অমুসলিমদের প্রতি আচরণবিধি

আসাদুল্লাহ আল-গালিব 813 বার পঠিত

ইসলাম সার্বজনীন জীবন বিধান। যেখানে প্রতিটি মানুষের স্ব স্ব অধিকার সংরক্ষিত আছে। হোক সেটা পিতা-মাতা, স্বামী-স্ত্রী, ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধব কিংবা সেটা হোক অন্য ধর্মের মানুষ। এমনকি পশু-পাখি, গাছপালাও যেন অনাকাংখিত আচরণের শিকার না হয়, সে ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। আলোচ্য প্রবন্ধে আমরা ইসলামী সমাজে অমুসলিমদের অধিকার সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোকপাত করার প্রয়াস পাব ইনশাআল্লাহ।

১. কোমল আচরণ করা :

ইসলাম সর্বদা কোমলতা গ্রহণ করতে নির্দেশ করে। যেমন রাসূল (ছাঃ) ছিলেন কোমল হৃদয়ের অধিকারী। মহান আল্লাহ বলেন,فَبِمَا رَحْمَةٍ مِنَ اللَّهِ لِنْتَ لَهُمْ وَلَوْ كُنْتَ فَظًّا غَلِيظَ الْقَلْبِ لَانْفَضُّوا مِنْ حَوْلِكَ فَاعْفُ عَنْهُمْ وَاسْتَغْفِرْ لَهُمْ ‘আর আল্লাহর রহমতের কারণেই তুমি তাদের প্রতি (অর্থাৎ স্বীয় উম্মতের প্রতি) কোমল হৃদয় হয়েছ। যদি তুমি কর্কশভাষী কঠোর হৃদয়ের হ’তে তাহ’লে তারা তোমার পাশ থেকে সরে যেত। কাজেই তুমি তাদের ক্ষমা করে দাও ও তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর’ (আলে ইমরান ৩/১৫৯)

রাসূল (ছাঃ) স্বয়ং অমুসলিমদের প্রতি কোমলতা প্রদর্শন করেছেন। হাদীছে এসেছে,

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ أَعْرَابِيًّا بَالَ فِى الْمَسْجِدِ فَقَامُوا إِلَيْهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لا تُزْرِمُوهُ ثُمَّ دَعَا بِدَلْوٍ مِنْ مَاءٍ فَصُبَّ عَلَيْهِ

হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, একদা এক বেদুুঈন মসজিদে পেশাব করলো। লোকেরা উঠে (তাকে মারার জন্য) তার দিকে গেল। মহানবী (ছাঃ) বললেন, তার পেশাব বন্ধ করো না। তারপর তিনি (ছাঃ) এক বালতি পানি আনলেন এবং পানি পেশাবের ওপর ঢেলে দেয়া হ’ল’।[1]

২. ইনছাফ করা :

যুলম সর্বত্রভাবে ইসলামে হারাম। মহান আল্লাহ বলেন, يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُونُوا قَوَّامِينَ لِلَّهِ شُهَدَاءَ بِالْقِسْطِ وَلَا يَجْرِمَنَّكُمْ شَنَآنُ قَوْمٍ عَلَى أَلَّا تَعْدِلُوا اعْدِلُوا هُوَ أَقْرَبُ لِلتَّقْوَى وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا تَعْمَلُونَ ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে সত্য সাক্ষ্য দানে অবিচল থাক এবং কোন সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ যেন তোমাদেরকে সুবিচার বর্জনে প্ররোচিত না করে। তোমরা ন্যায়বিচার কর, যা আল্লাহভীতির অধিকতর নিকটবর্তী। তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের সকল কৃতকর্ম সম্পর্কে সম্যক অবগত’ (মায়েদাহ ৫/৮)

৩. দয়ার্দ্র হওয়া :

