল্যকাল অতিক্রম হয়। নন্দ ও তার স্ত্রী যশোদা কৃষ্ণকে পুত্রবৎ সেণহ করত। প্রচলিত কাহিনী অনুযায়ী কৃষ্ণ বাল্যকাল থেকেই প্রচন্ড দুষ্টু ছিল। ঘোষদের বাড়ি থেকে মাখন চুরি, নারীদের পানি ভর্তি কাঁকের কলসি ফুটো করা। গোসলরত নারীদের কাপড় চুরি, এমনকি পালিত মা যশোদার ভাই আয়ান ঘোষের স্ত্রীর সাথে অবৈধ প্রণয় তার অন্যতম কুকীর্তি ছিল। এত কিছুর পরেও নন্দ ও যশোদা কৃষ্ণকে অতি সেণহের কারণে শাসন করত না। সেজন্য প্রতিবেশীর সমস্ত অভিযোগের দায়ভার নন্দ ঘোষের উপর এসে পড়ত। সবাই কৃষ্ণের কুকীর্তির জন্য নন্দকে দোষারোপ করত। তাই অপরের কৃতকর্মের দায়ভার উপর্যুপরি একজনের উপর দেওয়া বোঝানোর স্বার্থে ‘যত দোষ নন্দ ঘোষ’ প্রবাদ প্রয়োগ করা হয়।[7]
(ক্রমশঃ)
মুহাম্মাদ আব্দুর রঊফ
লেখক : সভাপতি, বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ, রাজশাহী বিশ্বিবিদ্যালয়।
[1]. প্রবাদের উৎস সন্ধান, সমর পাল (৩য় প্রকাশ : ২০১৬), পৃ. ৬৬।
[2]. সরল বাঙ্গালা অভিধান, সুবল চন্দ্র মিত্র, অষ্টম সংস্করণ : জুলাই ১৯৮৪, পৃ. ১৬১৮।
[3]. রামায়ণ, রাজশেখর বসু, ১৩তম মুদ্রণ : বাংলা ১৪১৮ সন, উত্তরকান্ড, পৃ.৩৯৫।
[4]. রামায়ণ, উত্তরকান্ড পৃ. ৩৯৫-৯৬; প্রবাদের উৎস সন্ধান, সমর পাল, পৃ. ১৩০
[5].সরল বাঙ্গালা অভিধান, সুবল চন্দ্র মিত্র, অষ্টম সংস্করণ : জুলাই ১৯৮৪, পৃ. ১৬০১
[6]. প্রবাদ সংগ্রহ, শ্রীকানাইলাল ঘোষাল, ১৪ যুগল কিশোর দাস লেন, কলকাতা-১৮৯০ খ্রীঃ, পৃ. ৩৭
[7]. প্রবাদের উৎস সন্ধান, সমর পাল, পৃ. ১৩২।