মহান আল্লাহ বলেন, لَا يَنْهَاكُمُ اللَّهُ عَنِ الَّذِينَ لَمْ يُقَاتِلُوكُمْ فِي الدِّينِ وَلَمْ يُخْرِجُوكُمْ مِنْ دِيَارِكُمْ أَنْ تَبَرُّوهُمْ وَتُقْسِطُوا إِلَيْهِمْ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُقْسِطِينَ ‘দ্বীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে তোমাদের দেশ থেকে বহিষ্কার করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ন্যায়বিচার করতে আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়পরায়ণদের ভালবাসেন’(মুমতাহিনা ৬০/৮)

৪. সদ্ব্যবহার করা :

মহান আল্লাহ বলেন,وَإِنْ جَاهَدَاكَ عَلَى أَنْ تُشْرِكَ بِي مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ فَلَا تُطِعْهُمَا وَصَاحِبْهُمَا فِي الدُّنْيَا مَعْرُوفًا وَاتَّبِعْ سَبِيلَ مَنْ أَنَابَ إِلَيَّ ثُمَّ إِلَيَّ مَرْجِعُكُمْ فَأُنَبِّئُكُمْ بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ ‘আর যদি পিতা-মাতা তোমাকে চাপ দেয় আমার সাথে কাউকে শরীক করার জন্য, যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তাহ’লে তুমি তাদের কথা মানবে না। তবে পার্থিব জীবনে তাদের সাথে সদ্ভাব রেখে বসবাস করবে। আর যে ব্যক্তি আমার অভিমুখী হয়েছে, তুমি তার রাস্তা অবলম্বন কর। অতঃপর তোমাদের প্রত্যাবর্তন আমারই নিকটে। অতঃপর আমি তোমাদেরকে তোমাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে অবহিত করব’ (লোক্বমান ৩১/১৫)

আসমা বিনতে আবু বকর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, قَدِمَتْ عَلَىَّ أُمِّى وَهْىَ مُشْرِكَةٌ فِى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَفْتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُلْتُ إِنَّ أُمِّى قَدِمَتْ وَهْىَ رَاغِبَةٌ أَفَأَصِلُ أُمِّى قَالَ نَعَمْ صِلِى أُمَّكِ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যামানায় আমার আম্মা মুশরিক অবস্থায় আমার কাছে এলেন। আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর খিদমতে ফাতওয়া চেয়ে বললাম, তিনি আমার প্রতি খুবই আকৃষ্ট, এমতাবস্থায় আমি কি তার সাথে সদাচরণ করব? তিনি বললেন, হ্যঁা তুমি তোমার মায়ের সাথে সদাচরণ করবে’।[2]

৫. অমুসলিমদের ধর্মীয় অধিকার রক্ষায় ইসলাম :

ধর্মে-বর্ণে বৈচিত্র্য থাকলেও সৃষ্টিগতভাবে সব মানুষই এক। সবাইকে মহান আল্লাহ আদম (আঃ) ও হাওয়া (আঃ) থেকে সৃষ্টি করেছেন। সর্বোপরি তিনি মানুষকে সম্মানিত করেছেন এবং সব সৃষ্টির মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে সমাসীন করেছেন। ইসলাম আল্লাহর মনোনীত ধর্ম। আল্লাহ ইরশাদ করেন-وَلَا تَسُبُّوا الَّذِينَ يَدْعُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ فَيَسُبُّوا اللَّهَ عَدْوًا بِغَيْرِ عِلْمٍ كَذَلِكَ زَيَّنَّا لِكُلِّ أُمَّةٍ عَمَلَهُمْ ثُمَّ إِلَى رَبِّهِمْ مَرْجِعُهُمْ فَيُنَبِّئُهُمْ بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ- ‘তারা আল্লাহ তা‘আলার বদলে যাদেরকে ডাকে, তাদেরকে তোমরা কখনো গালি দিওনা, নইলে তারাও শত্রুতার কারণে না জেনে আল্লাহ তা‘আলাকেও গালি দিবে। আমি প্রত্যেক জাতির কাছেই তাদের কার্যকলাপ সুশোভনীয় করে রেখেছি, অতঃপর সবাইকে একদিন তার মালিকের কাছে ফিরে যেতে হবে, তারপর তিনি তাদের বলে দিবেন, তারা দুনিয়ার জীবনে কে কী কাজ করে এসেছে’(আন‘আম ৬/১০৮)

সুতরাং কোন অমুসলিম ব্যক্তি নিজের ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করতে পারবে। এতে বাধা দেয়া যাবে না। কাউকে জোর করে কাউকে ইসলাম গ্রহণ করানো ইসলাম সমর্থন করে না। রাসূল (ছাঃ) ইয়েমেনের ইহুদী-খ্রিস্টানদেরকে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে চিঠি লিখেছিলেন। সেই চিঠিতে রাসূল (ছাঃ) সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, ইহুদী-খ্রিস্টানদের মধ্যে যারা মুসলমান হবে তারা মুমিনদের অন্তর্ভুক্ত হবে। মুমিনদের মতোই তাদের সব বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। আর যারা স্ব-ধর্মে রয়ে যাবে তাদের জোর করে ইসলামে আনা হবে না’।[3]

৬. প্রাণ-সম্পদের নিরাপত্তা প্রদান :

যেসব অমুসলিম মুসলিম দেশে রাষ্ট্রের আইন মেনে বসবাস করে অথবা ভিসা নিয়ে মুসলিম দেশে আসে, তাদের সুরক্ষা এবং জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, নবী (ছাঃ) বলেন,مَنْ قَتَلَ مُعَاهِدًا لَمْ يَرَحْ رَائِحَةَ الْجَنَّةِ ; وَإِنَّ رِيحَهَا تُوجَدُ مِنْ مَسِيرَةِ أَرْبَعِينَ خَرِيفًا ‘যে ব্যক্তি কোন অমুসলিম নাগরিককে হত্যা করল, সে জান্নাতের সুগন্ধও পাবে না, অথচ তার সুগন্ধ ৪০ বছরের রাস্তার দূরত্ব থেকেও পাওয়া যায়’।[4]

সুতরাং অমুসলিম সংখ্যালঘুদের ধনসম্পদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। তাদের ধনসম্পদ জবরদখল করা যাবে না। অন্যায়ভাবে তা আত্মসাৎ করা যাবে না। তাদের সম্পদ দুর্নীতি করে খাওয়া যাবে না। অন্য কোনোভাবেও তাদের প্রতি অন্যায় আচরণ করা যাবে না। রাসূলের যুগেই এই নীতি বাস্তবায়িত হয়েছে। নাজরানের অমুসলিমদের সঙ্গে মহানবী (ছাঃ) চুক্তি করেন। তাদের ব্যাপারে রাসূল (ছাঃ) বলেন, নাজরান ও তাদের আশপাশের লোকজন আল্লাহর প্রতিবেশী। তারা আল্লাহর রাসূল মুহাম্মদের নিরাপত্তায় থাকবে। তাদের সম্পদ, ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে ছোট-বড় সবকিছুর নিরাপত্তা দেওয়া রাসূলের দায়িত্ব’।[5]

রাসূলের যুগে অমুসলিমদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ছাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে সাহল আনছারী (রাঃ) শহীদ হন। খায়বারের ইহুদীদের এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। হত্যাকারী ইহুদীই হবে- এমনটিই প্রবল ধারণা। কেননা সে যুগের নিয়ম হিসাবে এক সম্প্রদায়ের এলাকায় অন্য সম্প্রদায়ের লোকজন এসে হত্যাকান্ড ঘটাবে- তা ভাবা যায় না। তবে ইহুদীরাই যে তা করেছে- তার কোনো সুস্পষ্ট প্রমাণও নেই। তাই রাসূল (ছাঃ) এই মামলায় ইহুদীদের জড়াননি। ন্যূনতম কোনো শাস্তিই তাদের দেননি। শুধু এটুকু বলেছেন যে, তোমরা যে এই হত্যাকান্ড ঘটাওনি- তা হলফ করে বল। দীর্ঘ হাদীছটিতে বর্ণিত হয়েছে, নিহত ছাহাবীর রক্তপণ বাতিল করা হবে- তাও নবী (ছাঃ) পসনদ করেননি। তাই তিনি নিজেই রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে একশ উট ছাদাক্বা করে দিয়েছিলেন’।[6]

মানবিক আচরণ :

সব মানুষের প্রতি উদার মনোভাব পোষণ ও মানবীয় আচরণ প্রদর্শন ইসলামের অন্যতম শিক্ষা। কারণ মানুষ হিসাবে সবাই সমান। আল্লাহ সব মানুষকে সম্মানিত করেছেন। হাদীসে এসেছে,

عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى قَالَ كَانَ سَهْلُ بْنُ حُنَيْفٍ وَقَيْسُ بْنُ سَعْدٍ قَاعِدَيْنِ بِالْقَادِسِيَّةِ فَمُرَّ عَلَيْهِمَا بِجَنَازَةٍ فَقَامَا فَقِيلَ لَهُمَا إِنَّهُمَا مِنْ أَهْلِ الْأَرْضِ أَيْ مِنْ أَهْلِ الذِّمَّةِ فَقَالَا إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّتْ بِهِ جَنَازَةٌ فَقَامَ فَقِيلَ لَهُ: إِنَّهَا جَنَازَةُ يَهُودِيٍّ فَقَالَ أَلَيْسَتْ نَفْسًا

একদিন সাহল ইবনে হুনাইফ (রাঃ) ও কায়েস ইবনে সাদ (রাঃ) কাদেসিয়াতে বসা ছিলেন। তখন তাদের পাশ দিয়ে একটি লাশ নিয়ে কিছু লোক অতিক্রম করল। তারা দাঁড়িয়ে গেলেন। তখন তাদের বলা হ’ল, লাশটি অমুসলিমের। তারা বলেন, মহানবী (ছাঃ)-এর পাশ দিয়ে একসময় একটি লাশ নেওয়া হয়েছিল। তখন তিনি দাড়িয়ে গেলেন। তাকে বলা হ’ল, এটা তো এক ইহুদীর লাশ। তখন তিনি বলেন, সেটা কি একটি প্রাণ নয়?[7]

অমুসলিম প্রতিবেশীর সাথে আচরণ :

মুজাহিদ (রহঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, كُنْتُ عِنْدَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَغُلَامُهُ يَسْلُخُ شَاةً فَقَالَ يَا غُلَامُ إِذَا فَرَغْتَ فَابْدَأْ بِجَارِنَا الْيَهُودِيِّ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ: الْيَهُودِيُّ أَصْلَحَكَ اللَّهُ قَالَ إِنِّي سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُوصِي بِالْجَارِ حَتَّى خَشِينَا أَوْ رُئِينَا أَنَّهُ سَيُوَرِّثُهُ আমি আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ)-এর নিকট ছিলাম। তখন তার গোলাম ছাগলের চামড়া

ছাড়াচ্ছিলো। তিনি বলেন, হে বালক! অবসর হয়েই তুমি প্রথমে আমাদের ইহুদী প্রতিবেশীকে গোশত দিবে। এক ব্যক্তি বললো, ইহুদী! আল্লাহ আপনাকে সংশোধন করুন। তিনি বলেন, আমি নবী (ছাঃ)-কে প্রতিবেশী সম্পর্কে উপদেশ দিতে শুনেছি। এমনকি আমাদের আশংকা হ’ল বা আমাদের নিকট প্রতিভাত হ’ল যে, তিনি অচিরেই প্রতিবেশীকে ওয়ারিস বানাবেন’।[8]

(ক্রমশঃ)

 [লেখক : কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক, বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ ]

[1]. বুখারী হা/৬০২৫।

[2]. বুখারী হা/২৬২০; মুসলিম হা/১০০৩; মিশকাত হা/৪৯১৩।

[3]. ইবনে হিশাম ২/৮৮৫।

[4]. বুখারী হা/৩১৩৬; মিশকাত হা/৩৪৫২।

[5]. দালায়িলুন নুবুওয়াহ, খন্ড : ৫, পৃষ্ঠা : ৫৮৪।

[6]. বুখারী হা/৬৮৯৮।

[7]. বুখারী হা/১৩১১।

[8]. আদাবুল মুফরাদ হা/১২৭।



বিষয়সমূহ: শিষ্টাচার
আরও